প্রশ্নঃ অধিকাংশ নবযুবতী মেয়েরা যৌন তৃপ্তির জন্য হস্তমৈথুনের শিকার হয়ে পড়ে? তারা কি হস্তমৈথুন করে যৌন সন্তুষ্টি পায়?
উত্তরঃ যৌন বিশেষজ্ঞদের মত অনুযায়ী কিশোর বয়সের ছেলেদের মধ্যে শতকরা ৯০ ভাগের বেশি হস্তমৈথুন প্রবৃত্তি থাকে।
আধুনিক যৌন স্বচ্ছন্দতা এবং ফিল্মে আলিঙ্গন চুম্বনও অশ্লীল দৃশ্যের জন্য মেয়েদের মধ্যেও হস্তমৈথুনের প্রবৃত্তি তীব্র গতিতে বেড়ে চিলেছে। কয়েক দশক আগের তুলনায় আধুনিক পরিবেশে ছেলে মেয়েদের মধ্যে কামোত্তেজনা বেশি করে পরিলক্ষিত হয়।
ফিল্মের অশ্লীল দৃশ্য দেখে কামোত্তেজিত হয়ে উঠে মেয়েরা নিজের ঘনিষ্ঠ বান্ধবীদের সঙ্গে সমলৈঙ্গিক সম্পর্ক স্থাপন করে নেয়।
এর সঙ্গে হস্তমৈথুনের প্রবৃত্তিও শুরু হয়ে যায়। বাসে যাওয়া আসা করতে গিয়ে পুরুষদের শারীরিক স্পর্শেও মেয়েদের মধ্যে কামোত্তেজনা সৃষ্টি হয়। যৌন বিশেষজ্ঞদের মত অনুযায়ী মেয়েরা বেশি সংকোচ চিত – স্বভাবের হওয়ায় কামোত্তেজিত হয়ে উঠা সত্ত্বেও ওরা যৌন সম্পর্কে স্থাপন করতে নিজে থেকে সহজে এগিয়ে আসে না।
কোন নবযুবকের প্রেমের আমন্ত্রণ পেয়েও মেয়েরা খুব সহজে যৌন সম্পর্কের জন্য তৈরি হয় না। মেয়েরা যৌন সম্পর্কে গর্ভবতী হয়ে পড়ার ভয়টা খুব বেশি করে পায়। কিন্তু অত্যাধিক কামোত্তেজনা মেয়েদের কোন নবযুবকের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করতে বাধ্য করে তোলে। গর্ভ নিরোধক উপকরণের অত্যাধিক বিজ্ঞাপনও বেশ কিছু মেয়েকে খুব তাড়াতাড়ি সম্ভোগ ক্রিয়ায় লিপ্ত করে তোলে। বেশির ভাগ মেয়ে সম্ভোগের সুবিধা পায় না। আবার সম্ভগে মেয়েদের সামাজিক অপযশের সম্ভবনাও থাকে। কখনো কখনো ছেলেরাও কো মেয়ের অসহায়তার সুযোগে ব্ল্যাকমেল ও করে। এসব আশংকার হাত থেকে বাঁচার জন্যও বেশ কিছু মেয়ে হস্তমৈথুনের সাহায্য নেয়।
ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের হস্তমৈথুন করাটা অপক্ষোকৃত কঠিন হয়। কিন্তু সামাজিক অপযশের হাত থেকে বাঁচতে আর মানসিক সন্তুষ্টির জন্য তারা হস্তমৈথুন করতে শুরু করে। ছেলেরা দিনের মধ্যে একবার কি দুবার হস্তমৈথুন করে সন্তুষ্ট প্রাপ্ত করে নেয়, কিন্তু মেয়েদের জন্য হস্তমৈথুন কোন নির্দিষ্ট সংখ্যা নেই। কারণ ছেলেদের মত মেয়েদের বীর্যপাতের কোন
সমস্যা নেই। তাই মেয়েরা অনেক বার হস্তমৈথুন করে যৌন আনন্দ প্রাপ্ত করতে পারে।
মেয়েদের জন্য হস্তমৈথুনের কোন সরল প্রক্রিয়া নেই। তাদের হস্তমৈথুন করার জন্য ছেলেদের চেয়ে বেশি একান্ত জায়গার প্রয়োজন হয়। আঙ্গুল দিয়ে যোনিতে ঘর্ষণের ক্রিয়ায় মুশকিল বেশী হয়। কারন তাদের এক বিশেষ কোন ঘর্ষণ করতে হয়।
হস্তমৈথুন প্রায়ই দু,টি মেয়ে এক সঙ্গে লিপ্ত হয়। একে অপরের ভগনাসায় আঙ্গুল দিয়ে ঘর্ষণ করে তারা হস্তমৈথুনের প্রক্রিয়াকে
সম্পন্ন করে।
সব মেয়েরা এরকম বিশ্বাসী এবং ঘনিষ্ঠ বান্ধবী সহজে পায় না। হোষ্টেলে তারা এই সুবিধা খুব সহজে অপেয়ে যায়।
বাড়ীতে হস্তমৈথুনের প্রবৃত্তি খুব তাড়াতাড়ি সমলৈঙ্গিক (লেসবিয়ান) বদলে যায়। বিভিন্ন প্রকারের কঠোর বস্তু দিয়ে যৌনিতে ঘর্ষণ করলে যৌনির সংবেদনশীলতা খুব কমে যায়। এই ধরনের মেয়েরা বিয়ের পর সম্ভোগে চরম সুখ পায় না। তাই বিবাহিত নবযুবতীদের মধ্যে হস্তমৈথুনের প্রবৃত্তি হয়। সম্ভোগে অসুন্তুষ্টি থেকে মানসিক বিকৃতি এবং ক্ষোভ উৎপন্ন হয়। কঠোর বস্তু দিয়ে যৌনি ঘর্ষণ করলে গর্ভাশয়েরও ক্ষতি হতে পারে। যৌনিতেও আঘাত লেগে বিষক্রমণ হওয়ারও ভয় থাকে।
মেয়েরা নানাভাবে হস্তমৈথুন করে। বিশেষজ্ঞদের মত অনুযায়ী এমন মেয়েদের সংখ্যাও নিতান্ত কম নয়, যারা মানসিক মৈথুন দ্বারা যৌন আনন্দ প্রাপ্ত করে। এছাড়া কিছু মেয়ে কৃত্রিম মৈথুনও করে। কৃত্রিম মেয়েরা গাজর, মূল্যে, লম্বা বেগুন, শসা ইত্যাদি দিয়ে ঘর্ষণ করে। কৃত্রিম মৈথুনে কখনো কখনো গাজর, মুলা ভেঙ্গে গিয়ে খুবই সমস্যার সৃষ্টি কর।
অনেক মেয়ে রবারের কৃত্রিম লিঙ্গের দ্বারাও মৈথুন করে। এই ধরনের অপ্রাকৃতিক মৈথুনে সাধারণত; দু,টি মেয়ে এক সঙ্গে লিপ্ত হয়। একজন নিজের পেটে রবারের লিঙ্গওয়ালা বেল্ট বেদে নেয় আর ঠিক কোন পুরুষের মতই মৈথুনের ক্রিয়া সম্পন্ন করে।
যৌনির ওপরের অংশকে ভগনাসা বলে। একে ভগাংকুরও বলা হয়। অধিকাংশ মেয়ে এই অংশটিকে নিজের আঙ্গুল অথবা হাতের তালু হাল্কা অথবা গভীর চাপ দিয়ে ঘর্ষণ করে। বিশেষজ্ঞদের মতে যৌনর ঐ অংশটা সংবেদনশীল হয় আর হাল্কা স্পর্শেই কামোত্তেজিত হয়ে উঠে।
মেয়েরা কখনো এক আঙ্গুল আবার কখনো দু,টো দিয়ে ঘর্ষণ করে যৌন আনন্দ প্রাপ্ত করে। হস্তমৈথুন সমাপ্ত হয়ে গেলে পুরুষদের মত মেয়েদের মত মেয়েদের বীর্যপাত হয় না, কিন্তু অধিংকাশ মেয়েরা যৌনির স্রাবের জন্য ভিজে ওঠে।
ভগনাসার ঘর্ষণের সঙ্গে সঙ্গে মেয়েরা যৌনির আশপাশের জায়গাতেও ঘর্ষণ করে আর যৌনির ওপর পায়ের গোড়ালি দিয়ে চাপ দিয়ে ঘর্ষণ চালিয়ে যায়। এভাবে চরমোৎকর্ষে পৌঁছে মেয়েরা সন্তুষ্টি প্রাপ্ত করে। যৌন বিশেষজ্ঞদের মত অনুযায়ী কিছু কিছু মেয়ে নিজের শরীরকে বিভিন্ন মুদ্রায় গতিশীল করে হস্তমৈথুনের আনন্দ প্রাপ্ত করে। যৌন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার
বার্ডেলের মত অনুযায়ী কিছু কিছু মেয়ে মানসিক মৈথুন দ্বারাই যৌন আনন্দ প্রাপ্ত করে। এ সম্পর্কে আরো জানুন