Quantcast
Channel: You searched for চুম্বন | Amar Bangla Post
Viewing all articles
Browse latest Browse all 93

স্বামী স্ত্রীর আদর সোহাগ, আলিঙ্গনের প্রকারভেদ ও নিয়ম

$
0
0

সাধারণতঃ স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে যেভাবে রতিক্রিয়া সম্পাদিত হয়, তাতে বৈচিত্র নেই, কলারূপ নেই, রস সৃষ্টির প্রয়াস নেই। পুরুষ হঠাৎ কামতপ্ত হয়ে স্ত্রী সঙ্গম শুরু করে এবং কিছুক্ষণ পরে বীর্যপাতের ফলে ক্লান্ত ও অবসাদগ্রস্ত হয়ে নিদ্রার কোলে গা ঢেলে  দেয়। হয়তো নিশ্চিত মনে পাশ ফিরে শুয়ে নাক ডাকতে শুরু করলেন। আর অতৃপ্তকামা স্ত্রী তখন এপাশ-ওপাশ করে দীর্ঘশ্বাস করে ফেলতে লাগলেন  ঘন্টার পর  ঘন্টা।  এই একঘেয়ে ব্যাপার চলে  দিনের পর দিন, মাসের পর মাস। এমন কি সারাজীবন ধরে। স্বামী স্ত্রী পরস্পরের দেহের বিভিন্ন কামস্থানগুলো স্পর্শ, দর্শন, মর্দন, চুম্বন,  চোষণ, লেহন ইত্যাদি করে যে কী অপরিসীম আনন্দ লাভ করতে পারে, তা তাঁদের অজানা থেকে যায়।

আলিঙ্গনের বিভিন্ন রূপঃ

নারী পুরুষ পরস্পরকে যে আলিঙ্গন করে তাঁর দ্বারা মিলনের আগে পূর্বরাগ বৃদ্ধি পায়। তাই আলিঙ্গন কাম শাস্ত্রকারীদের ময়তে অতি অবশ্যকীয়। স্বামী স্ত্রী পাশাপাশি শয়ন করার পর স্বামী যখন স্ত্রীর মাথায় হাত বুলিয়ে সোহাগ বচন শোনাতে থাকে, তখন স্ত্রীর মনও ধীরে ধীরে রতিক্রিয়ার জন্য তৈরি হতে থাকে। প্রণয়িনীর নিঃশ্বাসে, তাঁর গাঁয়ের গন্ধে, অঙ্গের কোমল স্পর্শে, তাঁর ছলাকলায় প্রেমিকের স্নায়ু মন্ডলীতে হঠাৎ জেগে উঠে একটা প্রচন্ড উত্তেজনা। মিলন হবার জন্য তাঁর সমস্ত শিরা-উপশিরায় সঞ্চায়িত হয় একটা তীব্র উন্মাদনা। উন্মুক্ত আবেগে অধীর এই পরম মুহূর্তটির জন্য অপেক্ষা করছিল। প্রিয়তমের আলিঙ্গনের মধ্যে সে আত্মসমর্পণ  করে। তারপর দুর্দমনীয় কামাবেগে তাঁরা যেন পরস্পরের দেহের মধ্যে প্রবেশ করতে চায়।

আলিঙ্গনের প্রকারভেদ

যৌনতায় বৈচিত্র আনতে আলিঙ্গনের এই প্রকার ভেদ গুলো কাজে লাগান। এখানে বেশ কয়েকটি আলিঙ্গনের পজিশন আপনাদের জন্য বর্ণনা করা হলোঃ

০১। বৃক্ষাধিরুঢ়ক আলিঙ্গনঃ পুরুষ দাঁড়িয়ে থাকবেন আর স্ত্রী ঠিক গাছে আরোহণ করার মতো তাঁর একটি পা স্বামীর পায়ের উপর এবং অন্য পা দিয়ে স্বামীর উরু বেষ্টন করে ধরবেন। লতা যেভাবে বৃক্ষকে বেস্টন করে, তেমনিভাবে স্ত্রী তাঁর বাহু দু’টি দিয়ে স্বামীর দেহকে জড়িয়ে ধরে ওষ্ঠ চুম্বন করার চেষ্টা করবেন।

০২। তিলতন্তুলক আলিঙ্গনঃ স্বামী ও স্ত্রী নিজ নিজ পার্শদেশের উপর ভর দিয়ে মুখোমুখি শয়ন করবে। যে বামপাশে শোবে সে অপরের ডান কাকালের  নীচে নিজের বাম হাত রাখবে। আর  যে ডান দিকে শোবে, সে করবে এর বিপরীত। তারপর একের উরুর উপর অন্যের উরু এমনভাবে রাখবে যেন যোনি ও লিঙ্গমনির সংস্পর্শে স্থাপিত হয়। দুই দেহ যেন এক হয়ে নিশ্চলভাবে পড়ে থাকে।  যেমনভাবে চালের সাথে তিল মিশে যায়।

০৩। তাললটিক আলিঙ্গনঃ স্বামী-স্ত্রী পাশাপাশি বা উপরে-নীচে অবস্থায় শোয়ে পরস্পরের ওষ্ঠ চুম্বন করে আলিঙ্গন বন্ধন হবেন। তাঁরা একে অপরকে বাহুবন্ধনে আবদ্ধ করে বুকে বুক ঠেকিয়ে গালে গাল ঘসিয়ে,  পরস্পরের চোখের দিকে তাকিয়ে কপাল ঠোকাঠুকি করতে থাকে।  আলিঙ্গন খুব ধীরে ধীরে করতে হবে।

০৪। তঘনোপ আলিঙ্গনঃ স্ত্রী তাঁর বাহু দু’টি দ্বারা দৃঢ়ভাবে নায়কের নিতম্ব বেস্টন করে, নিজের জঘন (তলপেটের নিম্নে দুই উরুর  মধ্যবর্তী স্থান) স্বামীর জঘনের (লিঙ্গের) উপর রেখে নিভিড়ভাবে আলিঙ্গনাবদ্ধ হবেন।

০৫। বিদ্ধক আলিঙ্গনঃ নায়ক অন্যমনস্কভাবে বসে আছে অথবা কোন গভীর চিন্তায় মগ্ন, হঠাৎ স্ত্রী এসে তাঁর পিছনে উপস্থিত।  পিছন দিক থেকেই স্বামীকে জড়িয়ে ধরে স্তনাগ্র দ্বারা তাঁর পিটে দৃঢ়ভাবে চাপ দেবেন। স্বামী দাঁড়িয়ে ওঠে স্ত্রীকে বাহুবন্ধনে বন্ধিনী করে ফেলবেন।

০৬। উরু আলিঙ্গনঃ স্বামী স্ত্রী একে অপরের একটি উরুকে নিজের উরুদ্বয় দ্বারা সাঁড়াসির  মত চেপে ধরবেন।  দু’জনের মধ্যে যার উরু অধিকতর মাংসল, সে-ই হবে প্রবোক্তা। কেননা মাংসল উরুর নিস্পেষণ অতীব সুখদায়ক।

০৭। ক্ষীরনীরক  আলিঙ্গনঃ কোলে উপবিষ্টা অথবা শয্যায় মুখোমুখি শায়িতা স্ত্রীকে স্বামী এমন প্রচণ্ডভাবে জড়িয়ে ধরবেন,  দেখে মন হবে দু;জন একে অপরের দেহের অত্যন্তরে প্রবেশ করতে চান। বাৎস্যায়ন বলেছেন, এই আলিঙ্গনে স্বামী স্ত্রী এরূপ কমোদীপ্তি হন যে, এই প্রচন্ড নিস্পেষ্ণণে তাঁদের হাড় পর্যন্ত ভেঙ্গে যাতে পারে।

চুম্বন

শিশু জন্মগ্রহণ করে সহজাত কাম প্রবৃত্তি নিয়ে। শৈশবে তারব কামচেতনা কেন্দ্রীভূত থাকে মুখে, ঠোঁটে ও জিহ্বায়।  স্তন বা বুড়ো আঙ্গুল চুষে মানব শিশু তাঁর সেই সহজাত কাম প্রবৃত্তি চরিতার্থ করে। যথাসময়ে তাঁর কামচেতনা যৌনাঙ্গে সঞ্চারিত হয় বটে কিন্তু শৈশবের মুখ্য কামকেন্দ্রে থেকে কামচেতনা একেবারে বিলুপ্ত হয় না। যৌবনে মানুষ চুম্বুন দ্বারা শৈশবের সেই রতি সুখের স্বাদ পায়। যাবতীয় শৃঙ্গারের মধ্যে চুম্বনের প্রয়োগই সবচেয়ে বেশি হয়।

নারীদেহে চুম্বনের যে অনেকগুলি স্থান আছে, অনেক স্বামীই তা জানেন না। স্থান গুলো  যথাক্রমে

(১) কপাল।  (২) চুল।  (৩) গাল। (৪) গলা। (৫) স্তন।  (৬) ওষ্ঠ।   (৭) চোখ।  (৮) পেট।  (৯) নাভি। (১০) উরু। (১১) পাছা। (১২) তলপেট। (১২) যোনিপীট।

মর্দন

হাত বুলানো এবং সুড়সুড়ি প্রদান দ্বারাও স্তনদ্বয়, নিতম্ব, উরু প্রভৃতি কামস্থানগুলো উদ্দীপ্ত করা যেতে পারে। মর্দনের স্থানঃ

(১) বাহুযুগল।  (২) স্তন।  (৩) যোনি।  (৪) নাভিদেশ।

চোষণ বা লেহন ইত্যাদি মূলতঃ চুম্বনেরই প্রকারভেদ মাত্র। যেসব অঙ্গ চুম্বন করা যায়, সেগুলো চোষণ ও লেহন করলে পুলকের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। জিহ্বা দ্বারা মুখগহ্বর লেহন বা জিহ্বা চোষণ ইত্যাদিও চুম্বনের অংশ। ঠোঁট কিংবা স্তন বৃত্ত চোষণ করে স্বামী স্ত্রীর-স্ত্রী স্বর্গীয় সুখ পান। লেহন স্থান…

(১) চোখ। (২) গাল। (৩) স্তন। (৪) কাঁধ। (৫) বগল। (৬) স্তনদ্বয়ের মধ্যবর্তী ঢালু জায়গা।  (৭) নাভি।

এরপর পড়ুন >>  শৃঙ্গারে নারীর কেশ ও আদর করার নিয়ম

আমার আগের পোস্ট >> নারীর যোনির ২৮ টি প্রকারভেদ নাম

 

The post স্বামী স্ত্রীর আদর সোহাগ, আলিঙ্গনের প্রকারভেদ ও নিয়ম appeared first on Amar Bangla Post.


Viewing all articles
Browse latest Browse all 93

Trending Articles



<script src="https://jsc.adskeeper.com/r/s/rssing.com.1596347.js" async> </script>