সঙ্গমকালে স্বামীর আঙ্গুলের মাথা দিয়ে স্ত্রীর মলদ্বারের মৃদু ঘর্ষণ করলে স্ত্রীর উত্তেজনা চরমে ওঠে। নারীর যোনি একটি স্থিতিস্থাপক নালী। উত্তেজিত অবস্থায় এতে যে কোন আকৃতির লিঙ্গ যত জোরেই উঠানামা করুক, নারী আনন্দই পায়। কিন্তু এজন্যে নারীকে প্রস্তুত করে নিতে হবে। তার হাতের তালু থেকে নিতম্ব এবং যোনিদ্বার পর্যন্ত সারা দেহে সংবাহন ও উপাচার দিয়ে শিহরিত করতে হবে। তার মাথার চুল থেকে পায়ের তালু পর্যন্ত জাগাতে হবে কামনার আগুন। তার বগলে চুম্বন ও মৃদু চিমটি কাটা কিংবা হালকা কামড় দেয়ায় তার আত্মহারা অবস্থা দেখা দিতে পারে। তার ঘাড়ে এবং কানের লতিতে মৃদু মৃদু কামড় এবং নখের আকড় ও সুঁড়সুড়িঁ দিয়ে দেয়া উচিত। তার ঠোঁট জোড়াকে মাঝে মাঝে চুষতে হবে। কিন্তু তার গালে কামড়ানোর নামে দাগ বসিয়ে দিয়ে তাকে ব্যথা দেয়া এবং লজ্জায় ফেলা অমানবিক।
আরও পড়ুন >> স্ত্রীকে দ্রুত উত্তেজিত করার নিয়ম
পৃথিবীর নারীরা যত বেশি বেপর্দা হবে পুরুষের যৌনবোধ ততই যত্রতত্র এবং অসময়ে জাগবে। জেগে ওঠা যৌনক্ষুধা নিবৃত্তির ব্যবস্থা না পেয়ে পুরুষে যৌন শীতলতাজনক যাবতীয় রকম অপকর্মে লিপ্ত হতে পারে। যৌন মিলনের জন্য হস্তমৈথুন ও পুংমৈথুনের অভ্যস্থ পুরুষ পূর্ণাঙ্গ সক্ষম নয়। তাই নারীর উচিত শুধুমাত্র যৌনমিলনের মূহূর্তে নিজের শরীরের সবকটি অংগ একে একে অনাবৃত করে নেয়া কখনোই হঠাৎ উলঙ্গ হওয়া ঠিক নয়। বরং স্বামীর সামনে প্রথমে ব্লাউজ খুলে ব্রসিয়ার পরে থাকা ভাল। ব্রসিয়ার আঁটসাট বাঁধনে আটক স্তনের দিকে তাকালে স্বামির মনে তীব্র উত্তেজনা জাগবে। তখন স্বামী নিজেই ব্রসিয়ার খুলে নেবে।
নারী যখন চিৎ হয়ে শোবে তখন তার স্তন উপর দিকে উচিয়ে থাকে। যেসব নারীর স্তনগঠন দুর্বল তাদের উচিত নয় বসা বা দাঁড়ানো অবস্থায় ব্রসিয়ার (ব্রা) খোলা। কেননা নেতিয়ে পড়া এবং ঝুলে যাওয়া স্তন দেখে স্বামীর ভাল না লাগার সম্ভাবনাই বেশী। এসব নারী শোয়া অবস্থায় ব্রসিয়ার খুলিলে তাদের স্তনের দিকে তাকিয়ে স্বামীরা ব্বেশ উত্তেজিত হয়।
সঙ্গম আসলে একটি দীর্ঘ সময় সম্পাদন করার প্রক্রিয়া। প্রচুর সময় নিয়ে স্বামী-স্ত্রী পরস্পরকে আসর সোহাগ করবে এবং একে একে পরস্পরের অঙ্গ খুলবে আর ব্যবহার করতে করতে অগ্রসর হবে।
আরও পড়ুন >> স্বামী স্ত্রীর আদর সোহাগ করার নিয়ম ও প্রকারভেদ
প্রত্যেকবারের সঙ্গমক্রিয়ায় পর্যায়ক্রমে স্ত্রী ও স্বামী পরস্পরকে স্পর্শ করবে এবং জড়াজড়ি করবে। তারপর পরস্পরের শরীরে পরস্পরের হাত বুলাতে থাকবে। পর্যায়ক্রমে পরস্পর পরস্পরের বগলে, গালে এবং এভাবে সারা দেহে চুম্বন কামড় চিমটি এসব দিতে থাকবে। তবেই নারীর প্রবল উত্তেজনা জাগবে এবং দ্রুত তা প্রশমিত হতে পারবে।
সঙ্গমের আনন্দের চেয়ে বড় কোন আনন্দ দুনিয়াতে নেই। আবার সঙ্গমের সুখের মত তীব্র কোন সুখ নেই। এরকম পুলক আর কিছুতে অনুভব করা যায় না। এতবড় শিহরণ অন্য কোনভাবে জাগেনা। সঙ্গমে স্বামী স্ত্রী এতই আত্মহারা হয়ে যায় যে, এ সময় দুনিয়ার কোথায় কি ঘটছে, কি আছে না আছে কোন চিন্তা চেতনাই থাকে না । শুধুমাত্র নিজেরা দু’জনে নিজেদের মধ্যে নিজেদেরকে নিয়ে মরে জেতেও রাজি….। সত্যিকার এবং এ একান্ত মরিয়া পুলক শিহরণের মাধ্যমেই ঘটে সফল সংগমের সমাপ্তি।
আরও পড়ুন >> যেভাবে সহবাস করলে মেয়েরা অধিক যৌন সুখ লাভ করে
সঙ্গমের এ পর্যাপ্ত ও পরিপূর্ণ আনন্দ এতই বিপুল যে, এটাকে কোন মানুষই তার জানা ভাষায় প্রকাশ করতে পারে না। শুধুমাত্র বাস্তব সঙ্গমের মাধ্যমেই এ সুখ এ তীব্র আনন্দকে উপলব্ধি করে। (তথ্য রোগ জিজ্ঞাসা)
লেখাটি স্বামী স্ত্রীর মধুর মিলন বই থেকে নেওয়া।
এই বই থেকে আরও পড়ুন…
২১ যৌন উত্তেজনায় বীর্যপাত হলে করনীয়
২৪ পশ্চিমাদের বিকৃত যৌনাচার ও আমাদের মুসলিম সমাজ
২৬ যৌন কেশ পরিস্কার করার সম্পর্কে ইসলামের বিধান
আমাদের মোবাইল ভার্সন থেকে আপনার পছন্দের লেখা গুলো পড়ুন।
লেখাটি আপনার বন্ধুদেরকে পড়াতে শেয়ার করুণ।
The post নারীর কামতৃপ্তি যেভাবে প্রশমিত হয় appeared first on Amar Bangla Post.