Quantcast
Channel: You searched for চুম্বন | Amar Bangla Post
Viewing all articles
Browse latest Browse all 94

যখন স্ত্রী পবিত্র হবে তখন তার সঙ্গে সহবাস করা বৈধ

$
0
0

মাসআলাঃ- ১৭. যখন স্ত্রী পবিত্র হবে তখন তার সঙ্গে সহবাস করা বৈধ।

স্ত্রীর কপালে চুম্বন করার দৃশ্য

স্ত্রী যখন হায়েয হতে পবিত্র হবে এবং রক্ত বন্ধ হয়ে যাবে তখন শুধু রক্তের স্থানকে ধৌত করার পর অথবা অযু করার পর অথবা গোসল করার পর তার সঙ্গে সহবাস করা স্বামীর জন্য বৈধ। অর্থাৎ কোন একটি করলেই তার সঙ্গে সহবাস করা বৈধ।[1] পূর্বে উল্লেখিত আল্লাহর বাণীর প্রেক্ষিতে—

“তারা যখন পবিত্রতা অর্জন করবে তখন তোমরা তাদের নিকট আগমন করো যেভাবে আল্লাহ তোমাদের আদেশ দিয়েছেন। নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলা তাওবাকারীদেরকে ও পবিত্রতা অর্জনকারীদেরকে ভালবাসেন।” (সূরা আল-বাকারাহ ২২২)

আপনি পড়ছেনঃ বাসর রাতের আদর্শ বই থেকে।


[1]  আর  তা ইবনু হাযমের মাযহাব যা স্বীয় গ্রন্থে (১০/৮১) পৃষ্ঠা রয়েছে। তিনি আতা ও কাতাদাহ থেকে বর্ণনা করেছেন। তারা বলেন, যখন ঋতুবর্তী পবিত্রতা লক্ষ্য করবে, তখন সে তার লজ্জাস্থান ধৌত করবে এবং তার স্বামী তার সঙ্গে সহবাস করবে। আর এটাই আওযায়ীর মাযহাব। যেমন বিদায়াতুল মুজতাহিদে (১/৪৪) পৃষ্ঠা রয়েছে। ইবনু হাযম বলেন, আমি আতা থেকে বর্ণনা করেছি যে, যখন মহিলা পবিত্রতা হওয়া দেখে ও অযু করে তাহলে তার স্বামীর জন্য তার সঙ্গে সহবাস করা বৈধ। এটা আবূ সুলাইমান ও আমাদের সকল সাথীদের কথা। আর যা আতা থেকে উল্লেখ করা হয়েছে তা ইবনু আবী শাইবাহ মুসান্নাফে এর (১/৬৬) পৃষ্ঠায় রয়েছে। আর ইবনুল মুনজির, মুজাহিদ ও আতা থেকে বর্ণনা করেছে তারা বলেন,

আরবী…

(যদি সে পবিত্রতার লক্ষণ দেখে তাহলে পানি দ্বারা পবিত্রতা অর্জন করাতে কোন দোষ নেই। আর তার স্বামী তার সঙ্গে গোসল করার পূর্বে সহবাস করতে পারে। শাওকানী তাকে (১/২০২) পৃষ্ঠা উল্লেখ করেছেন। হাফিয ইবনু কাসীর (১/২৬০) পৃষ্ঠায় বলেছেনঃ

আরবী…..

[আর উলামাগণ ঐক্যমত হয়েছেন যে, মহিলার যখন হায়েয বন্ধ হয়ে যায় তখন গোসল করার পূর্বে তার সঙ্গে সহবাস করা বৈধ হবে না। অথবা যদি গোসল ক্ষতি করে তাহলে তায়াম্মুম করে নিবে। কিন্তু আবু হানিফা (রাঃ) বলেন, যদি হায়েযের রক্ত সীমার বেশী সময়ে বন্ধ হয়, আর তার নিকট সময়সীমা হচ্ছে দশদিন, তাহলে শুধুমাত্র রক্ত বন্ধ হওয়াতে সে হালাল হয়ে যাবে এবং সে গোসলের মুখাপেক্ষী না।

আমি বলব, উল্লেখিত ঐক্যমত সহীহ নয়। যখন আমি তিন বড় প্রসিদ্ধ তাবিঈ আলেম মুজাহিদ, কাতাদাহ ও আতা থেকে জানতে পারলাম যে, তারা স্ত্রীর সাথে গোসল করার পূর্বে সহবাসের বৈধতার কথা বলেছেন। সুতরাং ঐক্যমত কিভাবে ঠিক হবে অথচ তারা তাদের বিপরীত? আর এ ব্যাপারে জ্ঞানীর জন্য উপদেশ রয়েছে, সে যেন কষ্ট পাওয়ার কারণে দ্রুত কোন বস্তুত প্রতি ঐক্যমতের দাবী না করে। আর তাকে যেন দ্রুত সত্য প্রতিপন্ন না করে। বিশেষ করে যখন তা সুন্নাত বা দলীলে শারঈ এর বিপরীত হবে। অতঃপর ইবনু কাসীর আবূ হানিফা থেকে যা বর্ণনা করেছেন অন্যরাও তার কাছে থেকে প্রতিবাদ স্বরূপ তা বর্ণনা করেছেন। ইবনু হাযম তার গুণ বর্ণনা করতে গিয়ে বলেছেন,

আরবী…

তার কথার চেয়ে কোন কথা অধিক প্রত্যাখ্যাত নয়। কেননা সে মূলত কোন দলীল ছাড়াই বাতিলের প্রতি ফায়সালা করেছেন। আর আমি আবূ হানিফার পূর্বে ও তার পরে এমন কথা কেউ বলেছেন বলে জানি না।

আর ইমাম কুরতবী (৩/৭৯) পৃষ্ঠা বলেছেনঃ আরবী…(এটা এমন এক ফায়সালা যার কোন দলীল নেই)

এজন্য জনাব রশীদ রেযা বলেছেন, আরবী….>> এটা দূর্লভ ব্যাখ্যা।

আর তার কারণ হচ্ছে আল্লাহ তা’আলা মহিলাদের পবিত্র হওয়ার জন্য শর্ত করেছেন যে, তারা পবিত্রতা অর্জন করবে। আর তা হলো পানি ব্যবহার করা। তা তাদের হায়েয থেকে পবিত্র হওয়ার ক্ষেত্রে বেশি। সুতরাং এই শর্তকে অথবা ১০ দিনের পূর্বে রক্ত বন্ধ হয়ে যাওয়ার সাথে তাকে খাস করার মাধ্যমে বাতিল করে দেয়া বৈধ নয়। বরং এটা আবূ হানিফার স্বতন্ত্র রায়। সুতরাং মুতলাক আয়াতের বিরোধিতার কারণে আমাদের তা গ্রহণ করা বৈধ নয়। যেমন সহীহভাবে বর্ণনা করা হয়েছে আবূ হানীফা (রহঃ) বলেছেনঃ

আরবী….

কারও জন্য আমাদের মত গ্রহণ করা বৈধ হবে না যতক্ষণ পর্যন্ত সে না জানতে পারে আমরা তা কোথা থেকে গ্রহণ করেছি। কেননা আমরা এমন মানুষ আজকে এক কথা বলি এবং আগামীকাল তা থেকে প্রত্যাবর্তন করতে হয়।)

সুতরাং তার মত গ্রহণ করা আমাদের জন্য কিভাবে বৈধ হবে অথচ আমরা প্রমাণের সাথে তার মতের বিরোধিতা জানতে পেরেছি?

অতঃপর আপনি জেনে রাখুন, আমাদেরকে ইখতেয়ার বা স্বাধীনতা দেয়া হয়েছে যে, (সে রক্ত ধৌত করবে বা অযু করবে, অথবা গোসল করবে) কেননা (আরবী…) এর নাম এই তিনটি বস্তু প্রত্যেকটির উপর পতিত হয়। ইবনু হাযম (রহঃ) বলেছেনঃ

আরবী……

(অযু মতভেদ ছাড়াই পবিত্রতা অর্থে ব্যবহৃত হয় এবং লজ্জাস্থান পানি দ্বারা বৈধ করাও পবিত্রতা অর্থে ব্যবহার হয় ও সমস্ত শরীর ধৌতকরণ পবিত্রতা অর্থে ব্যবহৃত হয়। সুতরাং যে কোন মাধ্যমে ঐ মহিলা পবিত্রতা দেখার পর পবিত্র অর্জন করে তাহলে আমাদের জন্য তার সঙ্গে সহবাস করার বৈধ হবে।)

আর দ্বিতীয় অর্থের ন্যায় যা লজ্জাস্থানকে পানি দ্বারা বৈধ করা, সেই অর্থে আল্লাহর এই আয়াত অবতীর্ণ হয়েছে,

আরবী……

(অবশ্য সে মসজিদে যার ভিত্তি রাখা হয়েছে তাকওয়ার উপর প্রথম দিন থেকে, সেটিই তোমরা দাঁড়াবার স্থান। সেখানে রয়েছে এমন লোক যারা পবিত্রতাকে ভালবাসে। আর আল্লাহই পবিত্র লোকদের ভালবাসে।) (সূরা আত-তাওবাহ ১০৮)

নিশ্চয় তা থেকে পায়খানা পবিত্রতা অর্জনকারীদের উদ্দেশ্য। অবশ্য সহীহ সূত্রে বর্ণিত হয়েছে, এই আয়াতটি যখন অবতীর্ণ হয় রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম কুবাবাসীকে বলেন,

আরবী……..

নিশ্চয় আল্লাহ পবিত্রতা অর্জন করার ব্যাপারে তোমাদের উত্তম প্রশংসা করেছেন, তোমাদের মসজিদের ঘটনার মাধ্যমে। সুতরাং এই পবিত্রতা কি যার দ্বারা তোমরা পবিত্রতা অর্জন করো? তারা বললো, হে আল্লাহর রাসূল! আমরা তা জানি না, কিন্তু ইয়াহুদীরা আমাদের প্রতিবেশী তারা পায়খানার সময় তাদের নিতম্বসমূহকে পানি দ্বারা বৈধ করতো। অতঃপর আমরাও ধৌত করি তারা যেমন ধৌত করেছে। তিনি বললেন, এটাই তা, সুতরাং তোমরা তাকে ধরে রাখো) হাদীসটিকে হাকিম ও যাহাবী সহীহ বলেছেন।

আর আয়েশার হাদীসের মধ্যে (আরবী) শব্দটি হুবহু এই অর্থে ব্যবহার হয়েছে নিশ্চয় জনৈক মহিলা নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম-কে হায়েযের গোসল সম্পর্কে জিজ্ঞেস করল? অতঃপর তাকে আদেশ করলেন, কিভাবে সে গোসল করবে। তিনি বললেনঃ

আরবী…

তুমি সুগন্ধির একটি নেকড়া লও এবং তার দ্বারা পবিত্রতা অর্জন কর। সে বলল, কিভাবে পবিত্রতা অর্জন করব? নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, সুবহানআল্লাহ তুমি পবিত্রতা অর্জন কর। অতঃপর আমি তাকে আমার কাছে টেনে নিলাম এবং বললাম, তা রক্তের দাগে লাগাও। বুখারী (১/২২৯-২৩০) ও মুসলিম (১/১৮৯) পৃষ্ঠা এবং অন্যরা বর্ণনা করেছেন।

মোট কথা আল্লাহর বাণীঃ আরবী…

কে কেবলমাত্র গোসলের সাথে কোন প্রমাণ তাকে কাস করে না। আয়াতটি মুতলাক বা ব্যপক অর্থে ব্যবহারিত, তা পূর্বের তিনটি অর্থকে শামিল করে। সুতরাং পবিত্র অর্জনকারিণী যেটিই গ্রহণ করবে সে তার স্বামীর জন্য হালাল হয়ে যাবে। আর আমি এই বিষয় সম্পর্কে হ্যাঁ বোধক বা না বোধকভাবে কোন হাদীস দেখি না কেবল ইবনে আব্বাস এর হাদীস ব্যতীত যা মারফু সূত্রে বর্ণনা করা হয়েছে।

আরবী…..

যখন তোমাদের কেউ তার স্ত্রীর সঙ্গে হায়েযের রক্তের সময় সহবাস করে, সে যেন এক দিনার বা এক স্বর্ণ মুদ্রা সাদাকাহ করে। আর যদি গোসলের পূর্বে পবিত্র অবস্থায় সহবাস করে, তাহলে যেন অর্ধ দিনার সাদাকাহ করে)।

কিন্তু হাদীসটি যঈফ। তার মধ্যে আবদুল কারীম বিন আবিল মাখারিক আবু ইমাইয়া রয়েছেন। সে ঐক্যমতভাবে যঈফ। আর যে ব্যক্তি তাকে আবদুল কারীম জাযারী আবূ সাঈদ হুররানী মজবুত রাবী মনে করে ভুল করল। যেমন তাকে আমি সহীহ সুনানে আবি দাউদ এর ২৫৮ নম্বরে আলোচনা করেছি। অতঃপর হাদীসটির মাতানে এমন মতানৈক্য আছে যা দলীল গ্রহণ করাতে বাঁধা দেয়, যদিও তার সানাদ সহীহ  হয়। সুতরাং কিভাবে হবে অথচ এটা যঈফ?

The post যখন স্ত্রী পবিত্র হবে তখন তার সঙ্গে সহবাস করা বৈধ appeared first on Amar Bangla Post.


Viewing all articles
Browse latest Browse all 94

Trending Articles



<script src="https://jsc.adskeeper.com/r/s/rssing.com.1596347.js" async> </script>