পৃথিবীর ও সুখ সম্ভারে কোন জিনিসের অভাব নেই। কিন্তু জম্মের পরে কে কি পেয়েছে, সেটা তো প্রত্যেকের ভাগ ও ভাগ্য বোনটি আমার!
কেউ খায় দুধে চিনি, কারো শাকে বালি,
কারো বস্তা বস্তা টাকা, কারো হাত খালি।
কেউ কারো ভাগ্য গড়ে দিতে পারে না এবং কেউ কারো ভাগ্য ছিনিয়ে নিতেও পারে না। কোন দম্পতির অবস্থা সোনায় সোহাগা। কারো অবস্থা কাকের ঠোঁটে আঙ্গুরের মত।
মেঘের কোলে সৌদামিনী বোনটি আমার! জীবনটা এমনই, আরবীতে কাউকে ‘কেমন কাটছে?’ জিজ্ঞাসা করলে উত্তরে অনেকে বলে, য়্যাউমুন আসাল অ য়্যাউমুন বাস্বাল’। অর্থাৎ, একদিন মধু, একদিন পিঁয়াজ। বাংলায় বলা হবে, ‘একদিন মধু , একদিন কদু’। এই ভাবেই প্রায় মানুষের জীবন কাটে। কখনো হাতি কখনো মশা, কখনো হয় দুর্দশা। ‘কোন দিনই হায় পোহাবে না যাহা তেমন রাত্রি নাই’।
‘নূতন প্রেমে নূতন বধূ, আগাগোড়া কেবল মধু, পুরাতনে অম্লমধুর একটু ঝাঁঝালো’।
তোমার ক্ষেত্রে যে তাঁর ব্যতিক্রম হবে, তা নাও হতে পারে।
ধৈর্য ধর। ‘ধীর পানিতে পাথর কাটে’। স্বাম্মির আপদে-বিপদে, রোগে-শোকে ও অভাবে ধৈর্য ধারণ কর। যদিও তুমি ভাগ্যদোষে সেই মহিলা, যে বলে,
মরমে লুকানো কত দুঃখ
ঢাকিয়া রয়েছি মান মুখ,
কাঁদিবার নাই অবসর
কথা নাই শুধু ফাটে বুক’।
তবুও তোমাকে বীরের মত বলতে হবে, ‘পথের কাটা মানব না, হৃদয়-ব্যথায় কাঁদব না’।
‘আমি ভয় করব না, ভয় করব না
দু’বেলা মরার আগে মরব না না ভাই মরব না।
তরীখানা বাইতে গেলে,
মাঝে মাঝে তুফান মেলে-
তাই বলে হাল ছেড়ে দিয়ে কান্নাকাটি করব না’।
স্বামীর সাথে বাস কজরতে করতে টকঝক কার না হয়? তা বলে সামান্য কথায় ‘তালাক দাও, আমি তোমার ভাত খাব না, আমি মায়ের গর চলে যাব, আমার পোড়া কপাল!’
ইত্যাদি বলে এত বড় আঘাত সৃষ্টি করা তোমার উচিত নয়।
যেমন উচিত নপয়, সামান্য কথায় নাকে কাদা, হা-হুতাশ করা।
অকারণে তালাক নেওয়া মুনাফিক মেয়ের গুণ। এমন মেয়ের জন্য জান্নাতের সুগন্ধও হারাম।(সিলসিলাহ সহীহাহ ৬৩২, সহগীহুল জামে, ২৭০৬ নং)
জান্নাতলোভী বোনটি আমার! আপদে-বিপদে, রোগে-অসুখে ধৈর্য ধারণ কর।
আত্বা ইবনে আবী রাবাহ হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা ইবনে আব্বাস (রাঃ) মাকে বললেন, ‘আমি কি তোমাকে একটি জান্নাতী মহিলা দেখাব না!,
আমি বললাম, ‘হ্যাঁ!’ তিনি বললেন, ‘এই কৃষ্ণকায় মহিলাটি নবী (সাঃ) এর নিকট এসে বলল যে, আমার মৃগী রোগ আছে, আর সে কারণে আমার দেহ থেকে কাপড় সরে যায়। সুতরাং আপনি আমার জন্য দুআ করুণ’। তিনি বললেন, “তুমি যদি চাও, তাহলে সবর কর, এর বিনিময়ে তোমার জন্য জান্নাত রয়েছে। আর যদি চাও, তাহলে আমি তোমার রোগ নিরাময়ের জন্য আল্লাহর নিকট দুআ করব”। স্ত্রীলোকটি বলল, ‘আমি সবর করব’।
অতঃপর সে বলল, ‘(রোগ উঠার সময়) আমার দেহ থেকে কাপড় সরে যায়, সুতরাং আপনি আল্লাহর কাছে দুআ করুণ, যেন আমার দেহ থেকে কাপড় সরে না যায়’। ফলে নবী (সাঃ) তাঁর জন্য দুআ করলেন। (বুখারী-মুসলিম)
একটু খেয়াল করে দেখ, রোগে ধৈর্য ধরব, জান্নাত নেব, তবে বেপর্দা হব না। তুমি কি ঐ মহিলার মত হতে চাও, নাকি সেই মহিলার মত, যে সর্দি লাগ্লে অথবা গা গরম হলেই শিঙ্গার করে ডাক্তার খানা ছুটে?
সুখ-হারানো বোনটি আমার! জীবনে কিছু পেতে হলে, কিছু দিতে হয়, কিছু লাভ করতে গেলে, কিছু হারাতে হয়। দুনিয়ার এ রীতি বড় চিরন্তর। তা বলে ঢেউ দেখে তুমি নাও ডুবিয়ে দিও না। ‘তুফানে ছেড়ো না হাল, নৌকা হবে বানচাল’। ‘ঢেউ দেখে যে ভয় পাবে না, অকূল পারে নে যাই তারে’।
আমরা প্রত্যেকেই জীবনে চাই। আর সেই চাওয়া থেকে আমাদের সমস্যা বৃদ্ধি পায়।
কে চাওয়ার মত পাওয়া পেয়েছে বল?
‘পাওয়ার মতন পাওয়া যারে কহে,
সহজ বলেই সহজ তাহা নহে
দৈবে তারে মেলে’।
যদি চাওয়ার মত পাওয়া না পেয়ে থাক, তাহলে ধৈর্য ধারণ কর।
ধৈর্য দুই প্রকারঃ বাঞ্চিত জিনিস না পাওয়ার বা হাত ছাড়া অনুতাপে ধৈর্য এবং অবাঞ্চিত জিনিস গ্রহন করতে বাধ্য হওয়ার অনুতাপে ধৈর্য। উভয়ে ক্ষেত্রেই ধৈর্য অপরিহার্য।
ধৈর্য তিন প্রকারঃ আল্লাহর আদেশ পালনে ধৈর্য, তাঁর নিষেধ বর্জনে ধৈর্য এবং তাঁর তকদীরের বালা-মুসীবতের উপর ধৈর্য। এই তিন প্রকারই ধৈর্যধারণ করা তোমার জন্য ফরজ। স্বামী যদি সত্যই অবুঝ ও অত্যাচারী হয়, তাহলে ধৈর্য ধর। সে যদি তাঁর নিজের হক করায়-গন্ডায় আদায় করে নেয় এবং তোমার হক আদায় না করে, তাহলে ধৈর্য ধর।
বুঝিয়ে, আত্মীয়কে সালিস মেনেও যদি না পার, তা হলে তুমি যথানিয়মে স্বামীর হক আদায় কর এবং তোমার নিজের হক আল্লাহর কাছে চেয়ে নাও।
ঐ দেখ না, রাজা অত্যাচার করলে আমাদের কে কি করতে হবে তাঁর নির্দেশ দিয়ে মহানবী (সাঃ) বলেন, “তোমরা আমার পরে (শাসকগোষ্ঠীর অবৈধভাবে) প্রাধান্য দেওয়ার কাজ দেখবে এবং এমন অনেক কাজ দেখবে, যেগুলোকে তোমরা মন্দ জানবে”। সাহাবাগোণ জিজ্ঞসা করলেন, ;হে আল্লাহর রসূল! আপনি (সেই অবস্থায়) আমাদের কে কি আদেশ দিচ্ছেন?’ তিনি বললেন, “তোমাদের যে অধিকার আদায় করার দায়িত্ব তোমাদের আছে, তা তোমরা আদায় করবে এবং তোমাদের যে অধিকার, তা তোমরা আল্লাহর কাছে চেয়ে নেবে”।(বুঝারী-মুসলিম)
নিপীড়ির বোনটি আমার! দুর্বল শক্তিহীনের ধৈর্য ছাড়া আর কি উপায় আছে বল।
ঐ দেখ পুলিশ এসে খামাখা অত্যাচার করে, বিনা দোষে গালাগালি করে, উর্দির গরমে মানীকেও হেনস্থা করে। তখন কি করার আছে বল? মনে মনে পারলে ক্ষমা করে দিও।
নচেৎ হিসাব পাওয়ার আশা রেখো হিসাবের দিন।
তুমি হয়তো বলবে, আল্লাহ কি নারীকে এত ছোট করে সৃষ্টি করেছেন?
না, বোনটি আমার! কেউ যদি বড়কে সম্মান না দেয়, তাহলে সে ছোট হয়ে যায় না। কিন্তু তুমি যথার্থ মর্যাদা পেতে কি করবে বল? আমি মানলাম, তোমার দোষ নেই। বিনা দোষে সে যদি তোমার প্রতি অত্যাচার করে, তাহলে সে হয় পাগল, না হয় অত্যাচারী। আর যদি তোমার ছোট খাট দোষ থাকে, কিন্তু সে বড় শাস্তি দেয়,
তাহলে তাঁর জন্য তুমি কি করতে পার? তুমি যে তাঁর মুখাপেক্ষিণী!
সে গালাগালি করলে, তুমিও গালাগালি করে প্রতিশোধ নেবে?
সে তোমার গায়ে হাত তুললে, তুমিও তাঁর গায়ে হাত তুলবে? আর তাহলে তো আগুন বেড়ে যাবে? সে তোমাকে তালাক দেবে? আর তাহলেই তো সব খেলাই সাঙ্গ।
থানা-পুলিশ করবে? নারী-নির্যাতন কেস দেবে? মহিলা সংগঠন দ্বারা তোমার স্বামীকে শায়েস্তা করবে? তাতে কি তোমার অধিকার ফিরে আসবে? শক্তির জোর দেখিয়ে অথবা ভয় দেখিয়ে স্বামীর ভাত পেতে পার, কিন্তু ভালবাসা তো পাবে না।
সুতরাং সবার চাইতে ধৈর্য ধরাই কি শ্রেষ্ট পথ নয় বোনটি ?
বিমাতা বিষের ঘর। সেখানে যদি তুমি অত্যাচারিতা হও, পিতার কাছে বিচার না পাও, তাহলে ধৈর্য ধর।
শ্বশুর-শাশুড়ী ও শ্বশুর বাড়ি যেমনই হোক সব কিছুর ব্যাপারে ধৈর্য ধর।
এমন শাশুড়ীও হতে পারে, যার শাসনে সময় মত খেতে পাও না, পছন্দ মত পরতে পাও না। যে তোমাদের স্বামী – স্ত্রীর ভালবাসা দেখে ঈর্ষায় ফেটে পড়ে বলে, ‘কথায় বলে দিনে ভাশুর, রাতে পুরুষ। কিন্তু আজকাল সব ঢেটা।(প্রশংসার সুরে) আমার অমুক ছেলে খুব ভালো। বউকে সব সময় লাল চোখে দেখে, আর রাত ছাড়া কাছ ঘেঁসতে দেয় না!’ পরন্ত নিজের বেটি-জামায়ের অনুরূপ প্রেম-বৈঠক দেখে অপরকে গর্বের সাথে বলে, ‘আমার জামাই আমার মেয়েকে খুব ভালবাসে!’
এমন শাশুড়ী হতে পারে, যে তোমাকে মাপা খাবার দেয়! মাপার ছোট সরা ভেঙ্গে গেলে বড় সরায় ভাত পাওয়ার আশায় তোমার আনন্দ লক্ষ্য করে যে বলে, ‘ছোট সরাটি ভেঙ্গে গেছে বড় সরাটি আছে, নাচ কোদ বউ হাতের আন্দাজ আছে!’
যে শাশুড়ী তোমাকে বসতে সময় দেয় না। যে নিজের মেয়েকে বসিয়ে রেখে তোমাকে দাসীর মত নাকে দড়ি দিয়ে খাটায়। যার অবস্থা বলে, ‘বসবি তো ছেলে ধর, উঠবি তো কাঠ কাট’।
যেখানে স্বামী নিষ্ক্রিয়! যেখানে তুমি নীরবে ব্যথা সও।
‘নিভৃত প্রাণের নিবিড় ছায়ায় নীরব নীড়ের’ পরে,
কথাহীন ব্যথা একা একা বাস করে’।
দুঃখ-কষ্টের মাঝে একদিন তোমার জয় অবধার্য। মহান আল্লাহ ধৈর্যশীল বান্দাদের কে সুসংবাদ দিয়েছেন।
‘ধাইল প্রচন্ড ঝড় বাধাইল রণ-
কে শেষে হইল জয়ী? মৃদু সমীরণ’।
কোন কষ্ট যদি তোমার নিজের দোষের কারণে হয়, তাহলে তুমি নিজেকে সংশোধন কর।
‘মিছে কান্নায় কি ফল আর,
যাতে না ভোগ পুনঃপুনঃ তারই উপায় কর সার’।
‘সবুরেতে মেওয়া ফলে, উতলায় কি ফল ফলে, থাকতে হয় লো কাদায় চলে গুণ ফেলে’।
ধৈর্যশীলা বোনটি আমার! আঘাত ভুলার অভ্যাস থাকলে সুখলাভ বড় সহজ।
স্বার্থপরেরা যদি তোমার উপর টেক্কা দিতে চায়, তাহলে তা তুচ্ছজ্ঞান করে বাতিল কর। শোধ নেওয়ার দরকার নেই। যখন শোধ নেওয়ার চেষ্টা করবে, তখন দেখবে, তাঁর ক্ষতি করার চাইতে তুমি নিজেরই ক্ষতি করে বসছ।
খবরদার! কারো নিকট হতে কৃতজ্ঞতা পাওয়ার আশা করো না। তুমি যদি সুখী হতে চাও, তাহলে কৃতজ্ঞতা বা অকৃতজ্ঞতার কথা ভুলে যাওয়া ভালো। আর দান করার আনন্দেই দান করা উচিত।
আমাদের যা আছে তাঁর কথা আমরা কদাচিতই ভেবে থাকি, বরং অধিকাংশ সময় চিন্তা করি যা আমাদের নেই তাঁর কথা। আর তাঁর জন্যই আমরা মনে কষ্ট পাই।
জ্ঞানী বোনটি আমার! তোমার কি নেই তা নিয়ে দুশ্চিন্তা করো না; বরং তোমার যা আছে তা নিয়ে চিন্তা কর। হয়তো দেখবে, তোমার যা আছে তা, যা নেই তাঁর তুলনায় অনেক বেশী।
জীবনে যা পেয়েছ, তারই হিসাব কর, যা পাওনি তাঁর নয়। তাহলেই দেখবে তোমার মনে শান্তি বিরাজ করছে এবং অন্তরের অন্তস্তল থেকে মহান আল্লাহর শুকর বের হয়ে আসছে।
দুঃখ পেলে ধৈর্য ধর, সুখ পেলে বন্টন কর। স্বামীর অনুমতি নিয়ে তোমার বোন, জা, প্রতিবেশিনী প্রভৃতির মাঝে যথাসম্ভব তোমার সুখ ভাগ করে দাও, আনন্দ পাবে।
যে শুধু নিজের কথা ভাবে, সে জীবনে কিছুই পায় না; সে বড় দুঃখী। পক্ষান্তরে অন্যের উপকার যে করে, সে জীবনকে পরিপূর্ণ উপভোগ করতে পারে।
সুখ হল চুম্বনের মত, যা অংশীদার ছাড়া বাস্তবায়ন হয় না।
সুখকে সুখ তখনই মনে হবে, যখনই তা কাউকে একাই সহ্য করতে হবে।
আর অপরের সুখ দেখে হিংসা করো না, নিজেকে হেয় মনে করো না। ‘পরের দেখে তুলো হাই, যা আছে তাও নাই’।
সুখ-কাঙ্গালিনী বোনটি আমার! পরের সংসারকেই বেশী সুখী মনে হয়। পরের স্বামীকে বেশি ভাল মনে হয়। দূরবর্তী সম্ভাবনাকে মানুষ অনেক বেশি উজ্জ্বল মনে করে।
‘নদীর এ পার কহে ছাড়িয়া নিশ্বাস,
ও পারেতে সর্বসুখ আমার বিশ্বস।
নদীর ও পার বসি দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে-
কহে, যাহা-কিছু সুখ সকলেই ও পারে’।
দূরে থেকে সরষে ক্ষেত ঘন লাগে। সুতরাং যে যেখানে থাকে, তাকে তাঁর পরিবেশ নিয়েই সন্তুষ্ট থাকা দরকার।
‘বনের পাখি বলে, আকাশ ঘন নীল কোথাও বাঁধা নাই তাঁর,
খাঁচায় পাখি বলে, খাঁচাটি পরিপাটি কেমন ঢাকা চারিধার।
বনের পাখি বলে, আপনা ছেড়ে দাও মেঘের মাঝে একেবারে,
খাঁচার পাখি বলে, নিরালা সুখ কোণে বাঁধিয়া রাখো আপনারে।
বনের পাখি বলে, না, সেথা কোথায় উড়িবারে পাই?
খাঁচার পাখি বলে, হায়! মেঘে কোথা বসিবার ঠাই?’
এক সুন্দরী স্ত্রী তাঁর কুশ্রী স্বামীকে বলল, আমি আশা করি, আমরা উভয়েই জান্নাতবাসী হব, তা কি করে বলতে পার? বলল, কারণ তুমি আমার মত সুন্দরী স্ত্রী পেয়ে শুকর করছ। আর আমি তোমার মত কুশ্রী স্বামী পেয়ে ধৈর্য ধারণ করছি। আর শুকরকারী ও ধৈর্যশীল উভয়ই জান্নাতবাসী হবে!
সুখ-সিংহাসনে অধিষ্ঠাত্রী বোনটি আমার! হিংসুকের হিংসায় ধৈর্য ধারণ কর। কেউ যদি তোমার পর্দা, বোরকা বা পরহেযগারী নিয়ে টিটকারি করে, তাহলে ধৈর্য ধর। আর এই সব ক্ষেত্রে একটি কথা স্মরণে রেখো, মনে সান্ত্বনা পাবে- ‘হাথী চলতা রহেঙ্গা, কুত্তা ভুতকা রহেঙ্গা। আরো পড়ুন