স্বামী-স্ত্রীর মাঝে কত রকমের যৌন – রহস্য আছে, প্রেম-রহস্য আছে।
কত আনন্দ আছে, কত তৃপ্তি আছে। কিন্তু সেই তৃপ্তির কথা অপরের কাছে বলে কোন কোন মহিলা অধিক তৃপ্তি লাভ করে। কেউ গায় নিজ স্বামীর যৌনশক্তির আতিশয্যের কথা, আবার কেউ গায় নিজ স্বামীর যৌন – দুর্বলতা বা অক্ষমতার কথা। অথচ মহিলা তার এই তৃপ্তিরস উদগিরণে অবিবাহিতা আর একজন সখীর চরিত্র খারাপ করে। অনেক রহস্যে কোন কোন যুবতী পুরুষদের ব্যাপারে কুধারণা পায়।
অনেক মহিলার মনে তার স্বামীর গুপ্ত প্রেম বাসা বাঁধে।মিলনে স্বামীর প্রশংসা করলে নিজের ক্ষতি করা হয়। পক্ষান্তরে দুর্নাম করলে তাকে অন্য মহিলা ও তাদের স্বামীদের নিকট তাকে ছোট করা হয়। আর কোনটাই স্ত্রীর জন্য উচিত নয়। যেমন স্বামীরও উচিত নয়, স্ত্রীর রহস্য বন্ধু-মহলে প্রকাশ করা।
মহানবী (সাঃ) বলেছেন, “কিয়ামতের দিন মানের দিক থেকে আল্লাহর নিকট নিকৃষ্টতম মানুষ সেই ব্যক্তি, যে স্ত্রী-সহবাস করে এবং স্ত্রী স্বামী-সহবাস করে অতঃপর সে তার (স্ত্রীর) রহস্য প্রচার করে বেড়ায়।”(মুসলম)
আসমা বিন্তে য়্যাযীদ (রাঃ) বলেন, একদা আমি আল্লাহর রসূল (সাঃ)-এর কাছে ছিলাম, আর তার সেখানে অনেক পুরুষ ও মহিলাও বসেছিলেন। তিনি বললেন, “সম্ভবতঃ কোন পুরুষ নিজ স্ত্রীর সাথে যা করে তা (অপরের কাছে) বলে থাকে এবং সম্ভবতঃ কোন মহিলা নিজ স্বামীর সাথে যা করে তা(অপরের নিকট) বলে থাকে?” এ কথা শুনে মজলিসের সবাই কোন উত্তর না দিয়ে চুপ থেকে গেল।
আমি বললাম, ‘জী হ্যাঁ। আল্লাহর কসম, হে আল্লাহর রসূল! মহিলারা তা বলে থাকে এবং পুরুষরাও তা বলে থাকে।’ অতঃপর তিনি বললেন, “তোমরা এরূপ করো না। যেহেতু এমন ব্যক্তি তো সেই শয়তানের মত, যে কোন নারী-শয়তানকে রাস্তায় পেয়ে সঙ্গম করতে লাগে, আর লোকেরা তার দিকে চেয়ে চেয়ে দেখে।”(আহমাদ, ইবনে শাইবাহ, আবূ দাঊদ, বাইহাক্কী) সূত্রঃ আদর্শ নারী , আরো পড়ুন