Quantcast
Channel: You searched for চুম্বন | Amar Bangla Post
Viewing all 93 articles
Browse latest View live

প্রশ্ন: কি কি কারণে রোজা ভেঙ্গে যায়?

$
0
0

রোজা ভেঙ্গের যাওয়ার কারণপ্রশ্ন: (৪১৩) কি কি কারণে রোজা ভেঙ্গে যায়? 

উত্তর: সিয়াম ভঙ্গকারী বিষয়গুলো হচ্ছে নিম্নরূপঃ

ক) স্ত্রী সহবাস।

খ) খাদ্য গ্রহণ।

গ) পানীয় গ্রহণ।

ঘ) উত্তেজনার সাথে বীর্যপাত করা।

ঙ) খানা-পিনার অন্তর্ভুক্ত এমন কিছু গ্রহণ করা। যেমন সেলাইন ইত্যাদি।

চ) ইচ্ছাকৃতভাবে বমি করা।

ছ) শিঙ্গা লাগিয়ে রক্ত বের করা।

জ) হায়েয বা নেফাসের রক্ত প্রবাহিত হওয়া।

উল্লিখিত বিষয়গুলোর দলীল নিম্নরূপঃ

সহবাস ও খান-পিনা সম্পর্কে আল্লাহ বলেন,

“অতএব,এক্ষণে তোমরা (সিয়ামের রাত্রেও) তাদের সাথে সহবাস করতে পার এবং আল্লাহ তোমাদের জন্য যা লিপিবদ্ধ করেছেন তা অনুসন্ধান কর এবং প্রত্যুষে (রাতের) কাল রেখা হতে (ফজরের) সাদা রেখা প্রকাশিত হওয়া পর্যন্ত তোমরা খাও ও পান কর; অতঃপর রাত্রি সমাগম পর্যন্ত তোমরা সাওম পূর্ণ কর।”[সূরা আল-বাকারাহ, আয়াত: ১৮৭]

উত্তেজনার সাথে বীর্যপাত সাওম ভঙ্গের কারণ। দলীল, হাদীসে কুদসীতে আল্লাহ তা‘আলা সাওম আদায়কারীর উদ্দেশ্যে বলেন, “সে খানা-পিনা ও উত্তেজনা পরিত্যাগ করে আমারই কারণে।”[1] উত্তেজনার সাথে বীর্যপাত করার ক্ষেত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

“স্ত্রী সঙ্গমেও তোমাদের জন্য সাদকার সাওয়াব রয়েছে। সাহাবীগণ (আশ্চর্য হয়ে) জিজ্ঞেস করলেন: হে আল্লাহর রাসূল! আমাদের একজন তার উত্তেজনার চাহিদা মেটাবে, আর এতে সাওয়াবের হকদার হবে এটা কেমন কথা? তিনি জবাবে বললেন, তোমরা কি মনে কর, সে যদি এ কাজ কোনো হারাম স্থানে করত তবে পাপের অধিকারী হত না? তেমনি হালাল স্থানে ব্যবহার করার কারণে অবশ্যই সে পুরস্কারের অধিকারী হবে।”[2] আর উত্তেজনার চাহিদা মেটানোর মাধ্যম হচ্ছে স্ববেগে বীর্য নির্গত হওয়া। এজন্য বিশুদ্ধ মত হচ্ছে, মযী[3] বের হলে সিয়াম বিনষ্ট হবে না, যদিও তা উত্তেজনা, চুম্বন ও স্পর্শ করার কারণে হয়।

খানা-পিনার অন্তর্ভুক্ত এমন কিছু গ্রহণ করা সাওম ভঙ্গের কারণ। যেমন, খানা-পিনার অভাব পূর্ণ করবে এরকম সেলাইন গ্রহণ করা। কেননা ইহা যদিও সরাসরি খানা-পিনা নয় কিন্তু ইহা খানা-পিনার কাজ করে এবং তার প্রয়োজন মেটায়। একারণেই তো ইহা দ্বারা শরীরের গঠন প্রকৃতি ঠিক থাকে, খানা-পিনার অভাব অনুভব করে না।

কিন্তু খানা-পিনার কাজ করে না এরকম ইন্জেকশন গ্রহণ করলে সাওম ভঙ্গ হবে না। চাই উহা শিরার মধ্যে প্রদান করা হোক বা পেশীতে বা শরীরের যে কোনো স্থানে।

ইচ্ছাকৃত বমি করা। অর্থাৎ বমির মাধ্যমে পেটের মধ্যে যা আছে তা মুখ দিয়ে বাইরে বের করা। আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

«مَنْذَرَعَهُالْقَيْءُفَلَيْسَعَلَيْهِقَضَاءٌوَمَنِاسْتَقَاءَعَمْدًافَلْيَقْضِ»

“যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে বমি করবে সে যেন সাওম কাযা আদায় করে। কিন্তু অনিচ্ছাকৃত যার বমি হয় তার কোনো কাযা নেই।”[4] এর কারণ হচ্ছে, মানুষ বমি করলে তার পেট খাদ্যশুন্য হয়ে যায়। তখন তার এ শুন্যতা পূরণের প্রয়োজন পড়ে। এ কারণে আমরা বলব, সিয়াম ফরয হলে কোনো মানুষের বমি করা জায়েয নয়। কেননা বমি করলে তার ফরয সিয়াম বিনষ্ট হয়ে যাবে। তবে অসুস্থতার কারণে অনিচ্ছাকৃতভাবে বমি হলে সাওম নষ্ট হবে না।

শিঙ্গা লাগানো। অর্থাৎ শিঙ্গা লাগানোর মাধ্যমে শরীর থেকে রক্ত বের করা। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, أَفْطَرَ الْحَاجِمُ وَالْمَحْجُومُ“যে ব্যক্তি শিঙ্গা লাগায় ও যার শিঙ্গা লাগানো হয় উভয়ের সাওম ভঙ্গ হয়ে যাবে।”[5]

হায়েয বা নিফাসের রক্ত প্রবাহিত হওয়া। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নারীদের সম্পর্কে বলেন, أَلَيْسَ إِذَا حَاضَتْ لَمْ تُصَلِّ وَلَمْ تَصُمْ“সে কি এমন নয় যে, ঋতুবতী হলে সালাত পড়ে না ও সাওমওরাখে না?”[6]

উল্লিখিত বিষয়গুলো নিম্নলিখিত তিনটি শর্তের ভিত্তিতে সাওম ভঙ্গের কারণ হিসেবে গণ্য হবে”

  • জ্ঞান থাকা।
  • স্মরণ থাকা।
  • ইচ্ছাকৃতভাবে করা।

প্রথম শর্ত: জ্ঞান থাকা। অর্থাৎ উক্ত বিষয়ে লিপ্ত হওয়ার ব্যাপারে শরী‘আতের বিধান সম্পর্কে জ্ঞান থাকা অথবা সিয়ামের জন্য যে সময় নির্দিষ্ট সে সম্পর্কে অজ্ঞ থাকা।

যদি শরী‘আতের বিধান সম্পর্কে অজ্ঞ থাকে তবে তার সিয়াম বিশুদ্ধ হবে। কেননা আল্লাহ বলেন, ﴿رَبَّنَالَاتُؤَاخِذنَآإِننَّسِينَآأَوأَخطَأنَا﴾ [البقرة: ٢٨٦]  “হে আমাদের রব আমরা যদি ভুলে যাই বা ভুলক্রমে কোনো কিছু করে ফেলি, তবে আমাদের পাকড়াও করবেন না।” [সূরা আল-বাকারাহ, আয়াত: ২৮৬] আল্লাহ বলেন, আমি তাই করলাম। আল্লাহ আরো বলেন,

﴿وَلَيۡسَعَلَيۡكُمۡجُنَاحٞفِيمَآأَخۡطَأۡتُمبِهِۦوَلَٰكِنمَّاتَعَمَّدَتۡقُلُوبُكُمۡۚ﴾ [الاحزاب: ٥]

“ভুলক্রমে তোমরা যা করে ফেল সে সম্পর্কে তোমাদের কোনো গুনাহ্ নেই। কিন্তু তোমাদের অন্তর যার ইচ্ছা করে তার কথা ভিন্ন।” [সূরা আল-আহযাব, আয়াত: ৫]

সুন্নাহ থেকে সিয়ামের ক্ষেত্রে বিশেষ দলীল হচ্ছে, সহীহ হাদীসে আদী ইবন হাতেম রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি সাওম রাখার উদ্দেশ্যে শেষ রাতে উট বাঁধার দু‘টো রশী বালিশের নীচে রেখে দিলেন। একটি কালো রঙের অন্যটির রং সাদা। এরপর খানা-পিনা করতে থাকলেন। যখন স্বাভাবিক দৃষ্টিতে সাদা ও কালো রশী চিনতে পারলেন তখন খানা-পিনা বন্ধ করলেন। সকালে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দরবারে গিয়ে বিষয়টি উল্লেখ করলে তিনি তাকে বললেন, কুরআনের আয়াতে সাদা ও কালো সুতা বলতে আমাদের পরিচিত সূতা বা রশী উদ্দেশ্য নয়। এ দ্বারা উদ্দেশ্য হচ্ছে, সাদা সুতা বলতে দিনের শুভ্রতা (সুবহে সাদেক বা ফজর হওয়া) আর কালো সূতা বলতে রাতের অন্ধকার উদ্দেশ্য। কিন্তু নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে সিয়াম কাযা আদায় করার আদেশ করেন নি।[7] কেননা বিষয়টি সম্পর্কে তিনি ছিলেন অজ্ঞ। ভেবেছিলেন এটাই আয়াতের অর্থ।

আর সিয়ামের জন্য যে সময় নির্দিষ্ট সে সম্পর্কে অজ্ঞ থাকলেও তার সিয়াম বিশুদ্ধ। দলীল: সহীহ বুখারীতে আসমা বিনতে আবু বকর রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, “আমরা একদা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের যুগে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকার কারণে ইফতার করে নিয়েছিলাম। তার কিছুক্ষণ পর আবার সূর্য দেখা গিয়েছিল।” কিন্তু নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদেরকে উক্ত সিয়ামের কাযা আদায় করার আদেশ করেন নি। কেননা কাযা আদায় করা ওয়াজিব হলে তিনি অবশ্যই সে আদেশ প্রদান করতেন। আর সে আদেশ থাকলে আমাদের কাছেও তার বর্ণনা পৌঁছতো। কেননা আল্লাহ বলেন, ﴿إِنَّانَحۡنُنَزَّلۡنَاٱلذِّكۡرَوَإِنَّالَهُۥلَحَٰفِظُونَ٩﴾ [الحجر: ٩]  “নিশ্চয় আমি যিকির অবতীর্ণ করেছি আর আমিই তার সংরক্ষণকারী।” [সূরা আল-হিজর, আয়াত: ৯] অতএব, প্রয়োজন থাকা সত্বেও যখন এক্ষেত্রে কোনো বর্ণনা পাওয়া যায় না, তাই বুঝা যায় যে, তিনি তাদেরকে এর কাযা আদায় করার নির্দেশ প্রদান করেন নি। অতএব, অজ্ঞতাবশতঃ দিন থাকতেই পানাহার করে ফেললে তার কাযা আদায় করা ওয়াজিব নয়। জানার সাথে সাথে পানাহার থেকে বিরত থাকবে এবং দিনের বাকী অংশ সিয়াম অবস্থায় অতিবাহিত করবে।

অনুরূপভাবে কোনো লোক যদি খানা-পিনা করে এ ভেবে যে এখনও রাত আছে- ফজর হয় নি। কিন্তু পরে জানলো যে সে ফজর হওয়ার পরই পানাহার করেছে, তবে তার সিয়াম বিশুদ্ধ হবে। তাকে কাযা আদায় করতে হবে না। কেননা সে ছিল অজ্ঞ।

দ্বিতীয় শর্ত: স্মরণ থাকা। অর্থাৎ সে যে সাওম রেখেছে একথা ভুলে না যাওয়া। অতএব, সাওম রেখে ভুলক্রমে কোনো মানুষ যদি খানা-পিনা করে ফেলে, তবে তার সিয়াম বিশুদ্ধ এবং তাকে কাযা আদায় করতে হবে না। কেননা আল্লাহ বলেন, ﴿رَبَّنَالَاتُؤَاخِذۡنَآإِننَّسِينَآأَوۡأَخۡطَأۡنَاۚ﴾ [البقرة: ٢٨٦]   “হে আমাদের রব আমরা যদি ভুলে যাই বা ভুলক্রমে কোনো কিছু করে ফেলি, তবে আমাদের পাকড়াও করবেন না।” [সূরা আল-বাকারাহ, আয়াত: ২৮৬] আল্লাহ বলেন, আমি তাই করলাম। আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

«مَنْنَسِيَوَهُوَصَائِمٌفَأَكَلَأَوْشَرِبَفَلْيُتِمَّصَوْمَهُفَإِنَّمَاأَطْعَمَهُاللَّهُوَسَقَاهُ»

“যে ব্যক্তি সাওম রেখে ভুলক্রমে পানাহার করে, সে যেন তার সিয়াম পূর্ণ করে। কেননা আল্লাহই তাকে খাইয়েছেন ও পান করিয়েছেন।”[8]

তৃতীয় শর্ত: ইচ্ছাকৃত করা। অর্থাৎ সাওম আদায়কারী নিজ ইচ্ছায় উক্ত সাওম ভঙ্গের কাজে লিপ্ত হবে। অনিচ্ছাকৃতভাবে হলে তার সিয়াম বিশুদ্ধ হবে চাই তাকে জোর জবরদস্তী করা হোক বা না হোক। কেননা বাধ্য করে কুফুরীকারীকে আল্লাহ বলেন,

﴿مَنكَفَرَبِٱللَّهِمِنۢبَعۡدِإِيمَٰنِهِۦٓإِلَّامَنۡأُكۡرِهَوَقَلۡبُهُۥمُطۡمَئِنُّۢبِٱلۡإِيمَٰنِوَلَٰكِنمَّنشَرَحَبِٱلۡكُفۡرِصَدۡرٗافَعَلَيۡهِمۡغَضَبٞمِّنَٱللَّهِوَلَهُمۡعَذَابٌعَظِيمٞ١٠٦﴾ [النحل: ١٠٦]

“যার ওপর জবরদস্তী করা হয়েছে এবং তার অন্তর বিশ্বাসে অটল থাকে সে ব্যতীত যে কেউ বিশ্বাসী হওয়ার পর আল্লাহতে অবিশ্বাসী হয় এবং কুফুরীর জন্য মন উম্মুক্ত করে দেয় তাদের ওপর আপতিত হবে আল্লাহর গযব এবং তাদের জন্যে রয়েছে শাস্তি।” [সূরা আন-নাহাল, আয়াত: ১০৬] বাধ্য অবস্থায় কুফুরীতে লিপ্ত হওয়ার পাপ যদি ক্ষমা করা হয়,তবে তার নিম্ন পর্যায়ের পাপে বাধ্য হয়ে লিপ্ত হলে ক্ষমা হওয়াটা অধিক যুক্তিযুক্ত। তাছাড়া হাদীসে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত হয়েছে তিনি বলেন,

«إِنَّاللَّهَوَضَعَعَنْأُمَّتِيالْخَطَأَوَالنِّسْيَانَوَمَااسْتُكْرِهُواعَلَيْهِ»

“নিশ্চয় আল্লাহ তা‘আলা আমার উম্মতের ভুল ক্রমে করে ফেলা এবং আবশ্যিক বিষয় করতে ভুলে যাওয়া ও বাধ্য অবস্থায় করে ফেলা পাপ ক্ষমা করে দিয়েছেন।”[9]

এভিত্তিতে কারো নাকে যদি ধুলা ঢুকে পড়ে এবং তার স্বাদ গলায় পৌঁছে ও পেটের ভিতর প্রবেশ করে, তবে তার সাওম ভঙ্গ হবে না। কেননা সে এটার ইচ্ছা করে নি।

অনুরূপভাবে কাউকে যদি সাওম ভঙ্গ করতে জবরদস্তি করা হয় আর সে বাধ্য হয়ে সাওম ভঙ্গ করে ফেলে, তবে তার সিয়াম বিশুদ্ধ। কেননা সে অনিচ্ছাকৃতভাবে একাজ করেছে।

এমনিভাবে ঘুমন্ত ব্যক্তির স্বপ্নদোষ হলে, তার সিয়ামও বিশুদ্ধ। কেননা সে ছিল ঘুমন্ত, ইচ্ছাও ছিল না তার একাজে। কোনো ব্যক্তি যদি স্ত্রীকে তার সাথে সহবাস করতে বাধ্য করে এবং স্ত্রী বাধ্যগত হয়ে সহবাসে লিপ্ত হয়, তবে তার (স্ত্রীর) সিয়াম বিশুদ্ধ। কেননা একাজে তার কোনো এখতিয়ার ছিল না।

একটি মাসআলা: খুবই সতর্ক থাকা উচিৎ। কোনো মানুষ যদি রামাযানে দিনের বেলায় স্ত্রী সহবাসে লিপ্ত হয়, তবে নিম্নলিখিত পাঁচটি বিধান তার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবেঃ

  • সে গুনাহগার হবে।
  • দিনের বাকী অংশ তাকে সিয়াম অবস্থায় কাটাতে হবে।
  • তার উক্ত সিয়াম বিনষ্ট হবে।
  • তাকে কাযা আদায় করতে হবে।
  • কাফ্ফারা আদায় করতে হবে।

সহবাসে লিপ্ত হলে কি ধরণের কাফফারা দিতে হবে এ সম্পর্কে জানা থাক বা নাজানা থাক কোনো পার্থক্য নেই। অর্থাৎ কোনো ব্যক্তি রামাযানের দিনের বেলায় স্ত্রী সহবাসে লিপ্ত হলো(সাওমও তার ওপর ফরয)[10] কিন্তু তার এ জ্ঞান নেই যে, একাজ করলে তাকে এত কাফফারা দিতে হবে, তবুও তার ওপর উল্লিখিত বিধানসমূহ প্রযোজ্য হবে। কেননা সে ইচ্ছাকৃতভাবে সাওম ভঙ্গ করেছে। আর ইচ্ছাকৃতভাবে সাওম ভঙ্গের কাজে লিপ্ত হলে, তার ওপর যাবতীয় বিধান প্রযোজ্য হবে। আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত। জনৈক ব্যক্তি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট এসে বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আমি ধ্বংস হয়ে গেছি। তিনি বললেন, “কিসে তোমাকে ধ্বংস করল?” সে বলল, রামাযানের সাওম রেখে আমি স্ত্রী সহবাস করে ফেলেছি। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে কাফফারা আদায় করার আদেশ করলেন।[11] অথচ লোকটি জানতো না যে তাকে কাফফারা দিতে হবে কি হবে না।

আমরা বলেছি, তার ওপর সাওম ফরয। অর্থাৎ সে মুসাফির নয় নিজ গৃহে মুক্বীম হিসেবে অবস্থান করছে। যদি সফরে থেকে কোনো ব্যক্তি সাওম ভঙ্গ করে এবং স্ত্রী সহবাস করে তবে কাফফারা দিতে হবেনা। কেননা সফর অবস্থায় সাওম রাখা ফরয নয়। সাওম ভঙ্গ করা ও রাখার ব্যাপারে সে স্বাধীন। তবে ভঙ্গ করলে পরে কাযা আদায় করতে হবে।

[1]ইবন মাজাহ, অধ্যায়: সিয়াম, অনুচ্ছেদ: ছিয়ামের ফযীলত।

[2]সহীহ মুসলিম, অধ্যায়: যাকাত, অনুচ্ছেদ: প্রত্যেক সৎকাজকে সাদকা বলা হয় তার বর্ণনা।

[3]মযী, স্ত্রী শৃঙ্গার করার কারণে বা যে কোনোভাবে উত্তেজিত হলে লিঙ্গের আগায় যে আঠালো পানি বের হয় তাকে আরবীতে মযী বলা হয়। এতে অযু আবশ্যক হয় গোসল নয়।

[4]আবু দাঊদ, অধ্যায়: সিয়াম, অনুচ্ছেদ: ইচ্ছাকৃত বমি করা। তিরমিযী, অধ্যায়: সিয়াম, অনুচ্ছেদ: ইচ্ছাকৃতভাবে বমি করার বর্ণনা।

[5]বুখারী সনদ বিহীন মুআল্লাক বর্ণনা করেন। অধ্যায়: সিয়াম, অনুচ্ছেদ: সিয়ামদারের শিঙ্গা লাগানো ও বমি করা। তিরমিযী, অধ্যায়: সিয়াম, অনুচ্ছেদ: সিয়ামদারের শিঙ্গা লাগানো ঠিক না।

[6]সহীহ বুখারী, অধ্যায়: হায়েয, অনুচ্ছেদ: ঋতুবতীর সিয়াম পালন না করা; সহীহ মুসলিম, অধ্যায়: ঈমান, অনুচ্ছেদ: নেক কাজ কম হলে ঈমানও কমে যায়।

[7]সহীহ বুখারী, অধ্যায়: সিয়াম, অনুচ্ছেদ: আল্লাহর বাণী, ‘প্রত্যুষে (রাতের) কালো রেখা হতে (ফজরের) সাদা রেখা প্রকাশিত হওয়া পর্যন্ত তোমরা খাও ও পান কর।’;সহীহ মুসলিম, অধ্যায়: সিয়াম, অনুচ্ছেদ: ফজর উদিত হলেই সিয়াম শুরু হয়ে যাবে।

[8]সহীহ বুখারী, অধ্যায়: সিয়াম, অনুচ্ছেদ: ভুলক্রমে পানাহার করা; সহীহ মুসলিম, অধ্যায়: সিয়াম, অনুচ্ছেদ: ভুলক্রমে পানাহার করলে সিয়াম ভঙ্গ হবে না।

[9]ইবন মাজাহ, অধ্যায়: তালাক, অনুচ্ছেদ: ভুল ক্রমে এবং বাধ্য করে তালাক।

[10]অর্থাৎ- সিয়াম ভঙ্গের বৈধ কোন কারণ তার সামনে নেই। যেমন সে সফরেও নয়, অসুস্থও নয়।

[11]সহীহবুখারী, অধ্যায়: সিয়াম, অনুচ্ছেদ: রামাযানে দিনের বেলায় স্ত্রী সহবাস করলে; সহীহ মুসলিম, অধ্যায়: সিয়াম, অনুচ্ছেদ: সিয়ামদারের রামাযানের দিনে স্ত্রী সহবাস কঠোরভাবে হারাম।

-বিষয়ঃ সাওম

The post প্রশ্ন: কি কি কারণে রোজা ভেঙ্গে যায়? appeared first on Amar Bangla Post.


কি ভাবে সহবাস করতে হয়?

$
0
0

এই লেখাটি যারা নব-বিবাহিত বা বিবাহ করতে যাচ্ছেন তাদের জন্য অবশ্যই পাঠ্য একটি লেখা। এখানে যৌন কার্যের কিছু গাইড লাইন তুলে ধরা হয়েছে। আশা করি আপনারা উপকৃত হবে।


amitumi_love-againপ্রশ্নঃ কি করে সহবাস করতে হয়?

প্রশ্নঃ কিভাবে সহবাস করতে হয়?

প্রশ্নঃ কিভাবে সেক্স করতে হয়?


উত্তরঃ যারা নতুন বিয়ে করতে যাচ্ছেন সে সমস্ত যুবক যুবতীদের মনে এই প্রশ্ন গুলো ঘুর-পাক খেতে থাকে। তাঁরা চিন্তিত থাকে কি ভাবে কি করতে হয়। এ নিয়ে অনেকেই আবার ভীত হয়ে থাকে। সবচেয়ে ভীত থাকে মেয়েরা। আমাদের কাছে গত মাসে এক যুবতী মেয়ে ম্যাসেজ দিয়ে এসম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। তিনি আমাদেরকে এও জানিয়েছেন তিনি নাকি তাঁর বিবাহিত বান্ধবীর কাছে যৌন সম্পর্কে জানতে চাইলে তাঁর বান্ধবী তাকে সেক্স ভিডিও দেখার পরামর্শ দিয়েছেন। আমার এলাকার একটি ভদ্র পরিবারের মেয়ের মোবাইল আসে ইন্টারনেট সংক্রান্ত সমস্যার কারণে। মেয়েটিও খুব ভদ্র। আমি যখন তাঁর মোবাইলের ব্রাউজার ইতিহাস চেক করি তখন দেখতে পায় তিনিও সেক্স ভিডিও খোঁজ করছেন। প্রশ্ন হচ্ছে  আসলেই কি সেক্স ভিডিও যৌন শিক্ষার মাধ্যম? উত্তর হচ্ছে না। আপনি সেক্স ভিডিও দেখে কখনও সুস্থ সেক্স জ্ঞান অর্জন করতে পারবেনা। বরং সেক্স ভিডিও গুলো আপনাকে অসভ্যতা আর সীমাহীন নোংরামী শিখাবে এবং স্বামী স্ত্রীর মনের ভিতরে এক প্রকারের হতাশা তৈরী করে তুলবে। বিস্তারিত দেখুন এখানে। সেক্স ভিডিও তে যা দেখানো হয় তাঁর ৮০% ভাগই ধোঁকা-প্রতারণা।   এবং অনেক হারাম কাজ দেখানো হয়। তাঁর মধ্যে আছে আবার জঘন্য কাজ কর্ম ও শরীয়ত বিরোধী কাজ যা ইসলাম কখনো সমর্থন করে না। যেমন নারীর মলদ্বার দিয়ে সেক্স করা। এটি ইসলামে সম্পূর্ণ হারাম।( বিস্তারিত দেখুন ) তাঁর মধ্যে আরো আছে নারীর মুখে লিঙ্গ প্রবেশ করিয়ে যোনিপথের ন্যায় সেক্স করা। এটি কি   সুস্থ যৌন আচরণ হতে পারে? এক কথায় এটি অসভ্য ও বিকৃত যৌন  আচরণ। এ সম্পর্কের পোস্ট  গুলো দেখুন এখানে। তাঁর পরে আছে নারী পুরুষের লিঙ্গ চোষে উত্তেজিত করা এবং পুরুষ নারীর যোনি চোষে উত্তেজিত করা। এসম্পর্কেও আমাদের একটি পোস্ট আছে এখানে দেখুন। তাঁর পরে আছে যৌন কার্য করার পরে নারীর মুখে বীর্যপাত করা। আপনি এটিকে কি বলবেন? এদের মতো নিকৃষ্ট ব্যক্তি আর কি কেউ হতে পারে? এদের কর্মকান্ড দেখলে আমার মনে  হয়, এরা যা করে শয়তান তা কল্পনাও করে না। সেক্স ভিডিও তে আরো দেখানো পুরুষের অনেক বড় ও মোটা লিংগ এবং সে পুরুষ দীর্ঘক্ষণ সেক্স করে যেতে সক্ষম। আর নারী যৌন সুখে কাতর হয়ে নানান রকম উচ্চস্বরে শব্দ করে। এসব দেখে যখন আমাদের দেশের নারী পুরুষ যৌন মিলন করতে যায় তখন তাদের মনে অসুন্তুষ্ট দেখা দেয়। আসলে সেক্স ভিডিও গুলো তৈরী করা হয় চলচিত্রের মতই। এখানে বাস্তবীক অর্থে তেমন কিছু নেই। এখানে আছে মাস্টার এডিটিং ও মেকাপ। এখানে তাঁরাও অভিনেতা ও অভিনেত্রী। তাদের মধ্যে যারা ভালো কাজ করতে পারে তাদের পর্ণ স্টার বলা হয়।  তাই আমার দৃষ্টিতে সেক্স ভিডিও সুস্থ যৌন শিক্ষার মাধ্যম হতে পারে না। তাই একে আমাদের পরিহার করা উচিত। এখন আসি আপনি  কিভাবে যৌন কার্য সম্পাদন করবেন। যৌন কার্যের শুরুতেই স্বামী স্ত্রী একে অপরকে আলিঙ্গণ করবেন। বিস্তারিত দেখুন এখানে। তারপর স্ত্রীর ঠোঁট, কপাল, ঘাড়, স্তনে চুম্বন করবেন। স্তনে চুম্বন করার নিয়ম দেখুন এখানেস্ত্রীকে দ্রুত উত্তেজিত করার নিয়ম দেখুন এখানে। আরো দেখুন সহবাসের সূচনা তে। স্ত্রী উত্তেজিত হয়ে গেলে যোনিপথে লিঙ্গ প্রবেশ করি সহবাস করা শুরু করুন।(যোনিপথ দেখুন এখানে) আস্তে ধীরে লিঙ্গ প্রবেশ করান এবং বাহির করার। সম্পূর্ণ লিঙ্গ বাহির করবেন না। স্ত্রী চাইলে এটি আপনি জোরে জোরেও করতে পারেন যাকে বলা হয় রাফ সেক্স। তবে এটি বিবাহের প্রাথমিক অবস্থায় করবেন না। বিস্তারিত দেখুন এখানে।  সহবাসের বিভিন্ন আসন আছে। দেখুন এখানে। সহবাসের কাজ শেষ হলে ফরয গোসল করে নিবেন। এসম্পর্কে জানতে দেখুন এখানে। আশা করি আপনি আমাদের এই পোস্ট থেকে যৌন শিক্ষার প্রাথমিক ধারণা গুলো পেয়েছেন। যৌন সম্পর্কে নানান বিষয় জানতে আপনি আমাদের সেক্স বই গুলো পড়ুন এবং আমাদের যৌন শিক্ষা পেইজে চলে আসুন। এখানেই আছে যৌন সম্পর্কিত হাজারো উপকরণ। এটি আমাদের ব্লগের পেইজ। ফেসবুকের নয়।

লেখকঃ সৈয়দ রুবেল (প্রধানঃ আমার বাংলা পোস্ট)

লেখাটি আপনার বন্ধুদেরকে পড়াতে এটিকে শেয়ার করুন।

সতর্কতাঃ আমরা লক্ষ্য করছি যে আমাদের লেখা সমূহ কপি করে বিভিন্ন ফেসইবুক পেইজ ও নিউস সাইট এবং ব্লগে আমাদের অনুমতি ব্যতিত প্রকাশ করা হচ্ছে । এটি করা থেকে বিরত থাকুন এবং বাংলাদেশের আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হোন। আমাদের কপিরাইট নীতি দেখুন। আশা করি আপনার জন্মগত ফাউন্ডেশন ঠিক থাকলে এ কাজটি করা থেকে বিরত  থাকবেন।

The post কি ভাবে সহবাস করতে হয়? appeared first on Amar Bangla Post.

সেক্স করার নিয়ম

$
0
0

সেক্স করার নিয়মদাম্পত্য জীবন শুরু হয় বিবাহের পর প্রথম মিলনের শুভরাত্রিতে। শুভরাত্রির প্রথম মিলন যেন আনন্দের ও তৃপ্তির হয় সেজন্য প্রত্যেক নব-বধূকে এব্যাপারে জ্ঞান অর্জন করা উচিত।

অনেকে ভেবে থাকে যে প্রথম মিলন থেকে জন্ম নিরোধক ব্যবস্থা নিয়ে সম্ভোগে ব্রতী হওয়া উচিত। কেননা যেহেতু কম ম্বয়সের বর-বধূ। তাঁরা আপন অঙ্গের ক্রিয়া সম্পাদনে পূর্ণরূপে সমর্থ। তাই গর্ভ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।

যৌন মিলনের অর্থ যে কেবল সন্তান লাভ তা নয়, এর মধ্যে থেকে স্বর্গীয় সুখ লাভ করা যায়। কারণ সংসারের যাবতীয় সুখের মধ্যে কামসুখ হলো অন্যতম। প্রথম মিলনের সময় যদি এই ভয় থাকে যে সম্ভোগের পর বধূ নিশ্চিতভাবে গর্ভবতী হবে তাহলে প্রথম মিলনের মধুরক্ষণের সমস্ত রোমাঞ্চই নষ্ট হয়ে যাবে।

বর-বধূ শুভ মিলনের রাতে এমন কোন খারাপ পোশাক পরবে না যা একে প্ন্যের প্রতি ঘৃণার সৃষ্টি করতে পারে। অধিকাংশ স্ত্রী সারাদিন ঘর গৃহস্থলীর কাজে  ব্যস্থ থাকে। নিজের বেশ ভূষার দিকে নজর দেওয়ার অবসর থাকে না। রাতে ঐ বিধ্বস্ত চেহারা নিয়ে স্বামীর সামনে এসে হাজির হয়। সে একবারও ভাবে না, তা চেহারার বিবর্ণতা দেখে তাঁর স্বামীর মনে বিতৃষ্ণার সৃষ্টি হতে পারে। স্বামী এমন ধারার স্ত্রীর সঙ্গে সম্ভোগ করে বটে, কিন্তু সেই মিলনে সুখ থাকে না। এক্ষেত্রে ধীরে ধীরে স্ত্রীর সঙ্গে সম্ভোগের ইচ্ছা স্বামীর মন থেকে দূরীভুত হয়ে যায়।

অতএব প্রত্যেক রমণীকে কয়েকটি কথা জেনে রাখতে হবে, রাতে স্বামির পাশে শুতে যাওয়ার আগে নিজেকে ভালো করে পরিস্কার করে নেবে। শীতকাল হলে তোয়ালে বা গামছা দিয়ে নিজের সারা অঙ্গ মুছে ফেলতে হবে। তারপর হালকা প্রসাধনে নিজেকে সুবাসিত করে তুলবে। সুগন্ধি পাউডার, আতর বা সেন্ট ব্যবহার করলে নিজের গায়ের ঘামেওর গন্ধ যেমন দূর হয়ে যাবে তেমনি স্বামীও তাঁর প্রতি আকৃষ্ট হবে। পান বা এলাচ মুখে দিলে শ্বাসের দুর্গন্ধ বিতাড়িত হবে। এর ফলে চুম্বনের সময় বেশী আনন্দ পাওয়া যায়।

এক কথায় বলা যায় যে, যৌন মিলন হলো একটি শিল্পকলা। একে নিখুঁত ভাবে না সাজালে দাম্পত্য জীবনে অভিশাপ নেমে আসবে। মিলনের দ্বারা নব বর-বধূ একে অপরের কাছে স্বীকার করে যে, শারীরিক দিক থেকে তাঁরা এক হয়ে গেছে। আজ থেকে ওদের জীবনে কিছুই গোপন থাকবে না। ওরা আজীবন পরস্পরকে বিশ্বাস করবে এবং কিছুই গোপন করবে না।

প্রথম মিলনের জন্য এমন স্থান নির্ধারণ করা উচিত যা নিরিবিলি জায়গা হবে। ঐ স্থানের আশপাশ যেন সম্ভোগের প্রতি রুচি এবং আকর্ষণ আনে। সম্ভোগের জন্য যে খাট রাখা হবে সেখানে যেন পরিস্কার বিছানা থাকে।

সব ঋতুতে স্ত্রী ও পুরুষের মধ্যে ক্লামের আবেগ হয় না। বসন্ত ঋতুতে বাতাস বয় সুশীতল, নানারকম ফুলে চারদিক রঙ্গীন হয়ে ওঠে। তখন মনের বাতাবরণে এক মাদকতার সৃষ্টি হয়। এই মাদকতার স্বামী-স্ত্রীর মনের মধ্যে কাম ইচ্ছা জাগিয়ে তোলে। আবার বর্ষাকালে আকাশে কালো মেঘের ঘনঘটার সাথে সাথে বৃষ্টির রিমঝিম ধ্বনি শুনতে শুনতে কামক্রিয়া মেতে ওঠে মন। গ্রীম্মকালে সারাদিনের ক্লান্তির পর ঠান্ডা পূবালি বাতাসের ছোঁয়ায় মন তখন ছুটে যায় স্ত্রী বা পুরুষের প্রতি। আবার শীতকালে স্বামী-স্ত্রী নিজে থেকেই ঠান্ডা দূর করার জন্য পরস্পরকে জড়িয়ে ধরে এবং কামলীলায় মেতে ওঠে।

যৌন ক্রিয়ায় স্ত্রীরা হয় লজ্জাশীলা ও সংকোচপূর্ণ। তাঁরা নিজের মুখে কিছু প্রকাশ করে না। সম্ভোগের জন্যে পুরুষ যখন তাঁর আগ্রহ প্রকাশ করে তখন স্ত্রী চুপ করে থাকে। পুরুষ তখন তাঁর মনে সম্ভোগের বাসনা জাগিয়ে তোলে। আলিঙ্গণ ও চুম্বনের মাধ্যমে পুরুষ তাঁর স্ত্রীকে কামতাড়িত করে তোলে।

রমণীর শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে কাম বাসনা লুকিয়ে থাকে। তাদের শরীরে কিছু এমন স্থান আছে যেখানে হাত স্পর্শ করলে, মর্দন বা চুম্বন করলে স্ত্রী সহজেই সম্ভোগ জন্যে উদ্গ্রীব হয়ে ওঠে। স্ত্রীর স্তন পুরুষের সম্ভগের প্রেরণা। উরু ওবং নিতম্বে হাত বোলালে কামের উদ্রেক হয়। ঠোঁট, গাল, স্তন চুম্বন করলে স্ত্রী ও পুরুষ উভয়ের জন্য আনন্দদায়ক হয়।

স্তনে মর্দন করলে স্তনের বোঁটা এবং স্তনে কঠিনতা আসে। স্তনের বোঁটা মুখে নিয়ে চুষলে স্ত্রী নিজে থেকেই কাম প্লাবনে মেতে ওঠে। স্ত্রী যখন পুরুষের বুকে ঘষা খায় তখন স্ত্রীর শরীরে কামের তরঙ্গ উঠতে থাকে আর স্ত্রী সম্ভোগের জন্য অধীর হয়ে ওঠে।

শরীরের কামাবেগের তরঙ্গ উঠলে নারী পুরুষ উভয়ে উভয়ের যৌনাঙ্গ নিয়ে মর্দন করতে থাকে। পুরুষের লিঙ্গ ও অন্ডকোষকে মর্দন করে কঠিন করেও তোলে। সেটি উত্থিত হয়ে ওঠে। স্ত্রীর যোনিতে সঙ্কোচন ও প্রসারণ না আসা পর্যন্ত পুরুষ সেই যোনি নিয়ে মর্দন করতে থাকে। স্ত্রীর ভগনাসা ওশরীরে কামোত্তেজনার একটি মুখ্য কেন্দ্র তাই স্ত্রীর যোনিতে আঙ্গুল ঘর্ষণ করতে হয়। যদি লিঙ্গ দিয়ে ভগনাসা ঘর্ষিত হয়, তাহলে কামাবেগ আরো তীব্র হয়ে ওঠে।

মর্দনের সাথে সাথে স্ত্রীর ঠোঁট, গাল, স্তন প্রভৃতিতে চুম্বন দিতে হবে। এর ফলে স্ত্রীর সমস্ত শরীরে কামের তরঙ্গ খেলে যায়।

অনেক স্ত্রী পুরুষ পরস্পরের যৌনাঙ্গ চুম্বন করে এক ধরণের কাম সুখ লাভ করে। এমনটি করা উচিত নয়।  এতে যৌন রোগ হতে পারে। দেখুনঃ যৌনাঙ্গ লেহনের ক্ষতিযৌনাঙ্গতে মুখ লাগানো সম্পর্কে আলোচনা লেখাটি পড়ে আসুন।

The post সেক্স করার নিয়ম appeared first on Amar Bangla Post.

যৌন মিলনের নারীর যৌন উত্তেজনার স্থান

$
0
0

নারীর যৌন উত্তেজনাবিখ্যাত বিজ্ঞানী কলিনস-এর মতে, সহবাসে নারীর মধ্যে শতকরা ৮০ জনের  পূর্ন উত্তেজনা লাভ হয় শুধু ভগাঙ্কুর নিপীড়ন ও ভগাঙ্কুর ঘর্ষণ করলে। তাই বলা যায় যে ভগাঙ্কুর হলো মিলনে নারীর যৌন উত্তেজনার প্রধান কেন্দ্র।

তাই পুরুষের উচিত, মিলনের সময় যোনিতে পুরুষাঙ্গ প্রবেশ করানোর আফে নারীর ভগাঙ্কুর ঘর্ষণ করে তাঁকে উত্তেজিত করে তোলা। ভগাঙ্কুর অগ্রে একটি আবরণ থাকে। ভগাঙ্কুর ঘর্ষণের ফলে এই আবরণটি পেছনে সরে যায়। এবং বার্থলিন ও স্কীন গ্রন্থি থেকে প্রচুর রস নিঃসৃত হয়।

মিলনের প্রাথমিক স্তরে যে দেহ আলিঙ্গণ, নিপীড়ন, স্তনবৃন্ত ও স্তন মর্দন করা প্রয়োজন। কেননা নারীর উত্তেজনার প্রাথমিক সঞ্চারে দেহের এই সব অঙ্গ একান্তভাবে নির্ভরশীল। নারীদের স্নায়ুগুলি উত্তেজিত হতে থাকে ধীরে ধীরে—এবং কামপ্রবণতা জাগে শরীরে।

চুম্বন, নিপীড়ন ও  আলিঙ্গনের মাধ্যমে স্নায়ুগুলির উত্তেজিত হয়ে ওঠে। তারপর যোনিদেশের গ্রন্থিগুলির সামান্য নিঃসরণ আরম্ভ হলে প্রয়োজন হয় দেহ মিলন বা অঙ্গ সঞ্চালন। এটা কামের আনন্দকে পূর্ণতা দেয়।

তাই নিঃসন্দেহে বলা যেতে পারে যে, নারীর উত্তেজনা ও আনন্দের জন্য শৃঙ্গার অত্যাবশ্যক।

মিলনে যোনিনালী- যোনিনালীতে গিয়ে স্নায়ুগুলির উত্তেজনা প্রশমিত হয়। এই যোনিনালীর মধ্যে ইন্দ্রিয় প্রবেশ করার সঙ্গে সঙ্গে উত্তেজনার পূর্ণত্ব শুরু হয় এবং ধীরে ধীরে মৈথুন করায় উত্তেজনা শেষ পর্যায়ে এসে পৌঁছায়। এই সময় নারীর গ্রন্থিগুলি থেকে রস নিঃসৃত হয়ে নালীকে পিচ্ছিল করে তোলে। এই ভাবে নারীর পূর্ণ মিলনে আবেগ সৃষ্টি হয়ে থাকে।

The post যৌন মিলনের নারীর যৌন উত্তেজনার স্থান appeared first on Amar Bangla Post.

যৌন মিলনের চারটি নিয়ম

$
0
0

যৌন মিলনের নিয়মযৌন মিলনের চারটি নিয়ম আছে। নিয়ম মেনে যৌন মিলন করলে অনেক আনন্দ লাভ করা যায়। যৌন মিলনের নিয়ম অনেকে জানে না বলেই তাঁরা এতো আনন্দ ও সুখ লাভ করতে পারে না। নিয়ম গুলো হলঃ-

০১. ভূমিকা।

০২. কামক্রীড়া।

০৩. যৌন মিলন।

০৪. উপসংহার।


এখন জেনে নিন এই চারটি নিয়মের বিস্তারিত আলোচনা…..

০১. ভূমিকাঃমিলন শুরু করার আগে উপযুক্ত প্রস্তুতিকেই ভূমিকা বলা হয়। প্রথম মিলনের জন্যে এমন শয়নকক্ষ নির্বাচন করতে হবে যা অন্য ঘরের চেয়ে সম্পূর্ণ আলাদা হবে। ঘরটি হবে নিরিবিলি এবং একান্ত নিজের। যেন কেউ যেকোন সময়ে ঐ ঘরে প্রয়োজনে ঢুকে না পড়ে। ঘরে মৃদু আলো জ্বলবে । বিছানাটি থাকবে সুসজ্জিত ও পরিস্কার। ঘরে সুগন্ধী সামগ্রী ছিটানো থাকবে। স্বামী স্ত্রী দু’জনই সুগন্ধি আতর ব্যবহার করবেন। মিলনের ক্ষেত্রে রুচিপূর্ণ সাজ-সজ্জা করার প্রয়োজন। এমন পোশাক পরিধান না করা উচিত যার কারণে মনে ঘৃণা না আসে। মিলনের পূর্বে স্বামী স্ত্রী দুজনই সাজ-সজ্জা করা উচিত।

মিলন ক্রিয়া বা প্রথম মিলনে শৃঙ্গার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এই সময় স্ত্রীকে পূর্ণ শৃঙ্গার করে সুন্দর কাম উত্তেজনা জাগিয়ে তুলতে হবে। যাতে স্ত্রী মিলন ঘটাতে আগ্রহী হয়।

মনের মধ্যে দুঃখ, ক্লেশ, রাগ, ক্ষোভ, চিন্তা কিছু থাকবে না। এই সময় মন কেবল এই পরম মূহূর্তটাকে কাছে পাওয়ার জন্যে উদগ্রীব থাকবে।

০২. প্রেম-ক্রীড়াঃস্ত্রী পুরুষের যৌন মিলনের ফলে যেমন বংশ বিস্তার হয় তেমনি এই মিলন হলো মানব জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যা জীবনকে আরো বেশী সুখী ও সমৃদ্ধ করার প্রেরণা যোগায়। আলিঙ্গণ, একে অপরের কাম কেন্দ্র ও যৌনাঙ্গ স্পর্শকেই প্রেম-ক্রীড়া বলা হয়। প্রেমক্রীড়াই স্বামী স্ত্রীর মধ্যে কামেচ্ছা এবং ক্সমসব্রগ জাগিয়ে তুলে। নারী পুরুষের শরীরের গঠনে অনেক পার্থক্য আছে। পুরুষের যৌনাঙ্গ শরীরের বাইরে থাকাতে নারী তাঁকে স্পর্শ করলে বা আলিঙ্গণ করলেই লিঙ্গে উত্তেজনা এসে যায়। কিন্তু শরীরের ভেতরে স্ত্রীর যৌনাঙ্গ থাকে এবং শরীরের সর্বত্র কাম লুকিয়ে থাকে। তাই স্ত্রীর মধ্যে কামোত্তেজনা দেরীতে হয়। নারী স্বাভাবিক ভাবেই লজ্জাশীলা ও সঙ্কোচনশীল। তাই নারীর মধ্যে যৌন কামনা কম হয়। আর যদিও বা হয় তা বাহ্যিকভাবে প্রকাশ পায় না। তাই তাঁকে কামচঞ্চল করে তোলার জন্য এই খেলায় পুরুষের আগে এগিয়ে আসতে হবে। স্ত্রীর ঠোঁট, গাল, ঘাড়, উরু প্রভৃতির সংবেদনশীল অঙ্গে চুম্বন করে তাঁকে কামোত্তেজিত করে তুলতে হবে। পুরুষের দ্বারা স্তন বৃন্ত এবং ভগনাসা ঘর্ষণের ফলে স্ত্রী খুব তাড়াতাড়ি কামউদ্দীপ্ত হয়ে ওঠে।

প্রেম-ক্রীড়ার শুরুতে প্রথমে স্বামী স্ত্রীকে নিজের দুহাত দিয়ে জড়িয়ে ধরে কাছে টেনে নেয়। তাঁর ঠোঁট, ঘাড়, গাল চুম্বন করে। যৌন বিজ্ঞানীরা বলেছেন, স্ত্রী ঠোঁট, চোখ, গাল, বুক, স্তন, মুখ এমনকি জিহ্বা চুম্বন করতে হবে। ঠোঁট ও জিহ্বা হলো বিশেষ কামাঙ্গ যা চুম্বনে মাদক হয়ে ওঠে। ঠোঁটে চুম্বনের ফলে নারী পুরুষ বিশেষ সুখ ও আনন্দ লাভ করে। আলিঙ্গন ও চুম্বনের সাথে সাথে স্ত্রীর নিতম্ব, উরু, ঘাড়, গলা, যোণির উপরিভাগ, স্তন ইত্যাদি রগড়াতে হবে। যখন স্ত্রীর কামোত্তেজনা জাগতে শুরু করবে তখন তাঁর স্তনের বোঁটা হাতের আঙ্গুলের মাঝখানে নিয়ে রগড়াতে হবে। নারীর স্তনের কঠোরতা, আকার এবং সৌন্দর্য পুরুষের মনে কাম লিপ্সা জাগিয়ে তোলে। স্তন হলো নারীর কামোত্তেজনার মুখ্য কেন্দ্রস্থল। এটিকে চুম্বন ও রগড়ানোর ফলে নারীর কামাগ্নি জেগে ওঠে। পুরুষ বুকে স্ত্রীর স্তনের ঘর্ষণ হয়। এর ফলে নারীর কাম উত্তেজনা জেগে ওঠে। পুরুষের এবার উচিত নারীর ভগাঙ্কুরটিকে আঙ্গুল দিয়ে ধীরে ধীরে ঘর্ষণ করা। তখন নারীর কামোত্তেজনা চরম সীমায় পৌঁছে যায়। কখনো কখনো নারী সঙ্গমের জন্য এত অধীর হয়ে ওঠে যে পুরুষকে এক মুহূর্ত্ত সময় না দিয়ে নিজেই সঙ্গমের জন্য সমর্পিত হয়। লিঙ্গ দিয়ে ভগাঙ্কুরকে ঘষলেও নারীর কামাগ্নি খুব তাড়াতাড়ি বেড়ে যায়। স্ত্রীর কামাবেগ যেমন বেড়ে যায় তেমনি কামসুখ লাভ করে।

বিবাহের পর স্বামী স্ত্রীর মিলনের ক্ষেত্রে প্রথম প্রথম স্ত্রী লজ্জা সঙ্কোচ ত্যাগ করে স্বামীর কাছে নিজেকে সম্পূর্ণভাবে তুলে দিতে পারে না। কিন্তু ধীরে ধীরে তাঁর লজ্জা সঙ্কোচ কেটে যায়। সে তখন পুরুষের মতই আলিঙ্গন ও চুম্বনে অংশগ্রহণ করে থাকে। পুরুষের লিঙ্গ নিজের হাতের মুঠোয় নিয়ে রগড়াবে। ফলে তাঁর লিঙ্গ এবং অন্ডোকোষ কঠিন হয়ে উঠবে। তবে লিঙ্গকে বেশি স্পর্শ করলে সে স্খলিত হওয়ার সীমায় পৌঁছে যাবে। এরকম হলে পুরুষের উচিত স্ত্রীকে লিঙ্গ স্পর্শ করতে না দেওয়া।

কোন নির্দিষ্ট সময়সীমা মেপে রতিক্রিয়া চলে না। যেসব স্ত্রীর কামাবেগ দেরীতে জাগে সেক্ষেত্রে সঙ্গম দেরীতে হয়। তবুও ২০-৩০ মিনিট রতিক্রিয়া করা উচিত। স্ত্রী সঙ্গমের জন্য যখন লালায়িত হয়ে ওঠে তখন তাঁর মধ্যে কয়েকটি উপসর্গ প্রকাশ পায়। যেমন শরীর কাঁপতে থাকে। শরীরে শিহরণ জাগে, চোখ লাল হয়ে ওঠে। ঠোঁট ফাঁক হয়। যোনির মুখ ভিজে যায় এবং নিঃশ্বাস গরম হয়।

প্রেমক্রীড়াতে পুরুষের নিজের উত্তেজনার ওপর পুরো সংযম এবং নিয়ন্ত্রণ রাখা প্রয়োজন। নিজের উত্তেজনা যদি পুরুষের নিয়ন্ত্রণে না থাকে তকাহলে কামক্রীড়া সম্পূর্ণভাবে সফল হবে না। এর ফলে কাম সুখ লাভ করা সম্ভব হবে না। ফলে স্ত্রী তাঁর স্বামীকে কামক্রীড়ায় অপটু বলে মনে করবে। সেক্ষেত্রে পুরুষ নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে সক্ষম হবে অভ্যাসের সাহায্যে। ফলে রতি ক্রীড়াতে বেশী সময় ব্যয় করতে পারবে। সহবাস থেকে যদি রতিক্রীড়াকে বাদ দেওয়া হয় তাহলে সঙ্গমের সামান্য সময়টুকু মাত্র থাকবে এবং স্ত্রী-পুরুষ উভয়েরই এই রসহীন সঙ্গম আত্মতৃপ্তি মিলবে না। ফলে উভয়ে পরস্পরের কাছ থেকে ধীরে ধীরে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। অতএব একথা অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে, স্ত্রী পুরুষের সহবাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো রতি ক্রীড়া।

০৩. যৌন মিলনঃ– রতি ক্রীড়াতে স্বামী স্ত্রী যখন সম্পূর্ণভাবে কামোত্তেজিত হয়ে উঠবে, তখন পুরুষ তাঁর দৃঢ় লিঙ্গটি স্ত্রীর যোনির মধ্যে প্রবেশ করাবে। প্রথম মিলনের সময় লিঙ্গ প্রবেশ করাতে গিয়ে স্ত্রী ব্যথা পেতে পারে। তাই দু আঙ্গুল দিয়ে স্ত্রীর ভগোষ্ঠ ফাঁক করে নিতে হয়। রতিক্রীড়ার ফলে যোনিপথ খুব সিক্ত হয়ে উঠে ও পিছল হয়ে যায়। আবার পুরুষের লিঙ্গ মুখও কাউপার গ্রন্থি নিঃসৃত রসে ভিজে যায়।  অনেক সময় দেখা যায় এসব সত্ত্বেও যোনি পথে লিঙ্গ প্রবিষ্ট করাতে অসুবিধা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে পুরুষের উচত নিজ লিঙ্গ দিয়ে লঘু ভগোষ্ঠ এবং ভগনাসাকে ঘর্ষণ করা এর ফলে যোনিপথ অত্যন্ত সিক্ত হয়ে ওঠবে এবং লিঙ্গ প্রবেশ করাতে বেগ পেতে হবে না। প্রয়োজন হলে লিঙ্গ মুন্ডে তেল  জাতীয় পদার্থ মাখিয়ে যোনিপথে স্থাপন করে একটু চাপ দিলেই ঢুকে যাবে।

এবার ধীরে ধীরে লিঙ্গ দিয়ে যোনিকে ঘর্ষণ করতে হবে। স্ত্রী যখন অতিরিক্ত কামপ্রবণ হয়ে পড়ে তখন লিঙ্গ ঘর্ষণের ফলে তাঁর যোনিমার্গে চুলকোতে শুরু করে। তখন লিঙ্গ যোনিমার্গের গায়ে ঘর্ষার ফলে স্ত্রী খুব তৃপ্তি লাভ করে। এবং লিঙ্গের ঘর্ষণের সাথে সাথে চুলকানি কমতে থাকে। তাই লিঙ্গ দিয়ে যত বেশী সময় ধরে ঘর্ষণ করা হবে, স্ত্রী ততবেশী আনন্দ পাবে। লিঙ্গের আঘাত এবং ঘর্ষণের ফলে স্ত্রী পুরুষ উভয়েরই এত সুখানুভূতি হয় যে তা শব্দ দ্বারা প্রকাশ করা সম্ভব নয়। সঙ্গম ক্রিয়াতে দুজনের প্রেম এত প্রবল হয়ে ওঠে যে মনে হয় তাদের শরীর এবং প্রাণ এক।

সঙ্গম পুরুষ মুখ্য ভূমিকা গ্রহণ করে থাকে। স্ত্রীর কাজ হলো তাকে সহযোগিতা করা। স্ত্রী চরিত্রের বৈশিষ্ট্য হলো যে সে মন্দ-কাম এবং মন্দ গামিনী। তাই পুরুষের নজর রাখতে হবে যে দুজনে যেন একই সময়ে কামসুখ লাভ করতে পারে। এজন্য আত্ম সংযম ও আত্মনিয়ন্ত্রণ থাকা প্রয়োজন। ফলে সে অভ্যাসের সাহায্যে সঙ্গমের সময়কে দীর্ঘ করতে পারবে। আসলে সঙ্গমের কোন নির্দিষ্ট সময় নেই। যে যত বেশী সময় ধরে মিলন ঘটাতে পারে সে ততবেশি সুখ এবং তৃপ্তি লাভ করে। যে পুরুষ বেশিক্ষণ অর্থাৎ স্ত্রীর কামসুখ পাওয়া অবধি সঙ্গম অক্ষম তাদের স্ত্রীরা কাম সুখ পায় না। তাদের শরীরের সমস্ত স্নায়ু টানটান হয়ে থাকে। অতৃপ্ত সঙ্গম মনে ও দেহের ওপর প্রভাব ফেলে। অনাওদ্র, উপেক্ষা, বিরক্তির সৃষ্টি হয়। স্ত্রী তাঁর স্বামীকে নপৃংসক মনে করে ঘৃণা করে। ফলে শুরু হয় অশান্তি ও কলহ।

কখনোই জোরে জোরে আঘাত বা ঘর্ষণ করা উচিত নয়। তাহলে পুরুষের কামোত্তেজনা বেড়ে খুব তাড়াতাড়িই বীর্যপাত ঘটে। ক্লান্ত হয়ে পড়লে ঘর্ষণ ক্রিয়া মাঝে মাঝে বন্ধ রাখা যায়। অবশ্য লিঙ্গটি যোনির মধ্যে প্রবিষ্ট অবস্থায় থাকবে। তাহলে পুরুষের লিঙ্গের শিথিলতা আসবে না এবং নারীর উত্তেজনা কোন ঘাটতি হবে না। যোনির সঙ্কোচন ও প্রসারণে লিঙ্গ এক অসাধারণ সুখ পায়। ফলে স্ত্রীর উত্তেজনা বেড়ে যায় এবং পুরুষের কাজটি করতে থাকে। সঙ্গম সময় দীর্ঘ করার জন্য ৩টি উপায় অবলম্বন করা যেতে পারে। এখানে দেখুন

সঙ্গমের সময় একটা দিকে নজর রাখতে হবে যে ভগনাসা ও লিঙ্গ যেন এক সঙ্গে ঘর্ষিত হয়। তাহলে স্ত্রীর কামাগ্নি তুমুলভাবে বেড়ে যাবে এবং সে আনন্দ বেশি পাবে। এছাড়া গর্ভাশয়ের মুন্ডের ওপর যখন লিঙ্গের স্পর্শ হয় তখনও স্ত্রী খুব আনন্দ পায়। এভাবে পুরুষ যখন সঙ্গমের সময় কেবল লিঙ্গ দ্বারাই আনন্দ লাভ করে, নারী তখন ভগনাসা, ভগোষ্ঠ, যোনিমুখ এবং গর্ভাশয়ে সুখ পায়। উপরন্ত স্তনে মর্দনের ফলে অতিরিক্ত সুখ লাভ করে।

কামসুখ যতই সেই পরম মূহুর্তে এসে উপস্থিত হতে থাকে ততই দুজনে দুজনে এক অনাবিল সুখ সমুদ্রে সাঁতার কাটতে থাকে। একসময় সেই শুভ মুহুর্ত এসে উপস্থিত হয়। দুজনেরই স্খলন হয়। লিঙ্গ থেকে বীর্য সবেগে যোনির মধ্যে গিয়ে পড়ে। এই সময় স্ত্রীর যোনিতে খুব  জোরে সংকোচন ও প্রসারণ শুরু হয়। বীর্য পতনের পরে নারীর চোখ কামসুখে বুজে আসে। শরীরের প্রত্যেক অংশ শিথিল হয়ে পড়ে। দেহ মন বিচিত্র নেশায় আচ্ছন্ন হয়ে যায়। এইভাবেই শেষ হয় সঙ্গম পর্ব।

সঙ্গমের আনন্দ যখন চরম সীমায় পোঁছায় তখন সেটাকে বলা হয় কামসুখ। এটা অনুভব করতে হয়। এই অনুভুতি লাভ করার কিছু পরে বীর্যপাত হয়। এই দুটি পরিস্থিতির মধ্যে সময়ের ব্যবধান খুব কম  থাকায় অনেকে এদুটিকে একসঙ্গে গুলিয়ে ফেলে এবং বীর্যপাতকেই কামসুখ বলে ধরে নেয়।

স্ত্রী যখন কামসুখ অনুভব করতে শুরু করে তখন যোনিগাত্র থেকে পানির চেয়ে সামান্য ঘাঢ় তরল পদার্থ নিঃসৃত হতে শুরু করে। অনেকে এই নিঃসরণ অনুভব করতে পারে, আবার কেউ পারে না। এমনও দেখা যায় স্ত্রীর প্রতি পুরুষের ভালোবাসা যত গাঢ় হয়ে ওঠে স্ত্রী তত বেশী কামসুখ লাভ করে এবং তত বেশী স্রাব হয়।

০৪. উপসংহারঃ– স্খলনের পর পুরুষ নারী এমন এক নেশায় আচ্ছন্ন হয়ে থাকে যা কোন মাদক দ্রব্য সেবন করলেও পাওয়া যায় না। বীর্যপাতের সঙ্গে সঙ্গে অনেক পুরুষ স্ত্রীর শরীর থেকে নিজেকে বিচ্ছিন্ন করে নেয়। কিন্তু এটি করা অত্যন্ত ভুল কাজ। স্খলন হওয়ার পর স্ত্রী চায়, স্বামীর বাহুভারে আবদ্ধ  থাকতে। কারণ নারী যেমন ধীরে ধীরে কামোত্তেজিত হয়, তেমনি ধীরে ধীরে কামোত্তেজনার প্রশমণ ঘটে। তাই প্রত্যেক স্বামীর উচিত স্ত্রীর সেইসব অঙ্গে হাত বুলানো যেগুলি রতি ক্রিয়া ও সংগমে মুখ্য ভূমিকা নিয়েছিল। স্ত্রী যখন স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসেব তখন পুরুষ তাঁর কাছ থেকে সরে আসতে পারে।

শরীর ও কাম বিশারদরা বলেছেন যে স্খলিত হওয়ার পরই পুরুষের স্ত্রীর কাছ থী দূরে সরে যাওয়া উচিত হয়। তাঁরা এও বলেছেন সে স্খলনের পর স্ত্রীর যোনি থেকে যে রস নিঃসৃত হয় সে রস পুরুষের লিঙ্গের জন্য উপকারি। তা নিক লিঙ্গকে যোনির মধ্যেই রাখা বাঞ্ছনীয়। এবঙ্ঘ যতক্ষণ না স্ত্রী স্বাভাবিক ফিরে আসছে ততক্ষণ তাঁকে ঐভাবেই স্ত্রীর সঙ্গে যুক্ত থাকতে হবে।

এই ঘটনার ফলে স্বামীর প্রতি স্ত্রীর ভালোবাসা গাঢ় হয় এবং তাঁর প্রতি বিশ্বাসও বেড়ে যায়। এরপর হালকা গরম পানি দিয়ে নিজেদের যৌনাঙ্গ ধৌত করে নিতে হবে।

Download PDF / more download to our dropbox server.

আরো পড়ুন…..

০১. ইসলামের যৌন মিলনের নিয়ম 

০২. সহবাস (সহবাসের সকল পোস্ট দেখুন)

The post যৌন মিলনের চারটি নিয়ম appeared first on Amar Bangla Post.

যৌন মিলনের বৈচিত্র

$
0
0

যৌন মিলনের বৈচিত্র বিয়ের পর মোটামুটি বছর তিনেক স্বামী-স্ত্রীর মন থাকে পাখির পালকের মত হালকা সুরের আমেজে ভরপুর। এমনিতে মনে থাকে পুলক। তাই মিলনকালে বৈচিত্রের প্রয়োজন হয় না। কিন্তু পরে এটির প্রয়োজন হয়।

অনেক স্বামীর বক্তব্য, স্ত্রী তাঁকে মনে সুখ দিতে পারে না। অর্থাৎ যেমনটি স্বামী চায় তেমনটি পায় না। হয়তো স্ত্রী মোমের পুরুলের মত নিষ্প্রাণ হয়ে স্বামীর সঙ্গে শুয়ে থেকে যৌন আনন্দের খোরাক যোগায়। কিন্তু যে নারী স্বামীর যৌন কলায় সমভাবে অংশ নিতে পারে স এই স্ত্রী হয় স্বামীর প্রিয়তমা।(মেয়েরা যৌন জ্ঞান লাভ করতে পড়ুন মেয়েদের যৌনজ্ঞান বই টি। )

আবার দেখা যায়, স্ত্রী চাইলেও স্বামী ভিন্ন ভিন্ন রতি সঙ্গমে আগ্রহী হয় না।

কারো মতে দেহমিলন বাদে শৃঙ্গার, কামকলার বৈচিত্র—সব বাজে জিনিস। দাম্ভিক স্বামীর অজ্ঞতা বা উদাসীনতা।

কর্ম ব্যস্ত পুরুষ মিলনের জন্যে বেশী সময় দিতে চায় না। এই ধরণের পুরুষ দায়সারা গোছের মিলন সেরেই খুশী থাকে।

এর ফলে সংসারে অশান্তি লাগে, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। নানারকম সমস্যা সৃষ্টি হয়। তাই যৌনজ্ঞান থাকা অবশ্যই উচিত। তাহলে সংসার সুখের ও প্রীতিপূর্ণ হয়ে ওঠে।

এটি কিভাবে আনবেন নীচে কিছু বৈচিত্র তুলে ধরা হলঃ

  • মিলনের গতি বিচিত্র, বিচিত্রতর এর প্রকাশ ভঙ্গী। এর বিচিত্রতা যে কত তা বর্ণনা করে শেষ করা যাবে না। তবে মনে রাখতে হবে, সেইসব বিচিত্রতা স্বাভাবিক।
  • দাম্পত্য জীবনে কোন অঙ্গ বা কোণ কলা ঘৃণ্য নয়। অতএব তৃপ্তি দেয় যে জিনিস তাঁর মধ্যেই সুন্দর ও সত্য লুকিয়ে আছে।সতর্কতাঃ এটি প্রয়োগ করার পূর্বে হারাম সহবাস কি না পড়া হলে পড়ে নিন।
  • পুরুষের কাম উত্তেজনা তাড়াতাড়ি আসে। কিন্তু নারীর উত্তেজনা আনার জন্য স্ত্রীকে স্বামীর সাহায্য করার দরকার।
  • দাম্পত্য জীবনে চিত্র-বৈচিত্র বজায় রাখলে জীবন আনন্দমুখর হয়ে উঠবে।
  • কোন কোন প্রক্রিয়ায় কাম বোইচিত্র বেশি আসবে সেগুলো দম্পতিকেই খুঁজে নিতে হবে।
  • যৌন আবেগ স্বতঃ উৎসারিত। তাই বৈচিত্র নিজের থেকেই সৃষ্টি হয়। অনেক স্বামী মিলনের সময় স্ত্রীর সোহাগ, চুম্বন, আদর ইত্যাদি আশা করে। অর্থাৎ স্ত্রীর উপর তাঁরা বেশি নির্ভরশীল হয়। এর কারণ হলোঃ-

১. ছেলেবেলায় মনের মধ্যে নিষ্ক্রিয় ভাব বাসা বাঁধার ফলে বিবাহিত জীবনে তাঁর কোন পরিবর্তন হয় না।

০২. ফ্রয়েদের মতে, মাতৃক্রোড়ে পরোক্ষোভাবে যে কামজীবনের শুরু হয়, তাঁর জন্যেই মনের অবচেতনে এটি দানা বাঁধে।

০৩. অনেক স্বামীর পক্ষে নারীর সক্রিয়তা না হলে পূর্ণ তৃপ্তি হয় না। তাই ধীরে ধীরে বাধ্য হয়ে তাঁরা পরাধীন মিলনকেই গুরুত্ব দেয় বেশি বা পছন্দ করে।

স্ত্রীর সক্রিয়তার প্রয়োজনঃ

কয়েকটি ক্ষেত্রে স্ত্রীর সক্রিয়তার যে বিশেষ প্রয়োজন আছে তা মনে রাখতে হবে। এই ক্ষেত্রগুলি হলোঃ-

  • গর্ভাবস্থায় শেষের দিকে।
  • প্রসবের পর দুই এক মাস, যখন স্বামী এগিয়ে আসতে চায় না।
  • নিজের তৃপ্তির জন্যেও এই উপায়টি সবচেয়ে বেশী কার্যকরী তা বাস্তব অভিজ্ঞতায় বোঝা যায়।
  • কামকলায় মিলন বৈচিত্র আনার জন্য।
  • স্বামী পরাধীন মিলনের পক্ষপাতী হলে এর প্রয়োজন তখন সবচেয়ে বেশী হয়ে থাকে।

The post যৌন মিলনের বৈচিত্র appeared first on Amar Bangla Post.

প্রেম ভালোবাসার যৌন জীবন সীমাবদ্ধতা

$
0
0

 স্বামী স্ত্রীর মধুর মিলনযৌন জীবনে সীমাবদ্ধতা বলতে কিছু নেই, আর থাকার কথাও নয়, কারণ যৌন জীবনের মাপ-কাঠি আপনে কিভাবে নির্ধারণ করবেন? মিলনে সময় বেঁধে দিবেন? তা কখনোই সম্ভব নয়। রাগমোচন না হওয়া পর্যন্ত কোন মিলনই সম্পূর্ণ হতে পারে না। আবার নারী-পুরুষের মধ্যে যদি কারোর রাগমোচন অসমাপ্ত থেকে যায়, সেক্ষেত্রে তার শুধু স্বাস্থ্যহানীই হতে পারে তা নয়, সে সাথে তার মানসিক চাঞ্চল্যতা বেড়ে যেতে পারে এবং যদি মিলনে বার বার তার রাগমোচন পূর্ণতা প্রাপ্তি না ঘটে, সে ক্ষেত্রে তার মনোবেকল ঘটতে পারে। আর যৌনক্রিয়াটা বিকৃতি বলে তার থেকে বিরত থাকবে না? তা তাও করা উচিত নয়, তাতে আরো বেশী বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে নারী কিংবা পুরুষের মনে। তখন সামাল দেয়া কগুবই কঠিন। অতএব, প্রকৃতির নিয়মে সেটা ঘটতে দিন, বাধা দিবেন না, কিংবা কৃত্রিম কোন বিকল্প পন্থাও যেন অবলম্বন করতে যাবেন না।

আসলে নারী পুরুষের যৌন জীবনে বিকৃতি বলতে কিছু নেই। এ অভিমত বিখ্যাত মনোবিজ্ঞানী সিগমন্ড ফ্রয়েডের। আমার যতদূর মনে হয়, যৌনক্রিয়া কথাটা আমাদের জানা থাকলেও তার অর্ন্তনিহিত অর্থটা বোধহয় আমাদের অনেকেরই জানা নেই। আর জানা নেই বলেই যঊন জীবনে সীমাবদ্ধতা আরোপ করতে চাই, নির্দিষ্ট একটা সময়ের একটা সময়সীমা টানতে চাই। এর পিছনে যে একটা ধারণা কাজ করে তা হল, যৌন জীবনে বিকৃতি বলতে আর কিছু থাকবে না তখন। এ ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। আর এ ভুল ধারণার মধ্যে  দিয়েই যে কোণ রোগ ইত্যাদি ব্যাপারে আমরা বলি যে, এর পিছনে নিশ্চয়ই একটা যৌন ব্যাপার আছে।

সেদিন এক বিখ্যাত কলেজের (কলেজের নাম এখানে উল্লেখ করতে চাই না বিশেষ কারণে) জনৈক প্রফেসার ভদ্রলোক কি নাজেহালই না হয়ে পড়েছিলেন তার ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে। ছাত্র-ছাত্রীরা হঠাৎ প্রফেসারকে জানান, জনৈকা গর্ভবতী যুবতী নাকি সন্তান প্রসবের ভয়ে আছাড় খাচ্ছে হিস্টিরিয়া রোগীর মত। ছাত্র-ছাত্রীরা তো দারুণ আশঙ্কিত। তাদের ভয়ের কারণ হল, এটা যৌন জীবন-যাপনের কুফল। যাও হোক, প্রফেসর ভদ্রলোক তখন অনেক কাঠখড়া পুড়িয়ে তবে তার ছাত্র-ছাত্রীদের বোঝাতে পারলেন যে, হিস্টিরিয়া রোগ আর সন্তান প্রসবের ব্যাপারটা এক করে ফেলাটা ভুল, দুটিই সম্পূর্ণ আলাদা, একটির সাথে আরেকটির কোণ সম্পর্ক নেই। তার সবাই সাইকোলজির ছাত্র-ছাত্রী, সমঝদার, প্রফেসারের বক্তব্য অনুধাবন করার পর তারা শান্ত হল, আসল ব্যাপারটা অনুধাবন করার পর তাদের আশংকা দূর হল, বিশেষ করে ছাত্রদের তো বটেই। কারণ তারা ভাবী মা, তাদের মনে প্রসব যন্ত্রণার ব্যাপারে যদি বিরূপ ধারণা জন্মে, তাহলে প্রফেসারের আশংকা, ভবিষ্যতে তারা হয়ত কখনো মা হবার ভয়ে তাদের স্বামীর সাথে মিলিত হতে চাইবে না। এর ফলে তাদের দাম্পত্য জীবনে ভয়ঙ্কর অশান্তি ঘটতে পারে, এমন  কি এর পরিণাম সুদূর প্রসারিত হতে পারে বিবাহ বিচ্ছেদের পর্যায়ে।

ছাত্রীরা শিক্ষিত এবং সমঝদার, কোন বিরূপ প্রতিক্রিয়ার শেষ না জানা পর্যন্ত তারা তাদের সিদ্ধান্ত নেয় না। এক্ষেত্রে এ প্রফেসর ভদ্রলোক যখন ব্যাপারটা তাদের কাছে পরিস্কার করে দিলে তখন তাদের মুখে হাসি ফুটে উঠতে দেখা যায়, অর্থাৎ ভবিষ্যতে বিবাহিত জীবনে স্বামীর সাথে দেহ মিলনে আর কোন বাধা রইলনা, ভয় রইল না গর্ভবতী হয়ে পড়ার পরবর্তী ঘটনার জন্যে। এ তো গেল শিক্ষিতা, আলোকপ্রাপ্তা মেয়েদের ব্যাপার; কিন্তু অশিক্ষিতা কিংবা অল্প শিক্ষিতা গ্রাম্য মেয়েদের বেলায়? তাদেরকে কে বোঝাবে প্রফেসার ভদ্রলোকের মত? তাছাড়া তাদের বোঝানোর জন্য কোন সহৃদয় মনোবিজ্ঞানী এগিয়ে এলে তারা কি শিক্ষিত ছাত্রীদের মত ব্যাপারটা সহজে বুঝে নিবে? তাই এসব অধিকাংশ মেয়েদের নিয়েই আজকের সমাজে যত সমস্যা।

অন্যদিকে আনার দেখা যায়, যৌন পরিতৃপ্তির জন্যে বিভিন্ন লোকের বিভিন্ন কায়দা। কোন রকম স্পর্শ কিংবা চাক্ষুস করা ছাড়াও নিজের গোপন অঙ্গ দেখিয়েও বহু নারী পুরুষ যথেষ্ট তৃপ্তিলাভ করে থাকে। এসব কি বিকৃতি পরিচয় নয়?

আপনারা নিশ্চয়ই সময় সময় শুনে থাকবেন, এমন অনেক স্বামী আছে, যারা তাদের স্ত্রীকে বেধড়ক না পেটানো পর্যন্ত শান্তি পায় না, কিংবা সে বিশেষ কাজটুকু, অর্থাৎ যৌন মিলনের প্রস্তুতি হিসেবে এ নির্মম পন্থাটা বেছে নিয়ে থাকে। এর পিছনে অবশ্য একটা উদ্দেশ্যের আভাস পাওয়া যায়।

যৌন ব্যাপারটা এমন জটিল যে, স্বাভাবিক কিংবা অস্বাভাবিক বলতে কিছু নেই, আসলে এ ব্যাপারে এ শব্দগুলো একেবারেই অর্থহীন, যার কোন সামাজিক আবেদনই নেই। সিগমন্ডু ফ্রয়েডের মতে স্বাভাবিক রতিক্রিয়ার মধ্যেই স্বাভাবিক ও অস্বাভাবিক ব্যাপার গুলো মিশে একাকার হয়ে যায়। ফ্রয়েডের গবেষণালব্ধ মতামত অনুধাবন করলে নিঃসন্দেহে বলা যায় যে, যৌন তৃপ্তির ব্যাপারে বিশেষ এক মনোবিকলনকে মাছ কাঁটা বাছার মত করে দেখা মানেই এক অদ্ভুত সিদ্ধান্ত নেয়া। অনিয়ম ও অস্বাভাবিকতার আবর্তে আবর্তিত হয়ে নিজেই নিজের গলা টিপে শ্বাসরুদ্ধ করে মারতে গেলে এ অদ্ভুত রহস্যগুলো কাজ করে।

হস্তমৈথুন থেকে চুম্বন, সব কিছু যদি আপনাকে যৌন জীবনের এক একটি অঙ্গ হিসেবে ভয় পেয়ে দেয়, তাহলে তার চেয়ে বিড়ম্বনা আর কিই বা হতে পারে? কিন্তু এ অযৌক্তিক ধারণা? এ বিড়ম্বনা থেকে কি রেহাই পাওয়া যায় না? হ্যাঁ, নিশ্চয়ই পাওয়া যায় বৈকি। তবে সবার আগে দরকার এসব কুসংস্কারাচ্ছন্ন অযৌক্তিক ধারণা গুলোতে বিনষ্ট করা।

যৌন জীবন কোন সাধারণ ব্যাপার নয়, জীবনের আর পাঁচটা নিত্যনৈমিত্তিক ব্যবহার্য বিষয় নয়, এ একটা বড় জটিল বিষয়-বস্তু। এ সম্পর্কে বহু মনোওবিজ্ঞানীরা নানান দিক গভীরভাবে গবেষণা করেছেন বিভিন্ন সময়ে, সে কোন মনুষ্য সভ্যতার শুরু থেকে আজ পর্যন্ত, সিগমন্ড ফ্রয়েড তাদের মধ্যে অন্যতম। তাদের সে গবেষণালব্ধ মতবাদ যত জটিল কিংবা দুরূহই হোক না কেন, একটি সত্য খুবই পরিস্কারভাবে জানা গেছে যে, আমাদের জীবনে  যৌনচর্চা একটা উল্লেখ্যযোগ্য ভূমিকা আছে এবং সেটা আমাদের জটিল জীবনে যেন একটা বিশেষ মাত্রা এনে দিতে পারে।  তাই আজই আমাদের এব্যাপারে  সাবারই সচেষ্ট হয়ে উঠা উচিত। এখন কথা হচ্ছে যে, এ যৌনচর্চা তা সে “কামুকথা” কিংবা ‘বিকৃতি’ নামে চিহ্নিত হোক না কেন, আমরা কেহই কিন্তু এড়িয়ে যেতে পারি না।  এ সমকামিতার কথাই ধরা যাক। এ অভ্যাসে অভ্যস্ত হয়ে পড়ার বিভিন্ন কারণ আছে। যেমন, সমলিঙ্গের মানসিকতা যখন পরস্পরের প্রতি ভীষণভাবে আকৃষ্ট হয়ে পড়ে, কেবল তখনি এটা সক্রিয় হয়ে ওঠে। বিপরীত লিঙ্গের আকর্ষণ এরা অনুভব করে না এবং প্রজননের বা সৃজনশীলতার ব্যাপারে এদের বিন্দুমাত্র আগ্রহ নেই প্রধানত দুটি কারণে। প্রথমত হয় তারাচ বিপরীত লিঙ্গ কর্তৃক প্রত্যাখ্যান হয় কিংবা সামাজিক অনুমাসন, লজ্জা বা ভয়ে তারা বিপরীত লিঙ্গের কাছে ঘেঁষতে চায় না। দ্বিতীয়ত, সংশ্লিষ্ট নারী পাছে গর্ভবতী হয়ে পড়ে, সে ভয়টা নারীদের কাছ থেকে পুরুষদের দূরে সরিয়ে রাখে। অনুরূপভাবে নারীরাও পুরুষদের সঙ্গ এড়িয়ে চলে। উভয়েই খুব ভাল করে জানে যে, নারী-পুরুষের অগাধ মিলন এমনি একটা জটিল ব্যাপার যে, যদি সেটাকে প্রশ্রয় দেয়া হয়, তার পরিণাম ভয়াবহ, সে কলঙ্কের হাত থেকে নিজেকে বাঁচানোর সম্ভব হয় না। আর এই ভয়টাই প্রজননের ব্যাপারে নারী ও পুরুষকে মাতৃত্ব ও পিতৃত্বের দায়িত্ব বিমুখ করে তোলে।

আত্মরতি কিংবা সমকামী মনোভাব যখন গড়ে ওঠে, তখনি একটি পুরুষ কিংবা নারী অত্যন্ত সচেতন এক বুদ্ধির জগতে আশ্রয় নিয়ে থাকে। এর ফলে তাদের মধ্যে বিশেষ একটি চরিত্রনীতি গড়ে উঠতে বেশী সময় লাগে না। আর এ চরিত্রনীতির জন্যেই কি তাদের মধ্যে বিচিত্র এক যৌনতা বর্ধন হয় নানানভাবে? এভাবেই এমন অনেক ব্যক্তি আছে যারা সমাজে অপাংতেও যাদের মানুষ বলে গন্য করে না সমাজের উঁচু তলার মানুষজন, এ ক্ষেত্রে তারাই আবার উচ্চমানের ব্যক্তিত্বের সমান হয়ে যায়।

প্রসঙ্গক্রমে ফ্রয়েড বলেছেন, সেন্ট অ্যানটিকে উত্তেজিত করার জন্য ভয়াবহ যৌন ভয়ালতার সৃষ্টি করা হত। তবে এখানে একটা কথা বলা যায়, ব্যাপারটা যতই অদ্ভুত বলে মনে হোক না কেন, কামোদ্দীপনার জন্য এ ধরণের অদ্ভুত, উদ্ভট ব্যাপার-স্যাপারেরও একটা বিশেষ ভূমিকা আছে, যা অস্বীকার করা যায় না। তবে এ কথাও ঠিক যে, একটা স্রেফ মনের ব্যাপার এবং কোনটা বিকৃতি আর কোনটাই বা বিকৃত নয় সেটা ঠিক করার ভার আপনার মনের উপর নির্ভর একান্তভাবে করে।  বিকৃত যেমন মেয়েদের স্তন, উরু, অন্তর্বাস থেকে শুরু করে…চুম্বন-আলিঙ্গন, যা কিছুর মধ্যেই বিকৃতির গন্ধ পাওয়া যায়।

যৌবনের আমদানি হঠাৎ করে হয়নি। যৌনতার নানান ছলাকলা বা বৈচিত্র্য সেই কোন আদিম যুগ থেকে চলে আসছে আজও। এ সময়কামিতার ব্যাপারটাই উল্লেখ করা যেতে পারে, সমলিঙ্গের আসক্তি আসে বিশেষ চিতিত্রনীতি।

আর প্রসবের ব্যাপারে যৌনতা অনুপস্থিত হলেও কামতৃপ্তির ব্যাপারে জননেন্দ্রিয়ের ভূমিকা কিন্তু অস্বীকার করা যায় না। পুরুষের যা কিছু যৌন উত্তেজনা, ছটফটানি সবই নারীর এ বিশেষ অঙ্গটিকে ঘিরে এবং ফ্রয়েড তার গবেষণার কাজে লক্ষ্য করেছেন, এর মাধ্যমেই তাদের যৌন পিপাসার অবসান ঘটে থাকে,  চরম তৃপ্তির স্বাদ পেয়ে থাকে তারা। কিন্তু একটু যদি তলিয়ে দেখা যায়, এর মধ্যে বিকৃতি নামক উদ্ভত ব্যাপারটার সন্ধান পাবেন না? হ্যাঁ, যদি তেমন সন্ধানী চোখ নিয়ে দেখেন অবশ্যই পাবেন। তা না হলে নারী-পুরুষের গোপনাঙ্গ, উত্তেজনা নিয়ে কেনই বা আমরা বা বার আলোচনা করি? মনোবিকলন অথবা বিকৃতির কথা প্রসঙ্গে আলোচনা করতে গেলে প্রথমেই বলতে হয় যে, এ বিকৃতি স্থায়ী নয়, কখনো বাড়ে, আবার কখনো বা কমে যায়।

লক্ষ্য করবেন, যখনি কারোর মনে স্নায়ুবিক দুর্বলতার মধ্যে আতঙ্ক, বিষাদ বা ব্যর্থতা প্রকাশ পায়, তখনি যৌনতার স্বাভাবিক ব্যাপারগুলো দারুণভাবে বৃদ্ধি পায়, অথবা বিপরিতভাবে হ্রাস পায়।

মোদ্দা কথা হল, যৌন ব্যাপারে  হতাশ হলে, ঠিক তখন আপনার মনোবিকলন ঘটবে এবং সেটা আপনাকে গ্রাস করে ফেলবে। এ যে যৌনকাঙ্ক্ষাতে, অথচ কিছু করতে পারছেন না অর্থাৎ সুখ ভোগ করতে পারছেন না, সে হতাশাই আপনাকে স্বাভাবিকভাবে এমন এক দ্বন্ধের মধ্যে ফেলে দেবে যে, অত সহজ সরল বিষয়ও আপনার কাছে ভীষণ জটিল বলে মনে হবে তখন।

ব্যাপারটা আরো গোলমালে কেন ‘স্বাভাবিক’ ও ‘বিকৃতি’ এ শব্দ দু’টিই যত গোলমাল। প্রেম, বিশ্বাস এবং ধারণা আপনা থেকেই আপনার মনে কখন যে ঢুকে পড়বে এ বহুল প্রচলিত শব্দ তিনটির মধ্যে দিয়ে তা আপনি অনুমানও করতে পারবেন না।

আসল কথা, বিকৃতির কোনরূপ নেই, উদাহরণ নেই, এর উৎস যে কোথা থেকেও তাও কারোর জানা নেই। সিহমন্ড ফ্রয়েডের ধারণা মত, বিকৃতির জন্ম হয় গোড়াঁমি, অজ্ঞতা এবং কুসংস্কার থেকে। যেমন কোন কিশরী প্রথম ঋতু দর্শনের পর যখন  তার জরায়ুতে তীব্র কাম সচেতনতা অনুভব করে, তখন মনে যদি কোন পুরুষ সঙ্গলিপ্সা দেখা দেয়, সেটাও একান্ত স্বাভাবিক। কিন্তু এ স্বাভাবিক ধর্মকে অন্য আলোয় দেখাটাই অস্বাভাবিক। মনে রাখবেন, বিকৃতি মানেই মানুষের মনের জিজ্ঞাসা। কাল্পনিক ভীতি অথবা অবাস্তবতার মধ্যে যদি এ জিজ্ঞাসা হঠাৎ কখনো ঢুকে পড়ে, এর ফলে তখন সারা জীবন অস্থির হয়ে জীবিত-মৃতের মত বেঁচে থাকা ছাড়া অন্য আর কোন উপায় থাকে না। শৈশব থেকে যে জীবন শুরু, আরোপিত বিকার সে জীবনকে পঙ্গু করা কোন মতেই গ্রাহ্য করা যায় না। তাই এ নীতি পরিহার করা অবশ্যই দরকার।  – পরিপূর্ণ স্বামী স্ত্রীর মধুর মিলন

The post প্রেম ভালোবাসার যৌন জীবন সীমাবদ্ধতা appeared first on Amar Bangla Post.

প্রশ্নঃ স্বামীর কি বউয়ের স্তন মুখে নেওয়া উচিত?

$
0
0

স্তন মুখে নেওয়া

প্রশ্নঃ স্বামীর কি বউয়ের স্তন মুখে নেওয়া উচিত?

উত্তরঃ হ্যাঁ। এটা যৌনতার  প্রাথমিক ধাপ এবং এতে নারী চরম পুলক অনুভব করে। যৌন আনন্দ শুধু পুরুষের লিঙ্গ ও নারীর যোনি কেন্দ্রিক সীমাবদ্ধ নয়। যারা যৌনতাকে এই বিশেষ কেন্দ্রিক সীমাবদ্ধ রাখে তারা যৌন জীবনে তেমন সুখী হতে পারে না এবং যৌনতার পূর্ণ তৃপ্তি লাভ  করতে পারে না। মিলনের সময় নারীর স্তন চুম্বন করা এবং স্তনের বোঁটায় লেহন করাটি নারীরা  দারুন ভাবে  উপভোগ করে। আপনি নিজেও বিয়ের পর টি উপভোগ করতে চাইবেন। এটি না করলে আপনার মনে হবে আপনি আপনার স্বামীর ভোগের বস্তু।  আপনি  তো বিয়ে করেন নি। আশা করি এটি বিয়ের পর আপনার নারীত্বের আত্মসম্মানে লাগবে না। আশা করি বোন আপনি আপনার প্রশ্নের  উত্তর পেয়েছেন।

আরো পড়তে পারেন……………

০১। স্তন চুম্বনের সঠিক নিয়ম

০২। নারীর স্তনে ব্যথার হওয়ার কারণ

০৩। মেয়েদের স্তন আকর্ষণীয় করার উপায়

০৪। স্তনে চুম্বন করা কি ইসলামে জায়েয?

০৫। স্তন সম্পর্কিত অজানা ৮ টি তথ্য

লেখাটি পড়ে ভালো লাগলে শেয়ার করুন এবং আপনার মতামত জানাতে কমেন্ট করুন। কমেন্ট করার অপশন নিচে দেওয়া আছে।

The post প্রশ্নঃ স্বামীর কি বউয়ের স্তন মুখে নেওয়া উচিত? appeared first on Amar Bangla Post.


নারীর দেহের ৯ টি হট স্পট

$
0
0

স্ত্রীর হাতে চুম্বনআমরা আগের পোস্ট গুলোতে নারীর দেহ যৌনাঙ্গের উত্তেজনা স্থান গুলো নিয়ে কথা বলেছিলাম। এই পোস্ট এ যৌনাঙ্গ ছাড়াও আরো নারীর দেহের ৯ টি হট স্পটের কথা আপনাদেরকে জানাবো। যা আপনার যৌন জীবনের বৈচিত্রময় করে তুলবে।

চুলে হাত বুলানো১। মাথার কেশ বা চুল : নারীর কেশ তাঁর সৌন্দর্য্য বাড়াতেই শুধু সাহায্য করে না বরং তাতে পুরুষের হাতের স্পর্শ পেলে নারী সুখের সাগরে তলিয়ে যান। বিউটি পার্লারে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কেশচর্চায় শুধুমাত্র রূপ বাড়ানো হয় না, দুশ্চিন্তা প্রশমনকারী হিসেবেও কাজে দেয়। কপাল থেকে ঘাড় পর্যন্ত কেশদাম ম্যাসাজ করতে পারলে আপনার প্রিয় নারী মজবেনই।

স্ত্রীর কোমরে হাত

২। নারীর কোমর : নারীর কোমর এবং তার নীচের অংশ স্পর্শ করলে নারী শরীরে সুখের ঢেউ খেলে যায় । তবে ভুল করেও এই সময় তাঁর যৌনাঙ্গ স্পর্শ করবেন না। তার জন্য আরও কিছু সময় চাই।

৩। ফিট ম্যাসাজ : ফিট ম্যাসাজের কথা এতকাল গল্পেই পড়েছেন। সঙ্গিনীকে অসীম সুখ দিতে পায়ের গোছ, গোড়ালি, পায়ের পাতা ও আঙুলে ম্যাসাজ করুন।

৪। নারীর কানের লতি : স্ত্রীর কানের লতি কখনও স্পর্শ করেছেন? যদি না করে থাকেন, তাহলে এই দিকে একটু মন দিন। প্রথমে হাল্কা ভাবে আঙুল দিয়ে ছুঁয়ে যান কানের বাইরের অংশ। তারপর জিভ কাজে লাগিয়ে কানের প্রবেশদ্বার ও লতিতে স্পর্শ করুন। দেখবেন সুখস্পর্শে শিউরে উঠছেন প্রেয়সী। সুখের মাত্রা বাড়াতে অল্প কামড়ও বসাতে পারেন কানের লতিতে।

৫। হাতের তালু : আপনি হয়তো কোথায় ঘুরতে গিয়ে নির্জনে স্ত্রীর হাতে ধরে অনেক বসেছেন। জানেন কি, তাঁর হাতের তালুতে সুড়সুড়ি দিলে যৌন উত্তেজনা জাগ্রত হয়? নারীর যৌন চেতনা বাড়িয়ে দিতে তার হাতের তালুতে সুড়সুড়ি দিন।
৬। হাটুর পিছনের অংশ : স্ত্রীর হাঁটুর পিছনের অংশে হাত বোলানোর মতো উদ্ভট চিন্তা বেশির ভাগ স্বামীর মাথাতেই আসে না। একবার চেষ্টা করেই দেখুন না! নারীর ওই স্থানে যুগপত্‍ তর্জনী ও ঠোঁট বুলিয়ে দিতে থাকলে কয়েক মিনিটেই দেখবেন আপনার থেকে আরও কিছু আশা করছেন তিনি।

৭। পিঠের উপরের হাত : সঙ্গিনী পিঠের ওপর আলতো করে হাত রাখলে একই সঙ্গে নারী হৃদয়ে ভরসা ও অনুরাগের ভাব বিস্তার হয়। ঘনিষ্ঠ অবস্থায় তাঁর মেরুদণ্ড বরাবর জিভ বুলিয়ে যান, দেখবে সঙ্গিনীর গায়ে সুখের প্রাবল্যে কাঁটা দিয়ে উঠেছে।

৮। স্বল্প উঁচু কণ্ঠার হাড় বহু নারীর সৌন্দর্যে নয়া মাত্রা যোগ করে। সুযোগ পেলে সেখানে একটু চুমু খান। গলা ও বুকের ওপরের অংশে হাল্কা ছোঁয়ায় নারী হৃদয় বিগলিত হয়, জেগে ওঠে শরীর।

৯। ঘারের তলদেশ : ঘাড়ের তলদেশে সুখস্পর্শ পেতে বিশ্বের বেশির ভাগ নারীই চান। একদা জাপানে নারীদেহের ওই অংশটি দর্শনে পুরুষের যৌন উত্তেজনা বাড়াতে সাহায্য করত। যৌন অভিযানে দুঃসাহসী হয়ে সঙ্গীনির শরীরের এই অংশে মনোনিবেশ করুন। জিভের ডগা ঠিকঠাক কাজে লাগালে ভালো পুরস্কার পাবেন, নিশ্চিত।

আগের পোস্ট : ২ মিনিটেই স্ত্রীকে চরম উত্তেজিত করার উপায়

প্রিয়  পাঠক/পাঠিকা, আপনাদেরকে জানানোর জন্যই আমাদের এই প্রচেষ্টা। তাই আপনি নিজে জানুন, অন্যকে জানাতে শেয়ার করুন এবং আমার বাংলা পোস্ট.কম এ যোগ দেওয়ার জন্য আপনাদের বন্ধু ও পরিচিত লোকদেরকে আমন্ত্রণ জানান। আমাদের পোস্ট আপনার কাছে কেমন লাগে এবং আমাদের পোস্ট সম্পর্কে আপনার প্রতিক্রিয়া জানাতে কমেন্ট করুন। আপনার মতামত সাইটের উন্নতির জন্য ব্যবহৃত হবে। আমাদের পাশাপাশি আপনিও লিখুন “আমার বাংলা পোস্ট.কম এ।

The post নারীর দেহের ৯ টি হট স্পট appeared first on Amar Bangla Post.

প্রশ্নঃ সঙ্গমে প্রাক-সংসর্গের (fore play) ভূমিকা কি?

$
0
0

সঙ্গমপ্রশ্নঃ সঙ্গমে প্রাক-সংসর্গের (fore play) ভূমিকা কি?

উত্তরঃ প্রাক সংসর্গ শব্দটির স্বাভাবিক প্রশ্ন অনুযায়ীই, সঙ্গমের ক্ষেত্রে প্রস্তুত করে। প্রাক সংসর্গের দ্বারা নারী-পুরুষ পরস্পরকে উত্তেজিত করে তোলে। ফলে সঙ্গমের তৃপ্তি বেশী মাত্রায় পাওয়া যায়। যারা এ বিষয়ে অজ্ঞ তারাই সঙ্গমের আনন্দ এই ভাব বিনিময়ের ওপর সমান অনুপাতে নির্ভরশীল। স্পর্শ, কামুক দৃষ্টিতে তাকানো, সঙ্গিনীকে আদর করা, গন্ধ শোকা, টোকা দেওয়া, চিমটি কাটা, আলিঙ্গন, চুম্বন, মর্দন ইত্যাদি বিষয় হলো একজন অভিজ্ঞ পুরুষের প্রাক সংসর্গ। এসব করার ফলে একজন মহিলার আবেগ যৌন তৃপ্তি চরম শিখরে পৌঁছে যায়। মানুষের যৌনতা হলো নরম, কোমল ও আনন্দদায়ক একটি সুন্দর অনুভূতি।….

আরো পড়তে পারেন……

০১. ফোর প্লে কিভাবে করে

০২. প্রশ্নঃ স্ত্রীকে স্পর্শ, আলিঙ্গন ও তাকে চুম্বন করলে কি গোসল করতে হবে?

০৩. সঙ্গমের পূর্বে প্রস্তুতি

The post প্রশ্নঃ সঙ্গমে প্রাক-সংসর্গের (fore play) ভূমিকা কি? appeared first on Amar Bangla Post.

প্রথম মিলনের নিয়ম-করনীয় ও বর্জনীয়

$
0
0

প্রথম মিলনের নিয়মপ্রথম সহবাসের সময় আপনার স্ত্রী লজ্জায় আড়ষ্ট থাকবে এটাই স্বাভাবিক বিষয়। পরিবার থেকে যদি তা ঠিক করা থাকে তাহলে তো আর কথাই নেই। কোন নারীই অপরিচিত পুরুষের সাথে নিজেকে সহজে মানিয়ে নিতে পারেনা। তাই স্বামীর উচিত নববধূকে একটু সময় দেওয়া। এতে করে নিজেদের পারস্পরিক সম্পর্ক জোড়ালো হবে। সমাজের অনেক পুরুষই তাড়াহুড়া শুরু করে দেয় রজনীর প্রথম রাত্রীতে যৌন মিলন জন্য। যাদের যৌন জ্ঞান স্বল্প তাঁদের মধ্যে এটি সহরাচর দেখা যায়। আমাদের সমাজে এমনও পুরুষ আছে যাদের যৌন সম্পর্কের সম্যক ধারণাও নেই। এসব শ্রেণী পুরুষদের নিকট সঙ্গম শুধু আনন্দের বিষয়। একজন নারী এমনেতেই প্রথম মিলনের ভয়ে সঙ্কোচিত হয়ে থাকে। তারমধ্যে সে যদি দেখে তার সাথে সদ্য বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া পুরুষটি প্রথম রজনীতে প্রথম দেখাতেই মিলনের জন্য তাড়াহুড়া শুরু করে দিয়েছে তাহলে তার মনে ভয় ভীতি আরো বেড়ে যায়। এতে করে প্রথম রজনীতেই স্ত্রীর ভিতর মনোমালিন্য সৃষ্টি হতে পারে যা পরবর্তীতে দাম্পত্য জীবনে ভয়ে আনতে পারে অশান্তি। তাই বিবাহের প্রথম রজনীতে যৌন মিলনের জন্য তাড়াহুড়া না করে বরং তার সাথে নিজেকে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করুন। তাঁকে বুঝতে দিন তার সাথে যৌন মিলনই শুধু আপনার কাম্য নয়। বরং আপনি তার ভালো-মন্দ থাকার সব। এরাতে নিজেদের মধ্যে পরিচয়, নিজেদের ভালো লাগা, মন্দ লাগা জানা-শোনা, পরামর্শ-উপদেশ ও গল্প গুজব শেষ হলে পূর্ণ মিলন না করে বরং স্ত্রীকে উষ্ণ আদর করে বিরতি দিতে পারেন।এতে করে তার লজ্জা কেটে যাবে। পূর্ণ মিলন পরবর্তী রাতের জন্য রেখে দিতে পারেন। এতে সেই পূর্ণ মিলনের জন্য মুখিয়ে থাকবে। আর সে যদি মিলনের জন্য আপনাকে আহবান করে তাহলে আপনি তার আহবানে সাড়া দিতে পারেন। এবার জেনে নিন প্রথম মিলনের সময় করনীয় সমূহ…….

০১. মানসিক দুরত্ব ও ভয়ঃ প্রথম মিলনের পূর্বে নিজেদের মধ্যে কথা বলা ও ভাব-বিনিময়ের দ্বারা মানসিক দুরত্ব কমিয়ে আনুন। মিলনের পূর্বে স্ত্রীকে অত্যাধিকভাবে উত্তেজিত করুন। উত্তেজিত করতে স্ত্রীকে চুম্বন, আলিঙ্গন, মর্দন ইত্যাদি করুন। ( বিস্তারিত দেখুন ) এবং যোনিতে পুরুষাঙ্গ প্রবেশের জন্য সঠিক সংঙ্কতের জন্য অপেক্ষা করুন। সে আহ্বান করলে ধীরস্থীর ভাবে পুরুষাঙ্গ যোনিতে প্রবেশ করান। স্ত্রী যাতে ঘাবড়ে না যায় সেদিকে লক্ষ্য রাখুন। প্রয়োজনীয় তাঁকে সাহস দেন। প্রথম মিলনের জন্য যোনির ভিতরের সতীচ্ছদ পর্দা ছেড়ে যাবার কারণে কিছুটা রক্তপাত হতে পারে। রক্ত দেখে ঘাবড়াবে না। এটা অল্পই বের হয়।

০২. স্ত্রীর যৌনাঙ্গে ব্যাথাঃ প্রথম মিলনের কারণে স্ত্রীর যৌনাঙ্গে ব্যথা সৃষ্টি হতে পারে। একজন ডাক্তারের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ওষুধ আগ থেকেই সংগ্রহ রাখলে ভালো হয়। যাতে প্রথম মিলনের পরে ব্যথা দেখা দিলে স্ত্রীকে খাওয়ায়ে দিতে পারেন।

০৩. পূর্ণ তৃপ্তিঃ প্রথম মিলনে পূর্ণ তৃপ্তি লাভের চেষ্টা না করাই ভালো। বিড়াল মারার ভুঁইফোঁড় মতবাদে কান দিবেন না। এটা একপ্রকারের রেপ প্রকার যৌন মিলন হয়ে যায়। বাসর রাতে বিড়াল মারার সম্পর্কে বিস্তারিত পড়ুন

০৪. জন্মনিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা গ্রহণ : সন্তান হবার ভয়ে প্রথম মিলনের আনন্দটাই মাটি হয়ে যেতে পারে। তা ছাড়া আপনি যদি একটু দেরিতে সন্তান নিতে চান তাহলে জন্মনিরোধ ব্যবস্থা গ্রহণ করুন। জন্মনিরোধকের জন্য কনডম সহ ইমার্জেন্সি পিল আছে। এসম্পর্কে আরো তথ্য পেতে নীচের টপিক্স গুলো পড়ুন………

০১. কনডম সম্পর্কে আলোচনা।

০২. খাবার বড় বা পিল সম্পর্কে আলোচনা

০৩. পরিবার পরিকল্পনার বিভিন্ন পদ্ধতি

পারিবারিক ও যৌন জ্ঞান বৃদ্ধি করতে আমাদের স্বামী স্ত্রীর বই গুলো পড়ুন। বই গুলো আপনার দাম্পত্য জীবনের সহায়ক হবে বলে আমরা মনে করি। আপনার সুখী-সুন্দর ও হাস্যোজ্জ্বল দাম্পত্ব জীবন কামনায় আমার বাংলা পোস্ট.কম

লিখেছেনঃ সৈয়দ রুবেল (সম্পাদকঃ আমার বাংলা পোস্ট)

The post প্রথম মিলনের নিয়ম-করনীয় ও বর্জনীয় appeared first on Amar Bangla Post.

কেন আচরণগত দক্ষতা অর্জন করব?

$
0
0

শিক্ষিকাএকবার আমি ধর্মীয় আলোচনা করার জন্য দারিদ্র-পীড়িত একটি অঞ্চলে গিয়েছিলাম। অন্য এলাকা থেকে একজন শিক্ষকও সেখানে এসেছিলেন।

আলোচনা শেষে আমার কাছে এসে তিনি বললেন, “আমরা চাই আপনি আমাদের কিছু ছাত্রের ভরণ-পোষণের দায়িত্ব নিয়ে আমাদেরকে সাহায্য করবেন।’ আমি আশ্চর্য হয়ে বললাম, ‘স্কুল তো সরকারি! সেখানে বিনামূল্যে শিক্ষাব্যবস্থা রয়েছে। তা সত্ত্বেও আপনি এ ধরনের আবেদন করছেন কেন?’

তিনি বললেন, ‘স্কুলের শিক্ষাব্যবস্থা সম্পূর্ণ ফ্রী তা ঠিক। তবে এখান থেকে যার বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতে যায়, বস্তুত তাঁদের জন্যই আমাদের এ আবেদন।’

আমি বললাম, ‘বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও তো সরকারী। তাছাড়া ভার্সিটিতে তো ছাত্রদের শিক্ষাবৃত্তিও দেয়া হয়।’

তিনি বললেন, আমি আপনাকে ব্যাপারটি খুলে বলছি।

আমি বললাম, ‘ঠিক আছে বলুন।’

তিনি বললেন, আমাদের এখান থেকে যেসব ছাত্র মাধ্যমিক শিক্ষা সমাপ্ত করে তাঁদের শতকরা হার কমপক্ষে ৯৯%। তাঁদের পর্যাপ্ত মেধা ও প্রতিভা থাকে। কিন্তু মাধ্যমিক শিক্ষা শেষ করে ডাক্তারি, ইঞ্জিনিয়ারিং, ইসলামিক স্টাডিজ, কম্পিউটার ইত্যাদি বিষয়ে উচ্চ শিক্ষা লাভবের জন্য তাঁরা যখন গ্রামের বাইরে কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে চায় তখন তাঁদের পিতা বাঁধা দিয়ে বলেন, ‘যতটুকু শিখেছ, তাতেই চলবে আর পড়াশোনা করার দরকার নেই। এখন বাড়িতে থেকে আমার সঙ্গে বকরি চরাও। আমার কাজে সাহায্য কর।’

এ কথা শুনে আমি নিজের অজান্তেই চিৎকার করে উঠলাম-‘বকরি চরানো!’

শিক্ষক মহোদয় বললেন, ‘হ্যাঁ, বকরি চরানো। তখন অসহায় ছাত্রটি নিরুপায় হয়ে বাবার কথামতো বকরি চরাতে শুরু করে দেয়। এভাবে সম্ভাবনাময় যোগ্যতা ও প্রতিভার অকাল মৃত্য ঘটে। বছরের পর বছর এভাবে রাখালি করে ছেলেটির জীবন কেটে যায়। একসময় বিয়ে করে সংসারি হয়। তারও সন্তান হয়। তখন সে নিজেও তাঁদের সঙ্গে অনুরূপ আচরণ করে। তার ছেলেরাও বকরি চরায়।  এভাবে সুপ্ত প্রতিভাগুলো সুপ্তই থেকে যায়।’

‘এর সমাধান কী?’ আমি জিজ্ঞেস করলাম।

‘এ সমস্যার সমাধানস্বরূপ আমরা ছাত্রের বাবাকে বুঝিয়ে-শুনিয়ে ছেলের পরিবর্তে একজন শ্রমিককে বকরি চরানোর জন্য নিয়োগ করি। ছেলের পরিবর্তে সে শ্রমিক বকরি চরায়। সে শ্রমিকের বেতন-ভাতা আমরা বহন করি। এতে সে ছেলেটি উচ্চতর পড়াশোনা করে নিজের প্রতিভার বিকাশ ঘটাতে পারে। শিক্ষা করা পর্যন্ত ছাত্রটির সার্বিক ব্যয়ভার আমরা বহন করি।’

এরপর শিক্ষক মহোদয় মাথানিচু করে বললেন, ‘আমরা কোনো সুপ্ত প্রতিভাকে বকরি চরিয়ে নষ্ট হতে দিতে পারি না। এটা জাতির জন্য ক্ষতিকর।’

পরবর্তীতে আমি তার কথা নিয়ে চিন্তা করলাম। কখনো কারো প্রতিভা ও যোগ্যতাকে নষ্ট হতে দেয়া যায় না। প্রতিভা ও যোগ্যতাকে কাজে লাগিয়েই আমরা সাফল্যের শীর্ষে উপনীত হই। আমি চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি, শিক্ষা-দীক্ষা, ভাষণ-বক্তৃতা, ব্যবসা-বাণিজ্য, ডাক্তারি, ইঞ্জিনিয়ারিং, জনপ্রিয়তা অর্জন ইত্যাদি যে কোনো শাখায় যারা সফল আপনি লক্ষ্য করলে দেখবেন, তাঁরা সবাই নিজের সহজাত যোগ্যতাকে কাজে লাগিয়ে সফলতা লাভ করেছেন। এমনকি একজন সফল স্বামী কিংবা সফল স্ত্রী অথবা সফল পিতা কিংবা একজন অন্তরঙ্গ প্রতিবেশী ও ঘনি ‘সহকর্মী হতে হলেও সচেতন বা অবচেতনভাবে সুন্দর ও সহনশীল আচরণগত দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে সফলতার চূড়া স্পর্শ করতে হয়।

সুন্দর ও সহনশীল আচরণগত দক্ষতা অনেকের মাঝে সহজাতভাবে থাকে। আবার অনেককে তা শিখে তৎপর চর্চা করএ সফলতা অর্জন করতে হয়।

আমরা এ গ্রন্থে সফল মানুষদের জীবনকথা ও অভিজ্ঞতা আলোচনা করব।

তাঁদের অনুসৃত পথ ও পদ্ধতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করব। গভীরভাবে খতিয়ে দেখব, তাঁরা কীভাবে সফল হয়েছেন। দেখা যাক তাঁদের সে পথ ও পদ্ধতি অবলম্বন করে আমরাও সফল হতে পারি কি-না।

কিছুদিন আগে আমি বর্তমান বিশ্বের অন্যতম ধনকুবের শায়খ সোলায়মান আর-রাজেহীর একটি সাক্ষাৎকার পড়েছি। তিনি ছিলেন চিন্তা-চেতনা এবং নীতি-আদর্শে পাহারের ন্যায় অবিচল।

তিনি বিলিয়ন ডলারের মালিক। হাজার হাজার একর জমির স্বত্বাধিকারী। এছাড়া তিনি শত শত মসজিদ নির্মাণ করেছেন। অসংখ্য এতিম তার ভরণ-পোষণে প্রতিপালিত হচ্ছে। বলতে পারেন, সফল মানুষদের একজন তিনি।

কিন্তু আজ থেকে পঞ্চাশ বছর আগে তার অবস্থান কোথায় ছিল? তখন তিনি ছিলেন সাধারণ একজন মানুষ। দিন এনে দিন খেতেন। কোনো কোনো দিন তাও পেতেন না।

সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, খাবারের জন্য তিনি মানুষের ঘর ঝাড়ু দিয়েছেন। দোকানে বা ব্যাংকে দিনরাত একাধারে কাজ করেছেন।

এরপর তিনি কপর্দকশূন্যতার সে অতল গহ্বর থেকে বেরিয়ে কীভাবে বিপুল অর্থ উপার্জন করে সফলতার শীর্ষচূড়ায় উন্নীত হলেন, কীভাবে জীবন সংগ্রামে বিজয় লাভ করলেন, সে কথা বলেছেন।

আমি রাজেহী সাহেবের কর্মপদ্ধতি নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা করেছি। তার মতো যোগ্যতা আমাদের অনেকেরই রয়েছে। তিনি যে পদ্ধতি অবলম্বন করে সফল হয়েছেন আমাদের অনেকের পক্ষেই তা কাজে লাগিয়ে সফল হওয়া সম্ভব। তবে এর জ্জন্য প্রয়োজন কঠোর অধ্যবসায়, সীমাহীন চেষ্টা-সাধনা ও অদম্য মনোবাসনা।

আচরণগত দক্ষতা কে সমৃদ্ধ করার আলোচনায় প্রবৃত্ত হওয়ার পেছনে আমার উদ্দীপক কী ছিল সে বিষয়ে আরেকটি কথা না বললেই নয়। আমাদের অনেকের মধ্যেই নতুন কিছু করার যোগ্যতা আছে। আছে বিস্ময়কর প্রতিভা। কিন্তু যে জিনিসটা নেই তা হলো সুপ্ত যোগ্যতা ও প্রতিভাকে উপলব্ধি করার মতো অনুভূতি ও অন্তর্দৃষ্টি। নেই তা বিকশিত করার যথাযথ প্রয়াস। তাছাড়া সুপ্ত প্রতিভার পরিচর্যা করার মতো আন্তরিক লোকের অভাব তো বলাই বাহুল্য। অনেকের মধ্যে ভালো বক্তৃতা করার মতো যোগ্যতা থাকে, কারো মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্যের নতুন নতুন আইডিয়া উন্মেষ অথবা সাধারণ জ্ঞানের স্ফুরণ ঘটে। কিন্তু সেগুলোর যথাযথ পরিচর্যা করার মতো লোকের অনেক অভাব।

অনেকে তো নিজের মধ্যে এসব গুণ ও প্রতিভার উপস্থিতি নিজেই অনুভব করতে ও তা বিকশিত করতে সক্ষম হন। কেউ কেউ নিজের শিক্ষক, সহপাঠী, সহকর্মী বা শুভাকাঙ্ক্ষী বন্ধুর সহায়তায় তা করে থাকেন। কিন্তু তাঁদের সংখ্যা তো অতি নগন্য। বস্তুত অনেকের প্রতিভা তার বুকের মধ্যে সমাহিত থেকে যায় আর কারো প্রতিভা তো আতুঁড় ঘরেই মারা যায়।

এর ফলে জাতি অনেক সফল নেতা, অনলবর্ষী বক্তা, বিজ্ঞ ও প্রাজ্ঞ আলেমের সেবা থেকে বঞ্চিত হয়। সফল স্বামী অথবা আদর্শ পিতা লাভে ব্যর্থ হয়।

এ গ্রন্থে আমরা কিছু অন্যান্য আচরণগত দক্ষতা নিয়ে আলোচনা করব। সেগুলো যদি আপনার মধ্যে থাকে তাহলে এর মাধ্যমে তা নতুন করে মনের পর্দায় ভেসে উঠবে। আর যদি না থাকে তাহলে তা অনুশীলন করে এগিয়ে যাবেন। তাহলে আসুন, শুরু করা যাক।

একটি চিন্তা…

যখন পাহাড়ে চড়বেন তখন

পাথরখন্ডের পরিবর্তে সর্বোচ্চ শৃঙ্গের প্রতি দৃষ্টি দিন।

লাফালাফি না করে দৃঢ়পদে এগিয়ে চলুন। আপনি স্খলিত হবেন না।

সফলতা আপনার পদচুম্বন করবেই।

আপনি পড়ছেন : রাসূল (সাঃ) এর আদর্শের আলোকে “জীবনকে উপভোগ করুন বই থেকে।

এরপর পড়ুন : ০৪. আপনার ব্যক্তিত্ব বিকশিত করুন।

The post কেন আচরণগত দক্ষতা অর্জন করব? appeared first on Amar Bangla Post.

ওমরায় করণীয় কাজ সমূহ

$
0
0

ওমরায় করণীয় কাজ সমূহ

সংকলনঃ মুহাম্মাদ বিন সালেহ আল উসাইমিন (রাহঃ)

অনুবাদঃ কিং আব্দুল্লাহ অনুবাদ ও আরবিকরণ ইনস্টিটিউট


পরম করুণাময় দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি। সমস্ত পশংসা আল্লাহর জন্য, সালাত ও সালাম বর্ষিত হোক রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও তার পরিবার পরিজন এবং তার সাহাবাগণের ও পরবর্তী নেককারগণের উপর।

ওমরা হজ্জওমরায় করণীয় কাজ হচ্ছেঃ

ইহরাম, তাওয়াফ, সা’য়ী এবং মাথা মুন্ডন বা চুল খাটো করা।

ইহরামঃ ইহরাম হচ্ছে নিয়ত করে নির্দিষ্ট পোশাক পরিধা করে হজ্জের কাজ শুরু করা। যিনি ইহরাম বাঁধবেন তার জন্য সুন্নাত পদ্ধতি হচ্ছে, পবিত্র হওয়ার জন্য গোসল করবেন, যেমনটি গোসল করা হয় অপবিত্রতা থেকে পবিত্র হওয়ার জন্য। এবং তার কাছে সবচেয়ে চাল যে সুগন্ধী আছে – সুগন্ধী কাঠ বা তৈলাক্ত-তা থেকে তার মাথায় ও দাড়ীতে ব্যবহার করবেন। ইহরাম বাঁধার পরও এই সুগন্ধি ঘ্রাণ বাকী থাকলে কোন ক্ষতি নেই। কেননা বুখারী ও মুসলিম-এ উল্লেখিত আয়েশা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত হাদীসে তিনি বলেনঃ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন ইহরাম বাঁধার ইচ্ছা করতেন তখন তিনি তার কাছে সব চেয়ে ভালো সুগন্ধি ব্যবহার করতেন। পরে মিশক সুগন্ধির দাগ তার মাথায় ও দাড়িতে লেগে থাকতে দেখতাম।

পুরুষ, মহিলা এমনকি হায়েয নেফাসরত মহিলাদের বেলায়ও ইহরাম বাঁধার পূর্বে গোসল করা সুন্নাত। কেননা, বিদায়ী হজ্জের সফরে যুল হুলাইফা নামক স্থানে আসমা বিনতে উমাইশ যখন মুহাম্মাদ বিন আবু বকরকে প্রসব করেন, তখন নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁকে নির্দেশ দিয়ে বলেছিলেনঃ তুমি গোসল কর এবং কাপড় (রক্ত স্রাবের স্থানে পট্টি লাগিয়ে) পরিধান করে ইহরাম কর। (মুসলিম)

অতঃপর গোসল করে সুগন্ধী ব্যবহার করার পর ইহরামের কাপড় পরিধান করবেন, ইহরামের কাপড় হচ্ছে পুরুষের জন্যে পরনে ও গাঁয়ের দু’টি চাদর, আর মহিলা যে কোন পোশাক পরিধান করে ইহরাম বাঁধবেন। তবে শর্ত হচ্ছে সৌন্দর্য প্রদর্শনকারী পোশাক হতে পারবে না, হাত মোজা ও নিকাব পরতে পারবেন না। আর গায়রে-মাহরাম পুরুষদের সামনে মুখ ঢেকে রাখবেন।

অতঃপর হায়েয ও নেফাসরত মহিলাগণ ব্যতীত (সাধারণ হাজীগণ) যদি ঐ মুহূর্তে ফরয নামাযের ওয়াক্ত হয়ে থাকে তাহলে ফরয নামায আদায় করবেন, অন্যথায় ওযুর পর সুন্নাত হিসেবে দু’রাকআত আদায় করবেন।

নামায শেষে “লাব্বাইকা ওমরাতান, লাব্বাইকা আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইকা লা শারিকা লাকা লাব্বাইক, ইন্নাল হামদা ওয়ান নি’ মাতা লাকা ওয়াল মুলক লা শারিকা লাক”

(হে আল্লাহ ওমরার জন্যে আমি হাজির, হে আল্লাহ! আমি হাজির-আমি হাজির, আপনার কোন শরীক নেই, আমি হাজির, নিশ্চয়ই সমস্ত প্রশংসা ও নিয়ামত আপনারই, আর সকল বাদশাহী আপনার, আপনার কোন শরীক নেই) এ দোয়া পাঠ করে পুরোপুরী ইহরামে প্রবেশ করবেন।

এটাই হল নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের তালবিয়া।

আবার কখনো কখনো তিনি বাড়িয়ে বলেছেনঃ “লাব্বাইকা ইলাহুল হাক্ব লাব্বাইক” (আমি হাজির..হে সত্যের ইলাহ আমি হাজির) ।

পুরুষের জন্য সুন্নাত হচ্ছে উচ্চস্বরে তালবিয়া পাঠ করা। কারণ, সায়েব বিন খাল্লাদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত হাদীসে নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ জিবরাইল আলাইহিস সালাম আমার কাছে এসে আমাকে নির্দেশ দিয়েছেন, আমি যেন আমার সাহাবাগণকে উচ্চস্বরে তালবিয়া এবং লা হাওলা ওলা কু’ওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ পড়ার আদেশ দেই। (ইমাম আহমাদ, আবু দাউদ, নাসায়ী তিরমিযী ও ইবনে মাজাহ) কারণ, উচ্ছস্বরে পড়ার মাধ্যমে আল্লাহর নিদর্শন প্রকাশ পায় ও আল্লাহর একত্ববাদের ঘোষণা হয়।

তবে, মহিলা হলে তালবিয়া বা অন্য যে কোন দোয়া উচ্চস্বরে পড়বেন না। কেননা তাঁদের পর্দা বজায় রাখা আবশ্যক।

আর তালবিয়া পাঠকারীর “লাব্বাইকা আল্লাহুম্মা লাব্বাইক” বলার অর্থ হচ্ছেঃ হে রব, আপনার আহ্বানে সাড়া দিচ্ছি, আপনার আনুগত্য প্রতিষ্ঠায় আমি হাজির।

কেননা মহান আল্লাহ তার দু’জন পরম বন্ধু হযরত ইবরাহীম (আঃ) ও হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাহি ওয়া সাল্লাম এর মাধ্যমে তার বান্দাগণকে হজ্জের দিকে আহ্বান করেছেন এবং নির্দেশ দিয়ে বলেছেনঃ

আরবী……

অর্থঃ এবং মানুষের মধ্যে হজ্জের জন্যে ঘোষণা প্রচার কর। তাঁরা তোমার কাছে আসবে পায়ে হেঁটে এবং সর্বপ্রকার কৃশকায় উটের পিঠে সওয়ার হয়ে দুর-দুরান্ত থেকে, যাতে তাঁরা তাঁদের কল্যানের স্থান পর্যন্ত পৌঁছে।

আর কারো যদি হজ্জের পথে বাঁধা প্রাপ্ত হওয়ার ভয় থাকে বা কেউ যদি অসুস্থতা বা অন্য কোন কারণে হজ্জ পূর্ণ করতে শঙ্কিত থাকেন, এমতাবস্থায় সুন্নাত হলো, ইহরামের নিয়তের সময় শর্ত করবেন এবং বলবেনঃ আমি যদি কোন স্থানে বাধাপ্রাপ্ত হই তাহলে আমি সেস্থানেই স্থগিত করব। অর্থাৎ অসুস্থতা, বিলম্ব বা এ দু’টি ব্যতীত অন্য কোন বাঁধা আমাকে বাধাপ্রাপ্ত করে তাহলে আমি আমার ইহরাম থেকে হালাল হয়ে যাবো।

কেননা নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাহি ওয়া সাল্লাম দোবআতা বিনতে যুবাইর এর কাছে প্রবেশ করে তাঁকে জিজ্ঞাসা করেছিলেনঃ মনে হচ্ছে তুমি হজ্জ করতে চাচ্ছ? তিনি জবাবে বললেনঃ আল্লাহর কসম! আমার খুব ব্যাথা করছে। অতঃপর তিনি (রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তুমি (নিয়তে) শর্ত করে হজ্জ করো, আর বলোঃ হে আল্লাহ! যেখানেই আমাকে বাধাগ্রস্থ করবেন আমি সেখানেই ইহরাম থেকে হালাল হয়ে যাবো। আরো বললেনঃ তুমি তোমার প্রতিপালককে যা বলবে নিশ্চুয়ই তুমি তাই পাবে। (বুখারী ও মুসলিম)

সম্মুখীন হওয়ার ভয়ে না থাকেন, তার জন্যে এমন শর্ত করা সমুচিত হবে না, কেননা নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাহি ওয়া সাল্লাম যখন ইহরাম বেঁধেছেন কোন শর্ত করেননি, আর বলেছেনঃ তোমরা আমার নিকট থেকে তোমাদের হজ্জের বিধানসমূহ গ্রহণ করো। (মুসলিম)

আর তিনি প্রত্যেককে ব্যাপকভাবে ইহরামের নিয়তে শর্ত করার জন্যে নির্দেশ দেননি। এটাতো বিশেষ করে দোবআতা বিনতে যুবাইরকে কেবল অসুস্থতা থাকা এবং হজ্জ পরিপূর্ণ করতে না পারার আশংকার কারণে নির্দেশ দিয়েছিলেন।

ইহরামরত ব্যক্তির জন্যে উচিত হবে অধিক পরিমাণে তালবিয়া পাঠ করা, কেননা তা (লাব্বাইকা আল্লাহুম্মা লাব্বাইকা) হচ্ছে হজ্জের বিধানের মৌখিক স্বীকারোক্তি। বিশেষ করে হজ্জ পালন কালে বিভিন্ন সময় ও অবস্তার পরিবর্তের সময়, যেমনঃ উঁচু স্থানে উঠা অথবা নিচু স্থানে নামা, অথবা রাত দিন অনবরত আমল করা অথবা হারাম বা নিষিদ্ধ কাজকে গুরুত্ব দেয়া ও ইহরাম অবস্থায় কাটানো ইত্যাদি।

ওমরার ইহরাম বাঁধার শুরু থেকে তাওয়াফ পর্যন্ত এবং হজ্জে ইহরাম বাঁধার শুরু থেকে ঈদের দিন জামারা আকাবায় কংকর নিক্ষেপ পর্যন্ত তালবিয়া পাঠ চলতে থাকবে।

হাজী সাহেব যখন মক্কার নিকটবর্তী হবেন  তখন সুন্নাত হচ্ছে, যদি সম্ভব হয় তাহলে সেখানে প্রবেশ করার জন্যে গোসল করে নেয়া। কেননা নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাহি ওয়া সাল্লাম সেখানে প্রবেশের সময় গোসল করেছেন।

আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রাদ্বিয়াল্লাহু আ’নহুমা থেকে বর্ণিত আছে, তিনি বলেনঃ নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাহি ওয়া সাল্লাম যখন মক্কায় প্রবেশ করতেন তখন মক্কার বাতহা এলাকার উঁচু পাহাড়ের (ছানিয়ায়ে উলিয়া) দিক দিয়ে প্রবেশ করতেন, আর যখন চলে যেতেন তখন মক্কার নিচু পাহাড়ের (ছানিয়ায়ে ছুফলা) দিক দিয়ে বের হতেন। (বুখারী ও মুসলিম)

তাই যদি হাজী সাহেবের জন্যে সহজ হয় তাহলে নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাহি ওয়া সাল্লাম যেদিক দিয়ে মক্কায় প্রবেশ করেছেন আর সেদিক দিয়ে বের হয়েছেন সেদিক দিয়ে প্রবেশ করা এবং বের হওয়া অধিক উত্তম।

যখন আল মসজিদুল হারামে পৌঁছবেন, প্রবেশ কালে ডান পা আগে দিবেন এবং বলবেনঃ বিসমিল্লাহি ওয়াস সালাতু ওয়াস সালামু আ’লা রাসূলিল্লাহ, আল্লাহুম্মাগফির লী যুনূবী ওয়াফতাহ লী আবওয়াবা রাহমাতিকা, আ’উযুবিল্লাহিল আ’যীম ওয়া বিওয়াজহিহিল কারিম ওয়া বিছুলতানিহিল ক্বাদীমি মিনাশ্বাইত্বানির রাজীম। অর্থঃ আল্লাহর নামে শুরু করছি, রহমত ও শান্তি বর্ষিত হোক আল্লাহর রাসূলের উপর, হে আল্লাহ আমার গুনাহ সমূহ ক্ষমা করে দিন এবং আমার জন্য আপনার রহমতের দরজা সমূহকে খুলে দিন, আমি মহান আল্লাহর পরাক্রমশালী ক্ষমতা ও সন্তুষ্টির মাধ্যমে আল্লাহর কাছে অভিশপ্ত শয়তান থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি।

আল্লাহকে তা’যীমের মাধ্যমে বিনয় ও বিনম্রতা সহকারে, বাইতুল্লায় পৌঁছার ক্ষেত্রে তার প্রতি আল্লাহর নেয়ামতের স্মরণ রেখে বাইতুল্লায় প্রবেশ করবেন।

তাওয়াফঃ অতঃপর হাজরে আসওয়াদের দিকে মুখোমুখি হয়ে কা’বা শরীফের কাছে অগ্রসর হয়ে বাইতুল্লাহর তাওয়াফ শুরু করবেন। এ ক্ষেত্রে উচ্চারণ করে “নাওয়াইতুত্বাওয়াফ” (আমি তাওয়াফ করার নিয়ত করছি) এমনটি বলবেন না। কারণ, নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাহি ওয়া সাল্লাম থেকে এই বিষয়ে কোন কিছু বর্ণিত  হয়নি, নিয়তের স্থান হচ্ছে অন্তর।

যদি সম্ভব হয় তাহলে ডান হাত দিয়ে ঘাজরে আসওয়াদ স্পর্শ এবং চুম্বন করবেন। বস্তুত, আল্লাহর গপ্রতি সম্মান প্রদর্শন এবং রাসূলুল্লাহ কারীম সাল্লাল্লাহু আলাহি ওয়া সাল্লামের অনুসরণ হিসেবে এটা করবেন। এ বিশ্বাসের জন্যে নয় যে, পাথর কোন উপকার বা ক্ষতি করতে পারে, বরং এটা (স্পর্শ এবং চুম্বন) শুধু আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যে।

আমিরুল মুমিনিন উমর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, তিনি হাজরে আসওয়াদকে চুম্বন করতেন আর বলতেনঃ আমি অবশ্যই জানি যে, নিশ্চয়ই তুমি একটি পাথর মাত্র, তুমি কোন উপকার বা ক্ষতি করতে পারো না, আমি যদি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে তোমাকের চুমো দিতে না দেখতাম, আমি তোমাকে চুমো দিতাম না। (বুখারী, মুসলিম, মুয়াত্তা ইমাম মালেক, তিরমিজী, আবু দাউদ ও নাসায়ী)

আর যদি চুমো দেয়া সম্ভব না হয়,  তাহলে হাত দিয়ে স্পর্শ করে নিজ হাতে চুমো দিবেন। কেননা, বুখারী ও মুসলিম-এ ইবনে ওমর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে বর্ণিত হাদীসে উল্লেখ আছে যে, তিনি (রাসূল) হাত দিয়ে হাজরে আসওয়াদ স্পর্শ করেছেন, অতঃপর স্বীয় হাত চুমো দিয়েছেন। তিনি (ইবনে ওমর) বললেনঃ আর নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে ঐ রকম করতে দেখার পর থেকে আমি এ আমলটি আর ছাড়িনি।

আর যদি হাত দিয়ে স্পর্শ করা সম্ভব না হয় তাহলে ভিড় করবেন না। কেননা ভিড়ের মাধ্যমে নিজের এবং অন্যদের কষ্ট হয়। এতে হয়তো এমন কোন ক্ষতি হবে যার ফলে তার একাগ্রতা নষ্ট হবে এবং তাওয়াফের মাধ্যমে নির্দেশিত আল্লাহর ইবাদন অর্জিত হবে না। আর হয়তো এর (ভিড়ের) মাধ্যমে বাজে কথাম ঝগড়া বা হানাহানি হতে পারে।

সুতরাং দূর থেকে হাত দিয়ে ইশারা দিলেই যথেষ্ট হবে। বুখারী শরীফে ইবনে আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহ  আনহুমা থেকে বর্ণিত হাদীসে আছে যে, নবী কারীম  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উটে চড়ে বাইতুল্লাহ তাওয়াফ করেছেন, আর রুকনে ইয়ামানী বরাবর আসার পর ঐ দিকে ইশারা করেছেন। অন্য এক  বর্ণনায় আছে, তার সাথে থাকা কোন কিছু দিয়ে ঐ দিকে ইশারা করেছেন এবং তাকবীর বলেছেন।

অতঃপর তাওয়াফকারী বাইতুল্লাহকে বাম দিকে রেখে ডানদিক দিয়ে তাওয়াফ শুরু করবেন। যখন রুকনে ইয়ামানীতে পৌঁছবেন, সম্ভব হলে হাত দিয়ে স্পর্শ করবেন, কিন্তু চুমো দিবেন না, যদি হাত দিয়ে স্পর্শ সম্ভবপর না হয় তাহলে ভিড় করবেন না। হাজরে আসওয়াদ এবং রুকনে ইয়ামানী ছাড়া বাইতুল্লাহর কোন কিছু স্পর্শ করবেন না। কেননা এ দু’টি হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালামের নির্মিত ভিত্তির উপর রয়েছে এবং নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ দু’টি স্পর্শ করেছেন।

ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল মুজাহিদ থেকে বর্ণনা করেছেন, ইবনে আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু একদা মুয়াবিয়া রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু-এর সাথে বাইতুল্লাহ তাওয়াফ করছিলেন। মুয়াবিয়া রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বাইতুল্লাহর সবগুলো রুকন (কোনা)  স্পর্শ করছিলেন। ইহা দেখে ইবনে আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বললেনঃ আপনি এ দু’টি রুকন স্পর্শ করছেন কেন? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তো এ দু’টিতে স্পর্শ করেননি? মুয়াবিয়া রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বললেনঃ বাইতুল্লাহর কোন কিছু পরিত্যক্ত নয়। তখন ইবনে আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু নিম্মোক্ত আয়াত পাঠ করে শুনালেনঃ

আরবী……

অর্থঃ নিশ্চয়ই রাসূলুল্লাহর মধ্যে তোমাদের জন্যে রয়েছে উত্তম নমুনা।

তখন মুয়াবিয়া রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বললেনঃ আপনি সত্য কথাই বলেছেন।

তাওয়াফে রুকনে ইয়ামানী ও হাজরে আসওয়াদের মধ্যবর্তী স্থানে এ দোয়া পাঠ করবেনঃ

দোয়া

 

অর্থঃ হে আমাদের প্রতিপালক! আপনি আমাদের দুনিয়া ও আখিরাতে কল্যাণ দান করুণ আর আমাদের জাহান্নামের আযাব থেকে রক্ষা করুণ।

যতবারই হাজরে আসওয়াদের পাশ দিয়ে অতিক্রম করবেন পূর্বের ন্যায় দোয়া পাঠ করবেন ও রাকবীর বলবেন।

তাওয়াফের বাকি অংশে নিজের পছন্দ অনুযায়ী যে কোন দোয়া, যিকির ও তেলাওয়াত করতে পারেন।

আসলে, বাইতুল্লাহর তাওয়াফ, সাফা মারওয়াহতে সায়ী ও জামারাতে কংকর নিক্ষেপ, এসব ইবাদাতের উদ্দেশ্য হচ্ছে আল্লাহর যিকির প্রতিষ্ঠা করা।

এ তাওয়াফে (মক্কায় প্রথম পৌঁছার পর পর যে তাওয়াফ করা হয়) পুরুষের জন্য সুন্নাত হচ্ছে গোটা তাওয়াফে ইযতিবা’ করা এবং তাওয়াফের প্রথম তিন চক্করে রমল করা, বাকী চক্করে নয়।

ইযতিবা’ হচ্ছেঃ তাওয়াফে ডান কাঁধ খোলা রাখা। অর্থাৎ, ডান কাঁধ খোলা রেখে গাঁয়ের চাদরের মাঝের অংশটা ডান বগলের নিচে রাখা আর তার দুই পার্শ্বকে বাম কাঁধের উপর রাখা।

আর রমল হচ্ছেঃ তাওয়াফের সময় দ্রুত পা ফেলে হাঁটা (দাঁড়ানো) ।

তাওয়াফ হচ্ছে সাত চক্কর। হাজরে আসওয়াদ থেকে শুরু করে আবার হাজরে আসওয়াদে আসলে এক চক্কর শেষ হবে। হাতিমের দেয়ালের ভিতর দিয়ে চক্কর দিলে তাওয়াফ হবে না।

তাওয়াফের সাত চক্কর পূর্ণ করে মাকামে ইবরাহীমে গমন করবেন এবং এ দোয়া পাঠ করবেনঃ

দোয়া

 

অর্থঃ আর তোমরা মাকামে ইবরাহীমকে নামাযের স্থান হিসেবে গ্রহণ কর।

এরপর সম্ভব হলে এর পিছনে কাছাকাছি দু’রাকাত নামায আদায় করবেন, অথবা দূরে সরে গিয়ে আদায় করবেন, প্রথম রাকাতে সূরা ফাতিহার পর (কুল ইয়া আইয়ুহাল কাফিরুন) সূরা এবং দ্বিতীয় রাকাতে ফাতিহার পর (কুল হুয়াল্লাহু আহাদ) সূরা পাঠ করবেন।

অতঃপর হাজরে আসওয়াদের নিকট ফিরে আসবেন এবং সম্ভব হলে চুমো দিবেন। অন্যথায় সেদিকে হাতে ইশারা করবেন।

সা’য়ীঃ তাওয়াফ শেষে বেরিয়ে সা’য়ী করার স্থানে যাবেন, যখন সাফা (পাহাড়ের) নিকটবর্তী হবেন তখন পাঠ করবেনঃ

doa

অর্থঃ নিঃসন্দেহে সাফা ও মারওয়াহ আল্লাহ তা’আলার নিদর্শগুলোর অন্যতম। এ আয়াতটি এখানে ছাড়া অন্য কোথাও পাঠ করবেন না।

অতঃপর সাফা পাহাড়ে আরোহণ করবেন যাতে করে কা’বা শরীফ দেখা যায়, ওখানে দাঁড়িয়ে কা’বা শরীফের দিকে মুখ করে হাত উঠিয়ে তখন আল্লাহর প্রশংসা করবেন এবং যা ইচ্ছা হয় দোয়া করবেন।  এ স্থানে নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের দোয়া ছিলঃ

লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদ ওয়া হুয়া আ’লা কুল্লি শাইয়িন ক্বাদির, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু, আনজায়া ওয়া’দাহু ওয়া নাসারা আ’বদাহু ওয়া হাযামাল আহযাবা ওয়াহদাহ।

অর্থঃ আল্লাহ ব্যতীত কোন ইলাহ নেই, তিনি একক তার কোন শরীক নেই, তারই বাদশাহী এবং সমস্ত প্রশংসা তারই, আর তিনি সকল বিষয়ের উপর সর্বময় ক্ষমতাশীল, আল্লাহ ছাড়া কোন উপাস্য নেই, তিনি তার ওয়াদা বাস্তবায়ন  করেছেন, তার বান্দাকে সাহায্য করেছেন এবং তিনি একাই সেনাদল সমূহকে পরাজিত করেছেন।

এই দোয়া তিনবার পাঠ করবেন এবং এর মধ্যখানে অন্যান্য দোয়া পাঠ করতে থাকবেন।

এরপর সাফা থেকে নেমে মারওয়াহ পাহাড়ের দিকে পায়ে হেটে যেতে থাকবেন, যখন সবুজ লাইট পর্যন্ত পৌঁছেবেন তখন যত দ্রুত সম্ভব-কাউকে কষ্ট না দিয়ে-দৌড়ায়ে দ্বিতীয় সবুজ লাইট পর্যন্ত যাবেন, এরপর স্বাভাবিক গতিতে হেটে মারওয়াহতে যাবেন এবং মারও্যাহ পাহারে আরোহণ করবেন যাতে করে কা’বা শরীফ দেখা যায়, এখানে দাঁড়িয়ে কা’বা শরীফের দিকে মুখ করে হাত উঠিয়ে সাফায় যে দোয়া করেছেন তা করবেন।

অতঃপর মারওয়াহ থেকে নেমে হাঁটার নির্ধারিত স্থানটুকুতে হেটে এবং দৌড়ানোর স্থানটুকুতে দৌড়ায়ে সাফার দিকে যাবেন। সাফাতে আরোহণ করবেন যাতে করে কা’বা শরীফ দেখা যায়, ওখানে কা’বা শরীফের দিকে মুখ করে হাত উঠিয়ে প্রথমবার যে দোয়া করেছেন সে দোয়াই করবেন। আর বাকী সা;য়ীতে ইচ্ছানুযায়ী দোয়া যিকির ও তেলাওয়াত করতে পারেন।

সাফা-মারওয়াহতে আরোহণ করা এবং সবুজ লাইট দু’টির মাঝে দৌড়ানো এগুলো হচ্ছে সুন্নত, ওয়াজিব নয়।

মাথা মুন্ডন বা চুল খাটো করাঃ  সাতবার সা’য়ী পূর্ণ করার পর (অর্থাৎ সাফা থেকে মারওয়াতে একবার, আবার মারওয়াহ থেকে সাফাতে একবার এভাবে) পুরুষ হলে মাথা মুন্ডন করবেন বা চুল খাটো করবেন। তবে মাথা মুণ্ডন অধিক উত্তম। কিন্তু তামাত্তু হজ্ব আদায়কারী হলে ভিন্ন কথা, কারণ হজ্জ নিকটবর্তী, এর পূর্বে চুল গজাবে না। সুতরাং এমতাবস্থায় চুল খাটো করাই উত্তম। যাতে চুল বাকী থাকে এবং হজ্জের সময় মাথা মুন্ডন করতে পারেন। কেননা নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, তার সাহাবীগণের মধ্যে যারা যিলহাজ্জ মাসের চতুর্থ দিন সকালে পোঁছেছিলেন, তাঁদেরকে চুল খাটো করে হালাল হতে নির্দেশ দিয়েছিলেন।

তবে মহিলা চুল মুন্ডন করবেন না।

সর্ব অবস্থাতেই চুল খাটো করবেন, সবগুলো চুল একত্রিত করে আঙ্গুলের অগ্রভাগ পরিমাণ কেটে খাটো করবেন।

পুরুষেরা পুরো মাথা মুন্ডন করা ওয়াজিব। কেননা আল্লাহ তা’আলা বলেছেনঃ

অর্থঃ তোমাদের মাথা মুণ্ডনরত অবস্থায়।

আর যেহেতু নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তার পুরো মাথা মুন্ডন করেছেন এবং বলেছেনঃ তোমরা আমার নিকট থেকে তোমাদের হজ্জের বিধান সমূহ গ্রহণ করো।

আর তেমনি মাথার চুল খাটো করার বেলায়ও পুরো মাথার চুল খাটো করতে হবে।

এভাবে ওমরায় করণীয় কাজসমূহ সম্পন্ন করে ওমরা আদায় করবেন। সেই সাথে ইহরাম থেকে সম্পূর্ণভাবে হালাল হয়ে যাবেন এবং ইহরাম অবস্থায় তার উপর নিষিদ্ধ কাজসমূহ হালাল হয়ে যাবে।

ওমরায় করণীয় কাজ সমূহের সার সংক্ষেপে

০১. অপবিত্রতা থেকে পবিত্র হওয়ার জন্যে গোসল করার ন্যায় গোসল করা ও সুগন্ধী ব্যবহার করা।

০২. ইহরামের পোশাক পরিধান করা, পুরুষের জন্যে পরনের ও গাঁয়ের চাদর, আর মহিলাদের জন্যে শরিয়াহ অনুমোদিত যে কোন পোশাক।

০৩. শুরু থেকে তাওয়াফ পর্যন্ত তালবিয়াহ পাঠ চালু রাখা।

০৪. হাজরে আসওয়াদ থেকে শুরু করে আবার হাজরে আসওয়াদ পর্যন্ত সাতবার কা’বা  শরীফ তাওয়াফ করা।

০৫. মাকামে ইবরাহীমের পিছনে দু রাকাত নামায আদায় করা।

০৬. সাফা থেকে শুরু করে মারওয়াহতে শেষ করার মাধ্যমে সাফা ও মারওয়াহ সাতবার সা’য়ী করা।

০৭. পুরুষদের জন্যে মাথা মুন্ডন বা চুল খাটো করা, আর মহিলাদের জন্যে চুল খাটো করা।

প্রকাশকঃ গবেষণা ও প্রকাশনা বিষয়ক উপ-মন্ত্রণালয় দাওয়াহ, ইরশাদ, ওয়াকফ ও ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সৌদি আরব।

The post ওমরায় করণীয় কাজ সমূহ appeared first on Amar Bangla Post.

হাজরে আসওয়াদ একটি জান্নাতের পাথর

$
0
0

হাজরে আসওয়াদ পাথরের ছবি40- عَنْعَبْدِاللَّهِبْنِعَبَّاسٍرَضِيَاللَّهُعَنْهُمَا،قَالَ: قَالَرَسُوْلُاللَّهِصَلَّىاللَّهُعَلَيْهِوَسَلَّمَ: “نَزَلَالْحَجْرُالْأَسْوَدُمِنَالجنَّةِوَهُوَأشدُّبَيَاضًامِنَاللَّبَنِ؛فَسََوَّدَتْهُخَطَايَابَنِيْآدَمَ”.

(جامعالترمذي،رقمالحديث 877،قالالإمامالترمذيعنهذاالحديثبأنه:  حسنصحيح،وصححهالألباني).

40 – অর্থ:  আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস [রাদিয়াল্লাহু আনহুমা] থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন যে, আল্লাহর রাসূল [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] বলেছেন: “কাবা ঘরের হাজরে আসওয়াদ জান্নাত থেকে এমন অবস্থায় নেমে এসেছে যে তার রং ছিলো শুরুতে  দুধের চেয়েও সাদা। পরে আদমসন্তানের পাপ তাকে কালো করে দিয়েছে”।

[জামে তিরমিযী, হাদীসনং 877, ইমাম তিরমিযী এই হাদীসটিকে হাসান সহীহ (সুন্দর সঠিক) বলেছেন। আল্লামা নাসেরুদ্দিন আল্ আলবাণী হাদীসটিকে সহীহ (সঠিক) বলেছেন]।

* এই হাদীস বর্ণনাকারী সাহাবীর পরিচয় পূর্বে 6 নং হাদীসে উল্লেখ করা হয়েছে।

* এই হাদীস হতে শিক্ষণীয় বিষয়:

1। পাপের প্রভাব যখন কঠিন শক্ত কালো শিলা হাজরে আসওয়াদ পাথরের উপরে পড়ে পাথরকে প্রভাবিত করতে পারে, তাহলে তার প্রভাব হৃদয়ের উপরে পড়ে হৃদয়কে তো আরো বেশি প্রভাবিত করতে পারবে।

2। হাজরে আসওয়াদ:কাবাঘরের দক্ষিণ-পূর্ব কর্নারে সিনা বরাবর দেড় মিটার উঁচুতে দেওয়ালের কোনো রূপার বৃত্তে গাঁথা কালো পাথরকে হাজরে আসওয়াদ  বলে।কাবা ঘরের সাতবার চক্কর বা তাওয়াফ দেওয়ার কাজ এই হাজরে আসওয়াদ থেকেই  শুরু করা হয়।

3। প্রকৃত মুসলিম ব্যক্তির এই বিষয়টি জেনে নেওয়া অপরিহার্য যে,  পাথরের দ্বারা কোনো উপকার কিংবা অপকার হয় না। কিন্তু কাবা ঘরের হাজরে আসওয়াদ পাথরটিতে চুম্বন দেওয়া ইসলামের শিক্ষা সম্মত একটি কাজ। তবে তার ইবাদত উপাসনা করা বৈধ নয়। তাই মানুষকে কষ্ট না দিয়ে তাতে চুম্বনদেওয়ার সুযোগ পাওয়া গেলে চুম্বন দেওয়া সুন্নাত।

সূত্র : নির্বাচিত হাদীস পঞ্চম খন্ড

এই হাদীসটি আপনার পরিবার-পরিজন ও বন্ধুদের কে পড়াতে শেয়ার করুণ। পবিত্র ইসলামের আলোয় আলোকিত হোক সবার জীবন।

The post হাজরে আসওয়াদ একটি জান্নাতের পাথর appeared first on Amar Bangla Post.

প্রশ্নঃ মেয়েদের যৌন উত্তেজনা কোন জায়গায় বেশি থাকে?

$
0
0

প্রশ্নঃ মেয়েদের যৌন উত্তেজনা কোন জায়গায় বেশি থাকে?

উত্তরঃ মেয়েদের যৌন উত্তেজনা সর্বঅঙ্গেই বিরাজমান। মূল যৌন সুখের লাভের স্থান যৌন কেন্দ্রিক হলোও মেয়েদের যৌন উত্তেজনা জাগানোর স্পষ্ট রয়েছে তাঁদের সর্বঅঙ্গেই।

 

মেয়েদের দেহের যেকোন স্থানে পুরুষের হাতের স্পর্শ পেলে শিহরণ অনুভব করে। তারমধ্যে নারীর দেহে এমন কিছু জায়গা রয়েছে যা নারীর দেহে দ্রুত যৌন  উত্তেজনা জাগিয়ে তুলতে ভূমিকা রাখে।

পড়ুনঃ নারীর দেহের ৯ টি হট স্পট

পড়ুনঃ  ২ মিনিটেই স্ত্রীকে চরম উত্তেজিত করার উপায়

এ দুইটি পোস্ট পড়লেই আপনি বিষয়টি ভালো করে বুঝতে পারবেন।

মেয়েদের যৌন মিলন ছাড়াও শিহরণ, স্পর্শ ও শৃঙ্গারের মাধ্যমে আনন্দ দেওয়া যায়। যাকে বলা হয় ফিঙ্গারিং বা ফোরপ্লে।

পড়ুনঃ ফিঙ্গারিং বা ফোরপ্লে দেওয়ার নিয়ম

মেয়েদের আলিঙ্গন চুম্বন করার সময় অনেক পুরুষ আবেগের বশবর্তী হয়ে মেয়েদের নাভিতে চুম্বন কিংবা লেহন করে।

পড়ুনঃ নাভীতে চুম্বন বা লেহন করার ক্ষতি।

আরো একটি প্রশ্নের উত্তর : প্রশ্নঃ সহবাস করলে কারা বেশি সুখ পায়?

The post প্রশ্নঃ মেয়েদের যৌন উত্তেজনা কোন জায়গায় বেশি থাকে? appeared first on Amar Bangla Post.


স্বামীকে পরকিয়া থেকে দূরে রাখার উপায়

$
0
0

পরকিয়া একটি অসামাজিক ব্যধি। এর ফলে পারিবারিক জীবনে অশান্তি নেমে আসে। ঘরে স্ত্রীর থাকা সত্ত্বেও যদি স্বামী পরকিয়া প্রেমে লিপ্ত পড়ে তাহলে স্ত্রীর জন্য এরচেয়ে বড় কোন দুঃখজনক ঘটনা হতে পারে না।

স্ত্রীর উচিত স্বামী যাতে পরকিয়া লিপ্ত না হয়ে পড়ে সেদিকে লক্ষ রাখা এবং প্রতিনিয়ত চেষ্টা করা। এখন জেনে নিন পুরুষেরা পরকিয়ায় লিপ্ত হবার কারণ গুলো কি কিঃ-

০১. স্বামী চাওয়ার প্রতি কোন গুরুত্ব না দেওয়া।

০২. স্বামীর কাজে সাহায্য না করা।

০৩. স্বামীর সাথে ভালো আচরণ না করা।

০৪. স্বামীকে অবহেলা করা।

৫. অপরিস্কার, অপরিছন্ন থাকা সহ আরো অন্যান্য কারণে আপনি আপনার স্বামী  অনাগ্রের শিকার হতে পারেন এবং আপনার স্বামী পরনারী আসক্ত হয়ে পরকিয়ার প্রেমে মজতে পারেন।

এর থেকে আপনার স্বামীকে বাঁচাতে ও আপনার সংসারের সুখ শান্তি বজায় রাখতে নিচের পরামর্শ গুলো ব্যক্তি জীবনে ট্রাই করতে পারেন। বিষয় গুলো আপনার উপকারে আসলে আমার শ্রম সার্থক হবে।  

০১. প্রশংসা করাঃ স্বামীর ভালো কাজের প্রশংসা করুণ এবং হারাম ও অবৈধ কাজ থেকে বিরত থাকতে নিরুৎসাহিত করুণ। তাঁকে বলুন যে, আমি তোমাকে আদর্শবান স্বামী হিসেবে দেখতে চায়। আমরা একসাথে জান্নাতে যেতে চাই। পাশা-পাশি তাঁর হাতের সম্পাদিত কাজেরও প্রশংসা করুণ। তিনি কোন হাতের কাজ ঠিক মতো না করতে পারলে ‘তুমি কিছুই পারনা’ এভাবে না বলে বরং বলুন “তুমি কাজটি ভালোই করতে পেরেছো কিন্তু আরেকটু ভালো করার চেষ্টা করো”। এমন কি যৌন মিলনের ক্ষেত্রেও এটি প্রয়োগ করুণ। যেমন, স্বামী যদি আপনাকে মিলনে পরিপূর্ণ আনন্দ দিতে না পারে তাহলে নিরব থাকবেন না কিংবা তাঁকে বলবেন না তুমি আমাকে আনন্দ দিতে পারোনা। এটি এভাবে না বলে বরং বলুন “তুমিকে আজকে আমাকে অনেক আনন্দ দিয়েছো আমি তোমার কাছ থেকে আরো বেশি আনন্দ পেতে চায়”।

০২. খাবার ও পরিবেশনাঃ স্বামীর পছন্দের খাবার রান্না করে খাওয়াতে চেষ্টা করুন। আপনার স্বামী কি ধরণের খাবার খেতে বেশি পছন্দ করেন সেসব খাবারের নাম কৌশলে জেনে নিন। প্রতিদিনকার মতো একই খাবার তৈরি না করে বরং খাবারের মেন্যুতে ভিন্নতা আনার চেষ্টা করুণ।  প্রতিদিন না পারেন অত্যন্ত সপ্তাহে দুই একবার চেষ্টা করুণ। স্বামীর সামনে খাবার পরিবেশনের সময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার দিকে খেয়াল রাখুন। তাঁর সামনে যেন অপরিস্কার খাবারের পাত্র সমূহ না যায়।

০৩. ভালো ব্যবহারঃ স্বামীর সাথে সব সময় ভালো ব্যবহার করুণ। মিষ্টি ভাষায় কথা বলুন। কৌতুক কিংবা মজাদার কথার দ্বারা স্বামীকে আনন্দ দিতে চেষ্টা করুণ। তাঁকে খুশি করে এমন কথা বলুন। তাঁর সাথে কটু ভাষায় কথা বলা পরিহার করুণ। কাজে থেকে কিংবা দূরের কোথাও সফর থেকে ঘরে কিংবা বাসায় ফিরলে তাঁকে হাসিমুখে স্বাগতম জানান। যাতে তিনি বুঝতে পারেন তিনি ফিরে আসাতে আপনি খুশি হয়েছেন।

০৪. পরিষ্কার পরিছন্ন থাকুনঃ স্বামীর সামনে পরিষ্কার পরিছন্ন থাকার চেষ্টা করুণ। কাপড়ে ও গায়ে ময়লা লেগে থাকাবস্থায় স্বামীর সামনে না যেয়ে বরং পরিষ্কার পরিছন্ন হয়ে স্বামীর সামনে নিজেকে পেশ করুণ। ঘুমানোর পূর্বে এটি করা খুবই জরুরী। কেননা, ময়লা কাপড় ও গায়ে ঘামের দুর্গন্ধ স্বামীর মনে অনাগ্রের সৃষ্টি করতে পারে। এর কটু গন্ধের কারণে তিনি আপনার কাছে ঘেঁষতে অসুবিধা বোধ করতে পারে।

০৫. সাজ-সজ্জাঃ স্বামীর সামনে নিজেকে আকর্ষণীয়ভাবে তুলে ধরতে চেষ্টা করুণ। তাঁর সামনে সেজে গুজে হাজির হোন। যাতে তিনি আপনাক রূপ সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ হতে পারে। আমাদের দেশের নারীরা উল্টো কাজটি করে থাকে। বাড়িতে কিংবা বাসায় কেউ এলে অথবা কোথায় গেলে তাঁরা এমন ভাবে সাজ্জ-সজ্জা করে বোধ হয় ম্যাকআপ বক্সের রং ও  ময়দা  সব খালি করে দিয়েছে। কিন্তু স্বামীর বেলায় অনেকে এর ২ আনাও করে না। ফলাফল স্বামীরা ঐ নারীকে দেখে আফসোস করে মনে মনে বলে আমি কেনো আগে এমন রূপসীকে বিয়ে করলাম না।

০৬. যৌন কার্যে সাহায্য করাঃ অনেক স্ত্রী আছে যারা স্বামী যৌন কার্যে দিকে আহ্বান করলে সাড়া দিতে চান না কিংবা রাজি হতে চায় না। অসুস্থ না থাকার সত্ত্বেও নানান টাল-বাহানা করে থাকে। আবার অনেকে রাজি হলেও জীবন্ত লাশের মতো বিছানায় শুয়ে থাকে। স্বামীর আদর সোহাগ নিজে গ্রহণ করলেও স্বামীকে এর প্রতিদান দিতে ইচ্ছুক নয়। সুখী যৌন জীবন গড়তে স্বামীর সাথে এমনটি করা উচিত নয়। স্ত্রীর উচিত স্বামীর যৌন কার্যে আহ্বানে সাড়া দেওয়া এবং তাঁর কাজে অনুরূপ  ভাবে সাহায্য করা। স্বামীর যৌন কাজে আপনি কিভাবে ভালোভাবে সাহায্য করবেন তাঁর জন্য আমাদের বিনামূলে দেওয়া নারীদের যৌন জ্ঞান  বইটি পড়ুন।

০৭. কাজের ফাঁকে জড়িয়ে ধরাঃ কাজের ফাঁকে কিংবা রুমে ভিতরে দু’জন নির্জনে অবস্থান করার ফাঁকে স্বামীকে পিছন থেকে কিংবা সামনে থেকে জড়িয়ে ধরুন এবং তাঁর সাথে উষ্ণ চুম্বন করুণ। এটিকে পুরুষদেরকে দারুণ পুলকিত করে ও মনে আনন্দের জোয়ার তুলে। প্রত্যেক পুরুষের মনে চাহিদা থাকে যে তাঁর স্ত্রীকে তাঁকে ফাঁকে ফাঁকে জড়িয়ে ধরুক এবং মাঝে মাঝে চুম্বন করুক।

০৮. উপহারঃ স্বামীর দেওয়া উপহার আনন্দে চিত্তে গ্রহণ করুণ। সেটি যতই ক্ষুদ্র হোক না কেন। পাশা-পাশি মাঝে মধ্যে আপনিও তাঁকে উপহার প্রদান করে আনন্দ দিতে পারেন। এগুলো স্বামী স্ত্রীর মনে প্রণোদনা সৃষ্টি করে।

০৯. স্বামীর কাজে সাহায্যঃ আপনার স্বামীর কাজে সাহায্য করুণ। তাঁর অফিসের কাপড়-চোপড় এগিয়ে দিন। তাঁর এটা সেটা এগিয়ে দিন। ময়লা কাপড় গুলো ধুয়ে পরিষ্কার করে রাখুন প্রয়োজনে তাঁকে জিজ্ঞাসা করুণ কোন কোন কাপড় গুলো ধুয়ে পরিষ্কার করে রাখতে হবে।

১০. খোঁজ খবরঃ স্বামীর কাজের খোঁজ খবর নিন। তিনি কোথায় সফর যাচ্ছে সেখানে ঠিক-ঠাক মতো পৌঁছেন কি না, যেকাজের উদ্দেশ্য বের হয়ে হয়েছেন সে কাজ সফল হয়েছে কিনা, অফিসে সকালের নাস্তা, দুপুরের কিংবা রাতের খাবার ঠিকঠাক মতো খেয়েছেন কিনা ফোন করে খোঁজ খবর  নিন।

উপরক্ত কাজ গুলো ঠিক-ঠাক মতো করতে পারলে ইনশা-আল্লাহ, পরনারী যতই ময়দা সুন্দরী অধিকারী হোক না তিনি আপনার স্বামীকে নিজের আয়ত্বে নিতে পারবে না। আপনার ১০ টি কাজের কারনে আপনার স্বামী আপনার প্রতি এমনেতেই নেশায় বোধ হয়ে থাকবে যদি না তার স্বভাবের দোষ না  থাকে। কিছু পুরুষ আছে যাদের কাছে নারী তরকারীর মতো। তাই তাদের এক তরকারিতে মন ভরে না। তাই আরো স্বাদের তরকারী খেতে তারা  বনে ঘুরে বেড়ায়। অনেকে নারীকে দেখা যায়  তারা স্বামীকে তাবিজের দ্বারা নিজের বশে রাখতে চান। আপনি স্বামীকে নিজের ভালোবাসার মায়াজালে বন্দি করে না রাখতে পারেন তাহলে তাবিজে কিছুই করতে পারবে না। ভালোবাসার তাবিজ সবচেয়ে বড় তাবিজ। নিজেকে আদর্শ নারী হিসেবে সমাজে ও পরিবারে প্রতিষ্ঠা করুণ। স্বামীর কাছে নিজেকে  আদর্শ স্ত্রী হিসেবে তুলে ধরুন। নিজেকে আদর্শ নারী ও স্ত্রী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে নিচের দুইটি বই পড়ুন।  আমার বাংলা পোস্ট.কম আপনাদের জন্য বিনামূল্যে পড়ার জন্য অনলাইনে প্রকাশ করেছে। বই দুইটি হলোঃ-

০১। আদর্শ স্বামী স্ত্রী ২ 

০২। আদর্শ নারী বা নারীর শিক্ষা। 

লিখেছেনঃ সৈয়দ রুবেল (প্রতিষ্ঠাতা ও সম্পাদকঃ আমার বাংলা পোস্ট.কম)

এসম্পর্কে আপনার মতামত  জানাতে কমেন্ট করুণ। নিচে কমেন্ট অপশন দেওয়া আছে। শেয়ার করে অন্যদেরকে  পড়তে সহযোগিতা করুণ। 

The post স্বামীকে পরকিয়া থেকে দূরে রাখার উপায় appeared first on Amar Bangla Post.

সম্ভ্রমহানীর কাঠুরিয়া

$
0
0

আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এক দেশের সাথে আরেক দেশের সুসম্পর্ক বজায় রাখতে হয়। এই সুসম্পর্কের মধ্য দিয়ে এক দেশের সাথে আরেক দেশের বোঝাপড়া ঠিক থাকে। ফলে বিশ্বে স্থিতিশীলতা বিরাজ করে। এমনিভাবে এক দেশের পারিবারিক, সামাজিক, ধর্মীয় ও আনুষঙ্গিক অবস্থা অন্য দেশে তুলে ধরার রীতিও চলে আসছে সেই আবহমান কাল হতেই। এরই ধারাবাহিকতায় জন্ম হয়েছে দূতিয়ালি ব্যবস্থা। এক দেশের রাষ্ট্রদূত অন্য দেশে বাস করে। নিজ দেশের স্বীকৃতি, কৃতিত্ব, সুনাম সেই দেশে তুলে ধরে বিশ্ব মানচিত্রে নিজ দেশের ভাবমর্যাদা তুলে ধরার চেষ্টা করে।

এখনকার মতো স্থায়ীভাবে দূত নিয়োগের মতো রেওয়াজ পৃথিবীর উষালগ্নে চালু না থাকলেও দূত ব্যবস্থা চালু ছিল। দূতের মাধ্যমে এক দেশ থেকে অন্য দেশে বার্তা প্রদান করা হতো। স্বয়ং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামও তৎকালীন বিশ্বের প্রতাপশালী রাষ্ট্রগুলোতে দূত প্রেরণ করেছিলেন। এসব দূত ছিলেন চরিত্র, আদর্শ ও সভ্যতার জ্বলন্ত অগ্নিশিখা। তাদের চারিত্রিক উৎকর্ষ, সাহস, বীরত্ব ও দেশপ্রেম দেখে বহু রাষ্ট্র প্রভাবিত হয়েছে। ইসলাম গ্রহণ করেছেন হাজার হাজার মানুষ আর স্বার্থক ও সফল হয়েছে দূত প্রেরণের মহান উদ্দেশ্য। দূতদের আনীত বার্তা যে সুন্দর, শান্তিময় তা দর্শক ও আহুতরা দূতদের দেখেই বুঝতে পেরেছে।

একটি দেশের সভ্যতার গভীরতা কতটুকু তা নির্ণীত হয় এ দূতদের চেহারা-সুরতেই। তাই তাদের চারিত্রিক উৎকর্ষে দেশের যেমন সুনাম তেমনি নোংরামী ও লাম্পট্যে দেশের রসাতল অবস্থা। চারিত্রিক অধপতন, নির্লজ্জতা, বেহায়াপনা আর কামনার লেলিহান শিখায় আমাদের দেশের ভাবমূর্তি অনেক আগেই নষ্ট হয়ে গেছে। এটি এখন আর গোপন কোনো বিষয় নয়। ইজ্জতের যতটুকু বাকি আছে, তা খোয়ানোর কাজ করছেন আমাদের দেশের মান্যবার, মহামান্য হর্তাকর্তাগণ। তারা বিশ্ববাসীর সামনে আমাদের মুসলিম দেশটির গর্ব মিশিয়ে দেয়ার জন্য আদাজল খেয়ে উঠে পড়ে লেগেছেন। এমনি এক বার্তা, জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশী রাষ্ট্রদূত একে এম জাহিদুর রহমানের (ছদ্মনাম) কীর্তি #গল্প শুনুন :

এশিয়ার অন্যতম অর্থনৈতিক শক্তিশালী ও শিল্পসমৃদ্ধ দেশ #জাপান। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে বিশ্বের একমাত্র আণবিক বোমার আঘাতে জর্জরিত হওয়ার অভিজ্ঞতাসমৃদ্ধ দেশ। কিন্তু বোমার সেই দগদগে ক্ষত দেহে রেখেই তারা জাতীয় ঐক্য অটুট রেখে এগিয়ে চলেছে দেশ উন্নয়নের কাজে। এতে তারা সফলও হয়েছে। বিশ্বমানচিত্রে তারা মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে সক্ষম হয়েছে। তো একজন দূত এদেশে নিযুক্ত হলে নিজ দেশের সুনাম রক্ষা করবেন এবং সেই দেশের ভালো গুণগুলো নিজ দেশে আমদানি করবেন। এটাই তার কাছে দেশবাসীর চাওয়া। কিন্তু তিনি তা না করে কী করলেন? এক কথায় আমাদের জাত মেরে দিলেন তিনি!

২০১০ইং ১৩ আগস্ট জাপানে রাষ্ট্রদূত হিসেবে কাজে যোগ দেন জাহিদুর রহমান। নিয়মানুযায়ী রাষ্ট্রদূতগণ সপরিবারে কর্মক্ষেত্রে থাকার সুবিধা পান। কিন্তু একদম বৈরাগ্যের মতো সুযোগ হাত ছাড়া করলেন জাহিদুর রহমান। তার এই বৈরাগ্য খ্রিস্টান পাদ্রীদের মতো, যারা সারা জীবন বিয়ে না করে যাজকগিরি করে আর গির্জায় বসে বসে শিশুদের অকালে সতীচ্ছেদ করে। বিশ্বে শিশু ধর্ষণের জন্য যদি কাউকে নোবেল পুরস্কার দেয়ার রীতি গড়ে ওঠে তবে নির্বাচকদেরকে অন্তত এক্ষেত্রে কোনো কষ্ট করতে হবে না। নির্দ্বিধায় তারা খ্রিষ্টান যাজকদেরকে নির্বাচিত করতে পারবেন! পাদ্রী থাকতে কেউ এই পুরস্কার নেয়ার সাহস করতে পারে! যাদের বিবাহ করার অনুমতি নেই, তারা তো অবৈধ পথেই জৈবিক চাহিদা মিটিয়ে নেবে!

থাকগে সে কথা। জাহিদুর রহমান সাহেবের কথায় আসি। তিনি জানালেন তার স্ত্রী মানসিক রোগী। তাই তাকে সাথে নিলে দেশের সুনাম ক্ষুণ্ন হতে পারে। কিন্তু এটা তার দেশের সুনাম ক্ষুণ্ন হওয়ার বিষয় ছিল না। ছিল কুপ্রবৃত্তি ক্ষুণ্ন হওয়ার বিষয়। ব্যাপারটি প্রকাশ পেতে সময় নেয় নি।

২০১১ইং সালের ফেব্রুয়ারিতে তিনি নিজের স্যোশাল সেক্রেটারি হিসেবে নিয়োগ দেন স্থানীয় জাপানী তরুণী কিয়োকো তাকাহাসিকে। চাকরিপ্রার্থী তাকাহাসি ১০ই ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রদূত একে এম জাহিদুর রহমানের সামনে প্রথম ইন্টারভিউ দেন। প্রথম ইন্টারভিউতেই তিনি আমাদের মুসলিম জাতি সত্তাটাকে চরম ঠেঙ্গানী খাওয়ান। তিনি তাকাহাসির কাছে জানতে চান, তুমি কি কাজ শেষে আমার সাথে চা খেতে পারবে? পরবর্তী প্রশ্ন ছিল আমি কি তোমাকে জড়িয়ে ধরে চুমু খেতে পারি?!

এ প্রসঙ্গে অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে তাকাহাসি বলেন- ইন্টারভিউয়ের অভিজ্ঞতা না থাকায় ভেবেছিলাম এধরনের অনুরোধ হয়ত বাংলাদেশের সংস্কৃতিরই একটা অংশ। তিনি জানান, চাকরির দ্বিতীয় ইন্টারভিউয়ের জন্য ডাকা হয় ১৪ ফেব্রুয়ারি এবং সেদিনের প্রশ্ন ছিল- তুমি কি অবিবাহিতা? তোমার কি কোনো প্রেমিক আছে?

এরপর ২১ই ফেব্রুয়ারি চূড়ান্ত ইন্টারভিউয়ের জন্য তাকে ডাকেন রাষ্ট্রদূত। সেদিন আগের প্রশ্নগুলো পুনরুল্লেখ করেন তিনি। তাকাহাসির ভাষায়, ইন্টারভিউতে এধরনের অভিজ্ঞতা না থাকায় ভেবেছিলাম, এধরনের অনুরোধ হয়ত বাংলাদেশের সাস্কৃতিরই অংশ। তিনি আরও জানান, ইন্টারভিউতে রাষ্ট্রদূত দৈহিক চাহিদা পূরণের নিশ্চয়তা সম্পর্কে নিশ্চিত হতে চেয়েছিলেন। তাকাহাসির ভাষ্যানুযায়ী চাকরিতে যোগ দেয়ার প্রথম দিনেই ২৫ই ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রদূতের কক্ষে প্রবেশ করা মাত্রই তিনি তাকে জড়িয়ে ধরে স্বাগত জানান।

তিনি অন্য যে কোনো বিদেশীর চেয়ে আমাকে বেশি জোরে চেপে ধরেছিলেন। সেদিনই অফিসে তার সঙ্গে চা পান করতে হয় আমাকে। পরদিন ২৬ই ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রদূত আমাকে নিয়ে তামাগাওয়া নদী ভ্রমণে গিয়ে একটি নির্জন গাছের নিচে বসেন। বলেন, আমি কি তোমাকে চুমু খেতে পারি। আমি না বলেছিলাম। কারণ, আমাদের দেশে বস পর্যায়ের কারও সাথে এধরনের সম্পর্ক বৈধ নয়। কিন্তু তিনি আমাকে এ কাজে বাধ্য করেছিলেন। ২৮ই ফেব্রুয়ারি অফিসে ঢুকেই তিনি কক্ষের দরজা বন্ধ করে আমাকে আলিঙ্গন করেন এবং চুমু খান। অফিস চলাকালীন বহুবার রাষ্ট্রদূতের এমন আচরণে আমি শেষ পর্যন্ত বিরক্ত হয়ে উঠি।

তাকাহাসি তার অভিযোগনামায় আরও উল্লেখ করেন, মার্চ মাসে আমাকে তার সাথে ডেট করার জন্য কাসাইরিনকারি পার্কে নিয়ে যান। পার্কে হাঁটতে হাঁটতে তিনি আমাকে বলেন, গত আড়াই বছরে কারো সাথে তার শারীরিক সম্পর্ক হয় নি। পরোক্ষভাবে তিনি আমার কাছে শারীরিক সম্পর্কের অনুমতি চান। আমি নেতিবাচক উত্তর দিলে তিনি অসন্তুষ্ট হয়ে জানান, স্যোশাল সেক্রেটারি হিসেবে তাকাহাসির চাকরির শর্তই হলো শারীরিক সম্পর্ক। এটা না করলে চাকরি থাকবে না। তাকাহাসি উল্লেখ করেন, সেদিন পার্কে হাঁটাহাঁটি ও চুম্বনরত অবস্থায় এক বাংলাদেশী আমাদের ছবি তোলে। তাতে আতঙ্কগ্রস্থ হয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, এরা ঢাকার মিডিয়ায় বা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ করতে পারে।

তখই আমি বুঝতে পারি রাষ্ট্রদূত আমার সাথে যা করছেন তা বাংলাদেশের কোনো সাংস্কৃতিক বিষয় নয়। তবে ছবি তোলা দেখেও তার মধ্যে কোনো পরিবর্তন হয় নি। তিনি আমার সাথে শারীরিক সম্পর্কে স্থাপনের জোর চেষ্টা চালান। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হয়ে তিনি আমাকে প্রস্তাব দেন আমি যেন একজন জাপানী তরুণী খুঁজে দেই তাকে। আমি তাকে জানাই, আমার এধরনের কোনো বান্ধবী নেই। এরপর থেকে আমি সব সময় আতঙ্কগ্রস্ত থাকি। কেননা তিনি তার পদের বলে যে কোনো অভিযোগ এড়িয়ে যেতে পারবেন।

তাকাহাসি বলেন, রাষ্ট্রদূতের সব প্রস্তাব ফিরিয়ে দেয়ার পর তিনি আমার ওপর অসন্তুষ্ট হন এবং জানিয়ে দেন, আমাকে তার স্যোশাল সেক্রেটারির পদে রাখা সম্ভব নয়। পাশাপাশি তিনি তার নিজের অবস্থান ঠিক রাখার জন্য কোনো প্রমাণও রাখতে চান নি। একারণে তিনি আমার কাছে থাকা সব ডকুমেন্ট জমা দিতে বলেন। কিন্তু আমি তা করি নি। কারণ, আমি নিশ্চিত ডকুমেন্ট নষ্ট করলে তিনি উল্টো আমার দিকে অভিযোগের আঙুল তুলবেন। তিনি ও দূতাবাসের কয়েকজন কর্মকর্তা আমার ভুল ধরে আমাকে চাকরি থেকে বহিষ্কারের পথ খুঁজছেন। বাংলাদেশী পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এব্যাপারে ব্যবস্থা না নিলে আমি জাপানি আদালত ও মিডিয়ায় যাব।

বাংলাদেশী একজন কামুকের এমন নির্লজ্জপনায় কূটনৈতিক মহল ও স্থানীয় জাপানী কমিউনিটিতে আলোড়ন তুললে দক্ষিণ কোরিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশী রাষ্ট্রদূত মোহাম্মাদ শহীদুল ইসলাম ৮ই মে জাপানে যান এবং তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা খুঁজে পান। [তথ্যসূত্র : দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন ৬/৬/১১ইং]

অবশ্য জাহিদুর রহমান এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। কিন্তু ১৪ই তারিখের আমার দেশ পত্রিকায় জানিয়েছে তাকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।

হায় আক্ষেপ! একজন রাষ্ট্রদূত গোটা দেশের প্রতিনিধি। কিন্তু তিনি আমাদের এ কীসের প্রতিনিধিত্ব করলেন? তিনি কি আমাদের রিপুর প্রতিনিধিত্ব করলেন? কত বড় আক্ষেপের কথা, তাকাহাসি ও জাপানীদের অন্তরে তিনি এই বিশ্বাস সৃষ্টি করেছেন যে, পরনারীকে #চুম্বন করা বাংলাদেশের সাংস্কৃতির অংশ! হায়! আমরা বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম #মুসলিম রাষ্ট্রের অধিবাসী। মুসলিম বিশ্বে আমাদের এনিয়ে কত গৌরব। কিন্তু রাষ্ট্রদূতের রিপুর তাড়নায় এভাবেই ধ্বসে পড়ল আমাদের গৌরবের দেয়াল? আমরা শেষ পর্যন্ত বহিঃবিশ্বে কামুক জাতি হিসেবে চিহ্নিত হলাম? এই কি ছিল রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব?

অথচ আমাদের গৌরবময় মুসলিম শাসনের ইতিহাসে রাষ্ট্রদূতদের #ইতিহাস ছিল কত গৌরবময়! বিশ্ব বীর রুস্তমের কাছে মুসলিম দূত গমন করলে তিনি তাকে বললেন, আপনারা এখানে এসেছেন কেন? দূত স্বদেশের গৌরবময় ঐতিহ্য ও সভ্যতার প্রতিনিধিত্ব করে বললেন- আমরা মানুষকে মানুষের গোলামী থেকে মুক্তি দিয়ে আল্লাহর গোলামীর সাথে যুক্ত করতে এসেছি! এসেছি কুপ্রবৃত্তি থেকে মানুষকে বের করে আনতে।’

কত বীরত্বময়, গৌরবগাঁথা, স্মরণীয় প্রতিনিধিত্ব! রিপুর তাড়নার কাছে আমরা এভাবেই পরাস্ত হতে থাকব? কামনার আগুন আর মুক্তবাসের দাবানলে পুড়তে থাকবে আমাদের গৌরবের কীর্তিঘরগুলো?crying

আপনি পড়ছেনঃ মুক্তবাসিনী-২ বই থেকে

The post সম্ভ্রমহানীর কাঠুরিয়া appeared first on Amar Bangla Post.

আলিঙ্গন! আলিঙ্গনের বিভিন্ন রূপ ও প্রকারভেদ

$
0
0

"আমি ইতিপূর্বে আমার বাংলা পোস্ট.কম এ নারীর #যোনি বিষয়ক একটি পোস্ট লিখেছিলাম, ভালো পাঠকপ্রিয়তা পাওয়াতে নতুন আরো একটি পোস্ট আপনাদের জন্য নিয়ে হাজির হলাম। আশা করি আমার এই লেখাটিও আপনাদের কাছে ভীষণ ভালো লাগবে। "

সাধারণতঃ স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে যেভাবে রতিক্রিয়া সম্পাদিত হয়, তাতে বৈচিত্র নেই, কলারূপ নেই, রস সৃষ্টির প্রয়াস নেই। পুরুষ হঠাৎ কামতপ্ত হয়ে স্ত্রী সঙ্গম শুরু করে এবং কিছুক্ষণ পরে বীর্যপাতের ফলে ক্লান্ত ও অবসাদগ্রস্ত হয়ে নিদ্রার কোলে গা ঢেলে  দেয়। হয়তো নিশ্চিত মনে পাশ ফিরে শুয়ে নাক ডাকতে শুরু করলেন। আর অতৃপ্তকামা স্ত্রী তখন এপাশ-ওপাশ করে দীর্ঘশ্বাস করে ফেলতে লাগলেন  ঘন্টার পর  ঘন্টা।  এই একঘেয়ে ব্যাপার চলে  দিনের পর দিন, মাসের পর মাস। এমন কি সারাজীবন ধরে। স্বামী স্ত্রী পরস্পরের দেহের বিভিন্ন কামস্থানগুলো স্পর্শন, মর্দন, চুম্বন,  চোষণ, লেহন ইত্যাদি করে যে কী অপরিসীম আনন্দ লাভ করতে পারে, তা তাঁদের অজানা থেকে যায়।

আলিঙ্গনের বিভিন্ন রূপঃ

নারী পুরুষ পরস্পরকে যে আলিঙ্গন করে তাঁর দ্বারা মিলনের আগে পূর্বরাগ বৃদ্ধি পায়। তাই আলিঙ্গন কাম শাস্ত্রকারীদের ময়তে অতি অবশ্যকীয়। স্বামী স্ত্রী পাশাপাশি শয়ন করার পর স্বামী যখন স্ত্রীর মাথায় হাত বুলিয়ে সোহাগ বচন শোনাতে থাকে, তখন স্ত্রীর মনও ধীরে ধীরে রতিক্রিয়ার জন্য তৈরি হতে থাকে। প্রণয়িনীর নিঃশ্বাসে, তাঁর গাঁয়ের গন্ধে, অঙ্গের কোমল স্পর্শে, তাঁর ছলাকলায় প্রেমিকের স্নায়ু মন্ডলীতে হঠাৎ জেগে উঠে একটা প্রচন্ড উত্তেজনা। মিলন হবার জন্য তাঁর সমস্ত শিরা-উপশিরায় সঞ্চায়িত হয় একটা তীব্র উন্মাদনা। উন্মুক্ত আবেগে অধীর এই পরম মুহূর্তটির জন্য অপেক্ষা করছিল। প্রিয়তমের আলিঙ্গনের মধ্যে সে আত্মসমর্পণ  করে। তারপর দুর্দমনীয় কামাবেগে তাঁরা যেন পরস্পরের দেহের মধ্যে প্রবেশ করতে চায়।

আলিঙ্গনের প্রকারভেদ

যৌনতায় বৈচিত্র আনতে আলিঙ্গনের এই প্রকার ভেদ গুলো কাজে লাগান। এখানে বেশ কয়েকটি আলিঙ্গনের পজিশন আপনাদের জন্য বর্ণনা করা হলোঃ

০১। বৃক্ষাধিরুঢ়ক আলিঙ্গনঃ পুরুষ দাঁড়িয়ে থাকবেন আর স্ত্রী ঠিক গাছে আরোহণ করার মতো তাঁর একটি পা স্বামীর পায়ের উপর এবং অন্য পা দিয়ে স্বামীর উরু বেষ্টন করে ধরবেন। লতা যেভাবে বৃক্ষকে বেস্টন করে, তেমনিভাবে স্ত্রী তাঁর বাহু দু’টি দিয়ে স্বামীর দেহকে জড়িয়ে ধরে ওষ্ঠ চুম্বন করার চেষ্টা করবেন।

০২। তিলতন্তুলক আলিঙ্গনঃ স্বামী ও স্ত্রী নিজ নিজ পার্শদেশের উপর ভর দিয়ে মুখোমুখি শয়ন করবে। যে বামপাশে শোবে সে অপরের ডান কাকালের  নীচে নিজের বাম হাত রাখবে। আর  যে ডান দিকে শোবে, সে করবে এর বিপরীত। তারপর একের উরুর উপর অন্যের উরু এমনভাবে রাখবে যেন যোনি ও লিঙ্গমনির সংস্পর্শে স্থাপিত হয়। দুই দেহ যেন এক হয়ে নিশ্চলভাবে পড়ে থাকে।  যেমনভাবে চালের সাথে তিল মিশে যায়।

০৩। তাললটিক আলিঙ্গনঃ স্বামী-স্ত্রী পাশাপাশি বা উপরে-নীচে অবস্থায় শোয়ে পরস্পরের ওষ্ঠ চুম্বন করে আলিঙ্গন বন্ধন হবেন। তাঁরা একে অপরকে বাহুবন্ধনে আবদ্ধ করে বুকে বুক ঠেকিয়ে গালে গাল ঘসিয়ে,  পরস্পরের চোখের দিকে তাকিয়ে কপাল ঠোকাঠুকি করতে থাকে।  আলিঙ্গন খুব ধীরে ধীরে করতে হবে।

০৪। তঘনোপ আলিঙ্গনঃ স্ত্রী তাঁর বাহু দু’টি দ্বারা দৃঢ়ভাবে নায়কের নিতম্ব বেস্টন করে, নিজের জঘন (তলপেটের নিম্নে দুই উরুর  মধ্যবর্তী স্থান) স্বামীর জঘনের (লিঙ্গের) উপর রেখে নিভিড়ভাবে আলিঙ্গনাবদ্ধ হবেন।

০৫। বিদ্ধক আলিঙ্গনঃ নায়ক অন্যমনস্কভাবে বসে আছে অথবা কোন গভীর চিন্তায় মগ্ন, হঠাৎ স্ত্রী এসে তাঁর পিছনে উপস্থিত।  পিছন দিক থেকেই স্বামীকে জড়িয়ে ধরে স্তনাগ্র দ্বারা তাঁর পিটে দৃঢ়ভাবে চাপ দেবেন। স্বামী দাঁড়িয়ে ওঠে স্ত্রীকে বাহুবন্ধনে বন্ধিনী করে ফেলবেন।

০৬। উরু আলিঙ্গনঃ স্বামী স্ত্রী একে অপরের একটি উরুকে নিজের উরুদ্বয় দ্বারা সাঁড়াসির  মত চেপে ধরবেন।  দু’জনের মধ্যে যার উরু অধিকতর মাংসল, সে-ই হবে প্রবোক্তা। কেননা মাংসল উরুর নিস্পেষণ অতীব সুখদায়ক।

০৭। ক্ষীরনীরক  আলিঙ্গনঃ কোলে উপবিষ্টা অথবা শয্যায় মুখোমুখি শায়িতা স্ত্রীকে স্বামী এমন প্রচণ্ডভাবে জড়িয়ে ধরবেন,  দেখে মন হবে দু;জন একে অপরের দেহের অত্যন্তরে প্রবেশ করতে চান। বাৎস্যায়ন বলেছেন, এই আলিঙ্গনে স্বামী স্ত্রী এরূপ কমোদীপ্তি হন যে, এই প্রচন্ড নিস্পেষ্ণণে তাঁদের হাড় পর্যন্ত ভেঙ্গে যাতে পারে।

এই লেখার সাথে আরো যুক্ত হবে চুম্বন ও মর্দন অংশ বিশেষ। এই দুইটি বিষয় নিয়ে আগামীতে পোস্ট করবো। দেখুন এখানে>>

আমার পূর্বের একটি পোষ্টঃ নারীর যোনির ২৮টি নাম ও কর্মক্ষমতা পড়ার আমন্ত্রণ রইলো। 

আমার এই লেখাটি পড়ে আপনার কাছে ভালো লাগলে শেয়ার করে অন্যদেরকে পড়ার সুযোগ দিন। আমার এই লেখাটি পড়ে আপনার কাছে কেমন লেগেছে তা আমাকে জানাতে আপনি একটি মন্তব্য পোস্ট করুণ। 

#পূজা

The post আলিঙ্গন! আলিঙ্গনের বিভিন্ন রূপ ও প্রকারভেদ appeared first on Amar Bangla Post.

চুম্বন ও মর্দন। আলিঙ্গণের দ্বিতীয় অংশ

$
0
0

যৌন মিলনের শুরুর গুরুত্বপুর্ণ দিক হচ্ছে আলিঙ্গন পাশা-পাশি চুম্বন ও মর্দন। যৌন মিলন শুরু করার আগে আদর সোহাগ, চুম্বন ও মর্দন দ্বারা নারী পুরুষের একে অপরের যৌন উত্তেজয়া জাগিয়ে তুলতে হয়। তাই এ পোষ্ট এ চুম্বন ও মর্দনের বিষয়ে আলোচনা করবো। 

চুম্বন

শিশু জন্মগ্রহণ করে সহজাত কাম প্রবৃত্তি নিয়ে। শৈশবে তারব কামচেতনা কেন্দ্রীভূত থাকে মুখে, ঠোঁটে ও জিহ্বায়।  স্তন বা বুড়ো আঙ্গুল চুষে মানব শিশু তাঁর সেই সহজাত কাম প্রবৃত্তি চরিতার্থ করে। যথাসময়ে তাঁর কামচেতনা যৌনাঙ্গে সঞ্চারিত হয় বটে কিন্তু শৈশবের মুখ্য কামকেন্দ্রে থেকে কামচেতনা একেবারে বিলুপ্ত হয় না। যৌবনে মানুষ চুম্বুন দ্বারা শৈশবের সেই রতি সুখের স্বাদ পায়। যাবতীয় শৃঙ্গারের মধ্যে চুম্বনের প্রয়োগই সবচেয়ে বেশি হয়।

নারীদেহে চুম্বনের যে অনেকগুলি স্থান আছে, অনেক স্বামীই তা জানেন না। স্থান গুলো  যথাক্রমে

(১) কপাল।  (২) চুল।  (৩) গাল। (৪) গলা। (৫) স্তন।  (৬) ওষ্ঠ।   (৭) চোখ।  (৮) পেট।  (৯) নাভি। (১০) উরু। (১১) পাছা। (১২) তলপেট। (১২) যোনিপীট।

আরো পড়ুনঃ স্বামী স্ত্রীর চুম্বনের প্রকারভেদ

মর্দন

হাত বুলানো এবং সুড়সুড়ি প্রদান দ্বারাও স্তনদ্বয়, নিতম্ব, উরু প্রভৃতি কামস্থানগুলো উদ্দীপ্ত করা যেতে পারে। মর্দনের স্থানঃ

(১) বাহুযুগল।  (২) স্তন।  (৩) যোনি।  (৪) নাভিদেশ।

চোষণ বা লেহন ইত্যাদি মূলতঃ চুম্বনেরই প্রকারভেদ মাত্র। যেসব অঙ্গ চুম্বন করা যায়, সেগুলো চোষণ ও লেহন করলে পুলকের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। জিহ্বা দ্বারা মুখগহ্বর লেহন বা জিহ্বা চোষণ ইত্যাদিও চুম্বনের অংশ। ঠোঁট কিংবা স্তন বৃত্ত চোষণ করে স্বামী স্ত্রীর-স্ত্রী স্বর্গীয় সুখ পান। লেহন স্থান…

(১) চোখ। (২) গাল। (৩) স্তন। (৪) কাঁধ। (৫) বগল। (৬) স্তনদ্বয়ের মধ্যবর্তী ঢালু জায়গা।  (৭) নাভি।

এই বিষয়ের আমার প্রথম পোষ্টঃ স্বামী স্ত্রীর আদর করার ৭ টি নিয়ম পড়ে আসুন। 

আরো পড়ুনঃ নারীর যোনির প্রকারভেদ

লেখাটি ভালো লাগলে শেয়ার করে অন্যদেরকে পড়তে সাহায্য করুণ।

The post চুম্বন ও মর্দন। আলিঙ্গণের দ্বিতীয় অংশ appeared first on Amar Bangla Post.

ছেলেদের লিঙ্গের ২০ টি নাম ও কর্মক্ষমতা

$
0
0

প্রিয় পাঠক-পাঠিকা বন্ধুরা! আমার বাংলা পোস্ট ডট কমের আমার প্রথম পোস্ট বলেছিলাম ছেলেদের লিঙ্গের নানান নাম নিয়ে একটি পোস্ট লিখবো। তাই আজ আপনাদের ছেলেদের  লিঙ্গ সম্পর্কে জানাতে চলেছি। আমার আজকের এই লেখাটি পড়ে হয়তো কিছু অংশে আপনার হাঁসি আসতে পারে। সমস্যা কি, পড়ার ভিতরে কিছু হাসিও চলুক! কেমন?

পুরুষাঙ্গের নাম  কামারের হাপর—কেননা কামারের হাপর যেমন প্রসারিত সংকুচিত হয়, পুরুষাঙ্গেও তাঁর ব্যতিক্রম হয় না। ফেপে উঠলেই খাড়া,  চুপসে গেলেই নিঝুম। এর আর  এক নাম (কবুতর)। অর্থাৎ ডিমের ওপর পায়রা বসে থাকার মতো নিস্তেজ,  কিন্তু তাঁর আগে তেজী।

তাই জেনে নিন পুরুষাঙ্গের নানান নাম ও তাঁর কর্ম পরিচয়। মিলিয়ে নিন আপনার টিও।

০১) ঘন্টা : যোনিদেশে প্রবেশ ও নির্গমনের শব্দটির সমনাম-ঠিক ঘন্টার মতোই টিনটিনে আওয়াজ।

০২) অবাধ্য : অবাধ্য তো বটেই, একবার মাথা তুললে, মাস্তানদের মতোই যোনিতে ঢুকে পড়বে—কারোর পরোয়া করবে না।

০৩) খুল্লমখুল্লা : ইতিহাস বলে তিনবার ঢুকে যদি বেরিয়ে আসে, তাহলে বেগমকে তাঁর প্রথম জনাবের কাছে যেতে হবে।

০৪) প্রহরী : ঠি প্রহরীর মতোই গুঁড়ি মেরে মেরে ঊরুর ওপর দিয়ে যোনিমুখে দাঁড়িয়ে পড়ে। তারপর, ভেতরে ঢুকে প্রহরা শেষ করে।

০৫) উত্তেজক : প্রবেশ প্রস্থানে বেজায় সুড়সুড়ি দেয়।

০৬) সুপ্ত : ঘুমন্ত রাক্ষস! জেগে উঠলে রক্ষে নেই কিন্তু থাকে ঘাপটি মেরে। দেখে বোঝার উপায় নেই জেগে উঠলে কী না করতে পারে! অনেক সময় ‘কাজ শেষ করে যোনির মধ্যেই ঘুমিয়ে পড়ে। তবে, বেশির ভাগ সময়ে বেরিয়ে আসে দৃপ্ত কিন্তু ঘুম-ঘুম ঢঙে।

০৭) শাবল : শাবল যেমন আটকে গেলেই খোঁচাতে থাকে, এটির স্বাভাবও তেমনি।

০৮) দর্জি : দর্জি যেমন মাকুতে সুতো জড়ায়, কিংবা ছুঁচটা। এ-ফোঁড় ও-ফোঁড় করে-এটিও তাঁর থেকে কিছু কম যায় না।

০৯) কামনা নিবৃত্তি : বড়সড় পুরুষাঙ্গ স্খলন খুবই মন্থরগতি। যে কোনো রমণীকে রমণে তৃপ্তি দিতে ওস্তাদ। একেবারে উঁচুতে নিয়ে গিয়ে, খুবই মন্থরগতি এই সঙ্গম। মনে হয় ‘ভেতরে’ যেন আরও কিছুক্ষণ থাকতে চায়।  ডান-বাঁ উচু-নিচু সর্বত্রই এ যায়। যোনি এর মাথাটিকে চেপে ধরার জন্যে উন্মুখ,  অধীর হয়ে ওঠে। পেলে আর ছাড়তে চায় না এই ‘কামনার ধন।’

১০) ওলটপালট : পালটি হন্যে হয়ে ঢুকে পড়ে, যেন ভীষণ ব্যস্ত। তারপর, উলটে পালটে, একেবারে যোনি বিন্দুতে হামলে পড়ে।

১১) জঙ্গি : যোনি দ্বারে ঈর্ষৎ টোকা দেয়; ঢুকতে দাও। দ্বার খুললে ভাল, সোজা ঢুকে যাবে। না হলে, জঙ্গি কায়দায় অনবরত টোকা মেরে যাবে যতক্ষণ না খোলে। অর্থাৎ ‘দরজা’ খুলিয়ে ছাড়বে।

১২) সাতারু : ঠিক সাঁতারুর মতোই তাঁর ভাবভঙ্গি।  এক জায়গায় থাকে না,  ডায়ে বাঁয়ে করে, এগিয়ে পিছিয়ে বীর্যসমুদ্রে সাঁতারে গিয়ে যোনির তটদেশ ধরে-যাতে ডুবে না যায়!

১৩) চোর  : ঠিক চোরের মতোই যোনিদ্বারে আসে। যোনি প্রশ্ন করে : ‘কী চাই? ‘ভেতরে ঢুকতে চাই।’—অসম্ভব! অত বড় আমি নিতে পারব না।’ এরপর সে মাথা দিয়ে একটু গুঁতোয়। যোনি-ঠোঁটে একটু ঘষাঘষি চালায়। তাঁরপরই, এক ধাক্কায় পুরোটা সেঁদিয়ে দেয়।

১৪) একচোখা : একটাই চোখ বেচারার—ঠিক মতো দেখতে পায় না—সেফ্র ঠাওর করতে পারে!

১৫) হোঁচট : রাস্তায় পাথর থাকলে লোকে যেমন হোঁচট খেতে খেতেও জোর কদম চালাবার চেষ্টা করে, এ-ও তেমনি যোনির অভ্যন্তরে না যাওয়া অবধি হোঁচট খেতে খেতে ঢুকে পড়ে।

১৬) লাজুক : অজানা অচেনা যোনি দেখলে বেচারা প্রথমটা ভড়কে যায়, তারপর একটু আলাপ পরিচয় হলেই ‘সাহসী’ হয়ে ওঠে দৃপ্ত ভঙ্গিতে। কিন্তু মুশকিল, মাঝে মাঝে এমন ঘাবড়ে যায় যে মাথা নামিয়ে বসে থাকে। অজানা কেউ হাজির থাকলে, কার সাধ্যি তাঁর লজ্জা ভাঙায়!

১৭) ছিঁচকাঁদুনে : যখন তখন ‘জল’ গড়ায়। খাড়া হয়ে দাঁড়ালেও জল, খুসসুরৎ কোনো মেয়ে দেখলেও ‘জল’ অনবরতই এর আঠলো জল জড়িয়ে পড়ে।

১৮) খননকারী : একবার ঢুকে পড়লেই হলো, সঙ্গে সঙ্গে ‘খনন করতে শুরু করে দেবে তারপর অকুস্থলে পৌঁছে তবেই শান্তি।

১৯) সংযোগকারী : চুলে চুলে সেঁটে না যাওয়া অবধি কসরৎ চালিয়ে যাবে, পারলে মূল অবধি ঢুকিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে।

২০) আশাবাদী : ভীষণ আশাবাদী স্বভাব। যোনি দেখলে, এমন কি কোনো যোনির কথা হঠাৎ মনে পড়লেও এর ‘চোখ’ প্রত্যাশায় “টসটসিয়ে’  ওঠে। এই টসটসে ভাবটা এর একেবারেই যায় না। কিছুদিন ‘বেকার’ বসে থাকলে তো কথাই নেই, ‘টসটসিয়ে’ মনিবের কাপড়চোপড়।

আমার প্রথম পোষ্ট : নারীদের যোনির গোপন কথা। জেনে নিন যোনির ২৮ টি নাম ও কর্মক্ষমতা

আমার দ্বিতীয় পোষ্ট : আদর করার নিয়ম ও প্রকারভেদ

আমার তৃতীয় পোষ্ট : কিস করার টিপস। চুম্বন ও মর্দন

উপরের তিনটি লেখা পড়তে ভূল করবেন না। লেখাটি শেয়ার করে আপনার বন্ধুদেরকে পড়ান। এসম্পর্কে আপনার মতামত  জানাতে কমেন্ট করুণ।

The post ছেলেদের লিঙ্গের ২০ টি নাম ও কর্মক্ষমতা appeared first on Amar Bangla Post.

Viewing all 93 articles
Browse latest View live


<script src="https://jsc.adskeeper.com/r/s/rssing.com.1596347.js" async> </script>