Quantcast
Channel: You searched for চুম্বন | Amar Bangla Post
Viewing all 93 articles
Browse latest View live

শৃঙ্গারে নারীর কেশ

$
0
0

বাৎস্যায়ন লিখেছেন— স্ত্রী এক হাতে স্বামীর কেশগুচ্ছ ধারণ করবে এবং অপর হাতে তাঁর মুখখানি উঁচু করে তুলে ধরে চুম্বন করবে।

আর স্বামী হঠাৎ স্ত্রীর চুলগুচ্ছ দৃঢ় মুষ্টিতে  ধারণ করে তাঁকে চুম্বন করবে।

চুম্বন প্রয়োগকালে স্ত্রীর রতিবাসনা যাতে উদ্দীপ্ত হয়, সে উদ্দেশ্যে স্বামী তাঁর কেশগুচ্ছ নিয়ে খেলা করবে।

আদর করার ছবি

কেশগুচ্ছ নিয়ে ক্রিয়া করার কয়েকটি পদ্ধতিঃ

(১) স্বামী উভয় হাতে বা এক হাতে স্ত্রীর কেশগুচ্ছ ধারণ করে তাঁর মুখ চুম্বন করবে। অথবা স্ত্রীর দীর্ঘ বেণীকে নিজের হাতের চতুর্স্পার্শ্বে জড়িয়ে তা মুখখানি তুলে ধরতে পারে।

(২) রতি সঙ্গমকালে স্বামী-স্ত্রী পরস্পরের কানের কাছের কেশগুচ্ছ উভয় হস্তে ধারণ করে চুম্বন করতে পারে।     

স্বামী স্ত্রীর আদর নিয়ে আমার দেওয়া আরো কিছু পোস্ট পড়ুন…

০১। স্বামী স্ত্রীর আদরের বিভিন্ন রূপ ও প্রকারভেদ

০২। চুম্বন-মর্দন। আদর করার দ্বিতীয় ধাপ

নারী পুরুষের যৌনাঙ্গ নিয়ে আমার দুইটি পোস্ট…

০১। মেয়েদের যোনির ২৮ টি প্রকারভেদ এবং কর্মক্ষমতা

০২। ছেলেদের লিঙ্গের ২০টি প্রকারভেদ এবং কর্মক্ষমতা

The post শৃঙ্গারে নারীর কেশ appeared first on Amar Bangla Post.


স্বামীর হত্যাকারীদেরকে ফুলের মালা দিয়ে বরণ ও পুরুস্কৃত করেছেন স্ত্রী

$
0
0

দৃষ্টিপাত বইটি আমি অনেকবার পড়েছি। কতবার হবে তা বলতে পারব না। বইটা পড়তে এখনও মন টানে। সাহিত্যের জন্য একাধিক বই না পড়ে প্রকৃত সাহিত্যের একটা বই বারবার পড়াই বেশি উপযোগী। লেখকের ধর্মীয় পরিচয় ছাড়া বাকি সবকিছু আমাকে মুগ্ধ করেছে। যাযাবর ছদ্মনামের এই লেখকের শব্দের গাঁথুনি আর বাক্য চয়ন এত চমৎকার যে, বইটি না পড়লে তা উপলব্ধি করা কঠিন। বইটির একজায়গায় তিনি নারীজাতির মূল্যায়ন করেছেন খুব রসালো ভঙ্গিমায়, রসাত্মক ভাষণে। যে কথাগুলো তিনি বলেছেন তারও অবশ্য একটা প্রেক্ষাপট আছে। লেখক একজন হিন্দু লোক হওয়া সত্ত্বেও ভারত উপমহাদেশের নারীরা কীভাবে বিদেশী সভ্যতা দ্বারা প্রভাবিত হয়ে স্বকীয়তা ও ধর্মীয় মর্যাদা ক্ষুণ্ন করল তা তিনি অন্তর্দৃষ্টি দিয়ে আলোচনা করেছেন। তার এসব মূল্যায়নে ধর্মীয় ছাপ পূর্ণমাত্রায় বিদ্যমান। তিনি লিখেছেন-

‘পশ্চিমের শিক্ষা, সভ্যতা ও ভাবধারা আমাদের দেশে এনেছে নতুন আবেষ্টন। তার ফলে অভাবনীয় পরিবর্তন ঘটেছে আমাদের কর্মে এবং চিন্তায়। আমাদের আহার, বিহার, বসন-ভূষণ বদল হয়েছে। বদল হয়েছে রীতি-নীতি ও ধ্যান-ধারণা। এতকাল নারীকে কেবল আমরা পুরুষের আত্মীয় রূপেই দেখেছি। সে আমাদের ঠাকুমা, দিদিমা, পিসি, দিদি, বৌদি কিংবা শ্যালিকা। কিন্তু জায়া, জননী এবং অনুজা ছাড়াও নারীর যে আরও একটি অভিনব পরিচয় আছে, সে সম্পর্কে আমরা বর্তমানে সচেতন হয়েছি। তার নাম সখী (গার্লফ্রেন্ড)।

প্রাণীজগতের মতো মনোজগতের বিবর্তন আছে। তার ফলে বিভিন্ন বস্তু, ব্যক্তি বা নীতির মূল্য সম্পর্কে আমাদের মনোভাবের পরিবর্তন ঘটে। নারীর মূল্যের যুগে যুগে তারতম্য হয়েছে। একদা সমাজে মায়ের স্থান ছিল সর্বপ্রধান। সেদিন পরিবার পরিচালনা থেকে বংশপরিচয় এবং উত্তরাধিকার নির্ণিত হত মাতার নির্দেশ, সংজ্ঞা ও সম্পর্ক দিয়ে। ক্রমে এই ম্যাট্রিয়ার্কল ফ্যামিলি বিলুপ্ত হলো। রাজমাতার চাইতে রাজরানীর মর্যাদা হল অধিক। সাধারণ পরিধি পরিমিত। সংসারের কর্ত্রী হলেন জননী নয় গৃহিণী। ছেলেরা মায়ের কোল ছেড়ে বউ-এর আঁচলে আত্মসমর্পণ করল।

বলা বাহুল্য, এই হস্তান্তরে মায়েরা খুশি হলেন না। কেউ কেউ অধিকার রক্ষার জন্য যুদ্ধ ঘোষণা করলেন। ফল হল না। হার হল তাদেরই। শুধু বউকাঁটকি আখ্য পেয়ে নাটক, নভেলে তারা নিন্দিত হলেন। যারা বুদ্ধিমতী, তারা কালের লিখন পাঠ করলেন দেয়ালে, মেনে নিলেন অবধারিত বিধি। নিঃশব্দে-, কিন্তু স্বচ্ছন্দে নয়। জগতে সমস্ত বিক্ষুব্ধ মাতৃকুলের অনুরক্ত অভিযোগ আজও জেগে আছে বধুশাসিত আধুনিক গৃহের বিরুদ্ধে। ইউরোপ আমেরিকার সমাজে পত্নীকর্তৃত্ব পুরোপুরি স্বীকৃত। বিবাহের পর ছেলের সংসারে মায়ের স্থান নেই, কিংবা থাকলেও সে স্থান উল্লেখযোগ্য নয়।

এ যুগের পুরুষের কাছে ঘরের চাইতে বাইরের ডাক বেশি। সে দশটা পাঁচটায় অফিসে যায়, কারখানায় খাটে, শেয়ারমার্কেটে ঘোরে। সেখান থেকে টেনিস, রেস কিংবা মিটিং। রাত্রিতে সিনেমা অথবা ক্লাব। এর মধ্যে গৃহের স্থান নেই, গৃহিণীরও আবশ্যকতা নেই। আগে সস্ত্রীক ধর্মাচারণ হত। কিন্তু এখন শুধু ইলেকশনে ভোটসংগ্রহ ছাড়া ভারতবর্ষেও বড় একটা কাজে লাগে না। তাই এ-যুগে সহধর্মিনীকে নিয়ে বেশি রোমান্স লেখা হয়।

পুরুষের জীবনে আজ গৃহ ও গৃহিণীর প্রয়োজন সামান্যই। তার খাওয়ার জন্য আছে রেস্তোরাঁ, শোয়ার জন্য আছে হোটেল, রোগে পরিচর্যার জন্য আছে হাসপাতাল ও নার্স। সন্তান-সন্ততিদের লালন-পালন ও শিক্ষার জন্য স্ত্রীর যে অপরিহার্যতা ছিল, বোর্ডিং-স্কুল ও চিলড্রেনস হোমের উদ্ভব হয়ে তারও সমাধা হয়েছে। তাই স্ত্রীর প্রভাব ক্রমশ সঙ্কুচিত হয়ে ঠেকেছে এসে সাহচর্যে। সে পত্নীর চাইতে বেশিটা বান্ধবী। সে কর্ত্রীও নয়, ধাত্রীও নয়- সে সহচরী।

নারীর পক্ষেও স্বামীর সম্পর্ক এখন পূর্বের ন্যায় ব্যাপক নয়। একদিন স্বামীর প্রয়োজন মুখ্যত ছিল ভরণ-পোষণ ও রক্ষাণাবেক্ষণের। কিন্তু এ যুগের স্ত্রীরা একান্তভাবে স্বামী- উপজীবিনী নয়। দরকার হলে তারা অফিসে খেটে টাকা আনতে পারে। তাই স্বামীর গুরুত্ব এখন কর্তারুপে নয়, বন্ধুরূপে।

ভারতবর্ষও এই নব ধারার বন্যাকে এড়িয়ে থাকতে পারে নি। ঢেউ এসে লেগেছে তার সমাজের উপকূলে। আমাদেরও পরিবার ক্রমশ ক্ষুদ্রকায় হচ্ছে, আত্মীয় পরিজনের সম্বন্ধ সঙ্কীর্ণ হচ্ছে। গ্রাম্য সভ্যতার ভিত বিধ্বস্ত, কলকারখানাকে কেন্দ্র করে নগর-নগরীর বি¯তৃতি ঘটেছে ধীরে ধীরে। তার সঙ্গে যোগ হয়েছে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি, নতুন জীবন-ধর্মের উদ্ভব অপরিহার্য। এদেশের পুরুষের জীবনে এবার আভির্ভূত হয়েছে সখী (গার্লফ্রেন্ড) আর নারীর জীবনে সখা (বয়ফ্রেন্ড)।

অবশ্য লেখক মুসলিম পরিবারের ঐতিহ্য তুলে ধরে বলেছেন, ‘কিন্তু সাধারণ হিন্দু পরিবারে অনাত্মীয়-স্ত্রী-পুরুষের বন্ধুত্বের পথ উন্মুক্ত নয়। সাধারণ মুসলিম পরিবারেও নয়। সেখানে বন্ধু বা বান্ধবীর স্বীকৃতি মাত্র নেই। সেখানে পুরুষের জীবনে প্রথমে যে অনাত্মীয়া নারীর সান্নিধ্য ঘটে, তিনি নিজের স্ত্রী।’

লেখক তার বক্তব্যে ভারতবর্ষে মুসলিম নারীদের মানসিক ও নৈতিকাবস্থার পরিবর্তন, পবিত্র সম্পর্কের বাইরেও অনৈতিক সম্পর্কের অনুপ্রবেশের ইতিহাস অত্যন্ত বাস্তবতার আলোকে উপস্থাপন করেছেন। সেই সাথে একথাও তিনি উল্লেখ করেছেন যে, মুসলিম পরিবারে অনৈতিক সম্পর্কের কোনো স্থান নেই। এখানে এধরনের সম্পর্ক অস্বীকৃত।

এটা লেখকের আজ থেকে বেশ কয়েক যুগ আগের বিশ্লেষণ ও পরিস্থিতির মূল্যায়ন এবং একটি খাঁটি মুসলিম পরিবার সম্পর্কে ধারণা হলেও এখন অবস্থার বিপুল পরিবর্তন ঘটেছে। এখন গুটিকয়েক রক্ষণশীল মুসলিম পরিবার ছাড়া নৈতিকতার এই শক্ত দেয়াল চোখে পড়ে না। কেবল পাশ্চাত্য সভ্যতা, পশ্চিমী ধ্যান-ধারণা আর পাশ্চাত্যীয় জীবনে অভিষেকের নির্দয় আস্ফালন। তাই ঘটছে হাজারও অপ্রীতিকর, জঘন্য ও নারকীয় ঘটনা। পাশ্চাত্যের সভ্যতার সুফল হিসেবে কখনও নারী সখা গ্রহণ করে স্বামীকে করছে পদধূলিত। আবার স্বামী কখনও গার্লফ্রেন্ড গ্রহণ করে নারীর জীবনকে করছে বিষাক্ত। বিষ আর অবিশ্বাসে ছেয়ে গেছে আমাদের সভ্যতা, আমাদের পবিত্র সম্পর্ক।

দিন যত যায় ঘটনার নির্মমতা তত বাড়ে। একদিন হয়ত স্বামী কর্তৃক স্ত্রীকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করার খবর পাওয়া গেল তো পরের দিন পাওয়া গেল স্ত্রী কর্তৃক স্বামীকে গলা কেটে হত্যা করার নির্মম দুঃসংবাদ। এভাবেই চলছে আমাদের জীবন, আমাদের সভ্যতা, আমাদের জীবনসংসার!

এবারের ঘটনার নির্মমতা অন্য দশটি ঘটনা ছাড়িয়ে যায় কিনা তাই ভাবছি। মাত্র এক বছর হয় বিয়ে করেছেন যুবকটি। ডাক্তার হওয়ার বিরাট স্বপ্ন নিয়ে তিনি বেড়ে উঠেছিলেন এবং সেই স্বপ্ন তার পদযুগলে চুম্বনও করেছিল। সেই চুম্বনের আর্দ্রতা শুকিয়ে যাওয়ার আগেই তাকে মৃত্যু এসে চুমো দিয়ে গেল। সে স্ত্রীর কল্যাণে (?)! স্ত্রী কয়েকজন লোককে ডেকে এনেছিলেন স্বামীর ‘মালাকুল মাউত’ হিসেবে!

মা বাবার অশেষ আশা-আকাঙ্ক্ষা, মেধা ব্যয়, অর্থবিত্ত খরচ করে একজন ডাক্তারকে সমাজে দাঁড়াতে হয়। এই যুবক তা করতে সক্ষম হয়েছিলেন। জীবনের সব সঞ্চয় ব্যয় করার সংকল্প করেছিলেন সদ্যবিবাহিতা স্ত্রীর জন্য। কিন্তু কোনো এক মায়ার টানে পড়ে গেলেন সেই স্ত্রী। মাত্র এক বছরের ক্ষুদ্র জীবনে স্বামীর বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভের লাভা বিচ্ছুরিত হলো সেই স্ত্রীর অপবিত্র মনে। অপবিত্র বললাম একারণে যে, একজন স্বামী বা স্ত্রী যতই অপরাধ করুক না কেন তারা একারণে কেউ কারো থেকে প্রতিশোধ নিতে পারে না। দাম্পত্য জীবনে কত সমস্যা আসবে, ঝড়-ঝাপটা আসবে, কখনও মনে হবে এই বুঝি গেল রে! কিন্তু সব কিছু জয় করে সংসার নামের ভেলাটাকে গন্তব্যের ঘাঁটে পৌঁছাতেই হবে। তবেই না নারীর স্ত্রী হিসেবে এবং পুরুষের স্বামী হিসেবে সফলতা। এই সফলতা যে অর্জন করেছেন তিনি যেখানেই থাকুন না কেন আমি তাকে সম্মান করি। তার প্রতি আমার স্বশ্রদ্ধ সালাম!

যাহোক, এই স্ত্রীটি স্বামীকে জীবনপথের কাঁটা মনে করতে শুরু করলেন। জানি না কতদিন এই ‘কাঁটা’র সঙ্গে রাত যাপন করেছেন। ভালোবাসার অভিনয় করেছেন। মনে হয় ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলেন তিনি। তাই অভিনয় দীর্ঘায়িত করতে পছন্দ হচ্ছিল না তার। ফলে নিজের মনের মতো করে একটি সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি। ঘটনাটা সেপ্টেম্বর ২০১১ ইংরেজির। সেই দিনটার সমাপ্তির মধ্য দিয়ে আগমন ঘটল একটি নতুন রাতের, নতুন অধ্যায়ের। অন্যদিনের মতোই স্বাভাবিক নিয়মে ঘুমাতে গেলেন ডাক্তার ও সদ্য বিবাহিত লোকটি। কিন্তু স্ত্রীর মনে স্বস্তি নেই। এক অজানা কর্মতৎপরতা তাকে ব্যাকুল ও অস্থির করে রেখেছে। স্বামীশয্যায় কেবলই তিনি উসখুশ করছেন। আজকের রাতটা যেন তার কাছে পশ্চিম দিক থেকে সূর্য ওঠা রাতের মতো চল্লিশ বছরের রাতের মতো দীর্ঘ মনে হচ্ছে। তবে সেই চল্লিশ বছরের সমান রাত যেমন শেষ হবে এই রাতটাও তেমন শেষ হওয়ার পথে এগিয়ে চলল।

রাত তখন মাঝখানটায় দাঁড়িয়ে আছে। জোসনার আলো ছাপিয়ে ধরনী কেবলই নিকষ কালো হতে শুরু করেছে। রাতের কৃষ্ণতা আর নিস্তব্ধতার মধ্যে এগিয়ে চলল কয়েকটি বনী আদম, কাবিলের যোগ্য উত্তরসুরী। হাঁটতে হাঁটতে এসে দাঁড়ালো তারা ডাক্তার বাড়ির আঙিনায়। মৃদু করাঘাত করল তারা দরজায়। মধ্য রাতের সামান্যতম এই আওয়াজ ঘুমে বিভোর ও স্ত্রীপরশে শয্যাযাপিত ডাক্তার সাহেবের কানে যাওয়ার কথা না। কিন্তু একজন লোক এমন একটি ক্ষীণ শব্দ শোনার জন্যই রাতের শুরু থেকে অধির অপেক্ষায় কালক্ষেপন করছিলেন। তাই শব্দটা শোনামাত্রই ঝড়ের বেগে এসে দরজা খুলে দিলেন তিনি। আগন্তুকদেরকে ঘরে অভ্যর্থনা জানালেন পরমভক্তিভরে।

এরপর ইশারা করলেন বিছানায় পড়ে থাকা নিরাপরাধ লোকটির দিকে। লোকগুলো খুব তাড়াবোধ করছিল। দেরি করল না তারা। ঘুমের বেঘোরে থাকা লোকটির ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ল তৎক্ষণাৎ। কয়েক মিনিটের ঘটনা। অপ্রস্তুত অসহায় লোকটি নিজেকে প্রাণঘাতী দুশমনের বেষ্টনে আবদ্ধ দেখতে পেলেন। অদূরেই দাঁড়িয়ে আছেন স্ত্রী। ঘুমের ঘোরে বুঝতে না পেরে তার কাছে সাহায্য চাইতে উদ্যোত হলেন। কিন্তু মৃত্যুর আতংক যখন তার ঘুমের ঘোর কাটিয়ে দিয়েছে তখন দেখলেন স্ত্রী আজ তার সহায়ক নয়, হন্তারকদের পথপদর্শক! স্ত্রীর কাছে সাহায্য চাওয়া প্রহসন ভেবে নিবৃত হলেন তিনি। একাই কতক্ষণ লড়াই করলেন। এরপর চিরাচরিত নিয়মানুযায়ী দুর্বল বলে সবলের, মজলুম বলে জালেমের কাছে আত্মসমর্পণ করলেন। খুনিরা বিজয়ীবেশে স্ত্রীর সামনে হাজির হলো। সদ্যসমাপ্ত হত্যা অভিযানের ‘বিজয়ী বীরদের (?)-কে সম্ভাব্য সর্বোচ্চ উপায়ে পুরুস্কৃত করল স্ত্রী!

এই প্রথম শুনলাম, স্বামীর হন্তারকদেরকে স্ত্রী ফুলের মালা দিয়ে স্বাগত জানালেন ও পুরুস্কৃত করলেন!

আপনি পড়ছেনঃ মুক্তবাসিনী ২ বই থেকে।

The post স্বামীর হত্যাকারীদেরকে ফুলের মালা দিয়ে বরণ ও পুরুস্কৃত করেছেন স্ত্রী appeared first on Amar Bangla Post.

ভালোবাসা দিবসের পাপ

$
0
0

ভালোবাসা দিবসের আবিষ্কারকরা পিছু হটতে শুরু করেছেন। ১৪ই ফেব্রুয়ারি যারা বিশ্বভালোবাসা দিবস পালন করার জন্য মুখিয়ে ছিলেন তাদেরকেও আশাহত হতে হয়েছে। আসলে ফেব্রুয়ারির এই সপ্তাহটি ছিল ঘটনাবহুল, হৃদয়বিদারক এবং কষ্টের সপ্তাহ। ১১ই ফেব্রুয়ারি নিমর্মভাবে নিহত হন দুই সাংবাদিক, সাগর এবং রুনি। তারা স্বামী-স্ত্রী। মাত্র পাঁচ বছরের একটি শিশু মেঘ। তার সামনেই সন্ত্রাসীরা পিতামাতাকে নির্মমভাবে হত্যা করে। মা-বাবার রক্তভেজা মোবাইল থেকে পরের দিন মেঘ তার নানুর কাছে ফোন দিয়ে বলে ‘আব্বু আম্মু মারা গেছে।’

এমন একটি নির্মম দুঃসংবাদ শোনার প্রস্তুতি ছিল না তার মা-বাবার। ছিল না গোটা দেশবাসীরও। তাই শোকে কাতর হয়েছে সবাই। সেদিন শোকে সবাই মেঘ হয়ে গিয়েছিল। সাগর-রুনি যেন শুধু মেঘেরই মা-বাবা নন গোটা দেশবাসীর মা-বাবা। তারা শুধু তার মা-বাবারই সন্তান নন গোটা দেশবাসীর সন্তান। এই ঘটনায় ‘বহিরাগতদের’ মধ্যে সবচেয়ে বেশি চটেছিলেন সাংবাদিক শ্রেণী। কারণ, সাগর-রুনি দুইজনই ছিলেন তাদের সহকর্মী-সাংবাদিক। সাংবাদিকদের ক্ষোভ-বিক্ষোভ, আর উত্তেজনা দেখে আমাদের হম্বতম্বী তথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে খুনীদের বের করার আল্টিমেটাম দিয়েছিলেন।

মন্ত্রী হম্বতম্বী করতে ভালোবাসেন। যে কোনো সময়ের চেয়ে দেশের আইন-শৃঙ্খলার পরিস্থিতি ভালো বলে দেশবাসীকে আশ্বস্ত করেন। জনগণ কতটুকু আশ্বস্ত হয় জানি না, কিন্তু আশ্বস্তাবোধ সৃষ্টির চেষ্টায় ত্রুটি থাকে না তার। সেই চেষ্টার ধারাতেই ৪৮ঘণ্টার মধ্যে খুনীদের খুঁজে বের করার চরম আল্টিমেটাম দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু পরে কয়েক ‘শত ৪৮ঘণ্টা’ গত হওয়ার পর হার মেনেছেন। তিনি স্বীকার করেছেন যে, তার ভুলে হয়েছে। সাংবাদিকদের চাপে পড়ে ৪৮ঘণ্টার সময় বেঁধে দিতে  বাধ্য হয়েছিলেন তিনি। যাহোক, তার বেঁধে দেয়া এই সময়ের মধ্যে খুনের রহস্য উদঘাটিত করা সম্ভব হয় নি।

আইনের হাত আর চিন্তা নির্দিষ্ট গন্তব্য তথা ঘটনার ক্লু পর্যন্ত পৌঁছতে সক্ষম না হলেও মানুষের কল্পনা শক্তি অনেক ক্ষেত্র থেকে বিচরণ করে এসেছে। কেউ কেউ এখানে অবৈধ সম্পর্কের গন্ধ খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা করেছেন। ১৩ তারিখের বিডিনিউজ টুয়েন্টফোর ডটকম সে রকম একটি সংবাদ প্রকাশ করেছে। ঘটনাপ্রবাহে মনে হয় হত্যাকাণ্ডের মোড় ঘুরানোর জন্যই এধরনের তথ্য প্রচার করা হচ্ছে। আসলে কথা হচ্ছে, প্রেম-পরকীয়ার বিষয়টা এত ব্যাপকতা পেয়েছে যে, মানুষ এখন এটাকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে পার পাওয়ার সুযোগ পাচ্ছে। এটাও কিন্তু কম খারাপ ব্যাপার নয়!

ঘটনা যাই হোক, হয়ত ভালোবাসা দিবসের আয়োজকরা এতে ভড়কে গেছেন। প্রেম-ভালোবাসাকে কেন্দ্র করে যেখানে আবির্ভূত হচ্ছে নিত্য হৃদয়বিদারক ঘটনা সেখানে এই শোকের মধ্যে আর দিবসটি পালন করার সাহস করেন নি। ‘বিশ্ব ভালোবাসা পালন কমিটি’ ১৪ তারিখে বিশ্ব ভালোবাসা দিবস পালন করবে না বলে ঘোষণা দিয়েছে। তাদের বুদ্ধির শুভোদয় হোক। আগত প্রতিটি ১৪ই ফেব্রুয়ারিতে যেন তাদের এই শুভবুদ্ধি সক্রিয় থাকে।

কিন্তু যে পাপের দরজা তারা একবার জাতির জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছেন সেই দরজা দিয়ে অপ্রতিরোধ্য গতিতে পাপ প্রবেশ করছে। চিনি কলের মতো। বছরে একবার চালু করে দিলে একগতিতে ছয় মাস পর্যন্ত চলতে থাকে! নিত্য চালু করতে হয় না। ঠিক এভাবেই ভালোবাসা দিবস, উন্মুক্ত প্রেমচর্চা ইত্যাদিতে একবার গতি সঞ্চার করে দিয়ে পাপের যে যাত্রা চালু করে দেয়া হয়েছে ভালোবাসা দিবস মাত্র একবছর বন্ধ রাখলেই কি সে ধারা শেষ হয়ে যাবে?

এত সহজে যে তা শেষ হবার নয় তার প্রমাণ গত বছরের ১৪ই ফেব্রুয়ারির একটি অতি মর্মান্তিক ঘটনা। সাংবাদিক দম্পতির মর্মান্তিক ঘটনার রেশ না কাটতেই দেশবাসী জানতে পারল আরেকটি মর্মান্তিক ঘটনার ইতিকথা। আসলে ভালোবাসা বা ভ্যালেন্টাইন দিবসটা এসেছিল পাপের হাত ধরেই। তাই পাপ আর মর্মান্তিক উপাখ্যানের সাথে এর এত গলাগলি। গত বছরও এই দিবসকে কেন্দ্র করে সংঘটিত হয়েছিল একটি মর্মান্তিক ঘটনা। ‘ভালোবাসার নীলগোলাপ’ শিরোনোমে যা মুক্তবাসিনী-১ এ উল্লেখ করেছিলাম। কিন্তু এবারও যে এই দিনকে কেন্দ্র করে লিখতে হবে এবং আগের চেয়েও অনেক করুণ স্বরে তা ভাবিনি কখনও।

মাত্র নবম আর দশম শ্রেণী পড়ুয়া কিশোর-কিশোরী এমন মর্মান্তিক ঘটনার জন্ম দিতে পারে তা ভাবার জন্য যতটুকু কল্পনাশক্তি থাকা দরকার সম্ভবত তা আমাদের অনেকেরই নেই। তাই এসব ঘটনার কথা কখনও কল্পনা করি না আমরা এমনকি সংঘটিত হওয়ার পরও বিশ্বাস করতে কষ্ট হয়।

আত্মহত্যার রকমফের আছে। মানুষ বহু উপায়ে আত্মহত্যা করে আল্লাহ তা‘আলার দেয়া জীবনের আমানত নষ্ট করে নিজেকে অকল্যাণের পথে দ্রুত অগ্রসর করে। আত্মহত্যার যতগুলো উপায় মানুষ অবলম্বন করে সেগুলোর প্রত্যেকটির কথা হাদীসে উল্লেখ করে এরজন্য কঠিন শাস্তির কথা বলা হয়েছে। আবূ হুরায়রা রাদিআল্লাহ তা‘আলা আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন-

« مَنْ قَتَلَ نَفْسَهُ بِحَدِيدَةٍ فَحَدِيدَتُهُ فِى يَدِهِ يَتَوَجَّأُ بِهَا فِى بَطْنِهِ فِى نَارِ جَهَنَّمَ خَالِدًا مُخَلَّدًا فِيهَا أَبَدًا وَمَنْ قَتَلَ نَفْسَهُ بِسُمٍّ فَسُمُّهُ فِى يَدِهِ فِى جَهَنَّمَ يَتَحَسَّاهُ فِى نَارِ جَهَنَّمَ خَالِدًا مُخَلَّدًا وَمَنْ تَرَدَّى مِنْ جَبَلٍ فَهُوَ يَتَرَدَّى فِى جَهَنَّمَ خَالِدًا مُخَلَّدًا فِيهَا أَبَدًا».

‘যে ব্যক্তি ধারালো অস্ত্র দ্বারা আত্মহত্যা করবে সেই অস্ত্র তার হাতে থাকবে। জাহান্নামে সে সেই অস্ত্র দ্বারা চিরকাল নিজের পেটে আঘাত করতে থাকবে। যে বিষপানে আত্মহত্যা করবে সে জাহান্নামে চিরদিন সেই বিষ পান করতে থাকবে। আর যে ব্যক্তি পাহাড় থেকে লাফিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করবে সে জাহান্নামে (-র আগুনের পাহাড় থেকে) এভাবে লাফিয়ে পড়ে পড়ে কষ্ট ভোগ করতে থাকবে।’ [বুখারী : ৫৭৭৮; মুসলিম : ৩১৩]

আত্মহত্যার সব সংজ্ঞা ভুল প্রমাণ করে বেনযীর দৃষ্টান্ত স্থাপন করল দুটো পুচকে ছেলেমেয়ে। আর তা শুধুই ভালোবাসা নামের ভণ্ডামির কারণে।

ঘটনাটি গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার কাঠিবাজারের। ঘটনার নায়ক-নায়িকা মিতু খানম ও সাউথ শেখ। কাঠি গ্রামের আলহাজ এনজেল শেখের ছেলে মিরপুর বাংলা এন্ড স্কুল কলেজের দশম শ্রেণীর ছাত্র সাউথ শেখের সাথে খেলনা গ্রামের মৃত জাহিদ হোসেনের মেয়ে মিতু খানমের ‘দীর্ঘদিনের’ প্রেমের সম্পর্ক ছিল।

আচ্ছা পাঠক! আপনিই ইনসাফের সাথে বলুন তো, এই দশম শ্রেণীর দুজন ছাত্রছাত্রীর মধ্যে ‘দীর্ঘদিন’ ধরে যদি প্রেমেরই সম্পর্ক থাকে তাহলে ওরা লেখাপড়ার কাজটা করেছে কখন? এ যুগে তো ছেলেমেয়েরা ‘আন্ডাবাচ্চা’ থাকতেই স্কুলে ছোটে। ১৪/১৫ বছরে পৌঁছে যায় নবম-দশম শ্রেণীতে। তাহলে এই শ্রেণীর এই বয়সীর দুটো ছেলেমেয়ের ‘দীর্ঘদিন’ যদি কাটে প্রেমের সম্পর্কে তাহলে প্রেম ছাড়া অবশিষ্ট কাটল কতদিন?

তা যাহোক, বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর কোনো পরিবারেই এটাকে পাত্তা দেয়া হয়নি এবং তাদের ‘প্রেম-ভালোবাসাকে’ স্বীকৃতি দেয়া হয়নি। ছেলেবয়সী ছেলেমেয়েদের ছেলেখেলা বন্ধ ও তাদের মধ্যে বিচ্ছিন্নতা সৃষ্টির জন্য এক বছর আগে সাউথকে কাঠি স্কুল থেকে সরিয়ে ঢাকার মিরপুরে ভর্তি করে দেয়া হয়। এদিকে গত ১৪ই জানুয়ারি ঢাকায় মিতুর মামা মুজিবুর রহমান শেখের বাসায় মোমেনশাহীর এক ছেলের সাথে মিতুকে বিয়ে দেয়া হয়।

এখানেই পূর্বের সম্পর্কের ছেদ পড়া উচিত ছিল। কিন্তু প্রেম-ভালোবাসা উচিত-অনুচিত মানে? বিশেষ করে এই ‘নাবালেগ’ বয়সে? ফলে অনুচিত কাজের হাত ধরেই বিয়ের পরও বিপুল উদ্যমে চলতে থাকে তাদের ভালোবাসা। এজন্য তারা আশ্রয় নিয়েছিল মোবাইলের। ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তায় ঢাকার মামার বাড়ি থেকে খেলনা গ্রামের বাবার বাড়িতে চলে আসে মিতু। এদিকে ঘটনার আগের দিন রাতে নাইট কোচ যোগে রাত দুইটার সময় কাঠিবাজারে এসে নামে সাউথ।

পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী ভোর ৫টায় মিতু ও সাউথ স্কুলসংলগ্ন গ্রামীণফোনের টাওয়ারে ওঠে। মোবাইলে সাউথ বাড়ির লোকজনের সাথে কথা বলে টাওয়ারে চড়ার কথা জানায় এবং তাদের প্রেম মেনে নিয়ে বিয়ের প্রস্তাব করে। অন্যথায় সে টাওয়ার থেকে লাফিয়ে আত্মহত্যা করবে বলে হুমকি দেয়। কিন্তু পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো সাড়া মেলে না। সাড়া দেয়ার কথাও না। যে মেয়েটির বিয়ে হয়েছে, অন্যের ঘর করছে তাকে নিজ স্বামীর হাত থেকে কেড়ে নিয়ে আরেকজনের হাতে তুলে দেয়ার মতো বেইনসাফ ও নিকৃষ্ট কাজ কেউ করতেও যাবেন না।

পারিবারের তরফ থেকে সাড়া না পেয়ে মিতুর পরনের ওড়না দিয়ে পরস্পরে দুইজনের হাত বেঁধে ২৮০ ফুট উঁচু টাওয়ার থেকে একসাথে লাফিয়ে পড়ে তারা। এত উঁচু থেকে লাফিয়ে পড়ায় তাদের শরীরের বিভিন্ন অংশ ভেঙে ও ফেটে যায়। স্রোতের আকারে রক্ত প্রবাহিত থাকে। বিকট শব্দে তারা মাটিতে আছড়ে পড়ে। ২৮০ ফুট উঁচু থেকে তাদের যুগল দেহ যখন মাটিতে এসে পৌঁছায় তখন পতনের বিকট শব্দ হয়। মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। মানুষ ঘটনাস্থলে ছুটে আসে। কিন্তু সহমর্মিতা দেখানো, চিকিৎসা দেয়ার আগেই সব শেষ হয়ে যায়। মুহূর্তের মধ্যে বড্ড অসময়ে থেমে যায় দুটি স্বপ্নের উচ্ছল পথচলা। ভাঙাচোরা দেহের প্রবাহিত রক্তে গড়াগড়ি করতে থাকে দুটি কিশোরপ্রাণ। [আমার দেশ ১৫/০২/১২]

আমরা ভালোবাসার মানুষের জন্য প্রাণ উৎসর্গ করি। ২৮০ ফুট উঁচু টাওয়ার থেকে হাত ধরাধরি করে লাফ দিয়ে জীবন বিসর্জন দিতে পারি। অস্থায়ী মোহের কিঞ্চিত উম্মাদনায় কত কিছুই না করে দেখাচ্ছি। কিন্তু প্রকৃত ভালোবাসা, নিখাঁদ প্রেম যেখানে করা যায়, যাদের সাথে করা যায় সেখানে কি নূন্যতম প্রেম-ভালোবাসা আমার প্রদর্শন করতে পারছি? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং আল্লাহ তা‘আলার প্রতি আমাদের ভালোবাসার গভীরতা কতটুকু? সাহাবায়ে কেরামের সাথে আমাদের ভালোবাসার তফাৎটা একটু পরিমাপ করে নেবো? সাহাবী আনাস রাদিআল্লাহ তা‘আলা আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন-

جَاءَ رَجُلٌ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ -صلى الله عليه وسلم- فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَتَى قِيَامُ السَّاعَةِ فَقَامَ النَّبِىُّ -صلى الله عليه وسلم- إِلَى الصَّلاَةِ فَلَمَّا قَضَى صَلاَتَهُ قَالَ « أَيْنَ السَّائِلُ عَنْ قِيَامِ السَّاعَةِ ». فَقَالَ الرَّجُلُ أَنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ. قَالَ « مَا أَعْدَدْتَ لَهَا » قَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا أَعْدَدْتُ لَهَا كَبِيرَ صَلاَةٍ وَلاَ صَوْمٍ إِلاَّ أَنِّى أُحِبُّ اللَّهَ وَرَسُولَهُ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ -صلى الله عليه وسلم- « الْمَرْءُ مَعَ مَنْ أَحَبَّ وَأَنْتَ مَعَ مَنْ أَحْبَبْتَ ». فَمَا رَأَيْتُ فَرِحَ الْمُسْلِمُونَ بَعْدَ الإِسْلاَمِ فَرَحَهُمْ بِهَذَا.

জনৈক বেদুইন এসে বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! কেয়ামত কবে সংঘটিত হবে? তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নামাযের জন্য দাঁড়ালেন এবং সালাত শেষ করে বললেন, কেয়ামত সম্পর্কে প্রশ্নকারী কোথায়? লোকটি বললেন, এই যে আমি ইয়া রাসূলাল্লাহ। তখন তিনি বললনে, তুমি কেয়ামত দিবসের জন্য কতটুকু প্রস্তুতি নিয়েছ? লোকটি  বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি এর জন্য দীর্ঘ সময় সালাত পড়িনি এবং তেমন রোযাও পালন করিনি। কিন্তু আমি আল্লাহ তা‘আলা ও তার রাসূলুল্লাহকে ভালোবাসি। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, মানুষ তার ভালোবাসার লোকের সাথে থাকবে। আর তুমিও যাকে ভালোবাসো তার সাথেই থাকবে। আনাস রাদিআল্লাহ তা‘আলা আনহু বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর এই কথা শোনার পর মুসলিমগণ সেদিন যে পরিমাণ খুশি হয়েছিলেন, তাদেরকে আমি এর চেয়ে বেশি খুশি হতে দেখিনি কখনও। [তিরমিযী : ২৫৬০]

সাহাবায়ে কেরামের ভালোবাসা, আবেগ-অনুভূতি আবর্তিত হতো আল্লাহ তা‘আলা ও রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ভালোবাসা-মহব্বতকে কেন্দ্র করে। আমাদের বেলায় কি তাই হয়? আমরা একই নবীর একই উম্মত নই? তাদের ভালোবাসার অন্তত দশভাগের এক ভাগ তো থাকা চাই। আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন-

« إِنَّكُمْ فِى زَمَانٍ مَنْ تَرَكَ مِنْكُمْ عُشْرَ مَا أُمِرَ بِهِ هَلَكَ ثُمَّ يَأْتِى زَمَانٌ مَنْ عَمِلَ مِنْهُمْ بِعُشْرِ مَا أُمِرَ بِهِ نَجَا ».

‘তোমরা যে যমানায় অবস্থান করছো সে যমানায় আদিষ্ট বিষয়ের নয় ভাগ পালন করে একভাগ তরক করলেও ধ্বংস হবে। আর এমন একটি যমানা আসবে যখন মানুষ আদিষ্ট বিধানের দশ ভাগের মাত্র একভাগ পালন করলেও নাজাত পাবে।’ [জামে তিরমিযী : ২৪৩৬, ইমাম তিরমিযী হাদীসটিকে ‘গরীব’ এবং শায়খ আলবানী ‘যঈফ’ বলেছেন।]

তাহলে বলুন, অন্তত যে একভাগ পালন করলে নাজাতের ঘাটে পৌঁছতে পারব সেই পরিমাণ নবীপ্রেম দ্বারা আমরা হৃদয়কে সিক্ত করতে পারছি? নবীর ভালোবাসা কি ফরয নয়? নবীর ভালোবাসা ছাড়া আখেরাতের পরীক্ষায় উৎরানো যাবে? ভালোবাসার সবটুকু মানুষের পেছনে উজাড় করে দিয়ে রিক্তহস্তে মরুসম তৃষ্ণা নিয়ে যদি হাউজে কাউসারের সামনে হাজির হই তবে সেখানে কীসের নযরানা পেশ করব? ভালোবাসার শূন্য পেয়ালায় যে সেদিন পানি উঠবে না!

লেখাটি যেদিন লিখছিলাম সেদিনই শুনলাম আরেক লোকের ঘটনা। আকৃতি খর্ব, মুখে দুর্গন্ধ, বর্ণে কৃষ্ণ এক মহিলার প্রেমে পড়ে মুসা নামের এক যুবক দিওয়ানা হয়ে গেলো। বেশ কিছুদিন গড়ালো এই সম্পর্ক। তবে চূড়ান্ত সম্পর্ক গড়ানোর আগেই মেয়েটি পিছুটান দিলো। সে সম্পর্ককে দীর্ঘায়িত করতে নারাজ। মুসা বহুদিন আল্লাহ তা‘আলার দরবারে রোনাজারি করল। চাইল তাকে তার কাছে মন খুলে। তবু তার চাওয়া পূর্ণ হলো না। মেয়েটি তার কাছে ফিরে এলো না। ফলে মুসার সব রাগ গিয়ে পতিত হলো সৃষ্টিকর্তার ওপর! তিনি কেন তাকে ফিরিয়ে দিলেন না সেই রাগে তাকে অস্বীকার করে বসল সে! যাকে বলে মুরতাদ হয়ে যাওয়া। যে যুবকএক সময় তাহাজ্জুদ পড়ত সেই যুবক এখন নাকি আল্লাহ তা‘আলার নামও আর কোনোদিন মুখে নিবে না!

মুসা! তুমি তোমার তাহাজ্জুদের জায়নামাজকে কেন ‘তুর পাহাড়ে’ পরিণত করতে পারলে না? হৃদয়ে আল্লাহর ভাষার ঝড় তুলতে পারলে না? এত কষ্ট করে যেহেতু তাহাজ্জুদের জায়নামাযে দাঁড়িয়েছই, তখন মনটাকে ‘মুসার আল্লাহদর্শন’র ব্যগ্রতায় আকুল করতে পারলে না? তবে অন্তর্চক্ষু দিয়ে দেখতে, যাকে তুমি চাও আর তিনি যাকে তোমার জন্য প্রস্তুত করে রেখেছেন তার মধ্যে ব্যবধান কত? আমরা হয়ত জায়নামাযে দাঁড়াই নির্দেশ পালন করে কোনো মতে দায়মুক্ত হতে, কিন্তু ইবাদতের আসল উদ্দেশ্য- আল্লাহ ও রাসূলের ভালবাসা- আমাদের দৃষ্টির আড়ালে থাকে। তাই আমরা হৃদয়টাকে মানবপ্রেম দিয়ে ভরাট করে রেখে যখন জায়নামাযে দাঁড়াই তখনও দৃষ্টি থাকে বাইরে। প্রেমাস্পদের হৃদয়গলিতে চক্কর খেতে থাকে আমার মন! সালাত শেষ করে যখন উঠি তখন আমলনামায় হয়ত নিরস কয়েকটি রুকু-সিজদা ছাড়া আর কিছু লিপিবদ্ধ হয় না।

ভালোবাসাশূন্য এই ইবাদত করে যখন আমরা কাঙ্ক্ষিত জাগতিক ফল পেতে ব্যর্থ হই তখনই আল্লাহর বিরুদ্ধে খেপে যাই! কেউ বা তাকে আর ডাকবেই না বলে দাম্ভিক ঘোষণা দেয়! এই দাম্ভিক ঘোষণার মধ্যে দিয়ে নিজেকে ইতিহাসের ব্যর্থ বণিকে পরিণিত করে। বঞ্চিত হয় প্রভুর ভালোবাসা থেকে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন-

﴿ يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ مَن يَرۡتَدَّ مِنكُمۡ عَن دِينِهِۦ فَسَوۡفَ يَأۡتِي ٱللَّهُ بِقَوۡمٖ يُحِبُّهُمۡ وَيُحِبُّونَهُۥٓ ٥٤ ﴾ [المائ‍دة: ٥٤] 

‘হে ঈমানদারগণ! তোমাদের মধ্যে কেউ যদি তার দ্বীন থেকে সরে যায় তাহলে অতিসত্ত্বর আল্লাহ তা‘আলা এমন একদল সৃষ্টি করবেন যাদেরকে তিনি ভালোবাসবেন এবং তারা তাকে ভালোবাসবে।’ {সূরা আল-মায়েদা, আয়াত : ৫৪}

আমরা কি তবে নারীর ভালোবাসায় পড়ে এমন সৌভাগ্যবানদের কাতার থেকে বাদ পড়ব, যাদেরকে স্বয়ং আল্লাহ তা‘আলা ভালোবাসেন? এত বড় ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত হওয়ার মতো নির্বুদ্ধিতা আমরা দেখাবো?

যুগে যুগে এমন বণিক বহু এসেছে আর ‎জীবন উপসংহারে আক্ষেপের হাত কামড়াতে কামড়াতে রিক্তহস্তে বিদায় গ্রহণ করেছে। এমনি এক ব্যর্থ বণিক হলেন জাবাল্লা ইবন আয়হাম গাস্সানী। ইসলাম গ্রহণ করার পর হজ্বের তাওয়াফ করার সময় ফাযারা গোত্রের জনৈক ব্যক্তি তার চাদর পদধূলিত করায় তিনি তাকে একটা থাপ্পড় দিয়ে নাক ফাটিয়েছিলেন এবং দুটি দাঁত ভেঙে দিয়েছিলেন। তিনি ছিলেন এক এলাকার গভর্নর। তাই আইনের হাত থেকে ফসকে যাবেন বলে ভেবেছিলেন।

কিন্তু খেলাফতের মসনদে তখন ন্যায়-ইনসাফের জীবন্ত প্রতীক সাহাবী ‘উমর ইবন খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু তা‘আলা ‘আনহু সমাসীন। তিনি মজলুম ব্যক্তিকে মাফ অথবা প্রতিশোধ নেয়ার ইখতিয়ার দিলেন। কিন্তু লোকটি দ্বিতীয়টি বেছে নেয়ায় জাবাল্লা বললেন, আমি একজন শাসক, আমার কাছ থেকে প্রতিশোধ! মনে মনে একথা ভেবে একদিনের জন্য সময় চেয়ে নিলেন তিনি। এরপর চোক্ষুলজ্জার ভয়ে রাতের আঁধারে হারিয়ে গেলেন আল্লাহদ্রোহিতার চোরাবালিতে। পালিয়ে নাক আর দাঁত বাঁচাতে পারলেন বটে, কিন্তু ঈমান বাঁচাতে পারলেন না। জীবনের শেষ বেলায় এর জন্য আক্ষেপ কম করেন নি তিনি। আক্ষেপের কাব্যে কেটেছে তার অবশিষ্ট জীবন। তিনি বলেছিলেন-

تنصرت بعد الحق عاراً للطمة … وما كان فيها لو صبرت لها ضرر

وأدركنى فيها لجاج حمية … فسيقت لها العين الصحيحة بالعور

فيالت أمى لم تلدنى وليتنى … صبرت على القول الذى قاله عمر

‘হক (ইসলাম) গ্রহণ করার পর ঘুষি খাওয়ার ভয়ে খ্রিস্টান হলাম,

যদি তাতে ধৈর্য ধারণ করতাম, তবে তাতে কীইবা ক্ষতি হতো!

কিন্তু আত্মগরিমার হঠকারিতা পেয়ে বসল আমায়

ফলে সুস্থচোখের বদলায় বক্র-কানা চোখ গ্রহণ করলাম।

হায় আক্ষেপ! আমার মা যদি আমাকে জন্ম না দিতেন!

কিংবা ‘উমর যা বলেছিলেন তা মনেপ্রাণে মেনে নিতাম!

রক্তমাংসের ভালোবাসার টানে কি তবে আমরা আল্লাহর শাশ্বত ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত হবো? বঞ্চিত হবো ইলাহী ‘পণ্য’ থেকে?

« أَلاَ إِنَّ سِلْعَةَ اللَّهِ غَالِيَةٌ أَلاَ إِنَّ سِلْعَةَ اللَّهِ الْجَنَّةُ ».

‘শুনে রেখো, আল্লাহ তা‘আলার পণ্য অনেক মূল্যবান। শুনে রেখো, আল্লাহর পণ্য হলো জান্নাত। [জামে তিরমিযী : ২৬৩৮]

মুসা! প্রণয়ভঙ্গ করে ফিরে এসো আপন নীড়ে! আসমানী শামিয়ানার নিচে ভালোবাসার যে প্রস্রবণ আছে তাতে অবগাহন করো। জাবাল্লাদের খাতায় নাম লিখিয়েদের সংখ্যা আর বাড়িও না। পাছে আক্ষেপে পুড়তে হবে কিন্তু!

মানুষের স্বভাবে ভালোবাসা, প্রেম-প্রীতির উপাদান আছে একথা সত্য। তাই হৃদয় ফুঁড়ে ভালোবাসার উদ্গীরণ ঘটবেই। কিন্তু তা যেন কোনো অপাত্রে না পতিত না হয় এজন্য দয়াময় আল্লাহ তা‘আলা উত্তম ব্যবস্থাও প্রদান করেছেন। আল্লাহ তা‘আলাকে ভালোবাসো, তার রাসূলুল্লাহকে ভালোবাসো। মা-বাবা ও আত্মীস্বজনকে ভালোবাসো। ভাবছো এঁদের ভালোবাসায় তো আবেগ, উচ্ছায় প্রকাশ করা যায় না? শ্রদ্ধার ভাগটা বেশি থাকে। তাহলে হৃদয়ে জমাটবাধা আবেগ, উচ্ছ্বাস প্রকাশ করবে কোথায়?

কোনো চিন্তা নেই। এর জন্য আছে তোমার অর্ধাঙ্গিনী। পৃথিবীর হেন কোনো আবেগ, উচ্ছ্বাস নেই, যা তার কাছে ব্যক্ত করা যায় না। শুধু ব্যক্তই নয় বরং তাতে সওয়াবও আছে অনেক। তার সাথে হাসি-মশকরা করবে? তাতেও সওয়াব। মুখে গ্রাস তুলে দেবে? তাতেও সওয়াব। উদ্বেলিত হৃদয়ে, উচ্ছ্বসিত মনে দাম্পত্যাচারণ করবে? কপালে চুম্বন করবে? তার ত্বকে তোমার চুম্বনের স্পর্শ পৌঁছার আগেই আমলনামায় সওয়াব লেখা হবে! অবাক হচ্ছো বুঝি! সত্যিই তাই। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে দাম্পত্য সম্পর্কের মাধুর্য্য শিখিয়ে দিয়েছেন তাঁর পবিত্র আমলের মাধ্যমে। মা আয়েশা সিদ্দীকা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন-

كَانَ يُقَبِّلُ بَعْضَ أَزْوَاجِهِ ثُمَّ يُصَلِّي وَلاَ يَتَوَضَّأُ

‘রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার কোনো একজন স্ত্রীকে চুম্বন করে সালাত পড়তে গেছেন। মাঝখানে অযু করেননি।’ [নাসাঈ : ১৭০, সহীহ]

অন্য বর্ণনায় এসেছে, আম্মাজান আয়িশা সিদ্দীকা রাদিআল্লাহ তা‘আলা আনহা বলেন-

كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُقَبِّلُ أَزْوَاجَهُ وَهُوَ صَائِمٌ ثُمَّ ضَحِكَتْ.

‘রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একবার সাওম অবস্থায় তাঁর কোনো স্ত্রীকে চুম্বন করলেন। এরপর (আয়িশা রাদিআল্লাহ তা‘আলা আনহা স্ত্রীগণের প্রতি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রীতি, ভালোবাসা, মায়া-মমতা ইত্যাদির কথা ভেবে এবং তিনি যে তাঁকেই চুম্বন করেছিলেন সে কথা স্মরণ করে)  মুচকি হাসলেন। [বুখারী : ১৯২৮]

এভাবেই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহ তা‘আলা প্রদত্ত এই পবিত্র বন্ধনকে মাধুর্য্য দান করেছিলেন। সালাতের আগেও, সাওম রেখেও স্ত্রীর সাথে যে মধুর দাম্পত্য সম্পর্ক বিনিময় করা যায় তিনি সেই আদর্শই শিক্ষা দিয়েছেন এসব ঘটনায়। কে না বলবে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর এসব আমলে রয়েছে আমাদের জন্য উত্তম আদর্শ? আমরা সেই আদর্শ গ্রহণে আদিষ্ট?

তুমি নারীর সাথে খুনসুটি করতে চাও? হাসি-মশকরা করে সময়টাকে রাঙিয়ে তুলতে চাও? তবে এখানেও ইসলামের আদর্শের আশ্রয় নাও। করো এসব বিবাহিত স্ত্রী, বৈধ নারীর সাথে। প্রতি মুহূর্তে সওয়াব। কথায় কথায় সওয়াব। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন-

كُلُّ شَيْءٍ يَلْهُو بِهِ الرَّجُلُ بَاطِلٌ، إِلَّا رَمْيَةَ الرَّجُلِ بِقَوْسِهِ، وَتَأْدِيبَهُ فَرَسَهُ، وَمُلَاعَبَتَهُ امْرَأَتَهُ، فَإِنَّهُنَّ مِنَ الْحَقِّ .

‘তিনটি ছাড়া মানুষের সব রকমের ক্রিয়া-কৌতুক, খেল-তামাশা অবৈধ। তীর নিক্ষেপ করা, যুদ্ধের জন্য ঘোড়া প্রস্তুত করা এবং স্ত্রীর সাথে খেল-তামাশা, হাসি-মশকরা করা। কেননা এগুলো সত্য ও সওয়াবযোগ্য।’ [মুসনাদ আহমাদ : ১৭৩০০]

বস্তুত আল্লাহ তা‘আলা স্ত্রীদের মধ্যে যে ভালোবাসা দান করেছেন তা নিখাঁদ, বাস্তব ও যুক্তিনির্ভর। ইরশাদ হয়েছে-

﴿ وَمِنۡ ءَايَٰتِهِۦٓ أَنۡ خَلَقَ لَكُم مِّنۡ أَنفُسِكُمۡ أَزۡوَٰجٗا لِّتَسۡكُنُوٓاْ إِلَيۡهَا وَجَعَلَ بَيۡنَكُم مَّوَدَّةٗ وَرَحۡمَةًۚ إِنَّ فِي ذَٰلِكَ لَأٓيَٰتٖ لِّقَوۡمٖ يَتَفَكَّرُونَ ٢١ ﴾ [الروم: ٢١] 

‘আর তার নিদর্শনাবলীর মধ্যে রয়েছে যে, তিনি তোমাদের জন্য তোমাদের মধ্য থেকেই সৃষ্টি করেছেন তোমাদের সঙ্গীনীদেরকে, যাতে তোমরা তাদের নিকট প্রশান্তি পাও। এবং তোমাদের মধ্যে পারস্পরিক দয়া ও ভালোবাসা সৃষ্টি করেছেন।’ {সূরা আর-রূম, আয়াত : ২১}

সত্যি স্ত্রীর প্রতি স্বামীর এবং স্বামীর প্রতি স্ত্রীর ভালোবাসা নিখাদ, অপূর্ব এবং লৌকিকতামুক্ত। আর হবেই না কেন? এই ভালোবাসা সৃষ্টি করেছেন স্বয়ং সৃষ্টিকর্তা! যে ভালোবাসার সৃষ্টিকর্তা স্বয়ং আল্লাহ তা‘আলা সেই ভালোবাসায় রহমত থাকবে না কেন? পক্ষান্তরে মানবরচিত কৃত্রিম ভালোবাসা দেখো। অবিবাহিত একজন নারী পুরুষকে কিংবা পুরুষ নারীকে ভালোবাসার অনেক গল্প শোনাবে, স্বপ্নের তুলিতে জীবনরুমালটাকে রাঙিয়ে তুলবে। কিন্তু যখন ‘চাইনিজ খাওয়ার’ সময় হবে তখন কিন্তু তোমার পকেটের স্ফীতি-অস্ফীতি দেখবে না! তোমার সামর্থের বিচারও সে করবে না। এদের ভালোবাসার শুরু রূপ দিয়ে আর শেষ পকেট দিয়ে! কিন্তু তোমার স্ত্রী? সে কখনও সাধ্যের বাইরে তোমার ওপর কিছু চাপাবে না। আগে দেখবে তোমার সামর্থ্য, তারপরে তার বায়না। কয়টা বলব? প্রকৃত ও কৃত্রিম ভালোবাসার পার্থক্যের এমন হাজারও নযীর বিদ্যমান। জ্ঞানীরা তো এত নযীর তালাশ করে না সেটা আল্লাহ তা‘আলা এই আয়াতের শেষেই বলে দিয়েছেন-

إِنَّ فِي ذَٰلِكَ لَأٓيَٰتٖ لِّقَوۡمٖ يَتَفَكَّرُونَ

‘এতে রয়েছে জ্ঞানীদের জন্য নিদর্শন।’ {রূম : ২১}

মনে রেখো, ইসলামে কোনো সংকীর্ণতা নেই। আল্লাহ তা‘আলা বলেন-

﴿ يُرِيدُ ٱللَّهُ بِكُمُ ٱلۡيُسۡرَ وَلَا يُرِيدُ بِكُمُ ٱلۡعُسۡرَ ١٨٥ ﴾ [البقرة: ١٨٥] 

‘আল্লাহ তা‘আলা তোমাদের জন্য যা সহজ তা চান, এবং যা কঠিন তা চান না। {সূরা আল-বাকারা, আয়াত : ১৮৫}

তো আল্লাহ তা‘আলার বিধান যেখানে এত সহনীয়, তার বিধানের আওতায় থেকে বিনোদনেও রয়েছে প্রতিদান সেখানে আমাদের বক্রপথে যাওয়ার প্রয়োজন কী?

মনে রেখো, সর্বাগ্রে ভালোবাসতে হবে আল্লাহ ও আল্লাহর রাসূলুল্লাহকে। আর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম? তিনি শুয়ে আছেন মদীনার পবিত্র মাটিতে। কিন্তু আছেন আমাদের হৃদয়কন্দরে, যদি আমরা তা অনুধাবন করার চেষ্টা করি। মুআযকে উদ্দেশ্য করে বলা তার একটি কথায় সে তথ্যই ফুটে উঠেছে। ঘটনাটি সংক্ষেপে বলি-

সাহাবী মুআয ইবন জাবাল রাদিআল্লাহু ‘আনহুকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইয়ামানের শাসক করে পাঠালেন এবং তাকে বিদায় জানাতে নিজে উপস্থিত হলেন। সে সময় তাকে স্বীয় উটনীর ওপর আরোহণ করালেন। দূর ইয়ামানের উদ্দেশ্যে উটনী চলা শুরু করলে দীর্ঘ সময় পর্যন্ত তিনি তার সাথে চললেন।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জানতেন এটা হচ্ছে প্রিয় সাহাবীর সাথে তার জীবনের শেষ দেখা এবং তার এই প্রিয় শিষ্য বহুদূরে চলে যাচ্ছেন। সাধারণত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জীবনের খুব কম স্থানেই আবেগ প্রকাশ করেছেন। কিন্তু সাহাবী মুআয ইবন জাবাল রাদিআল্লাহু ‘আনহুর সাথে তার বিশেষ মহব্বতের সম্পর্কের কারিশমা এই যে, ওই সময় তার যবান মোবারক থেকে এমন কিছু কথা প্রকাশ পেল, যাকে প্রিয় মানুষকে দূরে যেতে দেখে, উদ্বেলিত দিলের আবেগাশ্রিত দর্পণের সাথে তুলনা করা যায়। তিনি বললেন-

يَا مُعَاذُ إِنَّكَ عَسَى أَنْ لاَ تَلْقَانِى بَعْدَ عَامِى هَذَا، أَوْ لَعَلَّكَ أَنْ تَمُرَّ بِمَسْجِدِى هَذَا، أَوْ قَبْرِى هَذَا فَبَكَى مُعَاذٌ خَشَعًا لِفِرَاقِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم، ثُمَّ الْتَفَتَ فَأَقْبَلَ بِوَجْهِهِ نَحْوَ الْمَدِينَةِ، فَقَالَ: إِنَّ أَوْلَى النَّاسِ بِى الْمُتَّقُونَ مَنْ كَانُوا وَحَيْثُ كَانُوا.

‘হে মুআয! আমার মনে হচ্ছে এ বছরের পর আমার সাথে তোমার আর সাক্ষাত ঘটবে না। এরপর হয়ত তুমি আমার কবর কিংবা মসজিদের পাশ দিয়ে অতিক্রম করবে।’ সাহাবী মুআয রাদিআল্লাহু ‘আনহু এতক্ষণ পর্যন্ত অনেক কষ্টে নিজের আবেগ ধরে রেখেছিলেন। কিন্তু রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের যবান মোবারকে কথাটি শুনে নিজেকে আর ধরে রাখতে পারলেন না। বেদনায় জারজার হলেন। তার ধারণা ছিল, এটা হয়ত এক-দেড় বছরের বিচ্ছেদ। কিন্তু সরকারে দো-আলম রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন কথাগুলো বললেন তখন তিনি বুঝলেন, জীবিত অবস্থায় আর কখনও এমন মধুর জলওয়া (মিলনদৃশ্য) সংঘটিত হবে না। তাই তার মুখ থেকে আহ্ শব্দ নির্গত হলো। চোখ ফেটে অশ্রু প্রবাহিত হওয়া শুরু করল।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই বেদনাদায়ক দৃশ্য দেখে বললেন, মুআয! কেঁদো না। এবং এ কথা বলে হয়ত আবেগ দমনের জন্য তিনি নিজেও দ্রুত মদীনা অভিমুখে রওয়ানা হলেন। মদীনার উদ্দেশে রোখ করার সময় বললেন- ‘মুত্তাকীরাই আমার সবচেয়ে আপনজন। চাই সে যেই হোক এবং যেখানেই হোক।’ [মুসনাদ আহমাদ : ২২০৫২, সিয়ারু আলামিন নুবালা : ১/৪৪৮]

অতএব, বহুদূরে থেকেও, বহু পরের মানুষ হয়েও আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রিয় হতে পারি, স্নেহভাজন হতে পারি, ভালোবাসা লাভ করতে পারি। আপন হতে পারি। আল্লাহ- আল্লাহর রাসূলের আপন হতে নির্দিষ্ট দিন লাগে না, সময় লাগে না। বছরে একটা দিনের জন্য অপেক্ষা করতে হয় না। প্রতি নিয়ত, প্রতি মুহূর্ত ভালোবাসার সময়, প্রতিটি স্থানে ভালোবাসার সময়। যদি আমরা এই ভালোবাসা মনে জন্ম দিতে পারি, বুকে লালন করতে পারি তবে আর কাউকে ২৮০ ফুট উঁচু থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করতে হবে না। কোনো মুসাকে খর্বাকায় একটা মেয়ে না পেয়ে আল্লাহ তা‘আলাকে ছেড়ে যাওয়ার প্রশ্ন আসবে না। তখন আমার ঘর হবে ভালোবাসার মিনার, আমার হৃদয় হবে ভালোবাসার স্তম্ভচূড়া। এসো, হৃদয়ে আল্লাহ ও তদীয় রাসূলের ভালোবাসার মিনার গড়ি।

আপনি পড়ছেনঃ মুক্তবাসিনী ২ বই থেকে।

The post ভালোবাসা দিবসের পাপ appeared first on Amar Bangla Post.

যৌন জীবন আকর্ষণীয় ও আনন্দদায়ক করতে ৫ টি টিপস

$
0
0

প্রিয় বন্ধুরা, আমি পুজা আপনাদের সামনে আবারো হাজির হয়েছি ৫টি সেক্স টিপস নিয়ে। আপনার যৌন জীবনকে আরো আনন্দময় করে গড়ে তুলতে এই পাঁচটি সেক্স টিপস বা পরামর্শ মেনে চলুন।

০১। আনন্দদায়ক যৌন মিলনের জন্য পরিচ্ছন্ন শরীর অপরিহার্য। যে সকল দম্পতি নোংরা থাকে, পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকে না—তারা অত্যাধিক আনন্দ থেকে বঞ্চিত হন। আপনার শরীরে ঘামের বা অন্য কোন দুর্গন্ধ থাকলে তা যৌন মিলনকালে আপনার সঙ্গী বা সঙ্গিনীর অনীহার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। তাই মিলনের আগে শরীর ভেজা তোয়ালে দিয়ে মুছে ফেলা এবং হালকা প্রসাধন করা উচিৎ।

০২। মিলনে মুখের এক বিরাট ভূমিকা আছে। চুম্বন হল শ্রেষ্ঠতম শৃঙ্গার। তাই মুখে যেন কোন রকম দুর্গন্ধ না থাকে সেদিকে যত্নবান হওয়া উচিৎ। শৃঙ্গারে চুম্বন, লেহন, চর্বণ ইত্যাদি করতে হয়, তাই মিলনের আগে দাঁত ব্রাশ করা দরকার। সম্ভব হলে এলাচ, লবঙ্গ জাতীয় কোন সুগন্ধি মশলা কিছুক্ষণ চিবিয়ে নিলে ভালো হয়।

০৩। সারাদিন নানা কাজে আমাদের হাতে-নখে ময়লা জমে থাকে। অপরিচ্ছন্ন আঙ্গুল নারীর যৌনাঙ্গে প্রবেশ করলে তা  থেকে রোগ-জীবানু সংক্রামিত হতে পারে। তাই মিলনের আগে অবশ্যই ভালভাবে হাত ধুয়ে নিবেন। যৌনাঙ্গে আঙ্গুল চালাবার ক্ষেত্রে সতর্কতা প্রয়োজন। যোনির ভেতরভাগ খুবই কোমল ঝিল্লিযুক্ত বলে কঠিন আঙ্গুল অত্যন্ত নমনীয়তার সঙ্গে না চালালে ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে।

০৪। শৃঙ্গার ছাড়া সরাসরি সঙ্গম করা উচিৎ নয়। আদর, চুম্বন, আলিঙ্গন ইত্যাদির মাধ্যমে দু’জন উত্তপ্ত হবার পরে সঙ্গমে লিপ্ত হবেন। স্থান, সময়, পরিবেশ পরিবর্তনের মাধ্যমে মিলনে বৈচিত্র্য আনা যায়। একই স্থানে, একই সময়, একই পরিবেশে, একই ভঙ্গিতে মিলিত না হয়ে সুবিধানুযায়ী পরিবর্তন করুণ।

আরো পড়ুন : আলিঙ্গনের বিভিন্ন রূপ ও প্রকারভেদ

৫। সঙ্গমের পর স্বামী-স্ত্রী উভয়েরই উচিৎ প্রস্রাব করে পরিষ্কার পানিতে যৌনাঙ্গ ধুয়ে ফেলা। কারণ যৌনাঙ্গের নালি পথে থেকে যাওয়া বীর্য পচনের মাধ্যমে রোগের সৃষ্টি হতে পারে। সঙ্গমের শেষে প্রস্রাব করে নিলে এই আশঙ্কা থাকে না। সাধারণতঃ শীতের রাতে অনেক নারী পুরুষের মধ্যে এ ব্যাপারে অনীহা দেখা যায়।  এ বদ অভ্যাস পরিত্যাগ করা উচিৎ।

শেষ কথাঃ যৌন মিলন একটি যৌথকর্ম। একজনের অনিচ্ছা  থাকলে অন্যজনের জোর প্রয়োগ করা উচিৎ নয়। একই সঙ্গে দু’জন আগ্রহী হলেই এটি আনন্দদায়ক হতে পারে।  

আমার দেওয়া সেক্স টিপস গুলো পড়ে আপনার কাছে ভালো লাগলে শেয়ার করে আমাকে সাহায্য করুণ।

আমার টাইম লাইনে দেওয়া সকল পোস্ট দেখুন…

The post যৌন জীবন আকর্ষণীয় ও আনন্দদায়ক করতে ৫ টি টিপস appeared first on Amar Bangla Post.

কিভাবে যৌন ধ্যান করবেন?

$
0
0

যৌন ধ্যান হল যৌনতার সময় আনন্দ বৃদ্ধির জন্য শরীরের সচেতনতা বৃদ্ধি করার একটি উপায়। নিয়মিত যৌন ধ্যান, আপনার এবং আপনার সঙ্গীর জন্য যৌনতাকে আরও উপভোগ্য করতে সাহায্য করতে পারে এবং এটি আপনার সংযোগকে গভীর করার একটি উপায়ও। আপনি আগে ধ্যান না হওয়া সত্ত্বেও আপনি যৌন ধ্যান কিভাবে শিখতে পারেন তা জেনে নিন।

পার্ট ১। একটি মৌলিক যৌন ধ্যান করণঃ

যৌন ধ্যানের ঘর

১ একটি শান্ত জায়গা নির্বাচন, ক্ষোভ থেকে মুক্ত।

আপনার বেডরুমের বা লিভিং রুমে বাতি নিথর করুন এবং ফোন, টেলিভিশন এবং ল্যাপটপগুলির মতো কোনো ইলেকট্রনিক ডিভাইসগুলি সরিয়ে দিন। [1] একটি আরামদায়ক তাপমাত্রা এ রুম রাখুন। এটি খুব ঠান্ডা বা খুব গরম হলে, এটি বিভ্রান্তিকর হতে পারে।

         • আপনি মেডিটেশন হিসাবে বসতে একটি মেঝে উপর কুশন সেট আপ করতে পারেন। কুশন স্থাপন করুন যাতে তারা একে অপরের কাছাকাছি থাকে, কিন্তু যাতে আপনার এবং আপনার সঙ্গীর মধ্যে কিছুটা স্থান থাকবে।

যৌন ধ্যন

২। আরামদায়ক পান।

আপনি এবং আপনার সঙ্গিনীর জন্য আরামদায়ক যে একটি অবস্থানে পান। আপনি বা আপনার পায়ে লোটাস পদে বসতে পারেন। খোলা এবং আরামদায়ক কিছু পরা সময় আপনি এবং আপনার সঙ্গী ধ্যান করতে পারেন বা আপনি যদি পছন্দ করেন তবে সব কিছু জুড়ে না।

  • আপনার মেরুদণ্ড সোজা রাখুন, আপনি আপনার পক্ষ দ্বারা আপনার অস্ত্র দিয়ে বসা বা শুয়ে আছেন কিনা। যদি আপনি একটি বসতিস্থানের অবস্থান মধ্যে ধ্যান অনুভব করেন তাহলে আপনার অস্ত্র শিথিলভাবে আপনার অস্ত্র বাকি। [2]
  • আপনার চিবুক আপ রাখুন এবং আপনার মাথার আপনার মেরুদণ্ডের সাথে সংযুক্ত থাকলে আপনি বসা থাকেন। [3]

যৌন ধ্যানের জন্য চোখ বন্ধ

৩। আপনার চোখ বন্ধ করুন।

আপনি প্রস্তুত হলে, আপনি এবং আপনার সঙ্গিনী আপনার চোখ বন্ধ এবং ধ্যান শুরু করতে পারেন। তারপর, প্রথমে আপনার আশপাশের সচেতন থাকতে চেষ্টা করুন। আপনার শরীরের দিকে মনোযোগ দিন, আপনার শ্বাস, এবং আপনি শুনতে যে কোন শব্দ। [4]

  • ঘৃণাত্মক চিন্তা উপেক্ষা করুন এবং কেবল বর্তমান মুহূর্তের উপর ফোকাস করার চেষ্টা করুন। যদি একটি চিন্তার আপনার মাথায় আসে, চিন্তা স্বীকার এবং তারপর এটি পাস করুণ। উদাহরণঃ যদি আপনি এমন কিছু মনে করেন যা কর্মক্ষেত্রে ঘটেছে, তাহলে আপনি নিজেকে মনে করতে পারেন, "হ্যাঁ, এটি ঘটেছে" এবং তারপর চিন্তা দূরে ভেসে চিত্র দেখুন।

৪। আপনার স্থান এবং শ্বাস উপর ফোকাস।

আপনি ধ্যান হিসাবে, আপনার স্থান এবং শ্বাস উপর ফোকাস। গভীর, প্রশান্ত শ্বাস নিন এবং বায়ুতে ঢোকা এবং আপনার শরীর ছেড়ে চলে যান। যখন আপনি শ্বাস ফেলেন, বাতাসকে আপনার পেটে চাপান এবং আপনার শরীরকে তোলার সাথে সাথে চাপের কথা ভাবুন। [5]

  • নিজের সম্পর্কে সচেতন হতে চেষ্টা করুন এবং আপনি কেমন বোধ করেন। বায়ু আপনার শরীরের চারপাশে কেমন লাগে তা বোঝা যায়, আপনার সমস্ত শরীরের অংশ আপনার হাত থেকে আপনার পায়ের দিকে কেমন লাগে। [6]

শরীরের দিকে নজর

৫। আপনার শরীরের দৃশ্যমান।

ধ্যান শুরু হলে, আপনার নিজের শরীরকে কল্পনা করুন। আপনার শরীরের ভিতরে এবং বাইরে দেখায় কিভাবে আপনার শরীরের শক্তি দেখায় কিভাবে ভাল হিসাবে চিন্তা করুন। আপনার বর্তমান অনুভূতির আকার, রঙ এবং শব্দের কথা চিন্তা করুন। উদাহরণস্বরূপ, আপনি আপনার অংশীদারের জন্য অনুভূতি অনুভব করে এমন একটি লাল গোলাপের মত দেখতে পারেন। [7]

  • আপনার শারীরিক সংবেদন ফোকাস। আপনার নিজের শরীর এবং আপনি যতটা সম্ভব অনুভূতি অনুভব সংবেদন হিসাবে সচেতন হতে চেষ্টা করুন। যৌন ধ্যানের লক্ষ্য হল উচ্চতর সচেতনতা, যা যৌন আবেগ বৃদ্ধি করতে পারে। [8]

৬। আপনার সঙ্গিনীর উপর ফোকাস।

একবার আপনি নিজেকে দৃশ্যমান করা হলে, আপনার সঙ্গীর কাছে ফোকাস প্রেরণ করুন। এই মুহূর্তে আপনার সঙ্গীর শরীর এবং আবেগ সম্পর্কে চিন্তা করার চেষ্টা করুন।

  • আপনার অংশীদার তাকান। আপনি আপনার চোখ খুলতে পারেন এবং আপনার অংশীদার চোখ তাকান। নিশ্চিত করুন যে আপনি আপনার সঙ্গীর শ্বাস হিসাবে ভাল বিজ্ঞপ্তি। আপনার সঙ্গীর শরীরের আন্দোলনে দৃষ্টিপাত করুন। [9] উদাহরণস্বরূপ, তারা আপনার সঙ্গীর পেট এবং বুক দেখতে পারেন যেমন তারা বাতাসে ভরাট করে এবং আবারও মুছুন
  • কথা বলা ছাড়া আপনার সঙ্গীর সাথে যোগাযোগ করুন আপনার অনুভূতি কি আপনার অনুভূতি প্রদর্শন করতে আপনার মুখ, হাত এবং চোখ ব্যবহার করার চেষ্টা করুন। আপনার সঙ্গীর অভিব্যক্তি হিসাবে ভাল দেখুন। সেও কি সে অনুভব করছে তা দেখার চেষ্টা করুন। [10]

যৌন সংসর্গ

৬। যৌন সংসর্গ সম্মুখের দিকে সরান।

প্রায় ২0 মিনিট যৌন ধ্যানের পর, যৌন সংসর্গের স্থানান্তর। যৌনসম্পর্কের পর যদি যৌনসম্পর্ক বেশি উপভোগ্য হয়, নিয়মিত যৌন ধ্যান করার ব্যাপারে আপনার সঙ্গীর সাথে কথা বলুন।

পার্ট ২। আপনার অভিজ্ঞতা বাড়ানোঃ

সংগীত

১। কিছু প্রকৃতি শব্দ বা ঝিম সঙ্গীত বাজান।

বাইরের শব্দগুলির সাথে মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করা কঠিন হতে পারে, যাতে কিছু প্রকৃতির শব্দ বা শব্দ সংগীত বা ধ্যান বাড়াতে উত্সাহিত কিছু সঙ্গীত বাজানো আপনাকে এবং আপনার সঙ্গীকে শিথিল করতে সাহায্য করতে পারে। কিছু বৃষ্টি শব্দ, মহাসাগর তরঙ্গ শব্দ, বা কিছু নতুন যুগ সঙ্গীত খেলতে চেষ্টা করুন।

  • আপনি ধ্যান এবং লিঙ্গ থাকার সময় খেলার জন্য যথেষ্ট দীর্ঘ স্থায়ী হবে এমন কিছু চয়ন নিশ্চিত করুন।

হাতে হাত রেখে

২। Taoist যৌন ধ্যান চেষ্টা করুন

একবার আপনি প্রাথমিক যৌন ধ্যান চেষ্টা করেছি, আরও জটিল ফর্ম উপর সরানোর চেষ্টা করুন Taoist যৌন ধ্যান ধ্যানের একটি ফর্ম যা আপনাকে এবং আপনার সঙ্গিনী ইচ্ছার মার্জনার উপর আলোকপাত করে।

  • সংমিশ্রণ শ্বাস। আপনি আপনার সঙ্গীকে অধিষ্ঠিত করে এবং আপনার শ্বাস একত্রিত করার চেষ্টা করে Taoist ধ্যান শুরু করতে পারেন। যে, আপনার inhaling এবং exhaling এর গতি মেলে যাতে আপনি এবং আপনার অংশীদার inhaling এবং একই সময়ে exhaling হয়। যতক্ষণ না আপনি একের মত শ্বাস ততক্ষণ এগিয়ে যান।
  • হাতের স্পন্দন। Pulsing Taoist যৌন ধ্যান আরেকটি ফর্ম। আলতো করে খোলা এবং আপনার সঙ্গীর হাত বন্ধ করুন অথবা আপনার সঙ্গীর হাতটি একটি মসৃণ, মৃদু তাল ব্যবহার করে নিচের দিকে চাপুন। আপনার সঙ্গী আপনার হাতটিও ঝুলিয়ে দিতে পারে। [11]

সেক্স ব্যায়াম

৩। কিছু তান্ত্রিক চর্চা অন্তর্ভুক্ত করুন।

এন্ট্রিক লিঙ্গের ধ্যান করার জন্য লিঙ্গের ব্যবহার করার একটি উপায়, তাই কিছু তান্ত্রিক প্রচেষ্টার অন্তর্ভুক্ত আপনার এবং আপনার অংশীদার জন্য উপভোগ্য হতে পারে। কিছু সহজ তান্ত্রিক যৌন অনুশীলন যা আপনি চেষ্টা করতে পারেন:

  • চোখের একদৃষ্টিঃ আপনার যৌনতা যখন আপনার সঙ্গিনীর সঙ্গে চোখের যোগাযোগ বজায় রাখার চেষ্টা করুন এবং হিসাবে আপনি পাশাপাশি climax হিসাবে।
  • বিকল্প শ্বাসঃ আপনার সঙ্গী সহ বিকল্প শ্বাসের চেষ্টা করুন। উদাহরণস্বরূপ, আপনার সঙ্গিনী শ্বাস ফেলা এবং তদ্বিপরীত হিসাবে আপনি শ্বাস নিতে পারেন। [12]

টিপসঃ

* আপনি যৌন ধ্যান চেষ্টা করার সিদ্ধান্ত নিতে আগে, আপনি এটি কেনো চেষ্টা করতে চান সে সম্পর্কে আপনার সঙ্গীনির সঙ্গে কথা বলুন। 
* আপনি এবং আপনার সঙ্গিনী পৃথকভাবে ধ্যান অনুশীলন করতে পারেন, পাশাপাশি আপনার মন সাফ করার অভ্যাসের মধ্যে প্রবেশ করতে পারেন এবং একটানা ধ্যানকে একটু সহজ করে তুলতে পারেন। 

লেখিকাঃ পুজা

তথ্য সূত্র ও ছবি ঃ wikihow

আমার লেখিত আগের পোস্ট গুলো…

০১। যৌন জীবন আকর্ষণীয় ও আনন্দদায়ক করতে ৫ টি টিপস

০২। শৃঙ্গারে নারীর কেশ

০৩। ছেলেদের লিঙ্গের ২০ টি নাম 

০৪। মেয়েদের যোনির ২৮ টি নাম ও পরিচয়

০৫। স্ত্রীর দেহের চুম্বন ও মর্দনের গুরুত্ব

প্রিয় পাঠক-পাঠিকা, আমার এই লেখাটি পড়ে আপনার কাছে কেমন লেগেছে তা আমাকে জানাতে কমেন্ট করুণ। আপনার বন্ধুদেরকে পড়াতে শেয়ার করুণ। 

The post কিভাবে যৌন ধ্যান করবেন? appeared first on Amar Bangla Post.

প্রশ্নঃ পতিতার সাথে সহবাস করা যাবে?

$
0
0

প্রশ্নঃ আমার যৌন উত্তেজনা খুব প্রবল। কাজ-কর্ম জোগাড় করতে পারেনি বলে এখনো বিয়ে করতে পারেনি। অপরদিকে আমার বন্ধুরা ভিআইপি কলগার্লদের সাথে রাত কাটায়, আমাকে নিমন্ত্রণ করে তাদের সাথে যোগ দিতে, আমি লজ্জায় ও ভয়ে তাদের  আমন্ত্রণে সাড়া দেয় না। এদিকে আবার আমারো প্রচন্ড ভাবে সেক্স করতে ইচ্ছে করে। এখন আমি যদি তাদের আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে কলগার্লের সাথে রাত কাটানোতে যোগ দেয় তাহলে কি কোন সমস্যা আছে?

উত্তরঃ আমার বাংলা পোস্ট.কম এ যুক্ত হওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আমরা আপনার প্রশ্নকে সাধুবাদ জানাই।

আমাদের সমাজে একটি প্রবাদ প্রচলিত আছে, “সৎ সঙ্গে সর্গে বাস, অসৎ সঙ্গে সর্বনাশ”। অর্থাৎ, আপনি যদি সৎ বা ভালো লোকদের সাথে চলাফেরা-উঠাবসা করেন, তাহলে আপনি দুনিয়াতেই সর্গে বাস করবেন। কিন্তু আপনি যদি অসৎ বা খারাপ লোকদের সাথে চলাফেরা উঠা-বাসা করে  করেন তাহলে আপনি দুনিয়াতে নরকে বাস করবেন। সেই অসৎ  বা খারাপ চরিত্রের লোকটি আপনার নিকট বন্ধু কিংবা পরিবারের সদ্যসই হোক না কেনো, আপনার উপরে এর প্রভাব পড়বেই।  

আমাদের সমাজে দুই ধরনের লোক আছে যাদের মধ্যে একদল আছে ভালো চরিত্রের অধিকারী, আর অপর দল হচ্ছে খারাপ চরিত্রের অধিকারী।

ভালো সৎ চরিত্রের অধিকারী লোকেরা তাঁর সঙ্গী সাথীদেরকে সর্বদায় ভালো  রাখতে চেষ্টা করে, আর অপর দিকে অসৎ খারাপ চরিত্রের অধিকারী লোকেরা তাঁর সঙ্গী সাথীদেরকেও খারাপ বানাতে প্রচেষ্টা চালিয়ে যায়। এটাই কঠিন সত্য  এবং কঠিন বাস্তবতা।

আপনার এই প্রশ্নের উত্তরটি দুই ভাবে দেওয়া যায়। প্রথমটি হচ্ছে ধর্মীয় ভাবে। আর দ্বিতীয়টি হচ্ছেঃ স্বাস্থ্য বিজ্ঞান ভাবে। আমি সবার জ্ঞানার্থে দুই ভাবেই উত্তর প্রদান করবো।

১। ধর্মঃ আমাদের ইসলাম ধর্মে পরনারীর সাথে সহবাস করা কিংবা তাঁর সাথে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করা সম্পূর্ণরূপে হারাম। যাকে ইসলামী পরিভাষায় ব্যভিচার বলা হয়। প্রকৃত ইসলাম ধর্ম বিবাহ ব্যতীত কোন নারীর সাথে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করতে অনুমতি দেয়না।   কেউ যদি বিবাহ ব্যতীত কোন নারীর সাথে যৌন সম্পর্ক  স্থাপন করে তাহলে এটি সম্পূর্ণ হারাম  এবং কবীরা গুনাহের ভাগীদার হবে। আর এতে করে যৌবনের পবিত্রাও নষ্ট হবে।  তাই রাসূলুল্লাহ (সাঃ) নির্দেশ দিয়েছেন মুসলিম ছেলে-মেয়েরা  যৌবন প্রাপ্ত হলে তাদেরকে বিবাহ করিয়ে দিতে। তাতে সমাজে শৃঙ্খলা বজায় থাকবে। কিন্তু আমাদের দেশে তা সম্পূর্ণ উল্টো। ছেলে চাকরি জোগাড় করতে পারেনি বলে ছেলেকে বিবাহ করায় না বউকে খাওয়াবে কি যুক্তি দেখিয়ে। তাদের কাছে মনে হয় এই  দেশের বউদের পেট  হাতির মতো, ছেলে রোজগার করার আগে বিয়ে করালে বউমা এসে খেয়ে দেয়ে সব শেষ করে ফেলবে।

আরো পড়ুনঃ ইসলামে পরনারীর সাথে যৌন সম্পর্ক করার শাস্তি

২। স্বাস্থ্য ঝুকিঃ  কলগার্ল বা যৌন কর্মীদের (sex woker) সাথে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করা নিরাপদ নয়। তারা বহু পুরুষের সঙ্গে মিলিত হবার কারণে তারা ভয়ঙ্কর যৌনবাহী রোগে আক্রান্ত হতে পারে। অথবা আক্রান্ত থাকতে যৌন কর্মীর সঙ্গে মিলিত হওয়া পুরুষটিও।  আক্রান্ত পুরুষের সাথে যৌন কর্মীর মিলিত হবার কারণে অনিরাপদ পন্থায় যৌন কর্মীও যৌনরোগ বাহী জীবাণুতে আক্রান্ত হতে পারে। আর সেখান থেকে আপনিও। উল্লেখ যে, অনেক খদ্দরই যৌন কর্মীদের সাথে মিলিত হবার সময় কনডম ব্যবহার করে না যার ফলে এখানে মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকি  থেকেই যায়। কেননা, খদ্দরদের মধ্যে অনেক খদ্দরই আছে যারা টাকার বিনিময়ে যৌন কর্মীদের মতোই বহু নারীদের সাথে মিলিত হয়। অপরদিকে, কনডম ব্যবহার করে যৌন কার্জ সম্পন্ন করলেও অনেক সময় কনডম ভালো মানের না হওয়ার কারণে কিংবা কনডমের ভিতরে বাতাস  থাকার  কারণে যোনির ভিতরে ফেটে বিপদ ঘটিয়ে ফেলতে পারে। তাই, যৌন কর্মীদের সাথে যতই নিরাপদ যৌন মিলনের কথা বলা হোক না কেন আসলে ততটা নিরাপদ নয়।

আরো পড়ুনঃ যৌনবাহি রোগ গুলো কি কি এবং তাঁর ক্ষতিকর প্রভাব

পরামর্শঃ যৌন কর্মীদের সঙ্গে মিলিত হবার আগে ভালো মানের কনডম লিঙ্গে পড়িয়ে নিবেন। কমদামি কিংবা পাতলা কনডম ব্যবহার করা থেকে বিরত  থাকুন। লিঙ্গে কনডম পড়ানোর সময় খেয়াল রাখবেন যাতে কনডমের ভিতরে যাতে বাতাস না থাকে।

আবেগের বশতী হয়ে যৌন কর্মীর যৌনাঙ্গ লেহন-চুম্বন করা থেকে বিরত থাকুন। সে যৌন কর্মী যদি দুর্ভাগ্যবশত যৌন সংক্রমণ ভাইরাস বহন করে থাকে তাহলে এর মাধ্যমে আপনিও আক্রান্ত হয়ে  যাবেন।

আরো পড়ুন  : যৌনাঙ্গ লেহন ও চোষণ করার ক্ষতি   

উত্তর লিখেছেনঃ সৈয়দ রুবেল। (প্রতিষ্ঠাতা ও সম্পাদকঃ আমার বাংলা পোস্ট.কম)

উত্তরটি পড়ে ভালো লাগলে এটি শেয়ার করে অন্যদেরকে সচেতন করুণ…

The post প্রশ্নঃ পতিতার সাথে সহবাস করা যাবে? appeared first on Amar Bangla Post.

সহবাসের জন্য অগ্রীম প্রস্তুতি

$
0
0

সহবাসের  প্রস্তুতিপরিস্কার-পরিচ্ছন্ন ও নির্জন স্থানই সহবাসের উপযুক্ত স্থান। সহবাসের সময় সুগন্ধী ও আতর সুঘ্রাণ ব্যবহার করা উত্তম। এসব ব্যবহার করলে হৃদয়ে আনন্দের বাতাস বয়ে যায়। মনের আনন্দ উল্লাসের সাথে সাথে যৌনাচাহিদাও বাড়তে থাকে। কারণ আতর সুঘ্রাণ মানুষের অন্তরে আনন্দ ও প্রফুল্লতা দানকারী বিশেষ উপাদান।যেসব স্থানে লোকজনের যাতায়াত চলে, সেসব স্থানে সহবাস করবে না। কারণ এসব স্থানে সহবাস করে তৃপ্তি পাওয়া যায় না, যৌঞ্চাহিদা, উদ্দীপনা লোকজনের যাতায়াতের দরুন হ্রাস পেতে থাকে। মহিলাদের জন্যও সহবাসের পূর্বে পূর্ণাঙ্গভাবে নিজেকে সাজিয়ে নিবে। নিজে পূর্ণাঙ্গভাবে সাজ-সজ্জা গ্রহণ করবে। অতঃপর স্বামী নিজ স্ত্রীর সাথে মহব্বত ভালোবাসার কথা বলবে, মন ভোলানো নরম মিষ্টি মিষ্টি কথা বলবে। পরস্পরে আনন্দ-ফুর্তি ও মজার মজার কথা বলবে। একে অপরকে জড়িয়ে ধরে চুম্বন করবে। প্রেম ভালোবাসা দিয়ে একে অপরকে মোহিত করে ফেলবে। এতে পরস্পরের মাঝে মহব্বত ভালোবাসা বৃদ্ধি পাবে। এসব করলে সহবাসের প্রতি উভয়ের প্রবল আগ্রহ সৃষ্টি হবে। সহবাসের পূর্বে স্ত্রী তার যৌন স্থানকে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধৌত করবে। এতে তার জরায়ু ছোট ও সঙ্কুচিত হয়ে যাবে। অতঃপর যৌন স্থান পরিস্কার নেকড়া দিয়ে মুছে সুঘ্রাণ ব্যবহার করবে। এর দ্বারা স্বামীর মনে ভিন্ন একধরণের মজা অনুভব হবে। সবশেষে আপন বাসনা পুরণের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করবে। – নারী পুরুষের গোপন কথা 

নারী-পুরুষের একান্ত গোপনীয় কথা

$
0
0

nari-purusher-ekantএ বই পড়ার আগে

পুরুষঃ কথায় প্রবল কাজে দুর্বল

নারীঃ বুক ফাটে মুখ ফাটে না

এ বই পড়ার পরে

পুরুষঃ কথায় যেমন কাজেও তেমন

নারীঃ মুখ ফাটে বুক আর ফাটে না

নারী-পুরুষের একান্ত গোপনীয় কথা

বা পুশিদাহ রাজ

মূলঃ মুফতী হাকীম আল্লামা আশরাফ আমরহী।

অনুবাদ ও সংযোজনায়ঃ মাওলানা আবু বকর সিদ্দীক।

প্রকাশকালঃ জানুয়ারী ২০১৩

প্রকাশনায়ঃ রংধনু পাবলিকেশন্স

প্রচ্ছদঃ মুহাম্মদ মাহমুদুল ইসলাম

পরিবেশকঃ রংধনু পাবলিকেশন্স

বাংলাবাজার, ঢাকা।

যোগাযোগঃ ০১৯৭৭-৩০২২৩৩

মূল্যঃ ১৬০/-(এক শ ষাট টাকা মাত্র)

 

সূচীপত্র—

মানুষের মূল উপাদান পরিচিত

মানুষের জন্য খৎনা করা জরুরী ও উপকারী

যে ভাবে যৌনাঙ্গ দীর্ঘায়িত করতে হয়

পুরুষাঙ্গ মোটা ও দীর্ঘ করার ঔষধ

বীর্যের কীট

১০ বীর্য কীট উৎপাদনকারী ঔষধ

১১ বীর্য ঘন করার ঔষধ

১২ কেমন নারীকে বিবাহ করবে

১৩ কেমন নারীকে বিবাহ করা উচিৎ না

১৪ সহবাস সম্বন্ধে গুরুত্বপূর্ণ দিক নির্দেশনা

১৫ সহবাসের নীতিমালা

১৬ সহবাস করার স্থান

১৭ সহবাসের সময় যে পোশাক পরিধান করতে হয়

১৮ সহবাসের মুহুর্তে মূল্যবান কথা

১৯ কতদিন পরপর সহবাস করা উচিৎ

২০ যৌন ক্ষুধা থাকা না থাকা অবস্থায় সহবাসের উপকারিতা ও অপকারিতা

২১ সহবাস মাত্রাতিরক্ত করার ক্ষতি

২২ সহবাসের জন্য অগ্রীম প্রস্তুতি

২৩ সহবাসের আদব

২৪ অত্যন্ত উপকারী গোপন রহস্য

২৫ যেসব অঙ্গ স্পর্শে মহিলারা উত্তেজিত হয়

২৬ চুম্বনের বহুরূপ

২৭ চুম্বনের স্থান

২৮ নারীর দেহে মর্দন টিপুনীর স্থান

২৯ সহবাসের উপযুক্ত সময়

৩০ সহবাসের সময় নিষিদ্ধ কার্যাবলী

৩১ সহবাসে লিপ্ত হওয়ার মুহুর্তে

৩২ সহবাসের দোয়া

৩৩ সহবাসের স্থায়িত্বকাল

৩৪ স্ত্রীসহবাসের মাত্র

৩৫ স্বামীস্ত্রীর সহবাসে আনন্দ হয় কেন

৩৬ চরম পুলকের সময় যৌনাঙ্গের অবস্থান

৩৭ স্বামীস্ত্রীর সহবাসের উপকারিতা

৩৮ সহবাসের অপকারিতা

৩৯ স্ত্রীর দ্রুত বীর্যপাত ঘটানোর কৌশল।

৪০ মহিলাদের কাম উত্তেজনা যেভাবে জাগাতে হবে।

৪১ মহিলাদের বীর্যস্খলনে লক্ষণ

৪২ মহিলাদের কাম উত্তেজনার লক্ষণ

৪৩ অভিজ্ঞদের মতে মহিলাদের বীর্যপাতের তিনটি লক্ষণঃ

৪৪ মহিলাদের তৃপ্তির লক্ষণ

৪৫ মহিলাদের তৃপ্তির লক্ষণ

৪৬ সহবাস করার পদ্ধতি

৪৭ সহবাসের কিছু পদ্ধতি

৪৮ সহবাসের সময় বিশেষ কাজ

৪৯ পুরুষহদের জন্য সহবাসের পর যে কাজ করা জরুরী

৫০ সহবাসের পর পেশাব করার ভিন্ন পদ্ধতি

৫১ সহবাসের পর শৌচকার্য করার ভিন্ন পদ্ধতি

৫২ সহবাসের পর খাদ্য গ্রহণ

৫৩ সহবাসের পর দুর্বলতার ঔষধ

৫৪ যিনা ব্যভিচার সম্পর্কে ছোট্ট আলোচনা

৫৫ রাস্তার মহিলাদের সাথে কুসম্পর্কের ক্ষতির দিক

৫৬ এ জাতীয় যিনা ব্যভিচার ধ্বংসাত্মক

৫৭ পুরুষত্ব উদ্দীপনা হ্রাস পাওয়ার আলোচনা

৫৮ হুশিয়ার হোন এবং সতর্ক অবলম্বন করুন

৫৯ যৌন শক্তি কমে যাওয়ার কারণ

৬০ যৌন শক্তি কমে যাওয়ার বিশেষ কারণ

৬১ পুরুষত্বহীনের চিকিৎসা

৬২ গোপন রহস্যের বিশেষ খাবার

৬৩ মুরগীর ডিম অনেক উপকারী

৬৪ খেজুর যৌনশক্তি বৃদ্ধির অন্যতম উপায়

৬৫ খেজুর যৌনশক্তি বৃদ্ধির অন্যতম উপায়

৬৬ সকলের জন্যই বিশেষ কথা

৬৭ সহবাসের পর দেহের যত্ম

৬৮ পুরুষের যৌবন আগমণের লক্ষণ

৬৯ নারীর যৌবন আগমণের লক্ষণ

৭০ স্বামীর আগেই স্ত্রীর বীর্যপাত ঘটানোর উপায়

৭১ নারীর কামনায় পুরুষ

৭২ কি কারণে নারী পরপুরুষ চায় না

৭৩ সঙ্গমে দ্রুত বীর্যপাত

৭৪ বেশিক্ষণ সময় সহবাসের হালুয়া

৭৫ স্ত্রীকে সহবাসের স্বাদে আবদ্ধ করার উপায়

৭৬ ধাতু দূর্বলতা সম্পর্কে আলোচনা

৭৭ স্বপ্নদোষ বিষয়ক আলোচনা

৭৮ কি কি কারণে যৌন শক্তি হ্রাস পায়

৭৯ রতিশক্তি বৃদ্ধির উপায়

৮০ স্বপ্নদোষ হতে মুক্তির উপায়

৮২ অধিক স্বপ্নদোষের কারণে ধাতু পাতলা হলে

৮৩ হস্তমৈথুন ও সমকামিতা

৮৪ হস্তমৈথুনকারী ব্যক্তিকে চেনার আলামত

৮৫ হস্তমৈথুন রোগীর আলোচনা

৮৬ হস্তমৈথুনের ক্ষতিকর দিক

৮৭ সমমৈথুন, পুং মৈথুনের আলোচনা

আপনার বন্ধুদের কে পড়াতে শেয়ার করুণ। নিত্য নতুন পোস্ট ও বই পড়তে প্রতি দিন একবার করে আমার বাংলা পোস্ট এ ভিজিট করুণ। 


৪৯ শত্রুদমন কর

$
0
0

আল্লাহর ওয়াস্তে শত্রুতা কায়েম করার মাঝে ঈমানের পরিপূর্ণতা, মিষ্টতা ও প্রকৃত স্বাদ রয়েছে। মহানবী (সাঃ) বলেন, যে ব্যক্তি আল্লাহর ওয়াস্তে কাউকে ভালবাসে, আল্লাহর ওয়াস্তে কাউকে ঘৃণা করে, আল্লাহর ওয়াস্তে কিছু দান করে এবং আল্লাহর ওয়াস্তেই কিছু দান করা হতে বিরত থাকে, সে ব্যক্তি পূর্ণাঙ্গ ঈমানের অধিকারী।(সহীহ আবূ দাঊদ ৩৯১০ নং)

তুমি আল্লাহর ওয়াস্তে অপরকে ঘৃণা কর, ভালো থাকবে। তুমি আল্লাহর ওয়াস্তে অপরকে শত্রু ভাব, নিরাপদে থাকবে।

তুমি কারো শত্রুতে পরিণত হতে পার। কোন মানুষের শত্রু নেই? যে মানুষের নিকট থেকে কোন উপকারিতা অথবা অপকারিতা প্রকাশ পায় না, তার কোন শুত্রু নেই। যেহেতু যার উপকারিতা অথবা তাকে মন্দ লোকেরা এবং অপপকারিতা আছে তাকে ভালো লোকারা পছন্দ করে না।

চারটি জিনিস শত্রুতা সৃষ্টি করে; অহংকার, হিংসা, মিথ্যাবাদিতা ও চুগলখোরি।

এ সব কর্ম থেকে দূরে থাক, তাহলেই শত্রু সৃষ্টি হবে না।

তোমার শত্রু হল তিনজন; তোমার শত্রু, তোমার বন্ধুর এবং তোমার শত্রুর বন্ধু। এদের সকলের ব্যাপারে সাবধান থেকো।

শত্রু যখন তোমার প্রতি শত্রুতার হাত বাড়ায়, তখন পারলে তা কেটে ফেল। তা না পারলে তা চুম্বন কর। দুশমন যদি দুশমনি দিয়ে তোমার সম্মুখীন হয়, তাহলে উমি হিকমত দিয়ে তার মোকাবিলা কর। তাছাড়া তোমার জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠবে।

মানুষ অনেক বড় বড় কষ্ট সহ্য করে নেয়, কিন্তু দুশমন-হাসি অনেক ক্ষেত্রে সহ্য করে ওঠতে পারে না। যে ব্যক্তি হীন লোকের শত্রুতা-দৃষ্টিতে পড়ে, সে ব্যক্তির মান মাঠে-ঘাটে হয়। তাই তোমাকে এড়িয়ে চলতে হবে, কঠিন হলেও সুকৌশলে অবলম্বন করে সাপের মাথা থেঁতলে দিতে হবে।

সতর্ক থেকো সখী থেকে, যে কোন মুহূর্তে সে তোমার শত্রুতে পরিণতি হতে পারে।

যে হাওয়া আনে হাসি, ঘন ঘন আসি আসি,  সেই তো আবার ঝড় হয়ে যায়।

যে ফুলে আনে হাসি, সে ফুলেই দেয় গ ফাঁসি। ঘর থেকে সে পর হয়ে যায় ।

এই জন্যই মহানবী (সাঃ) বলেছেন, তোমার বন্ধুকে মধ্যমভাবে ভালবাস (অর্থাৎ  তার ভালবনাসাতে অতিরঞ্জন করো না।) কারণ, একদিন সে তোমার শত্রুতে পরিণত হতে পারে। আর তোমাদের শত্রুকে তুমি মধ্যম ভাবে শত্রু ভেবো। (অর্থাৎ, তাকে শত্রু ভাবাতে বাড়াবাড়ি করো না।) কারণ, একদিন সে তোমার বন্ধুতে পরিণত হতে পারে।( সুতরাং তখন তোমাকে লজ্জায় পড়তে হবে।) (তিরমিযী ১৯৯৭, সহীহুল জামে, ১৭৮ নং)

খুব সাবধান! সখী থাকাকালে যা কিছু বলেছ, শত্রু হওয়ার পরে সব প্রকাশ হয়ে যাবে, সকল রুহস্য সে প্রকাশ করে দেবে, যাদের বিরুদ্ধে কিছু বলেছিলে, সে তাদেরকে সব পৌঁছে দেবে। আর তুমি তখন নিজের হাতের ছুড়া ঢিল আর ফিরিয়ে নিতে পারবে না। সুতরাং সেই প্রভাদের উপরেও আমল করো, যা মুরুব্বদীর নিকট থেকে শুনে থাক, ‘কাউকে ভাত দিয়ো, কিন্তু ভেদ দিয়ো না, জেনে রেখো, বন্ধু শত্রু হয়ে গেলে, তাতে  ক্ষতি দ্বিগুণ। আরো পড়ুন

 

৪১ ধৈর্যশীলা হও

$
0
0

পৃথিবীর ও সুখ সম্ভারে কোন জিনিসের অভাব নেই। কিন্তু জম্মের পরে কে কি পেয়েছে, সেটা তো প্রত্যেকের ভাগ ও ভাগ্য বোনটি আমার!

কেউ খায় দুধে চিনি, কারো শাকে বালি,

কারো বস্তা বস্তা টাকা, কারো হাত খালি।

কেউ কারো ভাগ্য গড়ে দিতে পারে না এবং কেউ কারো ভাগ্য ছিনিয়ে নিতেও পারে না। কোন দম্পতির অবস্থা সোনায় সোহাগা। কারো অবস্থা কাকের ঠোঁটে আঙ্গুরের মত।

মেঘের কোলে সৌদামিনী বোনটি আমার! জীবনটা এমনই, আরবীতে কাউকে ‘কেমন কাটছে?’ জিজ্ঞাসা করলে উত্তরে অনেকে বলে, য়্যাউমুন আসাল অ য়্যাউমুন বাস্বাল’। অর্থাৎ, একদিন মধু, একদিন পিঁয়াজ। বাংলায় বলা হবে, ‘একদিন মধু , একদিন কদু’। এই ভাবেই প্রায় মানুষের জীবন কাটে। কখনো হাতি কখনো মশা, কখনো হয় দুর্দশা। ‘কোন দিনই হায় পোহাবে না যাহা তেমন রাত্রি নাই’।

‘নূতন প্রেমে নূতন বধূ, আগাগোড়া কেবল মধু, পুরাতনে অম্লমধুর একটু ঝাঁঝালো’।

তোমার ক্ষেত্রে যে তাঁর ব্যতিক্রম হবে, তা নাও হতে পারে।

ধৈর্য ধর। ‘ধীর পানিতে পাথর কাটে’। স্বাম্মির আপদে-বিপদে, রোগে-শোকে ও অভাবে ধৈর্য ধারণ কর। যদিও তুমি ভাগ্যদোষে সেই মহিলা, যে বলে,

                   মরমে লুকানো কত দুঃখ

                   ঢাকিয়া রয়েছি মান মুখ,

                    কাঁদিবার নাই অবসর

                     কথা নাই শুধু ফাটে বুক’।

তবুও তোমাকে বীরের মত বলতে হবে, ‘পথের কাটা মানব না, হৃদয়-ব্যথায় কাঁদব না’।

                 ‘আমি ভয় করব না, ভয় করব না

               দু’বেলা মরার আগে মরব না না ভাই মরব না।

                     তরীখানা বাইতে গেলে,

                     মাঝে মাঝে তুফান মেলে-

                তাই বলে হাল ছেড়ে দিয়ে কান্নাকাটি করব না’।

স্বামীর সাথে বাস কজরতে করতে টকঝক কার না হয়? তা বলে সামান্য কথায় ‘তালাক দাও, আমি তোমার ভাত খাব না, আমি মায়ের গর চলে যাব, আমার পোড়া কপাল!’

ইত্যাদি বলে এত বড় আঘাত সৃষ্টি করা তোমার উচিত নয়।

যেমন উচিত নপয়, সামান্য কথায় নাকে কাদা, হা-হুতাশ করা।

অকারণে তালাক নেওয়া মুনাফিক মেয়ের গুণ। এমন মেয়ের জন্য জান্নাতের সুগন্ধও হারাম।(সিলসিলাহ সহীহাহ ৬৩২, সহগীহুল জামে,  ২৭০৬ নং)

জান্নাতলোভী বোনটি আমার! আপদে-বিপদে, রোগে-অসুখে ধৈর্য ধারণ কর।

আত্বা ইবনে আবী রাবাহ হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা ইবনে আব্বাস (রাঃ) মাকে বললেন, ‘আমি কি তোমাকে একটি জান্নাতী মহিলা দেখাব না!,

আমি বললাম, ‘হ্যাঁ!’ তিনি বললেন, ‘এই কৃষ্ণকায় মহিলাটি নবী (সাঃ) এর নিকট এসে বলল যে, আমার মৃগী রোগ আছে, আর সে কারণে আমার দেহ থেকে কাপড় সরে যায়। সুতরাং আপনি আমার জন্য দুআ করুণ’। তিনি বললেন, “তুমি যদি চাও, তাহলে সবর কর, এর বিনিময়ে তোমার জন্য জান্নাত রয়েছে। আর যদি চাও, তাহলে আমি তোমার রোগ নিরাময়ের জন্য আল্লাহর নিকট দুআ করব”। স্ত্রীলোকটি বলল, ‘আমি সবর করব’।

অতঃপর সে বলল, ‘(রোগ উঠার সময়) আমার দেহ থেকে কাপড় সরে যায়, সুতরাং আপনি আল্লাহর কাছে দুআ করুণ, যেন আমার দেহ থেকে কাপড় সরে না যায়’। ফলে নবী (সাঃ) তাঁর জন্য দুআ করলেন। (বুখারী-মুসলিম)

একটু খেয়াল করে দেখ, রোগে ধৈর্য ধরব, জান্নাত নেব, তবে বেপর্দা হব না। তুমি কি ঐ মহিলার মত হতে চাও, নাকি সেই মহিলার মত, যে সর্দি লাগ্লে অথবা গা গরম হলেই শিঙ্গার করে ডাক্তার খানা ছুটে?

সুখ-হারানো বোনটি আমার! জীবনে কিছু পেতে হলে, কিছু দিতে হয়, কিছু লাভ করতে গেলে, কিছু হারাতে হয়। দুনিয়ার এ রীতি বড় চিরন্তর। তা বলে ঢেউ দেখে তুমি নাও ডুবিয়ে দিও না। ‘তুফানে ছেড়ো না হাল, নৌকা হবে বানচাল’। ‘ঢেউ দেখে যে ভয় পাবে না, অকূল পারে নে যাই তারে’।

আমরা প্রত্যেকেই জীবনে চাই। আর সেই চাওয়া থেকে আমাদের সমস্যা বৃদ্ধি পায়।

কে চাওয়ার মত পাওয়া পেয়েছে বল?

                   ‘পাওয়ার মতন পাওয়া যারে কহে,

                     সহজ বলেই সহজ তাহা নহে

                        দৈবে তারে মেলে’।

যদি চাওয়ার মত পাওয়া না পেয়ে থাক, তাহলে ধৈর্য ধারণ কর।

ধৈর্য দুই প্রকারঃ বাঞ্চিত জিনিস না পাওয়ার বা হাত ছাড়া অনুতাপে ধৈর্য এবং অবাঞ্চিত জিনিস গ্রহন করতে বাধ্য হওয়ার অনুতাপে ধৈর্য। উভয়ে ক্ষেত্রেই ধৈর্য অপরিহার্য।

ধৈর্য তিন প্রকারঃ আল্লাহর আদেশ পালনে ধৈর্য, তাঁর নিষেধ বর্জনে ধৈর্য এবং তাঁর তকদীরের বালা-মুসীবতের উপর ধৈর্য। এই তিন প্রকারই ধৈর্যধারণ করা তোমার জন্য ফরজ। স্বামী যদি সত্যই অবুঝ ও অত্যাচারী হয়, তাহলে ধৈর্য ধর। সে যদি তাঁর নিজের হক করায়-গন্ডায় আদায় করে নেয় এবং তোমার হক আদায় না করে, তাহলে ধৈর্য ধর।

বুঝিয়ে, আত্মীয়কে সালিস মেনেও যদি না পার, তা হলে তুমি যথানিয়মে স্বামীর হক আদায় কর এবং তোমার নিজের হক আল্লাহর কাছে চেয়ে নাও।

ঐ দেখ না, রাজা অত্যাচার করলে আমাদের কে কি করতে হবে তাঁর নির্দেশ দিয়ে মহানবী (সাঃ) বলেন, “তোমরা আমার পরে (শাসকগোষ্ঠীর অবৈধভাবে) প্রাধান্য দেওয়ার কাজ দেখবে  এবং এমন অনেক কাজ দেখবে, যেগুলোকে তোমরা মন্দ জানবে”। সাহাবাগোণ জিজ্ঞসা করলেন, ;হে আল্লাহর রসূল! আপনি (সেই অবস্থায়) আমাদের কে কি আদেশ দিচ্ছেন?’ তিনি বললেন, “তোমাদের যে অধিকার আদায় করার দায়িত্ব তোমাদের আছে, তা তোমরা আদায় করবে এবং তোমাদের যে অধিকার, তা তোমরা আল্লাহর কাছে চেয়ে নেবে”।(বুঝারী-মুসলিম)   

নিপীড়ির বোনটি আমার! দুর্বল শক্তিহীনের ধৈর্য ছাড়া আর কি উপায় আছে বল।

ঐ দেখ পুলিশ এসে খামাখা অত্যাচার করে, বিনা দোষে গালাগালি করে, উর্দির গরমে মানীকেও হেনস্থা করে। তখন কি করার আছে বল? মনে মনে পারলে ক্ষমা করে দিও।

নচেৎ হিসাব পাওয়ার আশা রেখো হিসাবের দিন।

তুমি হয়তো বলবে, আল্লাহ কি নারীকে এত ছোট করে সৃষ্টি করেছেন?

না, বোনটি আমার! কেউ যদি বড়কে সম্মান না দেয়, তাহলে সে ছোট হয়ে যায় না। কিন্তু তুমি যথার্থ মর্যাদা পেতে কি করবে বল? আমি মানলাম, তোমার দোষ নেই। বিনা দোষে সে যদি তোমার প্রতি অত্যাচার করে, তাহলে সে হয় পাগল, না হয় অত্যাচারী। আর যদি তোমার ছোট খাট দোষ থাকে, কিন্তু সে বড় শাস্তি দেয়,

তাহলে তাঁর জন্য তুমি কি করতে পার? তুমি যে তাঁর মুখাপেক্ষিণী!

 

সে গালাগালি করলে, তুমিও গালাগালি করে প্রতিশোধ নেবে?

সে তোমার গায়ে হাত তুললে, তুমিও তাঁর গায়ে হাত তুলবে? আর তাহলে তো আগুন বেড়ে যাবে? সে তোমাকে তালাক দেবে? আর তাহলেই তো সব খেলাই সাঙ্গ।

থানা-পুলিশ করবে? নারী-নির্যাতন কেস দেবে? মহিলা সংগঠন দ্বারা তোমার স্বামীকে শায়েস্তা করবে? তাতে কি তোমার অধিকার ফিরে আসবে? শক্তির জোর দেখিয়ে অথবা ভয় দেখিয়ে স্বামীর ভাত পেতে পার, কিন্তু ভালবাসা তো পাবে না।

সুতরাং সবার চাইতে ধৈর্য ধরাই কি শ্রেষ্ট পথ নয় বোনটি ?

বিমাতা বিষের ঘর। সেখানে যদি তুমি অত্যাচারিতা হও, পিতার কাছে বিচার না পাও, তাহলে ধৈর্য ধর।

শ্বশুর-শাশুড়ী ও শ্বশুর বাড়ি যেমনই হোক সব কিছুর ব্যাপারে ধৈর্য ধর।

এমন শাশুড়ীও হতে পারে, যার শাসনে সময় মত খেতে পাও না, পছন্দ মত পরতে পাও না। যে তোমাদের স্বামী – স্ত্রীর ভালবাসা দেখে ঈর্ষায় ফেটে পড়ে বলে, ‘কথায় বলে দিনে ভাশুর, রাতে পুরুষ। কিন্তু আজকাল সব ঢেটা।(প্রশংসার সুরে) আমার অমুক ছেলে খুব ভালো। বউকে সব সময় লাল চোখে দেখে, আর রাত ছাড়া কাছ ঘেঁসতে দেয় না!’ পরন্ত নিজের বেটি-জামায়ের অনুরূপ প্রেম-বৈঠক দেখে অপরকে গর্বের সাথে বলে, ‘আমার জামাই আমার মেয়েকে খুব ভালবাসে!’

 

এমন শাশুড়ী হতে পারে, যে তোমাকে মাপা খাবার দেয়! মাপার ছোট সরা ভেঙ্গে গেলে বড় সরায় ভাত পাওয়ার আশায় তোমার আনন্দ লক্ষ্য করে যে বলে, ‘ছোট সরাটি ভেঙ্গে গেছে বড় সরাটি আছে, নাচ কোদ বউ হাতের আন্দাজ আছে!’

 

যে শাশুড়ী তোমাকে বসতে সময় দেয় না। যে নিজের মেয়েকে বসিয়ে রেখে তোমাকে দাসীর মত নাকে দড়ি দিয়ে খাটায়। যার অবস্থা বলে, ‘বসবি তো ছেলে ধর, উঠবি তো কাঠ কাট’।

যেখানে স্বামী নিষ্ক্রিয়! যেখানে তুমি নীরবে ব্যথা সও।

                        ‘নিভৃত প্রাণের নিবিড় ছায়ায় নীরব নীড়ের’ পরে,

                              কথাহীন ব্যথা একা একা বাস করে’।

দুঃখ-কষ্টের মাঝে একদিন তোমার জয় অবধার্য। মহান আল্লাহ ধৈর্যশীল বান্দাদের  কে সুসংবাদ দিয়েছেন।

             ‘ধাইল প্রচন্ড ঝড় বাধাইল রণ-

                        কে শেষে হইল জয়ী? মৃদু সমীরণ’।

কোন কষ্ট যদি তোমার নিজের দোষের কারণে হয়, তাহলে তুমি নিজেকে সংশোধন কর।

                       ‘মিছে কান্নায় কি ফল আর,

                  যাতে না ভোগ পুনঃপুনঃ তারই উপায় কর সার’।

‘সবুরেতে মেওয়া ফলে, উতলায় কি ফল ফলে, থাকতে হয় লো কাদায় চলে গুণ ফেলে’।

ধৈর্যশীলা বোনটি আমার! আঘাত ভুলার অভ্যাস থাকলে সুখলাভ বড় সহজ।

স্বার্থপরেরা যদি তোমার উপর টেক্কা দিতে চায়, তাহলে তা তুচ্ছজ্ঞান করে বাতিল কর। শোধ নেওয়ার দরকার নেই। যখন শোধ নেওয়ার চেষ্টা করবে, তখন দেখবে, তাঁর ক্ষতি করার চাইতে তুমি নিজেরই ক্ষতি করে বসছ।

খবরদার! কারো নিকট হতে কৃতজ্ঞতা পাওয়ার আশা করো না। তুমি যদি সুখী হতে চাও, তাহলে কৃতজ্ঞতা বা অকৃতজ্ঞতার কথা ভুলে যাওয়া ভালো। আর দান করার আনন্দেই দান করা উচিত। 

আমাদের যা আছে তাঁর কথা আমরা কদাচিতই ভেবে থাকি, বরং অধিকাংশ সময় চিন্তা করি যা আমাদের নেই তাঁর কথা। আর তাঁর জন্যই আমরা মনে কষ্ট পাই।

জ্ঞানী বোনটি আমার! তোমার কি নেই তা নিয়ে দুশ্চিন্তা করো না; বরং তোমার যা আছে তা নিয়ে চিন্তা কর। হয়তো দেখবে, তোমার যা আছে তা, যা নেই তাঁর তুলনায় অনেক বেশী।

জীবনে যা পেয়েছ, তারই হিসাব কর, যা পাওনি তাঁর নয়। তাহলেই দেখবে তোমার মনে শান্তি বিরাজ করছে এবং অন্তরের অন্তস্তল থেকে মহান আল্লাহর শুকর বের হয়ে আসছে।

দুঃখ পেলে ধৈর্য ধর, সুখ পেলে বন্টন কর। স্বামীর অনুমতি নিয়ে তোমার বোন, জা, প্রতিবেশিনী প্রভৃতির মাঝে যথাসম্ভব তোমার সুখ ভাগ করে দাও, আনন্দ পাবে।

যে শুধু নিজের কথা ভাবে, সে জীবনে কিছুই পায় না; সে বড় দুঃখী। পক্ষান্তরে অন্যের উপকার যে করে, সে জীবনকে পরিপূর্ণ উপভোগ করতে পারে।

সুখ হল চুম্বনের মত, যা অংশীদার ছাড়া বাস্তবায়ন হয় না।

সুখকে সুখ তখনই মনে হবে, যখনই তা কাউকে একাই সহ্য করতে হবে।

আর অপরের সুখ দেখে হিংসা করো না, নিজেকে হেয় মনে করো না। ‘পরের দেখে তুলো হাই, যা আছে তাও নাই’।

সুখ-কাঙ্গালিনী বোনটি আমার! পরের সংসারকেই বেশী সুখী মনে হয়। পরের স্বামীকে বেশি ভাল মনে হয়। দূরবর্তী সম্ভাবনাকে মানুষ অনেক বেশি উজ্জ্বল মনে করে।

                    ‘নদীর এ পার কহে ছাড়িয়া নিশ্বাস,

                    ও পারেতে সর্বসুখ আমার বিশ্বস।

                    নদীর ও পার বসি দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে-

                  কহে, যাহা-কিছু সুখ সকলেই ও পারে’।

দূরে থেকে সরষে ক্ষেত ঘন লাগে। সুতরাং যে যেখানে থাকে, তাকে তাঁর পরিবেশ নিয়েই সন্তুষ্ট থাকা দরকার।

                   ‘বনের পাখি বলে, আকাশ ঘন নীল কোথাও বাঁধা নাই তাঁর,

                    খাঁচায় পাখি বলে, খাঁচাটি পরিপাটি কেমন ঢাকা চারিধার।

                  বনের পাখি বলে, আপনা ছেড়ে দাও মেঘের মাঝে একেবারে,

                  খাঁচার পাখি বলে, নিরালা সুখ কোণে বাঁধিয়া রাখো আপনারে।

                         বনের পাখি বলে, না, সেথা কোথায় উড়িবারে পাই?

                  খাঁচার পাখি বলে, হায়! মেঘে কোথা বসিবার ঠাই?’

এক সুন্দরী স্ত্রী তাঁর কুশ্রী স্বামীকে বলল, আমি আশা করি, আমরা উভয়েই জান্নাতবাসী হব, তা কি করে বলতে পার? বলল, কারণ তুমি আমার মত সুন্দরী স্ত্রী পেয়ে শুকর করছ। আর আমি তোমার মত কুশ্রী স্বামী পেয়ে ধৈর্য ধারণ করছি। আর শুকরকারী ও ধৈর্যশীল উভয়ই জান্নাতবাসী হবে!

সুখ-সিংহাসনে অধিষ্ঠাত্রী বোনটি আমার! হিংসুকের হিংসায় ধৈর্য ধারণ কর। কেউ যদি তোমার পর্দা, বোরকা বা পরহেযগারী নিয়ে টিটকারি করে, তাহলে ধৈর্য ধর। আর এই সব ক্ষেত্রে একটি কথা স্মরণে রেখো, মনে সান্ত্বনা পাবে- ‘হাথী চলতা রহেঙ্গা, কুত্তা ভুতকা রহেঙ্গা। আরো পড়ুন

৩৪ সাক্ষাৎ ও বিদায় কালে চুম্বন

$
0
0

আমেরিকার ইনস্যুরেন্স কোম্পানীর পরিসংখ্যানে প্রকাশ যে, যদি কোন স্ত্রী প্রতিদিন সকালে স্বামীর অফিস যাওয়ার আগে তাকে প্রেম-চুম্বন দিয়ে বিদায় জানায়, তাহলে যাত্রাপথে তাঁর দুর্ঘটনার আশঙ্কা অনেকটা কমে যায় এবং তাঁর আয়ু গড়পড়তা পাঁচ বছর বৃদ্ধি লাভ করে!

হৃদয়ের প্রশান্তি লাভের জন্য স্ত্রীর প্রেম-ব্যবহার নিতান্ত জরুরী জিনিস। তাতে স্বামী সতত প্রত্যেক কর্মে নতুন নতুন অনুপ্রেরণা পায়, কর্ম-সম্পাদনে বড় আনন্দ ও উৎসাহ পায়। তাঁর নিদ্রা ও জাগরণ স্বপ্নময় হয়ে উঠে। কোথায় বলে, ‘নারী-সুখে নিদ্রা যাই, চিত্ত-সুখে গান গাই।’

চুম্বন বিনিময় প্রেমের জগতে একটি সফল আচার। অবশ্য ঘরে অন্য কেউ থাকলে সময় বুঝে তা করা প্রয়োজন।

পশ্চিমাদের মত বেহায়ামি প্রদর্শন করাও কাম্য নয়। আরো পড়ুন

৬০ মিলন – রহস্য প্রকাশ

$
0
0

স্ত্রী কপালে স্বামীর চুম্বনস্বামী-স্ত্রীর মাঝে কত রকমের যৌন – রহস্য আছে, প্রেম-রহস্য আছে।

কত আনন্দ আছে, কত তৃপ্তি আছে। কিন্তু সেই তৃপ্তির কথা অপরের কাছে বলে কোন কোন মহিলা অধিক তৃপ্তি লাভ করে। কেউ গায় নিজ স্বামীর যৌনশক্তির আতিশয্যের কথা, আবার কেউ গায় নিজ স্বামীর যৌন – দুর্বলতা বা অক্ষমতার কথা। অথচ মহিলা তার এই তৃপ্তিরস উদগিরণে অবিবাহিতা আর একজন সখীর চরিত্র খারাপ করে। অনেক রহস্যে কোন কোন যুবতী পুরুষদের ব্যাপারে কুধারণা পায়।

অনেক মহিলার মনে তার স্বামীর গুপ্ত প্রেম বাসা বাঁধে।মিলনে স্বামীর প্রশংসা করলে নিজের ক্ষতি করা হয়। পক্ষান্তরে দুর্নাম করলে তাকে অন্য মহিলা ও তাদের স্বামীদের নিকট তাকে ছোট করা হয়। আর কোনটাই স্ত্রীর জন্য উচিত নয়। যেমন স্বামীরও উচিত নয়, স্ত্রীর রহস্য বন্ধু-মহলে প্রকাশ করা।

মহানবী (সাঃ) বলেছেন, “কিয়ামতের দিন মানের দিক থেকে আল্লাহর নিকট নিকৃষ্টতম মানুষ সেই ব্যক্তি, যে স্ত্রী-সহবাস করে এবং স্ত্রী স্বামী-সহবাস করে অতঃপর সে তার (স্ত্রীর) রহস্য প্রচার করে বেড়ায়।”(মুসলম)

আসমা বিন্তে য়্যাযীদ (রাঃ) বলেন, একদা আমি আল্লাহর রসূল (সাঃ)-এর কাছে ছিলাম, আর তার সেখানে অনেক পুরুষ ও মহিলাও বসেছিলেন। তিনি বললেন, “সম্ভবতঃ কোন পুরুষ নিজ স্ত্রীর  সাথে যা করে তা (অপরের কাছে) বলে থাকে এবং সম্ভবতঃ কোন মহিলা নিজ স্বামীর সাথে যা করে তা(অপরের নিকট) বলে থাকে?” এ কথা শুনে মজলিসের সবাই কোন উত্তর না দিয়ে চুপ থেকে গেল।

আমি বললাম, ‘জী হ্যাঁ। আল্লাহর কসম, হে আল্লাহর রসূল! মহিলারা তা বলে থাকে এবং পুরুষরাও তা বলে থাকে।’ অতঃপর তিনি বললেন, “তোমরা এরূপ করো না। যেহেতু এমন ব্যক্তি তো সেই শয়তানের মত, যে কোন নারী-শয়তানকে রাস্তায় পেয়ে সঙ্গম করতে লাগে, আর লোকেরা তার দিকে চেয়ে চেয়ে দেখে।”(আহমাদ, ইবনে শাইবাহ, আবূ দাঊদ, বাইহাক্কী) সূত্রঃ আদর্শ নারী , আরো পড়ুন

আদর্শ রমণী

$
0
0

Muslim Happy Copuleআদর্শ রমণী

লিখেছেনঃ আব্দুল হামীদ ফাইযী

এই বইয়ে লেখক খুব সুন্দর ভাবে একজন আদর্শ স্ত্রী হওয়ার উপায় ও গুণাবলি তুলে ধরেছেন। বইটি শুধু মুসলিম বোনদের জন্য নয় বরং অন্য ধর্ম অনুসারী বোনদেরকে দারুণ ভাবে সাহায্য করবে বলে আমি আশা করি। সাথে আদর্শ স্বামী স্ত্রী ২ বইটিও স্বামী স্ত্রীকে দারুণ ভাবে সাহায্য করতে পারে।

আমাদের এই বইটি পড়ে আপনাকে কাছে ভালো লাগলে আপনার পাশের বোনকেও এটি পড়তে আহ্বান করুণ।-সৈয়দ রুবেল (প্রধানঃ আমার বাংলা পোস্ট)

Download PDF

সূচীপত্র—
০১ আদর্শ তরুনী
০২ বাইরে যাওয়ার আদব
০৩ বন্ধুত্ব ও সখিত্ব
০৪ প্রেম – ভালবাসা
০৫ রূপ – সৌন্দর্য ও পরিচ্ছন্নতা
০৬ স্ত্রীর মান
০৭ বিবাহ কেন করবে
০৮ প্রস্তুতি পর্যায়
০৯ ওজুহাত দূর কর
১০ স্বামী পছন্দ করার ভিত্তি
১১ শরীয় বিবাহ
১২ পয়গাম
১৩ স্বামীর আনুগত্য
১৪ স্বামীর যথার্থ কদর করঃ মূল্যায়ন কর
১৫ স্ত্রীর ভুল ও স্বামীর রাগ
১৬ ইসলামী শরীয়তের স্ত্রীকে মারধর করা
১৭ দ্বীনদার হও
১৮ চরিত্র সুন্দর কর
১৯ নিজ হাতে স্বামীর খিদমত কর
২০ স্বামীর সম্পদের হিফাযত কর
২১ তাঁর বিনা অনুমতিতে কিছু করো না
২২ স্বামীর কৃতজ্ঞ হও
২৩ অতি বিলাসিনী হয়ো না
২৪ বিনয়াবনতা হও
২৫ লজ্জাশীলা হও
২৬ উদার হও, মনের সংকীর্ণতা দূর কর
২৭ সুস্মিতা থাক
২৮ সুশোভিতা ও সুরভিতা থাকো
২৯ সুভাষিণী, ধীরা ও শান্ত মেজাজের মেয়ে হও
৩০ স্বামীর শোকে-দুঃখে সান্ত্বনা দাও
৩১ স্বামীর জন্য আয়না হও
৩২ স্বামীর মন ভরে দাও
৩৩ স্বামীর প্রতি যত্ম নাও
৩৪ সাক্ষাৎ ও বিদায় কালে চুম্বন
৩৫ তুমি অসুন্দরী হলে
৩৬ স্বামীকে নৈকট্য দাও
৩৭ স্বামীর সাথে খোশগল্প
৩৮ ঈর্ষা থেকে দূরে থাকো
৩৯ ছলা-কলা থেকে দূরে থাক
৪০ সৎ কাজে স্বামীর সহায়িকা হও
৪১ ধৈর্যশীলা হও
৪২ স্বামী বিদেশে থাকলে
৪৩ প্রত্যেক কাজে সওয়াবের আশা রাখ
৪৪ স্ত্রী তিন প্রকার
৪৫ স্বামীর আত্মীয়র সাথে সদ্ব্যবহার কর
৪৬ ভারসাম্য বজায় রাখ
৪৭ সদা সতর্ক থাক
৪৮ চট করে কোন মন্তব্য করো না,কোন ফায়সালা করো না
৪৯ শত্রুদমন কর
৫০ স্বার্থত্যাগ কর
৫১ হিংসা বর্জন কর
৫২ আশাবাদিনী হও
৫৩ সময় কে কাজে লাগাও
৫৪ সুধারণা – কুধারণা
৫৫ প্রতিবেশীর সাথে সদ্ব্যবহার কর
৫৬ আদর্শ মা
৫৭ আদর্শ শাশুড়ী
৫৮ পরচর্চা
৫৯ মিলন – রহস্য প্রকাশ
৬০ ঠোঁট কাটা হয়ো না
৬১ মিথ্যা গর্ব
৬২ কথা বলার আদব
৬৩ নারী সম্পর্কে অভিজ্ঞতালব্ধ বাণী।

সকল ভাই বোনদের প্রতি আহ্বান করতেছি আপনারা এই বইটি নিজে পড়ার সাথে সাথে আপনার বন্ধু-বান্ধবীদেরকেও পড়তে আহ্বান করুণ ও তারা যাতে পড়তে পারে সেজন্য শেয়ার করুণ।  

হস্তমৈথুন করে কি যৌন সন্তুষ্টি পাওয়া যায়?

$
0
0

প্রশ্নঃ অধিকাংশ নবযুবতী মেয়েরা যৌন তৃপ্তির জন্য হস্তমৈথুনের শিকার হয়ে পড়ে? তারা কি হস্তমৈথুন করে যৌন সন্তুষ্টি পায়?

উত্তরঃ যৌন বিশেষজ্ঞদের মত অনুযায়ী কিশোর বয়সের ছেলেদের মধ্যে শতকরা ৯০ ভাগের বেশি হস্তমৈথুন প্রবৃত্তি থাকে।
আধুনিক যৌন স্বচ্ছন্দতা এবং ফিল্মে আলিঙ্গন চুম্বনও অশ্লীল দৃশ্যের জন্য মেয়েদের মধ্যেও হস্তমৈথুনের প্রবৃত্তি তীব্র গতিতে বেড়ে চিলেছে। কয়েক দশক আগের তুলনায় আধুনিক পরিবেশে ছেলে মেয়েদের মধ্যে কামোত্তেজনা বেশি করে পরিলক্ষিত হয়।
ফিল্মের অশ্লীল দৃশ্য দেখে কামোত্তেজিত হয়ে উঠে মেয়েরা নিজের ঘনিষ্ঠ বান্ধবীদের সঙ্গে সমলৈঙ্গিক সম্পর্ক স্থাপন করে নেয়।
এর সঙ্গে হস্তমৈথুনের প্রবৃত্তিও শুরু হয়ে যায়। বাসে যাওয়া আসা করতে গিয়ে পুরুষদের শারীরিক স্পর্শেও মেয়েদের মধ্যে কামোত্তেজনা সৃষ্টি হয়। যৌন বিশেষজ্ঞদের মত অনুযায়ী মেয়েরা বেশি সংকোচ চিত – স্বভাবের হওয়ায় কামোত্তেজিত হয়ে উঠা সত্ত্বেও ওরা যৌন সম্পর্কে স্থাপন করতে নিজে থেকে সহজে এগিয়ে আসে না।

কোন নবযুবকের প্রেমের আমন্ত্রণ পেয়েও মেয়েরা খুব সহজে যৌন সম্পর্কের জন্য তৈরি হয় না। মেয়েরা যৌন সম্পর্কে গর্ভবতী হয়ে পড়ার ভয়টা খুব বেশি করে পায়। কিন্তু অত্যাধিক কামোত্তেজনা মেয়েদের কোন নবযুবকের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করতে বাধ্য করে তোলে। গর্ভ নিরোধক উপকরণের অত্যাধিক বিজ্ঞাপনও বেশ কিছু মেয়েকে খুব তাড়াতাড়ি সম্ভোগ ক্রিয়ায় লিপ্ত করে তোলে। বেশির ভাগ মেয়ে সম্ভোগের সুবিধা পায় না। আবার সম্ভগে মেয়েদের সামাজিক অপযশের  সম্ভবনাও থাকে। কখনো কখনো ছেলেরাও কো মেয়ের অসহায়তার সুযোগে ব্ল্যাকমেল ও করে। এসব আশংকার হাত থেকে বাঁচার জন্যও বেশ কিছু মেয়ে হস্তমৈথুনের সাহায্য নেয়।

ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের হস্তমৈথুন করাটা অপক্ষোকৃত কঠিন হয়। কিন্তু সামাজিক অপযশের হাত থেকে বাঁচতে আর মানসিক সন্তুষ্টির জন্য তারা হস্তমৈথুন করতে শুরু করে। ছেলেরা দিনের মধ্যে একবার কি দুবার হস্তমৈথুন করে সন্তুষ্ট প্রাপ্ত করে নেয়, কিন্তু মেয়েদের জন্য হস্তমৈথুন কোন নির্দিষ্ট সংখ্যা নেই। কারণ ছেলেদের মত মেয়েদের বীর্যপাতের কোন
সমস্যা নেই। তাই মেয়েরা অনেক বার হস্তমৈথুন করে যৌন আনন্দ প্রাপ্ত করতে পারে।
মেয়েদের জন্য হস্তমৈথুনের কোন সরল প্রক্রিয়া নেই। তাদের হস্তমৈথুন করার জন্য ছেলেদের চেয়ে বেশি একান্ত জায়গার প্রয়োজন হয়। আঙ্গুল দিয়ে যোনিতে ঘর্ষণের ক্রিয়ায় মুশকিল বেশী হয়। কারন তাদের এক বিশেষ কোন ঘর্ষণ করতে হয়।
হস্তমৈথুন প্রায়ই দু,টি মেয়ে এক সঙ্গে লিপ্ত হয়। একে অপরের ভগনাসায় আঙ্গুল দিয়ে ঘর্ষণ করে তারা হস্তমৈথুনের প্রক্রিয়াকে
সম্পন্ন করে। 

সব মেয়েরা এরকম বিশ্বাসী এবং ঘনিষ্ঠ বান্ধবী সহজে পায় না। হোষ্টেলে তারা এই সুবিধা খুব সহজে অপেয়ে যায়।
বাড়ীতে হস্তমৈথুনের প্রবৃত্তি খুব তাড়াতাড়ি সমলৈঙ্গিক (লেসবিয়ান) বদলে যায়। বিভিন্ন প্রকারের কঠোর বস্তু দিয়ে যৌনিতে ঘর্ষণ করলে যৌনির সংবেদনশীলতা খুব কমে যায়। এই ধরনের মেয়েরা বিয়ের পর সম্ভোগে চরম সুখ পায় না। তাই বিবাহিত নবযুবতীদের মধ্যে হস্তমৈথুনের প্রবৃত্তি হয়। সম্ভোগে অসুন্তুষ্টি থেকে মানসিক বিকৃতি এবং ক্ষোভ উৎপন্ন হয়। কঠোর বস্তু দিয়ে যৌনি ঘর্ষণ করলে গর্ভাশয়েরও ক্ষতি হতে পারে। যৌনিতেও আঘাত লেগে  বিষক্রমণ হওয়ারও ভয় থাকে।

মেয়েরা নানাভাবে হস্তমৈথুন করে। বিশেষজ্ঞদের মত অনুযায়ী এমন মেয়েদের সংখ্যাও নিতান্ত কম নয়, যারা মানসিক মৈথুন দ্বারা যৌন আনন্দ প্রাপ্ত করে। এছাড়া কিছু মেয়ে কৃত্রিম মৈথুনও করে। কৃত্রিম মেয়েরা গাজর, মূল্যে, লম্বা বেগুন, শসা ইত্যাদি দিয়ে ঘর্ষণ করে। কৃত্রিম মৈথুনে কখনো কখনো গাজর, মুলা ভেঙ্গে গিয়ে খুবই সমস্যার সৃষ্টি কর।

অনেক মেয়ে রবারের কৃত্রিম লিঙ্গের দ্বারাও মৈথুন করে। এই ধরনের অপ্রাকৃতিক মৈথুনে সাধারণত; দু,টি মেয়ে এক সঙ্গে লিপ্ত হয়। একজন নিজের পেটে রবারের লিঙ্গওয়ালা বেল্ট বেদে নেয় আর ঠিক কোন পুরুষের মতই মৈথুনের ক্রিয়া সম্পন্ন করে।
যৌনির ওপরের অংশকে ভগনাসা বলে। একে ভগাংকুরও বলা হয়। অধিকাংশ মেয়ে এই অংশটিকে নিজের আঙ্গুল অথবা  হাতের তালু হাল্কা অথবা গভীর চাপ দিয়ে ঘর্ষণ করে। বিশেষজ্ঞদের মতে যৌনর ঐ অংশটা সংবেদনশীল হয় আর  হাল্কা স্পর্শেই কামোত্তেজিত হয়ে উঠে।

মেয়েরা কখনো এক আঙ্গুল আবার কখনো দু,টো দিয়ে ঘর্ষণ করে যৌন আনন্দ প্রাপ্ত করে। হস্তমৈথুন সমাপ্ত হয়ে গেলে পুরুষদের মত মেয়েদের মত মেয়েদের বীর্যপাত হয় না, কিন্তু অধিংকাশ মেয়েরা যৌনির স্রাবের জন্য ভিজে ওঠে।
ভগনাসার ঘর্ষণের সঙ্গে সঙ্গে মেয়েরা যৌনির আশপাশের জায়গাতেও ঘর্ষণ করে আর যৌনির ওপর পায়ের গোড়ালি দিয়ে চাপ দিয়ে ঘর্ষণ চালিয়ে যায়। এভাবে চরমোৎকর্ষে পৌঁছে মেয়েরা সন্তুষ্টি প্রাপ্ত করে। যৌন বিশেষজ্ঞদের মত অনুযায়ী  কিছু কিছু মেয়ে নিজের শরীরকে বিভিন্ন মুদ্রায় গতিশীল করে হস্তমৈথুনের আনন্দ প্রাপ্ত করে। যৌন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার
বার্ডেলের মত অনুযায়ী কিছু কিছু মেয়ে মানসিক মৈথুন দ্বারাই যৌন আনন্দ প্রাপ্ত করে।  এ সম্পর্কে আরো জানুন

স্তন চুম্বনের সঠিক পদ্ধতি

$
0
0

দুধের ছবি

নারীদের কোন কোন জায়গা গুলোতে স্পর্শ করলে বেশি উত্তেজিত হয় বেশিরভাগ পুরুষ এটা অনুমান করেতে পারেনা:

যখন কোন পুরুষ তার সঙ্গীর স্তনে যৌন উত্তেজনা আনতে চান তখন তারা সরাসরি নিপলে (স্তনের বোটা) চলে যান। 

পুরুষ মুলতঃ এভাবে মনে করেন – ‘যেহেতু স্তন্যের বোটাই মুল উত্তেজক অংশ তাই শুধু শুধু অন্য অঞ্চলে সময় নষ্ট কেন?’ এটা মোটেও ভাল বুদ্ধি নয়।

নারীরা আরো অনেক বেশি জটিল। নারীরা আশ্চার্যজনক কিছু ঘটতে যাচ্ছে কিছুক্ষনের মধ্যে সেই আশায় থাকতে বেশি পছন্দ করে।টেনশান এবং এক্সাইটমেন্ট তাদের বেশী পরিমানে উত্তেজিত করে। নারী তার যায়গার সর্বচ্চ অবস্থানে গিয়ে মজা অনুভব করে। যৌন মিলনের সময় একসাথে শুরু না হয়ে ক্রমশঃ উত্তেজনা সৃষ্টি হোক এটা নারীর প্রত্যাশা।

[sc name=”abpb”]

নারী কিভাবে চায় এটা?
যখন আপনি স্তনে চুমা খাচেছন, এটা অতি উত্তম আপনি যদি স্তনের ভিত্তি (বেইস – নিপল থেকে সর্বচ্চো দূরে) থেকে শুরু করেন। চুমা, লেহন এবং স্পর্শ সবকিছুই থাকবে স্তন্যের ভিত্তির আশ-পাশ ঘেসে।

তারপর আস্তে আস্তে পুর্ন বৃত্তে সাপের মত চারপাশ ঘুর্নন পরিপুর্ন করুন।
অতঃপর আরেকটু উপরের দিকে পুনরার বৃত্তাকারে চুমা, লেহন এবং স্পর্শ করে অন্য ঘুর্নন বলয় তৈরি করুন। এভাবে আস্তে আস্তে স্তনের বোটার কে আসুন।

আপনি যত বেশি সময় নিয়ে বোটার কাছাকাছি আসবেন তত বেশি সে উত্তেজিত হবে। এ অবস্থায় বেশিরভাগ নারী তার এক্সপ্রেশান দিয়ে আহ্ববান করবে তার স্তনের বোটা আপনার মুখে নেয়ার জন্য। এমনকি কেউ কেউ হাত দিয়ে আপনার মাথা টেনে তার বোটা চোষার জন্য চাপ সৃষ্টি করতে পারে। ধর্য্য ধরুন।

এখনি মুখে স্তনের বোটা নিবেন না। স্তনের বোটার কাছাকাছি আপনার সিঙার চালিয়ে যান। তাকে আরো ক্ষুধার্ত করে তুলুন। স্তনের বোটায় পৌছার আগে বোটার পাশের বাদামী রঙের অঞ্চল (এ্যরুলা) জুড়ে পুর্বের ন্যায় চুম্বন, লেহন এবং স্পর্শ করুন। এখানে কিছুটা সাবধান তার প্রয়োজন আছে। খেয়াল রাখবেন স্তনের বোটায় যেন কোন ছোয়া না লাগে।

এবার স্তন্যের বোটা!
প্রথমে জিহ্বা দিয়ে একবার লেহন করুন। এবার হালকা ফু দিন লেহনকৃত অঞ্চলে। এটি ঠান্ডা গরম যুক্ত একপ্রকার অনুভুতি জাগাবে তার স্তন্যে, যা অনেক নারী পছন্দ করেন। এর পুনরাবৃত্তি পুরা বোটা জুড়ে করুন।
এবার কিছুক্ষনের জন্য স্তন্যের বোটাটি মুখের ভিতর পুরে রাখুন এবং জিহ্বা দিয়ে ভেতর থেকে লেহন করুন।

এখন সময় চরম চোষার!
স্তন্যের বোটা আপনার মুখের ভিতর থাকা অবস্থায় আপনার ঠোট দিয়ে চাপ দিতে থাকুন। তারপর ক্রমশঃ আপনার ঠোটের চাপ কমিয়ে বোটা ছেড়ে দিন। এবং পুনরায় পুর্বের কাজগুলো (বোটা মুখে নেওয়া, চোষা এবং ঠোট দিয়ে চাপ দেওয়া)। এবার আবার বোটা ছেড়ে পুর্বের ন্যায় সমস্ত স্তন জুড়ে আপনার তান্ডব চালান। তারপর আবার বোটায় ফিরে আসুন।

হাতের ব্যবহার:
যখন আপনার মুখ তার স্তনে কাজ করছে তখন আপনি হালকা করে হাত
দিয়ে অন্য স্তনে ক্রমাগত চাপ দিতে পারেন। লক্ষ্য রাখবেন অনেক নারী
চায় এক স্তন্যে সমস্ত কর্মকান্ড শেষে অন্য স্তন্যের সিঙার চালু হোক।
তাই আপনার সঙ্গীকে অবশ্যই জিজ্ঞেস করে নিন তার কি রকম চাই?

কিছু গুরুত্বপুর্ন কথা:

* কখনো দাত দিয়ে স্তন্যে বা বোটায় কামড় দিবেন না। বেশিরভাগ নারী এটা মোটেও পছন্দ করেনা। এতে বরং তার আগ্রহ মরে যায়। 

* কখনো এমন জোরে হাতের চাপ দিবেন না যাতে আপনার সঙ্গী ব্যথা অনুভব করে। 

* কখনো স্তন্যের বোটা টুইষ্ট (রেডিওর নব এর মত ঘুরানো) করবেন না। 

* আপনি তাকে কানে কানে বলতে পারেন আপনি তার স্তন যুগল কত বেশি পছন্দ করেন। বলতে পারেন তোমার স্তনের বোটা মুখে নিয়ে
মনে হল আমি অমৃত চুষছি। 

* শুধু স্তনে থেমে থাকবেন না। দুই স্তনের মাঝের অংশটিতেও চুম্বন দিন এবং লেহন করুন মাঝে মাঝে। 

* তার কাছ থেকে তার মন্তব্য জিজ্ঞেস করুন। তার ভাললাগা/খারাপ লাগার কথা শুনুন।


[দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ] ইসলামী শরী‘য়াহর মূল উৎসসমূহ

$
0
0

প্রথম উৎস: আল-কুরআনুল কারীম: 

ইসলামী শরী‘য়াহ এর সর্বপ্রথম ও সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ উৎস হচ্ছে আল-কুরআনুল কারীম। এটি قرأ ক্রিয়ার মাসদার। এর শাব্দিক অর্থ: জমা করা, একত্র করা। অতঃএব, القراءة অর্থ: উচ্চারণে এক হরফকে আরেক হরফের সাথে মিলানো। আল-কুরআনকে মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর অবতীর্ণ কিতাব নামে খাস করা হয়েছে। ফলে কুরআনকে কিতাব বলা হয়। কতিপয় উলামা বলেছেন, আল্লাহর কিতাবসমূহের মধ্যে এ কিতাবকে কুরআন বলার কারণ হলো এটা অন্যান্য সব কিতাবের সারাংশ, বরং সব ইলমের সারমর্ম এতে একত্রিত হয়েছে। যেমন আল্লাহ তা‘আলা এ ব্যাপারে বলেছেন:

﴿ لَقَدۡ كَانَ فِي قَصَصِهِمۡ عِبۡرَةٞ لِّأُوْلِي ٱلۡأَلۡبَٰبِۗ مَا كَانَ حَدِيثٗا يُفۡتَرَىٰ وَلَٰكِن تَصۡدِيقَ ٱلَّذِي بَيۡنَ يَدَيۡهِ وَتَفۡصِيلَ كُلِّ شَيۡءٖ وَهُدٗى وَرَحۡمَةٗ لِّقَوۡمٖ يُؤۡمِنُونَ ١١١ ﴾ [يوسف: ١١١] 

“তাদের এ কাহিনীগুলোতে অবশ্যই বুদ্ধিমানদের জন্য রয়েছে শিক্ষা, এটা কোনো বানানো গল্প নয়, বরং তাদের পূর্ববর্তী কিতাবের সত্যায়নকারী এবং প্রতিটি বিষয়ের বিস্তারিত বিবরণ। আর হিদায়াত ও রহমত ঐ কওমের জন্য যারা ঈমান আনে।” [সূরা ইউসুফ: ১১১]

আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেছেন,

 ﴿ وَيَوۡمَ نَبۡعَثُ فِي كُلِّ أُمَّةٖ شَهِيدًا عَلَيۡهِم مِّنۡ أَنفُسِهِمۡۖ وَجِئۡنَا بِكَ شَهِيدًا عَلَىٰ هَٰٓؤُلَآءِۚ وَنَزَّلۡنَا عَلَيۡكَ ٱلۡكِتَٰبَ تِبۡيَٰنٗا لِّكُلِّ شَيۡءٖ وَهُدٗى وَرَحۡمَةٗ وَبُشۡرَىٰ لِلۡمُسۡلِمِينَ ٨٩ ﴾ [النحل: ٨٩] 

“আর স্মরণ কর, যেদিন আমি প্রত্যেক উম্মতের কাছে, তাদের থেকেই তাদের বিরুদ্ধে একজন সাক্ষী উত্থিত করব এবং তোমাকে তাদের উপর সাক্ষীরূপে হাযির করব। আর আমি তোমার উপর কিতাব নাযিল করেছি প্রতিটি বিষয়ের স্পষ্ট বর্ণনা, হিদায়াত, রহমত ও মুসলিমদের জন্য সংবাদস্বরূপ”। [সূরা আন-নাহল: ৮৯]

উলামাগণ আল-কুরআনের সংজ্ঞায় বলেছেন:

القرآن هو كلام الله الذي أنزل على محمد r، ونقل إلينا تواترًا لنتعبد بتلاوته وأحكامه، وليكون آية دالة على صدق رسول الله r في رسالته، وقد نزل به جبريل على رسول الله r بلسان عربي.

আল- কুরআন হলো আল্লাহর কালাম যা মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর নাযিল হয়েছে এবং আমাদের কাছে মুতাওয়াতির তথা অসংখ্য ধারাবাহিক বর্ণনার মাধ্যমে পৌঁছেছে, যাতে আমরা এর তিলাওয়াত ও আহকাম পরিপালনের মাধ্যমে আল্লাহর ইবাদত করি, আর যাতে এটি মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের রিসালাতের সত্যতার দলিল হয়ে যায়। জিবরীল আলাইহিস সালাম এটি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট আরবি ভাষায় নাযিল করেছেন। [1]

আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,

﴿ وَإِنَّهُۥ لَتَنزِيلُ رَبِّ ٱلۡعَٰلَمِينَ ١٩٢ نَزَلَ بِهِ ٱلرُّوحُ ٱلۡأَمِينُ ١٩٣ عَلَىٰ قَلۡبِكَ لِتَكُونَ مِنَ ٱلۡمُنذِرِينَ ١٩٤ بِلِسَانٍ عَرَبِيّٖ مُّبِينٖ ١٩٥ ﴾ [الشعراء: ١٩٢،  ١٩٥] 

“আর নিশ্চয় এ কুরআন সৃষ্টিকুলের রবেরই নাযিলকৃত। বিশ্বস্ত আত্মা এটা নিয়ে অবতরণ করেছে। তোমার হৃদয়ে, যাতে তুমি সতর্ককারীদের অন্তর্ভুক্ত হও। সুস্পষ্ট আরবী ভাষায়।” [সূরা আশ-শু‘আরা: ১৯২-১৯৫]

ফলে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরবের লোকদেরকে কুরআনের অনুরূপ কিছু নিয়ে আসতে চ্যালেঞ্জ করলেন। তখনকার সময়ে তারা  সাহিত্যের বাগ্মিতা ও বয়ানে ছিল সেরা। কিন্তু তারা অক্ষম হলো। এভাবেই কুরআন তাদের বিপক্ষে দলিল হিসেবে দাঁড়ালো।

 আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,

﴿ وَإِن كُنتُمۡ فِي رَيۡبٖ مِّمَّا نَزَّلۡنَا عَلَىٰ عَبۡدِنَا فَأۡتُواْ بِسُورَةٖ مِّن مِّثۡلِهِۦ وَٱدۡعُواْ شُهَدَآءَكُم مِّن دُونِ ٱللَّهِ إِن كُنتُمۡ صَٰدِقِينَ ٢٣ ﴾ [البقرة: ٢٣] 

“আর আমি আমার বান্দার উপর যা নাযিল করেছি, যদি তোমরা সে সম্পর্কে সন্দেহে থাক, তবে তোমরা তার মত একটি সূরা নিয়ে আস এবং আল্লাহ ছাড়া তোমাদের সাক্ষীসমূহকে ডাক; যদি তোমরা সত্যবাদী হও”। [সূরা আল-বাকারা: ২৩]

আল-কুরআন হলো দ্বীনের মূলভিত্তি, ইসলামি শরী‘য়াহর মূল উৎস,  সর্বযুগে ও সর্বদেশে এটি আল্লাহর সুস্পষ্ট দলিল।

সাহাবাগণ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের থেকে তিলাওয়াত, হিফয, অর্থ পড়া ও এ অনুযায়ী আমল করা ইত্যাদি সরাসরি গ্রহণ করেছেন।

قال أبو عبد الرحمن السّلمي: حدثنا الذين كانوا يقرِّؤننا القرآن: عثمان بن عفان، وعبد الله بن مسعود، وغيرهما، أنهم كانوا إذا تعلموا من النبي r آيات لا يتجاوزونها حتى يتعلموها وما فيها من العلم والعمل، قال: «فتعلمنا القرآن والعلم والعمل جميعًا».

“আবু আব্দুর রহমান আস-সুলামী (রহ.) বলেছেন, আমাদের কাছে সে সব সাহাবাগণ বর্ণনা করেছেন যারা আমাদেরকে কুরআন শিখিয়েছেন, যেমন উসমান ইবন আফফান, আব্দুল্লাহ ইবন মাসউদ প্রভৃতি। তারা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে দশটি আয়াত শিখলে যতক্ষণ না এর সব ইলম ও আমল শেষ না হতো ততক্ষণ সামনে এগুতেন না। তারা বলেছেন: এভাবে আমরা ইলম ও আমল উভয় সহকারে কুরআন শিখেছি।”[2]

যুগে যুগে মুসলমানগণ কুরআন হিফয করে আসছে। মুসলিম উম্মাহ কালের পরিক্রমায় বংশানুক্রমে কোনো ধরনের পরিবর্তন বা পরিবর্ধন ছাড়াই কুরআন লিখিতভাবে বর্ণনা করে আসছে। এটা আল্লাহ তা‘আলার এ বাণীরই প্রতিফলন:

﴿ إِنَّا نَحۡنُ نَزَّلۡنَا ٱلذِّكۡرَ وَإِنَّا لَهُۥ لَحَٰفِظُونَ ٩ ﴾ [الحجر: ٩] 

“আমি স্বয়ং এ উপদেশ গ্রন্থ অবতারণ করেছি এবং আমি নিজেই এর সংরক্ষক”। [সূরা হিজর, আয়াত ৯]

 

দ্বিতীয়ত: সুন্নাহ ও শরীয়াহ আইনে এর অবস্থান:

সুন্নাহ এর শাব্দিক অর্থ পথ, পদ্ধতি ও জীবন চরিত; চাই তা প্রশংসনীয় হোক বা নিন্দনীয়। এ শব্দটির ব্যবহার আল-কুরআনে ও হাদীসে এ অর্থে এসেছে। যেমন: আল-কুরআনে আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,

﴿ سُنَّةَ مَن قَدۡ أَرۡسَلۡنَا قَبۡلَكَ مِن رُّسُلِنَاۖ وَلَا تَجِدُ لِسُنَّتِنَا تَحۡوِيلًا ٧٧ ﴾ [الاسراء: ٧٧] 

“তাদের নিয়ম অনুসারে যাদেরকে আমি আমার রাসূলদের মধ্যে তোমার পূর্বে পাঠিয়েছিলাম এবং তুমি আমার নিয়মে কোনো পরিবর্তন পাবে না”। [সূরা আল-ইসরা: ৭৭]

﴿ سُنَّةَ ٱللَّهِ ٱلَّتِي قَدۡ خَلَتۡ مِن قَبۡلُۖ وَلَن تَجِدَ لِسُنَّةِ ٱللَّهِ تَبۡدِيلٗا ٢٣ ﴾ [الفتح: ٢٣] 

“তোমাদের পূর্বে যারা গত হয়েছে তাদের ব্যাপারে এটি আল্লাহর নিয়ম; আর তুমি আল্লাহর নিয়মে কোনো পরিবর্তন পাবে না”। [সূরা আল-ফাতহ: ২৩]

হাদীসে এ শব্দটির ব্যবহার এভাবে এসেছে:

عَنْ أَبِي سَعِيدٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: «لَتَتَّبِعُنَّ سَنَنَ مَنْ قَبْلَكُمْ شِبْرًا بِشِبْرٍ، وَذِرَاعًا بِذِرَاعٍ، حَتَّى لَوْ سَلَكُوا جُحْرَ ضَبٍّ لَسَلَكْتُمُوهُ»، قُلْنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ: اليَهُودَ، وَالنَّصَارَى قَالَ: «فَمَنْ»

“আবু সাঈদ খুদুরী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, নিশ্চয় তোমরা তোমাদের পূর্ববর্তীদের আচার-আচরণকে পুরোপুরি অনুকরণ করবে, প্রতি বিঘতে বিঘতে, প্রতি হাতে হাতে। এমনকি তারা যদি গুঁইসাপের গর্তেও প্রবেশ করে থাকে, তাহলে তোমরাও এতে তাদের অনুকরণ করবে। আমরা বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! এরা কি ইহুদি ও নাসারা? তিনি বললেন: আর কারা?” [3]

قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ سَنَّ فِي الْإِسْلَامِ سُنَّةً حَسَنَةً، فَلَهُ أَجْرُهَا، وَأَجْرُ مَنْ عَمِلَ بِهَا بَعْدَهُ، مِنْ غَيْرِ أَنْ يَنْقُصَ مِنْ أُجُورِهِمْ شَيْءٌ، وَمَنْ سَنَّ فِي الْإِسْلَامِ سُنَّةً سَيِّئَةً، كَانَ عَلَيْهِ وِزْرُهَا وَوِزْرُ مَنْ عَمِلَ بِهَا مِنْ بَعْدِهِ، مِنْ غَيْرِ أَنْ يَنْقُصَ مِنْ أَوْزَارِهِمْ شَيْءٌ»

“রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি ইসলামের মধ্যে কোনো উত্তম প্রথা বা কাজের প্রচলন করে সে তার এ কাজের সাওয়াব পাবে এবং তার পরে যারা তার এ কাজ দেখে তা করবে সে এর বিনিময়েও সাওয়াব পাবে। তবে এতে তাদের সাওয়াব থেকে কোনো অংশ কমানো হবে না। আর যে ব্যক্তি ইসলামের মধ্যে (ইসলামের পরিপন্থি) কোনো খারাপ প্রথা বা কাজের প্রচলন করবে, তাকে তার এ কাজের বোঝা (গুনাহ এবং শাস্তি) বহন করতে হবে। তারপর যারা তাকে অনুসরণ করে এ কাজ করবে তাদের সমপরিমাণ বোঝাও তাকে বইতে হবে। তবে তাদের অপরাধ ও শাস্তির কোনো অংশই কমানো হবেনা।”[4]

 

 

ফিকাহবিদদের মতে সুন্নাহ হলো:

السنة عند الفقهاء: ما ثبت عن النبي r من غير وجوب؛ فهي أحد الأحكام التكليفية الخمسة.

যে সব বিধান নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে ওয়াজিব হওয়া ছাড়াই সাব্যস্ত হয়েছে। এটি শরী‘য়াহর পাঁচ প্রকার বিধানের একটি। সেগুলো হলো: ফরয, হারাম, সুন্নাত, মাকরূহ ও মুস্তাহাব।

উসূলবিদদের মতে সুন্নাহ হলো:

السنة عند الأصوليين: ما صدر عن النبي r غير القرآن الكريم من قول، أو فعل أو تقرير.

কুরআন ব্যতীত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কথা, কাজ ও মৌন সমর্থনকে সুন্নাহ বলে।

মুহাদ্দিসীনদের মতে সুন্নাহ হলো:

السنة عند المحدثين: ما أثر عن النبي r من قول، أو فعل، أو تقرير، أو صفة، أو سيرة.

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কথা, কাজ, মৌন সমর্থন, তাঁর সাধারণ গুণাবলী বা তাঁর জীবন চরিতকে হাদীস বলে।

মুসলমানগণ এ ব্যাপারে একমত যে, শরী‘য়াহর বিধান বা রাষ্ট্র পরিচালনা ও বিচার কার্যে যা কিছু নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে প্রকাশ পেয়েছে, চাই তা তাঁর কথা বা কাজ বা মৌন সমর্থন যাই হোক এবং তা আমাদের পর্যন্ত সহীহ সনদে বর্ণিত হয়েছে, সেগুলো মুসলমানদের জন্য দলিল ও শরী‘য়াহর মূলভিত্তি হিসেবে ধর্তব্য হবে। মুজতাহিদগণ এ থেকে শর‘ঈ বিধি-বিধান ও বান্দাহর আদেশ নিষেধ উদ্ভাবন করবেন।[5]

তৃতীয়ত: আল-ইজমা’ :

الإجماع: هو اتفاق جملة أهل الحل والعقد من أمة محمد r في عصر من الأعصار، على حكم واقعة من الوقائع».

ইজমা’ হচ্ছে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মৃত্যুর পর মুসলিম উম্মাহর মুজতাহিদগণ কোনো এক যুগে শরী‘য়াহ এর কোনো এক বিধানের উপর একমত হওয়া।[6]

মুসলমানগণ একমত যে, ইজমা‘ শরী‘য়াহ এর দলিল, প্রত্যেক মুসলিমের উপর এ অনুযায়ী আমল করা ওয়াজিব। কুরআন ও সুন্নাহ থেকে ইজমা দলিল হওয়ার প্রমাণ:

আল-কুরআনে এসেছে:

﴿ وَمَن يُشَاقِقِ ٱلرَّسُولَ مِنۢ بَعۡدِ مَا تَبَيَّنَ لَهُ ٱلۡهُدَىٰ وَيَتَّبِعۡ غَيۡرَ سَبِيلِ ٱلۡمُؤۡمِنِينَ نُوَلِّهِۦ مَا تَوَلَّىٰ وَنُصۡلِهِۦ جَهَنَّمَۖ وَسَآءَتۡ مَصِيرًا ١١٥ ﴾ [النساء: ١١٥] 

‘‘কারো নিকট হেদায়াত প্রকাশ হওয়ার পর সে যদি রাসূলের বিরুদ্ধাচরণ করে এবং মুমিনদের পথ ব্যতীত অন্য পথ অনুসরণ করে, তবে যেদিকে সে ফিরে যায় সেদিকেই তাকে ফিরিয়ে দেব এবং জাহান্নামে তাকে দগ্ধ করব।’’ [সূরা আন-নিসা : ১১৫]

روي عن النبي r قال: «أمتي لا تجتمع على الخطأ، سألت الله ألا يجمع أمتي على الضلالة فأعطانيه، ومن سره بحبوحة الجنة فليتزم الجماعة، ومن فارق الجماعة قيد شبرٍ فقد خلع ربقة الإسلام من عقه».

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘আমার উম্মত ভুলের উপর একমত হবে না। আমি আল্লাহর কাছে দোয়া করেছি তিনি যেন আমার উম্মতকে ভ্রষ্টতার উপর কখনো একমত না করেন। ফলে আল্লাহ আমার দো‘য়া কবুল করেছেন। তাই যে জান্নাতের স্বাচ্ছন্দ্য ভোগ করতে  চায় সে যেন জামা‘আতের সাথে থাকে। আর যে ব্যক্তি জামা‘আত থেকে সামান্য পরিমাণ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়, সে তার ঘাড় থেকে ইসলামের রশিকে ছিন্ন করল (অর্থাৎ ইসলাম থেকে দূরে সরে গেল)”।[7]

চতুর্থ: আল-ক্বিয়াস:

القياس في اصطلاح الأصوليين: هو تسوية واقعة لم يرد نص بحكمها بواقعة ورد نص بحكمها في الحكم الذي ورد به النص لتساوي الواقعتين فل علة هذا الحكم.

কিয়াস হচ্ছে কোনো বিষয়ের জন্য সে বিধান নির্ধারণ করা, যে বিধান স্পষ্টভাবে অন্য একটি বিষয়ের জন্য কুরআন বা হাদীসে বর্ণনা করা আছে, উভয় বিষয়ের মধ্যে সামঞ্জস্যবিধানকারী ‘ইল্লাত’ বা হেতু থাকার কারণে।[8]

অধিকাংশ ফিকহবিদগণ একমত যে, কিয়াস শরীয়তের দলিল, এর দ্বারা আহকাম সাব্যস্ত করা হয়।

জমহুর উলামা কিরাম কিয়াস শরীয়তের দলিল হওয়ার অনেক হাদীস উল্লেখ করেছেন, তন্মধ্যে কয়েকটি হলো:

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়সাল্লাম থেকে বর্ণিত, তিনি উমর রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুকে সাওম অবস্থায় স্ত্রীকে চুম্বন করা সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত উত্তরে বলেছিলেন:

" أَرَأَيْتَ لَوْ تَمَضْمَضْتَ بِمَاءٍ وَأَنْتَ صَائِمٌ؟

“যদি তুমি সাওম অবস্থায় কুলি করো তাতে কি সাওম ভঙ্গ হবে? (অর্থাৎ সাওম অবস্থায় পানি দিয়ে কুলি করলে যেমন সাওম ভাঙ্গে না, তেমনি স্ত্রীকে চুম্বন করলেও সাওম ভাঙ্গে না)। এটা ছিল রাসূলের পক্ষ থেকে উম্মতকে কিয়াস শিক্ষা দেয়া। কেননা এখানে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়সাল্লাম চুম্বনকে কুলির সাথে কিয়াস করেছেন। উভয়টিতেই সাওম ভঙ্গ হয় না। [9]

সাহাবা কিরামগণ শরীয়তের কিছু বিধান ইজতিহাদ করে বের করেছেন, অথচ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের মাঝে ছিলেন। তিনি তাদেরকে তিরস্কার করেননি। এটা ঘটেছিল যখন তিনি তাদেরকে আহযাবের যুদ্ধের দিন আসরের সালাত বনী কুরাইযাতে গিয়ে আদায় করতে নির্দেশ দেন। পথিমধ্যে আসরের ওয়াক্ত হলে তাদের কিছু সংখ্যক ইজতিহাদ করে পথেই সালাত আদায় করেন। তারা বললেন, “রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের থেকে সালাত বিলম্বে আদায় করা চাননি, বরং তিনি চেয়েছেন আমরা যেন দ্রুত বনী কুরাইযাতে যাই”। ফলে তারা রাসূলের আদেশের অর্থের দিকে লক্ষ্য করেছেন। অন্য দল শব্দের দিকে তাকিয়ে ইজতিহাদ করে আসরের সালাত বনী কুরাইযাতে গিয়ে বিলম্বে আদায় করেন।

যেসব ব্যাপারে স্পষ্ট নস পাওয়া যায় না সে ক্ষেত্রে কিয়াস হলো উক্ত মাস’আলার হুকুম উদঘাটনে প্রথম পদ্ধতি বা উপায়। এটা ইসতিম্বাতের ক্ষেত্রে খুবই স্পষ্ট ও শক্তিশালী পন্থা।

কিয়াস চারটি আরকানের উপর ভিত্তি করে হয়ে থাকে:

১- আসল বা মূল মাস’আলা, যার হুকুমের ব্যাপারে নস এসেছে।

২- ফর‘আ তথা শাখা মাস’আলা, যার হুকুম মূল মাস’আলার উপর কিয়াস করে দেয়া হবে।

৩- আল-ইল্লাহ তথা কারণ, যে কারণের উপর ভিত্তি করে মূল মাস’আলার হুকুম এসেছে এবং এটা শাখা মাস’আলার মাঝেও পাওয়া যাবে।

৪- মূল মাস’আলার হুকুম। অতঃপর যদি উপরিউক্ত সব শর্ত সঠিকভাবে সর্বসম্মতভাবে পাওয়া যায় তবে তা সহীহ কিয়াস হবে, নতুবা কিয়াসটি ফাসিদ বলে গণ্য হবে। [10]

পঞ্চমত: আল-ইসতিহসান:

الاستحسان في اصطلاح الأصوليين القائلين به: هو العدول عن حكم اقتضاه دليل شرعي في واقعة إلى حكم آخر فيها؛ لدليل شرعي اقتضى هذا العدول… وهذا الدليل الشرعي المقتضي للعدول هو سند الاستحسان.

উসূলবিদদের মতে আল-ইসতিহসান হল, কোনো ঘটনায় একটি দলিলে শর‘য়ীর চাহিদা মোতাবেক যে হুকুম হয় তা না দিয়ে অন্য দলিলের চাহিদা মোতাবেক অন্য হুকুম দেয়া। এ শর‘য়ী দলীলটি – যা উক্ত মাস’আলার হুকুম থেকে বিরত রেখে অন্য হুকুম দিয়েছে – ইসতিহসানের সনদ তথা ভিত্তি। [11]

অন্য কথায়, ইসতিহসান হল একটি দলিলকে অন্যের উপর অগ্রাধিকার দেয়া, যা অগ্রাধিকার প্রদানকারী দলিলের বিপরীত হুকুম দেয়। কখনো কখনো এ প্রধান্যটা কিয়াসে যাহির তথা স্পষ্ট কিয়াস থেকে কিয়াসে খফী তথা অস্পষ্ট কিয়াসের দাবীর দিকে প্রত্যাবর্তনের কারণে হয়ে থাকে, বা ‘আম নসের উপর খাস নসের হুকুমের চাহিদার কারণে বা কুল্লী তথা সমষ্টিক হুকুমের উপর হুকমে ইসতিসনায়ী তথা কিছু সংখ্যকের উপর হুকুম দেয়ার দিকে প্রত্যাবর্তনের কারণে হয়ে থাকে।

وقال الإمام مالك: «هو القول بأقوى الدليلين».

ইমাম মালিক রহ. বলেছনে, দু’টি দলিলের মধ্যে সর্বাপেক্ষা শক্তিশালী দলিলের উপর আমল করাকে ইসতিহসান বলে।

ইমাম আবু হানিফা রহ. বলেছেন, কিয়াসে খফীকে কিয়াসে জলী থেকে বা কুল্লী মাস’আলা থেকে জুঝয়ী মাস’আলাকে প্রধান্য দেয়া।[12]  আরো পড়ুন

আপনি পড়ছেনঃ ইসলামী শরী‘য়াহর বাস্তবায়ন ও উম্মাহর উপর এর প্রভাব-থেকে

 

[1] উজুব তাহকিমুশ শারীয়াহ আল-ইসলামিয়া: পৃষ্ঠা নং ১১,১২। 

[2] মুসান্নাফ আব্দুর রাজ্জাক, উজুবু তাহকীম আশ-শরী‘য়াহ আল-ইসলামীয়াহ থেকে সংকলিত, পৃষ্ঠা: ১৬।

[3]  বুখারী, হাদীস নং ৩৪৫৬, মুসলিম, হাদীস নং ২৬৬৯।

[4] মুসলিম, হাদীস নং ১০১৭।

[5] উজুব তাহকিমুশ শারীয়াহ আল ইসলামিয়া: পৃষ্ঠা নং ২০, ২১।

[6]  আল-হুকমু বিমা আনযালাল্লাহ, পৃষ্ঠা: ৭২।

[7]  আল-হুকমু বিমা আনঝালাল্লাহ, পৃষ্ঠা: ৭২। তবে এ হাদীসের প্রথম অংশ সুনান আত-তিরমিযী, হাদীস নং ২০৯৩, এছাড়াও এ হাদীস বর্ণনা করেছে ইমাম আহমাদ ও হাকেম এ রয়েছে।

[8]  মাসাদিরুত তাশরী’ ফিমা লা নসসা ফিহি, লেখক: আব্দুল ওয়াহহাব খাল্লাফ, পৃষ্ঠা নং ১৬।

[9] উসূলুশ শাশী: ১/১৩০।

[10]  আল-মুসতাসফা ফি ইলম আল-উসূল, লেখক: ইমাম গাযালী: পৃষ্ঠা: ৪০৩।

[11]  আল-হুকম বিমা আনযালাল্লাহ, পৃষ্ঠা: ৭৯।

[12] আল-হুকম বিমা আনযালাল্লাহ, পৃষ্ঠা: ৮০। 

প্রশ্নঃ পতিতার সাথে সহবাস করা যাবে?

$
0
0

প্রশ্নঃ আমার যৌন উত্তেজনা খুব প্রবল। কাজ-কর্ম জোগাড় করতে পারেনি বলে এখনো বিয়ে করতে পারেনি।

অপরদিকে আমার বন্ধুরা ভিআইপি কলগার্লদের সাথে রাত কাটায়, আমাকে নিমন্ত্রণ করে তাদের সাথে যোগ দিতে, আমি লজ্জায় ও ভয়ে তাদের  আমন্ত্রণে সাড়া দেয় না।

এদিকে আবার আমারো প্রচন্ড ভাবে সেক্স করতে ইচ্ছে করে। এখন আমি যদি তাদের আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে কলগার্লের সাথে রাত কাটানোতে যোগ দেয় তাহলে কি কোন সমস্যা আছে?

উত্তরঃ আমার বাংলা পোস্ট.কম এ যুক্ত হওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আমরা আপনার প্রশ্নকে সাধুবাদ জানাই।

আমাদের সমাজে একটি প্রবাদ প্রচলিত আছে, “সৎ সঙ্গে সর্গে বাস, অসৎ সঙ্গে সর্বনাশ”। অর্থাৎ, আপনি যদি সৎ বা ভালো লোকদের সাথে চলাফেরা-উঠাবসা করেন, তাহলে আপনি দুনিয়াতেই সর্গে বাস করবেন। কিন্তু আপনি যদি অসৎ বা খারাপ লোকদের সাথে চলাফেরা উঠা-বাসা করে  করেন তাহলে আপনি দুনিয়াতে নরকে বাস করবেন। সেই অসৎ  বা খারাপ চরিত্রের লোকটি আপনার নিকট বন্ধু কিংবা পরিবারের সদ্যসই হোক না কেনো, আপনার উপরে এর প্রভাব পড়বেই।

আমাদের সমাজে দুই ধরনের লোক আছে যাদের মধ্যে একদল আছে ভালো চরিত্রের অধিকারী, আর অপর দল হচ্ছে খারাপ চরিত্রের অধিকারী।

ভালো সৎ চরিত্রের অধিকারী লোকেরা তাঁর সঙ্গী সাথীদেরকে সর্বদায় ভালো  রাখতে চেষ্টা করে, আর অপর দিকে অসৎ খারাপ চরিত্রের অধিকারী লোকেরা তাঁর সঙ্গী সাথীদেরকেও খারাপ বানাতে প্রচেষ্টা চালিয়ে যায়। এটাই কঠিন সত্য  এবং কঠিন বাস্তবতা।

আপনার এই প্রশ্নের উত্তরটি দুই ভাবে দেওয়া যায়। প্রথমটি হচ্ছে ধর্মীয় ভাবে। আর দ্বিতীয়টি হচ্ছেঃ স্বাস্থ্য বিজ্ঞান ভাবে। আমি সবার জ্ঞানার্থে দুই ভাবেই উত্তর প্রদান করবো।

১। ধর্মঃ আমাদের ইসলাম ধর্মে পরনারীর সাথে সহবাস করা কিংবা তাঁর সাথে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করা সম্পূর্ণরূপে হারাম। যাকে ইসলামী পরিভাষায় ব্যভিচার বলা হয়। প্রকৃত ইসলাম ধর্ম বিবাহ ব্যতীত কোন নারীর সাথে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করতে অনুমতি দেয়না।   কেউ যদি বিবাহ ব্যতীত কোন নারীর সাথে যৌন সম্পর্ক  স্থাপন করে তাহলে এটি সম্পূর্ণ হারাম  এবং কবীরা গুনাহের ভাগীদার হবে। আর এতে করে যৌবনের পবিত্রাও নষ্ট হবে।  তাই রাসূলুল্লাহ (সাঃ) নির্দেশ দিয়েছেন মুসলিম ছেলে-মেয়েরা  যৌবন প্রাপ্ত হলে তাদেরকে বিবাহ করিয়ে দিতে। তাতে সমাজে শৃঙ্খলা বজায় থাকবে। কিন্তু আমাদের দেশে তা সম্পূর্ণ উল্টো। ছেলে চাকরি জোগাড় করতে পারেনি বলে ছেলেকে বিবাহ করায় না বউকে খাওয়াবে কি যুক্তি দেখিয়ে। তাদের কাছে মনে হয় এই  দেশের বউদের পেট  হাতির মতো, ছেলে রোজগার করার আগে বিয়ে করালে বউমা এসে খেয়ে দেয়ে সব শেষ করে ফেলবে।

আরো পড়ুনঃ ইসলামে পরনারীর সাথে যৌন সম্পর্ক করার শাস্তি

২। স্বাস্থ্য ঝুকিঃ  কলগার্ল বা যৌন কর্মীদের (sex woker) সাথে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করা নিরাপদ নয়। তারা বহু পুরুষের সঙ্গে মিলিত হবার কারণে তারা ভয়ঙ্কর যৌনবাহী রোগে আক্রান্ত হতে পারে। অথবা আক্রান্ত থাকতে যৌন কর্মীর সঙ্গে মিলিত হওয়া পুরুষটিও।  আক্রান্ত পুরুষের সাথে যৌন কর্মীর মিলিত হবার কারণে অনিরাপদ পন্থায় যৌন কর্মীও যৌনরোগ বাহী জীবাণুতে আক্রান্ত হতে পারে। আর সেখান থেকে আপনিও। উল্লেখ যে, অনেক খদ্দরই যৌন কর্মীদের সাথে মিলিত হবার সময় কনডম ব্যবহার করে না যার ফলে এখানে মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকি  থেকেই যায়। কেননা, খদ্দরদের মধ্যে অনেক খদ্দরই আছে যারা টাকার বিনিময়ে যৌন কর্মীদের মতোই বহু নারীদের সাথে মিলিত হয়। অপরদিকে, কনডম ব্যবহার করে যৌন কার্জ সম্পন্ন করলেও অনেক সময় কনডম ভালো মানের না হওয়ার কারণে কিংবা কনডমের ভিতরে বাতাস  থাকার  কারণে যোনির ভিতরে ফেটে বিপদ ঘটিয়ে ফেলতে পারে। তাই, যৌন কর্মীদের সাথে যতই নিরাপদ যৌন মিলনের কথা বলা হোক না কেন আসলে ততটা নিরাপদ নয়।

আরো পড়ুনঃ যৌনবাহি রোগ গুলো কি কি এবং তাঁর ক্ষতিকর প্রভাব

পরামর্শঃ যৌন কর্মীদের সঙ্গে মিলিত হবার আগে ভালো মানের কনডম লিঙ্গে পড়িয়ে নিবেন। কমদামি কিংবা পাতলা কনডম ব্যবহার করা থেকে বিরত  থাকুন। লিঙ্গে কনডম পড়ানোর সময় খেয়াল রাখবেন যাতে কনডমের ভিতরে যাতে বাতাস না থাকে।

আবেগের বশতী হয়ে যৌন কর্মীর যৌনাঙ্গ লেহন-চুম্বন করা থেকে বিরত থাকুন। সে যৌন কর্মী যদি দুর্ভাগ্যবশত যৌন সংক্রমণ ভাইরাস বহন করে থাকে তাহলে এর মাধ্যমে আপনিও আক্রান্ত হয়ে  যাবেন।

আরো পড়ুন  : যৌনাঙ্গ লেহন ও চোষণ করার ক্ষতি

The post প্রশ্নঃ পতিতার সাথে সহবাস করা যাবে? appeared first on Amar Bangla Post.

স্ত্রীকে দ্রুত উত্তেজিত ও তৃপ্তি করার উপায় (২ মিনিট সেক্স টিপস)

$
0
0

স্ত্রীকে উত্তেজিত করার উপায় গুলো আজকের দিনের অনেক স্বামীই জানেন না। তারা এও জানেন না কিভাবে স্ত্রীকে আদর করতে হয়। মেয়েদের যখন যৌন সুখ লাভের শুরু হয়, পুরুষের তখন সেক্স উত্তেজনা শেষ হয়ে যায়।

একজন নারীর জন্য চরম বিরক্ত কারণ হচ্ছে সহবাসে তার তৃপ্ত না হওয়া। অনেক পুরুষই তার স্ত্রীকে পরিপূর্ণ তৃপ্তি দেওয়ার পূর্বেই তার বীর্যপাত হয়ে যায়। যার কারণে তার স্ত্রী অপূর্ণ তৃপ্তি বোধ থেকে যায়। যার কারণে তাদের মন মেজাজ বিগড়ে যায়। তাই স্বামীর সাথে অনেক সময় ভালো আচরণ করতে পারে না। যার ফলে সংসারে অশান্তি নেমে আসে। স্ত্রীরও পরপরুষের প্রতি আকৃষ্ট হয়। তাই পরপুরুষকেই দিয়েই নিজেকে পরিতৃপ্ত করতে আগ্রহী হয়ে পরকীয়ার প্রেমে জরিয়ে যাচ্ছে।

তাই প্রত্যেক স্বামীরও উচিত নিজের স্ত্রীকে পরিপূর্ণ সুখ দেওয়া চেষ্টা করা। অনেক পুরুষই পর্যাপ্ত যৌন জ্ঞানের অভাবে স্ত্রীকে পরিপূর্ণ তৃপ্তি দিতে পারেন না। আজকের পোস্ট এ পড়ুন কীভাবে নারীকে দ্রুত অধিক তৃপ্তি দেওয়া যাবে নিজের যৌন দূর্বলতা থাকার পরও। তাই  জেনে নিন…

মেয়েদের দ্রুত উত্তেজিত করার উপায়স্ত্রীকে দ্রুত যৌন উত্তেজনা জাগানোর উপায় সমূহ

যৌন মিলন শুরু করার আগে স্ত্রীকে ভালো ভাবে উত্তেজিত করার মাধ্যমে স্ত্রীকে পূর্ণ তৃপ্তি দেওয়া যায়। তাই যৌন মিলন শুরু করার পূর্বে স্ত্রীকে ভালোভাবে উত্তেজিত করে নিবেন। কিছু কলা-কৌশল প্রয়োগের মাধ্যমে স্ত্রীকে দ্রুত উত্তেজিত করা যায়। নিচে স্ত্রীকে দ্রুত উত্তেজিত করার নিয়ম ও টিপস গুলো দেওয়া হলো-

১। স্পর্শকাতর স্থানে যেমন গাল, ঠোঁট, কান, গলায় ঘন ঘন চুম্বন করুন। আপনার নিঃশ্বাসের শব্দ যেন তাঁর কানে শোনা যায়।

২। আপনার সঙ্গিনীর উরুতে ঘর্ষণ করুন।

৩। সঙ্গমের পূর্বে ফোরপ্লে এবং স্পর্শকাতর অঙ্গে ও যৌনাঙ্গে কামাদ্রিভাবে আলতোভাবে আদর করুন।

৪। যৌনাঙ্গে মর্দনের ফলে নারী দ্রুত উত্তেজিত হয়।

৫।  নারীর দেহের স্পর্শকাতর অঙ্গগুলি মর্দন করুন।

৬। যোনিতে আঙ্গুল প্রবেশ করিয়ে ঘর্ষণ করুণ।

৭। যোনিতে দুই ঠোঁটে আঙ্গুল দিয়ে ঘর্ষণ করুণ।

৮। ভগাঙ্কুর ঘর্ষণ করুণ। যোনিমুখের প্রবেশের মুখের উপর দিকে বোঁটার মতো একটি স্থান পাবেন। ওটাতে ঘর্ষণ করলে নারীদের যৌন উত্তেজনা দ্রুত বৃদ্ধি পায়।

পরামর্শঃ যৌন মিলনের শুরুতেই স্ত্রীর যোনির দিকে মনোযোগী হবে না। প্রথমে উপর দিক থেকে স্ত্রীর দেহের কাম-উত্তেজনা জাগ্রত করুণ। তারপরে আসতে আসতে নিচের দিকে  অগ্রসর হবেন। উপরের সব গুলো কাজ শেষ করার পর ৭ ও ৮ নম্বরের কাজ গুলো করে যৌন মিলনের চূড়ান্ত পর্ব শুরু করবেন। এতে আপনার যৌন মিলনের স্থায়িত্ব কম হলেও এবং স্ত্রীর অর্গাজম না ঘটলেও আগের চেয়ে যৌন মিলনের অনেক আনন্দ উপভোগ করবে।

আগামী পর্বে আরো ৯ টি হট টিপস নিয়ে আসবো।

আরো পড়ুন ঃ যৌন মিলনে স্ত্রীর তৃপ্তি লাভ করার লক্ষণ সমূহ

সেক্স জ্ঞান বাড়ানোর উপায় সেক্স বই

যৌন শিক্ষার বই পড়ে আপনার যৌন জ্ঞান বৃদ্ধি করুণ

আপনার যৌন জ্ঞান বাড়ান। আপনার যৌন জ্ঞান বাড়াতে আমাদের বিনামূল্যের যৌন বই গুলো পাঠ করুণ। এই যৌন শিক্ষার বই গুলো আপনার যৌন জ্ঞান বৃদ্ধি করে আপনাকে দক্ষ পুরুষ হিসেবে গড়ে তুলতে সাহায্য করবে। বর্তমানে আমার বাংলা পোস্ট.কম ওয়েব সাইটে ৩ টি যৌন জ্ঞানের বই বিনামূল্যে পড়া যাচ্ছে। বই গুলো হচ্ছে…

১· নারী পুরুষের গোপন কথা।

২· মেডিক্যাল সেক্স গাইড।  

৩· একান্তে নির্জনে গোপন আলাপ 

আমরা আরো ৩ টি যৌন জ্ঞানের বই নিয়ে কাজ শুরু করেছি। কাজ শেষ হলে  পাঠকদের জন্য বিনামূল্যে পড়ার আমার বাংলা পোস্ট.কম এ প্রকাশ করা হবে।

টপ প্রশ্ন…

১ । যৌনতায় নারীরা কোনটি বেশি কামনা করে। আদর নাকি দীর্ঘক্ষণ সঙ্গম? 

লিখেছেনঃ সৈয়দ রুবেল। (প্রতিষ্ঠাতা ও সম্পাদকঃ আমার বাংলা পোস্ট.কম)

এই যৌন জ্ঞানের আর্টিকেলটি পড়ে আপনার কাছে ভালো লেগে থাকলে এটি আপনাদের বন্ধুদেরকে পড়াতে ফেসবুক, টুইটার, গুগল প্লাস ও হোয়াটআপে শেয়ার করুণ।

The post স্ত্রীকে দ্রুত উত্তেজিত ও তৃপ্তি করার উপায় (২ মিনিট সেক্স টিপস) appeared first on Amar Bangla Post.

প্রথম মিলনের সময় করনীয় সমূহ

$
0
0

প্রথম সহবাসের সময় আপনার স্ত্রী লজ্জায় আড়ষ্ট থাকবে এটাই স্বাভাবিক বিষয়। পরিবার থেকে যদি তা ঠিক করা থাকে তাহলে তো আর কথাই নেই। কোন নারীই অপরিচিত পুরুষের সাথে নিজেকে সহজে মানিয়ে নিতে পারেনা। তাই স্বামীর উচিত নববধূকে একটু সময় দেওয়া। এতে করে নিজেদের পারস্পরিক সম্পর্ক জোড়ালো হবে।

সমাজের অনেক পুরুষই তাড়াহুড়া শুরু করে দেয় রজনীর প্রথম রাত্রীতে যৌন মিলন জন্য। যাদের যৌন জ্ঞান স্বল্প তাঁদের মধ্যে এটি সহরাচর দেখা যায়।

প্রথম মিলনের করণীয়আমাদের সমাজে এমনও পুরুষ আছে যাদের যৌন সম্পর্কের সম্যক ধারণাও নেই। এসব শ্রেণী পুরুষদের নিকট সঙ্গম শুধু আনন্দের বিষয়। একজন নারী এমনেতেই প্রথম মিলনের ভয়ে সঙ্কোচিত হয়ে থাকে। তারমধ্যে সে যদি দেখে তার সাথে সদ্য বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া পুরুষটি প্রথম রজনীতে প্রথম দেখাতেই মিলনের জন্য তাড়াহুড়া শুরু করে দিয়েছে তাহলে তার মনে ভয় ভীতি আরো বেড়ে যায়। এতে করে প্রথম রজনীতেই স্ত্রীর ভিতর মনোমালিন্য সৃষ্টি হতে পারে যা পরবর্তীতে দাম্পত্য জীবনে ভয়ে আনতে পারে অশান্তি। তাই বিবাহের প্রথম রজনীতে যৌন মিলনের জন্য তাড়াহুড়া না করে বরং তার সাথে নিজেকে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করুন। তাঁকে বুঝতে দিন তার সাথে যৌন মিলনই শুধু আপনার কাম্য নয়। বরং আপনি তার ভালো-মন্দ থাকার সব।

এ রাতে নিজেদের মধ্যে পরিচয়, নিজেদের ভালো লাগা, মন্দ লাগা জানা-শোনা, পরামর্শ-উপদেশ ও গল্প গুজব শেষ হলে পূর্ণ মিলন না করে বরং স্ত্রীকে উষ্ণ আদর করে বিরতি দিতে পারেন। এতে করে তার লজ্জা কেটে যাবে। পূর্ণ মিলন পরবর্তী রাতের জন্য রেখে দিতে পারেন। এতে সেই পূর্ণ মিলনের জন্য মুখিয়ে থাকবে। আর সে যদি মিলনের জন্য আপনাকে আহবান করে তাহলে আপনি তার আহবানে সাড়া দিতে পারেন।

সেক্স টিপসঃ স্ত্রীকে দ্রুত উত্তেজিত করার নিয়ম

প্রথম মিলনের সময় করনীয়!

০১. মানসিক দুরত্ব ও ভয়ঃ প্রথম মিলনের পূর্বে নিজেদের মধ্যে কথা বলা ও ভাব-বিনিময়ের দ্বারা মানসিক দুরত্ব কমিয়ে আনুন। মিলনের পূর্বে স্ত্রীকে অত্যাধিকভাবে উত্তেজিত করুন। উত্তেজিত করতে স্ত্রীকে চুম্বন, আলিঙ্গন, মর্দন ইত্যাদি করুন। ( বিস্তারিত দেখুন ) এবং যোনিতে পুরুষাঙ্গ প্রবেশের জন্য সঠিক সংঙ্কতের জন্য অপেক্ষা করুন। সে আহ্বান করলে ধীরস্থীর ভাবে পুরুষাঙ্গ যোনিতে প্রবেশ করান। স্ত্রী যাতে ঘাবড়ে না যায় সেদিকে লক্ষ্য রাখুন। প্রয়োজনীয় তাঁকে সাহস দেন। প্রথম মিলনের জন্য যোনির ভিতরের সতীচ্ছদ পর্দা ছেড়ে যাবার কারণে কিছুটা রক্তপাত হতে পারে। রক্ত দেখে ঘাবড়াবে না। এটা অল্পই বের হয়।

০২. স্ত্রীর যৌনাঙ্গে ব্যাথাঃ প্রথম মিলনের কারণে স্ত্রীর যৌনাঙ্গে ব্যথা সৃষ্টি হতে পারে। একজন ডাক্তারের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ওষুধ আগ থেকেই সংগ্রহ রাখলে ভালো হয়। যাতে প্রথম মিলনের পরে ব্যথা দেখা দিলে স্ত্রীকে খাওয়ায়ে দিতে পারেন।

০৩. পূর্ণ তৃপ্তিঃ প্রথম মিলনে পূর্ণ তৃপ্তি লাভের চেষ্টা না করাই ভালো। বিড়াল মারার ভুঁইফোঁড় মতবাদে কান দিবেন না। এটা এক প্রকারের ধর্ষণ যৌন মিলন হয়ে যায়।

আরো পড়ুনঃ  বাসর রাতে বিড়াল মারার অর্থ কি?

০৪. জন্মনিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা গ্রহণ : সন্তান হবার ভয়ে প্রথম মিলনের আনন্দটাই মাটি হয়ে যেতে পারে। তা ছাড়া আপনি যদি একটু দেরিতে সন্তান নিতে চান তাহলে জন্মনিরোধ ব্যবস্থা গ্রহণ করুন। জন্মনিরোধকের জন্য কনডম সহ ইমার্জেন্সি পিল আছে। এসম্পর্কে আরো তথ্য পেতে নীচের টপিক্স গুলো পড়ুন……….

০১. কনডম সম্পর্কে আলোচনা।

০২. খাবার বড় বা পিল সম্পর্কে আলোচনা

০৩. জন্মনিয়ন্ত্রণের বিভিন্ন পদ্ধতি

পারিবারিক ও যৌন জ্ঞান বৃদ্ধি করতে আমাদের স্বামী স্ত্রীর বই গুলো পড়ুন। বই গুলো আপনার দাম্পত্য জীবনের সহায়ক হবে বলে আমরা মনে করি। আপনার সুখী-সুন্দর ও হাস্যোজ্জ্বল দাম্পত্ব জীবন কামনায় আমার বাংলা পোস্ট.কম

লিখেছেনঃ সৈয়দ রুবেল (সম্পাদকঃ আমার বাংলা পোস্ট)

The post প্রথম মিলনের সময় করনীয় সমূহ appeared first on Amar Bangla Post.

যৌন মিলনের চারটি নিয়ম (যৌন মিলনের টিপস)

$
0
0

যৌন মিলনের চারটি নিয়ম আছে। নিয়ম মেনে যৌন মিলন করলে অনেক আনন্দ লাভ করা যায়। যৌন মিলনের নিয়ম অনেকে জানে না বলেই তাঁরা এতো আনন্দ ও সুখ লাভ করতে পারে না। তাই জেনে নিন যৌন মিলন শুরু করার আগে ও পরে কি করবেন এবং কিভাবে যৌন শুরু করবেন নিয়ম।

যৌন মিলনের ক্রিয়া-কর্মে চারটি ভাগে ভাগ করা যায়। চারটি ভাগে যৌন মিলন ক্রিয়া সম্পাদন করলে অনেক আনন্দ ও তৃপ্তি পাওয়া যায়।
০১. ভূমিকা।
০২. কামক্রীড়া।
০৩. যৌন মিলন।
০৪. উপসংহার।

যৌন মিলনের চারটি নিয়ম যেভাবে প্রয়োগ করবেন

০১. ভূমিকাঃ— মিলন শুরু করার আগে উপযুক্ত প্রস্তুতিকেই ভূমিকা বলা হয়। প্রথম মিলনের জন্যে এমন শয়নকক্ষ নির্বাচন করতে হবে যা অন্য ঘরের চেয়ে সম্পূর্ণ আলাদা হবে। ঘরটি হবে নিরিবিলি এবং একান্ত নিজের। যেন কেউ যেকোন সময়ে ঐ ঘরে প্রয়োজনে ঢুকে না পড়ে। ঘরে মৃদু আলো জ্বলবে । বিছানাটি থাকবে সুসজ্জিত ও পরিস্কার। ঘরে সুগন্ধী সামগ্রী ছিটানো থাকবে। স্বামী স্ত্রী দু’জনই সুগন্ধি আতর ব্যবহার করবেন। মিলনের ক্ষেত্রে রুচিপূর্ণ সাজ-সজ্জা করার প্রয়োজন। এমন পোশাক পরিধান না করা উচিত যার কারণে মনে ঘৃণা না আসে। মিলনের পূর্বে স্বামী স্ত্রী দুজনই সাজ-সজ্জা করা উচিত।

মিলন ক্রিয়া বা প্রথম মিলনে শৃঙ্গার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এই সময় স্ত্রীকে পূর্ণ শৃঙ্গার করে সুন্দর কাম উত্তেজনা জাগিয়ে তুলতে হবে। যাতে স্ত্রী মিলন ঘটাতে আগ্রহী হয়।

মনের মধ্যে দুঃখ, ক্লেশ, রাগ, ক্ষোভ, চিন্তা কিছু থাকবে না। এই সময় মন কেবল এই পরম মূহূর্তটাকে কাছে পাওয়ার জন্যে উদগ্রীব থাকবে।

আরো পড়ুন ঃ নারীর দেহে দ্রুত যৌন উত্তেজনা জাগানোর নিয়ম

০২. প্রেম-ক্রীড়াঃ– স্ত্রী পুরুষের যৌন মিলনের ফলে যেমন বংশ বিস্তার হয় তেমনি এই মিলন হলো মানব জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যা জীবনকে আরো বেশী সুখী ও সমৃদ্ধ করার প্রেরণা যোগায়। আলিঙ্গণ, একে অপরের কাম কেন্দ্র ও যৌনাঙ্গ স্পর্শকেই প্রেম-ক্রীড়া বলা হয়। প্রেমক্রীড়াই স্বামী স্ত্রীর মধ্যে কামেচ্ছা এবং ক্সমসব্রগ জাগিয়ে তুলে। নারী পুরুষের শরীরের গঠনে অনেক পার্থক্য আছে। পুরুষের যৌনাঙ্গ শরীরের বাইরে থাকাতে নারী তাঁকে স্পর্শ করলে বা আলিঙ্গণ করলেই লিঙ্গে উত্তেজনা এসে যায়। কিন্তু শরীরের ভেতরে স্ত্রীর যৌনাঙ্গ থাকে এবং শরীরের সর্বত্র কাম লুকিয়ে থাকে। তাই স্ত্রীর মধ্যে কামোত্তেজনা দেরীতে হয়। নারী স্বাভাবিক ভাবেই লজ্জাশীলা ও সঙ্কোচনশীল। তাই নারীর মধ্যে যৌন কামনা কম হয়। আর যদিও বা হয় তা বাহ্যিকভাবে প্রকাশ পায় না। তাই তাঁকে কামচঞ্চল করে তোলার জন্য এই খেলায় পুরুষের আগে এগিয়ে আসতে হবে। স্ত্রীর ঠোঁট, গাল, ঘাড়, উরু প্রভৃতির সংবেদনশীল অঙ্গে চুম্বন করে তাঁকে কামোত্তেজিত করে তুলতে হবে। পুরুষের দ্বারা স্তন বৃন্ত এবং ভগনাসা ঘর্ষণের ফলে স্ত্রী খুব তাড়াতাড়ি কামউদ্দীপ্ত হয়ে ওঠে।

প্রেম-ক্রীড়ার শুরুতে প্রথমে স্বামী স্ত্রীকে নিজের দুহাত দিয়ে জড়িয়ে ধরে কাছে টেনে নেয়। তাঁর ঠোঁট, ঘাড়, গাল চুম্বন করে। যৌন বিজ্ঞানীরা বলেছেন, স্ত্রী ঠোঁট, চোখ, গাল, বুক, স্তন, মুখ এমনকি জিহ্বা চুম্বন করতে হবে। ঠোঁট ও জিহ্বা হলো বিশেষ কামাঙ্গ যা চুম্বনে মাদক হয়ে ওঠে। ঠোঁটে চুম্বনের ফলে নারী পুরুষ বিশেষ সুখ ও আনন্দ লাভ করে। আলিঙ্গন ও চুম্বনের সাথে সাথে স্ত্রীর নিতম্ব, উরু, ঘাড়, গলা, যোণির উপরিভাগ, স্তন ইত্যাদি রগড়াতে হবে। যখন স্ত্রীর কামোত্তেজনা জাগতে শুরু করবে তখন তাঁর স্তনের বোঁটা হাতের আঙ্গুলের মাঝখানে নিয়ে রগড়াতে হবে। নারীর স্তনের কঠোরতা, আকার এবং সৌন্দর্য পুরুষের মনে কাম লিপ্সা জাগিয়ে তোলে। স্তন হলো নারীর কামোত্তেজনার মুখ্য কেন্দ্রস্থল। এটিকে চুম্বন ও রগড়ানোর ফলে নারীর কামাগ্নি জেগে ওঠে। পুরুষ বুকে স্ত্রীর স্তনের ঘর্ষণ হয়। এর ফলে নারীর কাম উত্তেজনা জেগে ওঠে। পুরুষের এবার উচিত নারীর ভগাঙ্কুরটিকে আঙ্গুল দিয়ে ধীরে ধীরে ঘর্ষণ করা। তখন নারীর কামোত্তেজনা চরম সীমায় পৌঁছে যায়। কখনো কখনো নারী সঙ্গমের জন্য এত অধীর হয়ে ওঠে যে পুরুষকে এক মুহূর্ত্ত সময় না দিয়ে নিজেই সঙ্গমের জন্য সমর্পিত হয়। লিঙ্গ দিয়ে ভগাঙ্কুরকে ঘষলেও নারীর কামাগ্নি খুব তাড়াতাড়ি বেড়ে যায়। স্ত্রীর কামাবেগ যেমন বেড়ে যায় তেমনি কামসুখ লাভ করে।

বিবাহের পর স্বামী স্ত্রীর মিলনের ক্ষেত্রে প্রথম প্রথম স্ত্রী লজ্জা সঙ্কোচ ত্যাগ করে স্বামীর কাছে নিজেকে সম্পূর্ণভাবে তুলে দিতে পারে না। কিন্তু ধীরে ধীরে তাঁর লজ্জা সঙ্কোচ কেটে যায়। সে তখন পুরুষের মতই আলিঙ্গন ও চুম্বনে অংশগ্রহণ করে থাকে। পুরুষের লিঙ্গ নিজের হাতের মুঠোয় নিয়ে রগড়াবে। ফলে তাঁর লিঙ্গ এবং অন্ডোকোষ কঠিন হয়ে উঠবে। তবে লিঙ্গকে বেশি স্পর্শ করলে সে স্খলিত হওয়ার সীমায় পৌঁছে যাবে। এরকম হলে পুরুষের উচিত স্ত্রীকে লিঙ্গ স্পর্শ করতে না দেওয়া।

কোন নির্দিষ্ট সময়সীমা মেপে রতিক্রিয়া চলে না। যেসব স্ত্রীর কামাবেগ দেরীতে জাগে সেক্ষেত্রে সঙ্গম দেরীতে হয়। তবুও ২০-৩০ মিনিট রতিক্রিয়া করা উচিত। স্ত্রী সঙ্গমের জন্য যখন লালায়িত হয়ে ওঠে তখন তাঁর মধ্যে কয়েকটি উপসর্গ প্রকাশ পায়। যেমন শরীর কাঁপতে থাকে। শরীরে শিহরণ জাগে, চোখ লাল হয়ে ওঠে। ঠোঁট ফাঁক হয়। যোনির মুখ ভিজে যায় এবং নিঃশ্বাস গরম হয়।

প্রেমক্রীড়াতে পুরুষের নিজের উত্তেজনার ওপর পুরো সংযম এবং নিয়ন্ত্রণ রাখা প্রয়োজন। নিজের উত্তেজনা যদি পুরুষের নিয়ন্ত্রণে না থাকে তকাহলে কামক্রীড়া সম্পূর্ণভাবে সফল হবে না। এর ফলে কাম সুখ লাভ করা সম্ভব হবে না। ফলে স্ত্রী তাঁর স্বামীকে কামক্রীড়ায় অপটু বলে মনে করবে। সেক্ষেত্রে পুরুষ নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে সক্ষম হবে অভ্যাসের সাহায্যে। ফলে রতি ক্রীড়াতে বেশী সময় ব্যয় করতে পারবে। সহবাস থেকে যদি রতিক্রীড়াকে বাদ দেওয়া হয় তাহলে সঙ্গমের সামান্য সময়টুকু মাত্র থাকবে এবং স্ত্রী-পুরুষ উভয়েরই এই রসহীন সঙ্গম আত্মতৃপ্তি মিলবে না। ফলে উভয়ে পরস্পরের কাছ থেকে ধীরে ধীরে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। অতএব একথা অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে, স্ত্রী পুরুষের সহবাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো রতি ক্রীড়া।

০৩. যৌন মিলনঃ– রতি ক্রীড়াতে স্বামী স্ত্রী যখন সম্পূর্ণভাবে কামোত্তেজিত হয়ে উঠবে, তখন পুরুষ তাঁর দৃঢ় লিঙ্গটি স্ত্রীর যোনির মধ্যে প্রবেশ করাবে। প্রথম মিলনের সময় লিঙ্গ প্রবেশ করাতে গিয়ে স্ত্রী ব্যথা পেতে পারে। তাই দু আঙ্গুল দিয়ে স্ত্রীর ভগোষ্ঠ ফাঁক করে নিতে হয়। রতিক্রীড়ার ফলে যোনিপথ খুব সিক্ত হয়ে উঠে ও পিছল হয়ে যায়। আবার পুরুষের লিঙ্গ মুখও কাউপার গ্রন্থি নিঃসৃত রসে ভিজে যায়। অনেক সময় দেখা যায় এসব সত্ত্বেও যোনি পথে লিঙ্গ প্রবিষ্ট করাতে অসুবিধা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে পুরুষের উচত নিজ লিঙ্গ দিয়ে লঘু ভগোষ্ঠ এবং ভগনাসাকে ঘর্ষণ করা এর ফলে যোনিপথ অত্যন্ত সিক্ত হয়ে ওঠবে এবং লিঙ্গ প্রবেশ করাতে বেগ পেতে হবে না। প্রয়োজন হলে লিঙ্গ মুন্ডে তেল জাতীয় পদার্থ মাখিয়ে যোনিপথে স্থাপন করে একটু চাপ দিলেই ঢুকে যাবে।

এবার ধীরে ধীরে লিঙ্গ দিয়ে যোনিকে ঘর্ষণ করতে হবে। স্ত্রী যখন অতিরিক্ত কামপ্রবণ হয়ে পড়ে তখন লিঙ্গ ঘর্ষণের ফলে তাঁর যোনিমার্গে চুলকোতে শুরু করে। তখন লিঙ্গ যোনিমার্গের গায়ে ঘর্ষার ফলে স্ত্রী খুব তৃপ্তি লাভ করে। এবং লিঙ্গের ঘর্ষণের সাথে সাথে চুলকানি কমতে থাকে। তাই লিঙ্গ দিয়ে যত বেশী সময় ধরে ঘর্ষণ করা হবে, স্ত্রী ততবেশী আনন্দ পাবে। লিঙ্গের আঘাত এবং ঘর্ষণের ফলে স্ত্রী পুরুষ উভয়েরই এত সুখানুভূতি হয় যে তা শব্দ দ্বারা প্রকাশ করা সম্ভব নয়। সঙ্গম ক্রিয়াতে দুজনের প্রেম এত প্রবল হয়ে ওঠে যে মনে হয় তাদের শরীর এবং প্রাণ এক।

সঙ্গম পুরুষ মুখ্য ভূমিকা গ্রহণ করে থাকে। স্ত্রীর কাজ হলো তাকে সহযোগিতা করা। স্ত্রী চরিত্রের বৈশিষ্ট্য হলো যে সে মন্দ-কাম এবং মন্দ গামিনী। তাই পুরুষের নজর রাখতে হবে যে দুজনে যেন একই সময়ে কামসুখ লাভ করতে পারে। এজন্য আত্ম সংযম ও আত্মনিয়ন্ত্রণ থাকা প্রয়োজন। ফলে সে অভ্যাসের সাহায্যে সঙ্গমের সময়কে দীর্ঘ করতে পারবে। আসলে সঙ্গমের কোন নির্দিষ্ট সময় নেই। যে যত বেশী সময় ধরে মিলন ঘটাতে পারে সে ততবেশি সুখ এবং তৃপ্তি লাভ করে। যে পুরুষ বেশিক্ষণ অর্থাৎ স্ত্রীর কামসুখ পাওয়া অবধি সঙ্গম অক্ষম তাদের স্ত্রীরা কাম সুখ পায় না। তাদের শরীরের সমস্ত স্নায়ু টানটান হয়ে থাকে। অতৃপ্ত সঙ্গম মনে ও দেহের ওপর প্রভাব ফেলে। অনাওদ্র, উপেক্ষা, বিরক্তির সৃষ্টি হয়। স্ত্রী তাঁর স্বামীকে নপৃংসক মনে করে ঘৃণা করে। ফলে শুরু হয় অশান্তি ও কলহ।

কখনোই জোরে জোরে আঘাত বা ঘর্ষণ করা উচিত নয়। তাহলে পুরুষের কামোত্তেজনা বেড়ে খুব তাড়াতাড়িই বীর্যপাত ঘটে। ক্লান্ত হয়ে পড়লে ঘর্ষণ ক্রিয়া মাঝে মাঝে বন্ধ রাখা যায়। অবশ্য লিঙ্গটি যোনির মধ্যে প্রবিষ্ট অবস্থায় থাকবে। তাহলে পুরুষের লিঙ্গের শিথিলতা আসবে না এবং নারীর উত্তেজনা কোন ঘাটতি হবে না। যোনির সঙ্কোচন ও প্রসারণে লিঙ্গ এক অসাধারণ সুখ পায়। ফলে স্ত্রীর উত্তেজনা বেড়ে যায় এবং পুরুষের কাজটি করতে থাকে। সঙ্গম সময় দীর্ঘ করার জন্য ৩টি উপায় অবলম্বন করা যেতে পারে। এখানে দেখুন।

সঙ্গমের সময় একটা দিকে নজর রাখতে হবে যে ভগনাসা ও লিঙ্গ যেন এক সঙ্গে ঘর্ষিত হয়। তাহলে স্ত্রীর কামাগ্নি তুমুলভাবে বেড়ে যাবে এবং সে আনন্দ বেশি পাবে। এছাড়া গর্ভাশয়ের মুন্ডের ওপর যখন লিঙ্গের স্পর্শ হয় তখনও স্ত্রী খুব আনন্দ পায়। এভাবে পুরুষ যখন সঙ্গমের সময় কেবল লিঙ্গ দ্বারাই আনন্দ লাভ করে, নারী তখন ভগনাসা, ভগোষ্ঠ, যোনিমুখ এবং গর্ভাশয়ে সুখ পায়। উপরন্ত স্তনে মর্দনের ফলে অতিরিক্ত সুখ লাভ করে।

কামসুখ যতই সেই পরম মূহুর্তে এসে উপস্থিত হতে থাকে ততই দুজনে দুজনে এক অনাবিল সুখ সমুদ্রে সাঁতার কাটতে থাকে। একসময় সেই শুভ মুহুর্ত এসে উপস্থিত হয়। দুজনেরই স্খলন হয়। লিঙ্গ থেকে বীর্য সবেগে যোনির মধ্যে গিয়ে পড়ে। এই সময় স্ত্রীর যোনিতে খুব জোরে সংকোচন ও প্রসারণ শুরু হয়। বীর্য পতনের পরে নারীর চোখ কামসুখে বুজে আসে। শরীরের প্রত্যেক অংশ শিথিল হয়ে পড়ে। দেহ মন বিচিত্র নেশায় আচ্ছন্ন হয়ে যায়। এইভাবেই শেষ হয় সঙ্গম পর্ব।

সঙ্গমের আনন্দ যখন চরম সীমায় পোঁছায় তখন সেটাকে বলা হয় কামসুখ। এটা অনুভব করতে হয়। এই অনুভুতি লাভ করার কিছু পরে বীর্যপাত হয়। এই দুটি পরিস্থিতির মধ্যে সময়ের ব্যবধান খুব কম থাকায় অনেকে এদুটিকে একসঙ্গে গুলিয়ে ফেলে এবং বীর্যপাতকেই কামসুখ বলে ধরে নেয়।

স্ত্রী যখন কামসুখ অনুভব করতে শুরু করে তখন যোনিগাত্র থেকে পানির চেয়ে সামান্য ঘাঢ় তরল পদার্থ নিঃসৃত হতে শুরু করে। অনেকে এই নিঃসরণ অনুভব করতে পারে, আবার কেউ পারে না। এমনও দেখা যায় স্ত্রীর প্রতি পুরুষের ভালোবাসা যত গাঢ় হয়ে ওঠে স্ত্রী তত বেশী কামসুখ লাভ করে এবং তত বেশী স্রাব হয়।

আরো পড়ুন ঃ যৌন মিলনের দশটি আসন ও ছবি

০৪. উপসংহারঃ– স্খলনের পর পুরুষ নারী এমন এক নেশায় আচ্ছন্ন হয়ে থাকে যা কোন মাদক দ্রব্য সেবন করলেও পাওয়া যায় না। বীর্যপাতের সঙ্গে সঙ্গে অনেক পুরুষ স্ত্রীর শরীর থেকে নিজেকে বিচ্ছিন্ন করে নেয়। কিন্তু এটি করা অত্যন্ত ভুল কাজ। স্খলন হওয়ার পর স্ত্রী চায়, স্বামীর বাহুভারে আবদ্ধ থাকতে। কারণ নারী যেমন ধীরে ধীরে কামোত্তেজিত হয়, তেমনি ধীরে ধীরে কামোত্তেজনার প্রশমণ ঘটে। তাই প্রত্যেক স্বামীর উচিত স্ত্রীর সেইসব অঙ্গে হাত বুলানো যেগুলি রতি ক্রিয়া ও সংগমে মুখ্য ভূমিকা নিয়েছিল। স্ত্রী যখন স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসেব তখন পুরুষ তাঁর কাছ থেকে সরে আসতে পারে।

শরীর ও কাম বিশারদরা বলেছেন যে স্খলিত হওয়ার পরই পুরুষের স্ত্রীর কাছ থী দূরে সরে যাওয়া উচিত হয়। তাঁরা এও বলেছেন সে স্খলনের পর স্ত্রীর যোনি থেকে যে রস নিঃসৃত হয় সে রস পুরুষের লিঙ্গের জন্য উপকারি। তা নিক লিঙ্গকে যোনির মধ্যেই রাখা বাঞ্ছনীয়। এবং যতক্ষণ না স্ত্রী স্বাভাবিক ফিরে আসছে ততক্ষণ তাঁকে ঐভাবেই স্ত্রীর সঙ্গে যুক্ত থাকতে হবে।

এই ঘটনার ফলে স্বামীর প্রতি স্ত্রীর ভালোবাসা গাঢ় হয় এবং তাঁর প্রতি বিশ্বাসও বেড়ে যায়। এরপর হালকা গরম পানি দিয়ে নিজেদের যৌনাঙ্গ ধৌত করে নিতে হবে।

ডাউনলোড করুণ PDF

The post যৌন মিলনের চারটি নিয়ম (যৌন মিলনের টিপস) appeared first on Amar Bangla Post.

Viewing all 93 articles
Browse latest View live


<script src="https://jsc.adskeeper.com/r/s/rssing.com.1596347.js" async> </script>