দাম্পত্য জীবন শুরু হয় বিবাহের পর প্রথম মিলনের শুভরাত্রিতে। শুভরাত্রির প্রথম মিলন যেন আনন্দের ও তৃপ্তির হয় সেজন্য প্রত্যেক নব-বধূকে এব্যাপারে জ্ঞান অর্জন করা উচিত।
অনেকে ভেবে থাকে যে প্রথম মিলন থেকে জন্ম নিরোধক ব্যবস্থা নিয়ে সম্ভোগে ব্রতী হওয়া উচিত। কেননা যেহেতু কম ম্বয়সের বর-বধূ। তাঁরা আপন অঙ্গের ক্রিয়া সম্পাদনে পূর্ণরূপে সমর্থ। তাই গর্ভ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
যৌন মিলনের অর্থ যে কেবল সন্তান লাভ তা নয়, এর মধ্যে থেকে স্বর্গীয় সুখ লাভ করা যায়। কারণ সংসারের যাবতীয় সুখের মধ্যে কামসুখ হলো অন্যতম। প্রথম মিলনের সময় যদি এই ভয় থাকে যে সম্ভোগের পর বধূ নিশ্চিতভাবে গর্ভবতী হবে তাহলে প্রথম মিলনের মধুরক্ষণের সমস্ত রোমাঞ্চই নষ্ট হয়ে যাবে।
বর-বধূ শুভ মিলনের রাতে এমন কোন খারাপ পোশাক পরবে না যা একে প্ন্যের প্রতি ঘৃণার সৃষ্টি করতে পারে। অধিকাংশ স্ত্রী সারাদিন ঘর গৃহস্থলীর কাজে ব্যস্থ থাকে। নিজের বেশ ভূষার দিকে নজর দেওয়ার অবসর থাকে না। রাতে ঐ বিধ্বস্ত চেহারা নিয়ে স্বামীর সামনে এসে হাজির হয়। সে একবারও ভাবে না, তা চেহারার বিবর্ণতা দেখে তাঁর স্বামীর মনে বিতৃষ্ণার সৃষ্টি হতে পারে। স্বামী এমন ধারার স্ত্রীর সঙ্গে সম্ভোগ করে বটে, কিন্তু সেই মিলনে সুখ থাকে না। এক্ষেত্রে ধীরে ধীরে স্ত্রীর সঙ্গে সম্ভোগের ইচ্ছা স্বামীর মন থেকে দূরীভুত হয়ে যায়।
অতএব প্রত্যেক রমণীকে কয়েকটি কথা জেনে রাখতে হবে, রাতে স্বামির পাশে শুতে যাওয়ার আগে নিজেকে ভালো করে পরিস্কার করে নেবে। শীতকাল হলে তোয়ালে বা গামছা দিয়ে নিজের সারা অঙ্গ মুছে ফেলতে হবে। তারপর হালকা প্রসাধনে নিজেকে সুবাসিত করে তুলবে। সুগন্ধি পাউডার, আতর বা সেন্ট ব্যবহার করলে নিজের গায়ের ঘামেওর গন্ধ যেমন দূর হয়ে যাবে তেমনি স্বামীও তাঁর প্রতি আকৃষ্ট হবে। পান বা এলাচ মুখে দিলে শ্বাসের দুর্গন্ধ বিতাড়িত হবে। এর ফলে চুম্বনের সময় বেশী আনন্দ পাওয়া যায়।
এক কথায় বলা যায় যে, যৌন মিলন হলো একটি শিল্পকলা। একে নিখুঁত ভাবে না সাজালে দাম্পত্য জীবনে অভিশাপ নেমে আসবে। মিলনের দ্বারা নব বর-বধূ একে অপরের কাছে স্বীকার করে যে, শারীরিক দিক থেকে তাঁরা এক হয়ে গেছে। আজ থেকে ওদের জীবনে কিছুই গোপন থাকবে না। ওরা আজীবন পরস্পরকে বিশ্বাস করবে এবং কিছুই গোপন করবে না।
প্রথম মিলনের জন্য এমন স্থান নির্ধারণ করা উচিত যা নিরিবিলি জায়গা হবে। ঐ স্থানের আশপাশ যেন সম্ভোগের প্রতি রুচি এবং আকর্ষণ আনে। সম্ভোগের জন্য যে খাট রাখা হবে সেখানে যেন পরিস্কার বিছানা থাকে।
সব ঋতুতে স্ত্রী ও পুরুষের মধ্যে ক্লামের আবেগ হয় না। বসন্ত ঋতুতে বাতাস বয় সুশীতল, নানারকম ফুলে চারদিক রঙ্গীন হয়ে ওঠে। তখন মনের বাতাবরণে এক মাদকতার সৃষ্টি হয়। এই মাদকতার স্বামী-স্ত্রীর মনের মধ্যে কাম ইচ্ছা জাগিয়ে তোলে। আবার বর্ষাকালে আকাশে কালো মেঘের ঘনঘটার সাথে সাথে বৃষ্টির রিমঝিম ধ্বনি শুনতে শুনতে কামক্রিয়া মেতে ওঠে মন। গ্রীম্মকালে সারাদিনের ক্লান্তির পর ঠান্ডা পূবালি বাতাসের ছোঁয়ায় মন তখন ছুটে যায় স্ত্রী বা পুরুষের প্রতি। আবার শীতকালে স্বামী-স্ত্রী নিজে থেকেই ঠান্ডা দূর করার জন্য পরস্পরকে জড়িয়ে ধরে এবং কামলীলায় মেতে ওঠে।
যৌন ক্রিয়ায় স্ত্রীরা হয় লজ্জাশীলা ও সংকোচপূর্ণ। তাঁরা নিজের মুখে কিছু প্রকাশ করে না। সম্ভোগের জন্যে পুরুষ যখন তাঁর আগ্রহ প্রকাশ করে তখন স্ত্রী চুপ করে থাকে। পুরুষ তখন তাঁর মনে সম্ভোগের বাসনা জাগিয়ে তোলে। আলিঙ্গণ ও চুম্বনের মাধ্যমে পুরুষ তাঁর স্ত্রীকে কামতাড়িত করে তোলে।
রমণীর শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে কাম বাসনা লুকিয়ে থাকে। তাদের শরীরে কিছু এমন স্থান আছে যেখানে হাত স্পর্শ করলে, মর্দন বা চুম্বন করলে স্ত্রী সহজেই সম্ভোগ জন্যে উদ্গ্রীব হয়ে ওঠে। স্ত্রীর স্তন পুরুষের সম্ভগের প্রেরণা। উরু ওবং নিতম্বে হাত বোলালে কামের উদ্রেক হয়। ঠোঁট, গাল, স্তন চুম্বন করলে স্ত্রী ও পুরুষ উভয়ের জন্য আনন্দদায়ক হয়।
স্তনে মর্দন করলে স্তনের বোঁটা এবং স্তনে কঠিনতা আসে। স্তনের বোঁটা মুখে নিয়ে চুষলে স্ত্রী নিজে থেকেই কাম প্লাবনে মেতে ওঠে। স্ত্রী যখন পুরুষের বুকে ঘষা খায় তখন স্ত্রীর শরীরে কামের তরঙ্গ উঠতে থাকে আর স্ত্রী সম্ভোগের জন্য অধীর হয়ে ওঠে।
শরীরের কামাবেগের তরঙ্গ উঠলে নারী পুরুষ উভয়ে উভয়ের যৌনাঙ্গ নিয়ে মর্দন করতে থাকে। পুরুষের লিঙ্গ ও অন্ডকোষকে মর্দন করে কঠিন করেও তোলে। সেটি উত্থিত হয়ে ওঠে। স্ত্রীর যোনিতে সঙ্কোচন ও প্রসারণ না আসা পর্যন্ত পুরুষ সেই যোনি নিয়ে মর্দন করতে থাকে। স্ত্রীর ভগনাসা ওশরীরে কামোত্তেজনার একটি মুখ্য কেন্দ্র তাই স্ত্রীর যোনিতে আঙ্গুল ঘর্ষণ করতে হয়। যদি লিঙ্গ দিয়ে ভগনাসা ঘর্ষিত হয়, তাহলে কামাবেগ আরো তীব্র হয়ে ওঠে।
মর্দনের সাথে সাথে স্ত্রীর ঠোঁট, গাল, স্তন প্রভৃতিতে চুম্বন দিতে হবে। এর ফলে স্ত্রীর সমস্ত শরীরে কামের তরঙ্গ খেলে যায়।
অনেক স্ত্রী পুরুষ পরস্পরের যৌনাঙ্গ চুম্বন করে এক ধরণের কাম সুখ লাভ করে। এমনটি করা উচিত নয়। এতে যৌন রোগ হতে পারে। দেখুনঃ যৌনাঙ্গ লেহনের ক্ষতি ও যৌনাঙ্গতে মুখ লাগানো সম্পর্কে আলোচনা লেখাটি পড়ে আসুন।
The post সেক্স করার নিয়ম appeared first on Amar Bangla Post.